TECH GURU, TECH-SCIENCE NEWS

"I celebrate myself, and sing myself,
and what I assume you shall assume,
for every atom belonging to me as good belongs to you."

Sunday, September 30, 2012

জীবনের বল ঘোরাচ্ছেন শেন ওয়ার্ন!



খারাপ মানুষের অপবাদ আর বিতর্কিত অতীত পেছনে ফেলে নিজেকে সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের ঘূর্ণি বলের জাদুকর ৪৩ বছর বয়সী শেন ওয়ার্ন।
নিজের চেহারা আর আচরণে পরিবর্তন আনার কারণে সবখানেই তিনি প্রশংসা পাচ্ছেন। ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ জানিয়েছে, ইতালির মিলানে রবার্তো ক্যাভেলি ফ্যাশন শো হোক আর কোনো তারকাবহুল পার্টিই হোক—বদলে যাওয়া শেন ওয়ার্ন যেখানে যাচ্ছেন, সেখানেই সবার মন কাড়ছেন!
স্ত্রী সিমোনে কালাহানের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার দুই বছর পার হয়েছে। এই দুই বছরের মধ্যে জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এ ক্রিকেটারের। এখন বদলে যাওয়া ওয়ার্নকে দেখে অনেকে অবাক হচ্ছেন। সত্যিকার অর্থে, প্লাস্টিক সার্জারি করে চেহারায় বদল আনার সঙ্গে সঙ্গে স্বভাবেও বদল এনেছেন তিনি। বিশেষ করে, গত এক বছরে নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করে তৈরি করেছেন। এর পেছনে ছিলেন শেন ওয়ার্নের বাগদত্তা এলিজাবেথ হার্লে। তাঁকে নিয়ে অবশ্য আগ্রহের কমতি ছিল না। শেন ওয়ার্নের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পর পাপারািসদের চোখ সব সময় খুঁজেছে এ দুজনকে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। কারণ, ঘটন-অঘটনপটীয়সী তাঁরা দুজন গত এক বছরে কোনো অঘটন ঘটাননি যে!
ক্রিকেটের পাশাপাশি একের পর এক নারীঘটিত কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়ে শেন ওয়ার্ন সর্বদাই থেকেছেন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। পরনারীতে আসক্তির কারণে স্ত্রী সিমোনে কালাহানের সঙ্গে সুখের সংসার ভেঙেছে। তাঁর কাছে ফিরতেও চেয়েছিলেন। কিন্তু এ সম্ভাবনার মৃত্যু ঘটে ওয়ার্নের সঙ্গে লিজ হার্লের পরিচয় হওয়ার পর থেকে। প্রেমে পড়ে বদলাতে শুরু করেন শেন। লিজ হার্লের সঙ্গে সম্পর্কের পাক্কা এক বছর পার করলেন শেন ওয়ার্ন। এখন একত্রে ভালোই আছেন তাঁরা। সম্প্রতি এ জুটির ভালো থাকার উদাহরণ পাওয়া গেছে অস্ট্রিয়ায়। ভিয়েনায় রিটজ কার্লটন হোটেলের উদ্বোধনের সময় দুজনের অন্তরঙ্গ আর ছবি তোলার ভঙ্গি দেখে উপস্থিত অনেকের মন্তব্য লিজ-শেন যেন আমে-দুধে মিশেছেন! লিজ যে শেনের সঙ্গে চমত্কার সময় কাটাচ্ছেন সাম্প্রতিক টুইটেও সে কথা স্পষ্ট। টুইটারে এক বার্তায় লিজ লিখেছেন, ‘রিটজ কার্লটন হোটেলে অসাধারণ রাত...।’ 
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী অরুণ নায়ারের সঙ্গে লিজের ছাড়াছাড়ির পর শেনের সঙ্গে সম্পর্ক হলেও শুরুর সময়ে অনেকে ধারণা করেছিলেন, এ সম্পর্ক টিকবে না। কিন্তু নিজের অতীতকে সম্পূর্ণ পেছনে ফেলে এবং নিজেকে শুধরে নিয়ে এক বছর ধরে ভালো আছেন ক্রিকেটের এ ঘূর্ণি বলের জাদুকর। নিজেকে এখন অনেক বেশি পরিশীলিত, সুখী মনে হচ্ছে তাঁর। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত তিনি উপভোগ করছেন। ওয়ার্নের সাম্প্রতিক টুইটে সে ধরনের বক্তব্যই ফুটে উঠেছে।

জীবনের বল ঘোরাচ্ছেন শেন ওয়ার্ন! - প্রথম আলো

ইতির যতি পড়ল নিরব-সারিকার প্রেমে!


