শুনতে অবাক লাগতে পারে। কারও কারও কাছে মনে হতে পারে বিষয়টি ঈর্ষার বা ছুত্মার্গের বা শ্রেষ্ঠমন্যতার। হয়তো অন্য কেউ যুক্তি দিয়ে বলবেন, ভারতের প্রথা ও অস্পৃশ্যতার ধারণাই এ ক্ষেত্রে প্রধান বাধা। তবুও সত্যি হলো, প্রাপ্তবয়স্কদের চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী সানি লিওন অনেক খুঁজেও মুম্বাইয়ে একটি বাসা পাচ্ছেন না। ভাড়া দিতে কার্পণ্য নেই তাঁর। নেই কোনো শর্ত। তবুও একটা বাসা মিলছে না মুম্বাইয়ে। ধারণা করা হয়, ভারতের এ শহরটি অন্যান্য শহরের তুলনায় এগিয়ে থাকে সভ্যতায়, ভব্যতায়। বিভিন্ন জাতি, দেশ, ধর্মের মানুষের বাস বলে ভারতের এই প্রধান বাণিজ্যিক শহরটিকে প্রায়ই ‘অপেক্ষাকৃত উদার’ বলে দাবি করেন ভারতীয়রা।
বছর খানেক আগে বলিউড দাপানো অভিনেতা ইমরান হাশমি একই রকম কথা বলেছিলেন। তখন ‘সিরিয়াল কিসার’ হিসেবে খ্যাতি কুড়ালেও, বাসা খুঁজতে গিয়ে কেঁদেছিলেন। কেউ বিশ্বাসও করেনি। একসময় ইমরান দাবি করেন, তিনি মুসলমানের ছেলে বলে কেউ বাসা ভাড়া দিতে চায় না। দিল্লিসহ ভারতের প্রায় সব শহরেই এ সমস্যা আছে, কেউ মুসলমানদের বাসা ভাড়া দিতে চায় না। কিন্তু, এত দিন মুম্বাই এসবের ঊর্ধ্বে ছিল। এবার সানির অভিযোগের পর অনেকেরই মনে হচ্ছে, ইমরান মায়াকান্না কাঁদেননি। হয়তো তাতে খানিকটা সত্যিও ছিল।
জিসম ২ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে অনেক যশ হয়েছে সানির। স্বপ্ন দেখেছিলেন বলিউডের শহরে থেকে যাবেন। গতকাল সোমবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, সানি ও তাঁর স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবার মুম্বাই শহর ও উপশহরে বাসা খুঁজে খুঁজে হয়রান। কিন্তু, কোনো আশার আলো নেই।
অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সানি এখন মুম্বাইয়ে যে হোটেলটিতে আছেন, সেটি তিনি খুব দ্রুত ছাড়তে চান। এ জন্য ম্যাক্সিমাম সিটি নামের একটি আবাসন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের শরণাপন্নও হয়েছেন সানি ও ড্যানিয়েল। ওই প্রতিষ্ঠানের একজন টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, ‘কয়েকটি সপ্তাহ ধরে বাসা খুঁজেও ব্যর্থ হয়েছেন সানি। কারণ, অনেক বাড়ির মালিক বা আবাসন এলাকা প্রাপ্তবয়স্কদের চলচ্চিত্রে অভিনয় করে এমন একজনকে বাসা ভাড়া দিতে চায় না।’
কয়েক মাস আগে জিসম ২ চলচ্চিত্রটির বিপুল সাফল্যের পর সানি বলেছিলেন, বলিউডের চলচ্চিত্রের দর্শকরা তাঁকে গ্রহণে পুরোপুরি প্রস্তুত। তাই এত তাড়াতাড়ি ভারত ছাড়ার কথা তিনি ভাবছেন না। হয়তো সানি বুঝতে পারেননি, বলিউডের রঙিন দুনিয়াটি পুরো ভারতের প্রতিনিধিত্ব করে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেকে এটাকে ঈর্ষা বলতে পারে, কারণ যে মানুষটি তাঁর চলচ্চিত্র কেনা বা দেখার জন্য অগ্রিম অর্থ দিতে রাজি থাকে বা নিজের ঘরে সানির ছবি দেখে, সে সানিকে বাসা ভাড়া দিতে চায় না। তবে, এ ধরনের একজন অভিনেত্রীর ভক্তরা বাসার সামনে বা এলাকায় যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের ঝামেলা করতে পারে—এমন আশঙ্কায় অনেকেই বাসা ভাড়া দিতে চাইছেন না।
