TECH GURU, TECH-SCIENCE NEWS

"I celebrate myself, and sing myself,
and what I assume you shall assume,
for every atom belonging to me as good belongs to you."

Sunday, September 30, 2012

অভ্যাস বদলাচ্ছে মশা



ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে মশা-প্রতিরোধী মশারির ব্যবহার কাজে আসছে না। বদলে যাচ্ছে মশার অভ্যাস। মানুষকে কামড়ানোর সময়সূচিতেও পরিবর্তন এসেছে।
মশার আচরণের বদল নিয়ে গবেষণাটি করেছে ফ্রান্সভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ ফর ডেভেলপমেন্টের গবেষকেরা। বিজ্ঞান সাময়িকী জার্নাল অব ইনফেকশাস ডিজিজ-এ গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে।
আফ্রিকার বেনিন ও কেনিয়ার গ্রামে গবেষণার ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে কীটপতঙ্গ-প্রতিরোধী মশারি তেমন কার্যকর হচ্ছে না। মশা কীটনাশক-প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। মশারি প্রচলনের তিন বছর পর মশার কামড়ের সময়সূচিতেও পরিবর্তন এসেছে। আগে রাত দুইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত মশা সক্রিয় থাকত। কিন্তু বর্তমানে তারা ভোর পাঁচটার দিকে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এর ফলে ভোরে ঘুম থেকে ওঠা কৃষকেরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আর ঘরের বাইরে কামড়ের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন এসেছে। তিন বছরে তা ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬১ শতাংশ হয়েছে। 
গবেষকেরা প্রতিটি গ্রামে তিন দফায় ঘরে-বাইরে ফাঁদ পেতে শত শত মশা সংগ্রহ করেন। কীটপতঙ্গ-প্রতিরোধী মশারি প্রচলনের আগে একবার এবং এরপর প্রথম ও তৃতীয় বছরে মশা সংগ্রহ করা হয়।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ জেনিফার স্টিভেনসন ও তাঁর সহযোগীরা বলছেন, ঘরে ও বাইরের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা মশার প্রায় ৪০ ভাগই নতুন বৈশিষ্ট্য বহনকারী। পরীক্ষায় এই অঞ্চলের অন্যান্য মশার সঙ্গে নতুনদের ডিএনএর মিল পাওয়া যায়নি।
কেনিয়া ও বেনিনে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর খবর নতুন নয়। তবে এই মহামারি ঠেকাতে তিন বছর ধরে মশারির ব্যবহার শুরু করেছে তারা। মশারি ব্যবহারের উদ্যোগে গত বছরও আফ্রিকায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যায়। নিউসায়েন্টিস্ট ও রয়টার্স।


অভ্যাস বদলাচ্ছে মশা - প্রথম আলো

No comments:

Post a Comment