টেলিভিশন-মাধ্যমে গত কয়েক বছরের আলোচিত প্রেম বলতে নিরব-সারিকার নামই সামনে চলে আসে। সেই বহুল আলোচিত প্রেমে ইতির যতি পড়ল। 
গত দুই বছরে যেখানে নিরব, সেখানেই ছিলেন সারিকা। শুধু তা-ই নয়, একই ধরনের পোশাক পরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিজেদের মনের মিলের বিষয়টিও তুলে ধরতেন দুজনে। নানা কারণে নিরব ও সারিকার প্রেমের ব্যাপারটি সবার চোখেও পড়েছিল। একপর্যায়ে নিরব-সারিকাও বিষয়টি আড়ালে রাখার চেষ্টা করেননি। নিজেদের প্রেম, ভালো লাগা আর ভালোবাসার কথা, এমনকি ঘর বাঁধার কথাও অকপটে বলে গেছেন গণমাধ্যমে।
২০১১ সালের ৭ জুলাই ‘প্রথম আলো’কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সারিকাকে বিয়ের ব্যাপারে নিরব বলেছিলেন, ‘আমার ইচ্ছে সারিকাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার। “কেয়ামত থেকে কেয়ামত” ছবিটি দেখে আমার মনে এ ইচ্ছা জেগেছে অনেক আগেই।’ 
আর সারিকা বলেছিলেন, ‘মোটেই না। আমার ইচ্ছে খুব ধুমধাম করে বিয়ে হবে। অনেক গয়না পরব। কয়েক দিন ধরে ঘটা করে অনুষ্ঠান হবে। গায়েহলুদ হবে। আর নিরব পালিয়ে বিয়ে করার কথা বলেছে, কারণ ওর পয়সা বেচে যাবে। হা হা হা।’
নিরব-সারিকার ঘটা করে দেওয়া এসব ঘোষণা আর বাস্তব পরিণতি পাচ্ছে না। টেলিভিশন ও মডেলিং জগতের আলোচিত এই জুটির প্রেমের সম্পর্কে ভাঙন ধরেছে। কোনোভাবেই এই প্রেম আর জোড়া লাগবে না বলেও জানিয়েছেন নিরব। প্রথম আলো ডটকমকে নিরব বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। আর তা একসময় ভালোবাসা, ভালো লাগাতেও রূপ নিয়েছিল। কিন্তু এখন তা আর নেই। এসব বিষয় নিয়ে আমি আপাতত কিছুই বলতে চাই না। সে এখন তাঁর মতো করে চলছে।’
এদিকে সারিকা বলেছেন, ‘এটা ঠিক যে, আমি নিরবকে অনেক ভালোবাসতাম। কিন্তু এখন আর আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের ভালোবাসার সম্পর্ক নেই। আমি এখন নতুন করে নিজেকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছি। আপাতত কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চাই। বেশ কয়েকটা চলচ্চিত্রের ব্যাপারেও কথা হচ্ছে। নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ভালোভাবে এগোতে চাই।’
নিরব-সারিকার ক্ষেত্রে সম্পর্কের ভাঙা-গড়ার খেলা এটিই প্রথম নয়।



ইতির যতি পড়ল নিরব-সারিকার প্রেমে! - প্রথম আলো

ওবামা জিতলে নগ্ন হবেন ম্যাডোনা!