বছর খানেক আগে বলিউড দাপানো অভিনেতা ইমরান হাশমি একই রকম কথা বলেছিলেন। তখন ‘সিরিয়াল কিসার’ হিসেবে খ্যাতি কুড়ালেও, বাসা খুঁজতে গিয়ে কেঁদেছিলেন। কেউ বিশ্বাসও করেনি। একসময় ইমরান দাবি করেন, তিনি মুসলমানের ছেলে বলে কেউ বাসা ভাড়া দিতে চায় না। দিল্লিসহ ভারতের প্রায় সব শহরেই এ সমস্যা আছে, কেউ মুসলমানদের বাসা ভাড়া দিতে চায় না। কিন্তু, এত দিন মুম্বাই এসবের ঊর্ধ্বে ছিল। এবার সানির অভিযোগের পর অনেকেরই মনে হচ্ছে, ইমরান মায়াকান্না কাঁদেননি। হয়তো তাতে খানিকটা সত্যিও ছিল।
জিসম ২ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে অনেক যশ হয়েছে সানির। স্বপ্ন দেখেছিলেন বলিউডের শহরে থেকে যাবেন। গতকাল সোমবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, সানি ও তাঁর স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবার মুম্বাই শহর ও উপশহরে বাসা খুঁজে খুঁজে হয়রান। কিন্তু, কোনো আশার আলো নেই।
অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সানি এখন মুম্বাইয়ে যে হোটেলটিতে আছেন, সেটি তিনি খুব দ্রুত ছাড়তে চান। এ জন্য ম্যাক্সিমাম সিটি নামের একটি আবাসন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের শরণাপন্নও হয়েছেন সানি ও ড্যানিয়েল। ওই প্রতিষ্ঠানের একজন টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, ‘কয়েকটি সপ্তাহ ধরে বাসা খুঁজেও ব্যর্থ হয়েছেন সানি। কারণ, অনেক বাড়ির মালিক বা আবাসন এলাকা প্রাপ্তবয়স্কদের চলচ্চিত্রে অভিনয় করে এমন একজনকে বাসা ভাড়া দিতে চায় না।’
কয়েক মাস আগে জিসম ২ চলচ্চিত্রটির বিপুল সাফল্যের পর সানি বলেছিলেন, বলিউডের চলচ্চিত্রের দর্শকরা তাঁকে গ্রহণে পুরোপুরি প্রস্তুত। তাই এত তাড়াতাড়ি ভারত ছাড়ার কথা তিনি ভাবছেন না। হয়তো সানি বুঝতে পারেননি, বলিউডের রঙিন দুনিয়াটি পুরো ভারতের প্রতিনিধিত্ব করে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেকে এটাকে ঈর্ষা বলতে পারে, কারণ যে মানুষটি তাঁর চলচ্চিত্র কেনা বা দেখার জন্য অগ্রিম অর্থ দিতে রাজি থাকে বা নিজের ঘরে সানির ছবি দেখে, সে সানিকে বাসা ভাড়া দিতে চায় না। তবে, এ ধরনের একজন অভিনেত্রীর ভক্তরা বাসার সামনে বা এলাকায় যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের ঝামেলা করতে পারে—এমন আশঙ্কায় অনেকেই বাসা ভাড়া দিতে চাইছেন না।
সানিকে বাড়ি ভাড়া দিচ্ছে না কেউ - প্রথম আলো
No comments:
Post a Comment