ম্যাডোনা
ম্যাডোনা
এতকাল ভারতের পুনম পাণ্ডে, শার্লিন চোপড়া আর সানি লিওনের নানান মুখরোচক খবরেই উত্তপ্ত ছিল বিনোদন জগতের হাওয়া। এবারে পপ কুইন ম্যাডোনার সাম্প্রতিক এক ‘বাণী’ ঝড় তুলেছে সে হাওয়ার শরীরে।
নিউ ইয়র্কের ইয়াংকি স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক সংগীতানুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সমর্থনে ম্যাডোনা জানিয়েছিলেন, ‘আপনারা সবাই ওবামাকে ভোট দেবেন, ঠিক আছে? ভালো কিংবা মন্দ যে জন্যই হোক।’ 
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে ইয়াংকি স্টেডিয়ামে জড়ো হওয়া হাজারো ভক্তের সামনে ম্যাডোনা তাঁর পোশাক অনাবৃত করে পিঠে ‘ওবামা’ আঁকা উলকিটিও দেখিয়েছিলেন উপস্থিত ভক্ত-শ্রোতাদের। 
স্বল্প পরিচ্ছদে আবৃত ‘ম্যাটেরিয়াল গার্ল’ খ্যাত জনপ্রিয় এ পপ তারকা সেসময় মঞ্চের সামনে থাকা হাজারো দর্শক-শ্রোতাদের উদ্দেশে বলে ওঠেন- ওবামা জিতলে শরীরের এ স্বল্পতম শেষ পরিচ্ছদটুকুও তিনি আর রাখবেন না! সবার সামনে রীতিমত ঘোষণা দিয়েই বিষয়টি জানিয়েছেন ম্যাডোনা।
প্রসঙ্গত, এ অনুষ্ঠানেই ওবামাকে ‘ব্ল্যাক মুসলিম আখ্যা দিয়ে তাঁর পক্ষে প্রচারণায় ওবামার জন্য ভোট চেয়েছিলেন ৫৪ বছর বয়সী জনপ্রিয় এ সংগীত তারকা। অবশ্য পরে বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হলে ম্যাডোনা এর ব্যাখ্যায় জানিয়েছিলেন যে, তিনি নাকি বিষয়টি খানিক দুষ্টুমি করেই বলেছিলেন। কিন্তু ওবামা জিতলে তিনি নগ্ন হবেন, ম্যাডোনা তাঁর এ ঘোষণা সম্পর্কে এমন কোন ব্যাখ্যা এখনও পর্যন্ত দেননি। ‘আ প্রমিস ইজ আ প্রমিস। অবশ্য এর সবটুকুই নির্ভর করছে ওবামার জয়ের ওপরে। এরপরই না ম্যাডোনার প্রতিজ্ঞা পূরণের বিষয়টি আসবে! পিটিআই।



ওবামা জিতলে নগ্ন হবেন ম্যাডোনা! - প্রথম আলো

পুলিশি অন্ধকার এবং এক মা ও মেয়ের গল্প

নিছক কিছু দুর্বৃত্ত পুলিশের শাস্তির দাবি এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। এই লেখার উদ্দেশ্য এক মা ও মেয়ের জীবন বাঁচানো। এই লেখার উদ্দেশ্য আমাদের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও বাঁচানো। টানা ছয়টি দিন-রাত একটি অন্ধকার ঘরে আটকে রেখে মা ও মেয়েকে নির্যাতন চালানোর পর মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। না করুন, সেই চেষ্টা যদি তিনি আবার করেন, তার দায় কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপর বর্তাবে না? এ জন্যই আমরা চাই, অন্তত নিজের দায় বাঁচাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু করুন। লিমন-কাহিনির মতো অন্যায়ের আরেকটি দীর্ঘ কাহিনি না জন্মাক। 
মা ও মেয়ের সংসার। বাবা পুরুষটি কয়েক বছর আগে খুন হয়েছেন। কিন্তু সেটাই মা-মেয়ের দুর্ভাগ্যের শেষ ছিল না, সেটাই ছিল শুরু। স্বামী খুন হওয়ার পর মেয়েকে নিয়ে মা কুষ্টিয়া ছেড়ে রাজবাড়ীতে বসত গাড়েন। মেয়ে শুরু করে কলেজে যাওয়া। তারপর একদিন, ৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় পুলিশ আসে। কুষ্টিয়ার জেলা পুলিশকে কেন এত দূর উজিয়ে রাজবাড়ী এসে ‘অপরাধী’ ধরতে হলো? তাও নিছক সন্দেহের বশে! যেখানে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোর্টে হাজির করার কথা, সেখানে দুই দিন দুই রাত আটক রাখার কী কারণ? প্রথমে তাঁদের নেওয়া হয় শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের খোকসা থানায়। সেখানে তাঁদের ওপর নির্যাতন চলে। এরপর নেওয়া হয় কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ লাইনে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে। আমরা জানলাম, এসব কার্যালয়ে অন্ধকার নির্যাতনকক্ষ থাকে। সে রকম এক কক্ষে আরও চার দিন আটকে রেখে নির্যাতন চলে। খবরটি জানাজানি হলে তাঁদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জামিন দিলে আবার গ্রেপ্তার করা হয় খুনের মামলায়। আবার তোলা হয় আদালতে। সেই আদালত এমনই আদালত, নিপীড়িতদের ফরিয়াদ না শুনে তাঁরা পুলিশের চাওয়ামতো মা ও মেয়েকে জেলে পাঠান। কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ, খোকসা থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশের পর এবার তাঁদের ‘ব্যবস্থা’ করে ১২ কিলোমিটার দূরের কুমারখালী থানার পুলিশ। এভাবে বিভিন্ন থানার বিভিন্ন ধরনের পুলিশের হাত থেকে হাতে বদল হতে হতে কী দশা হয়েছিল তাঁদের? মানুষের ওপর, সরকারের ওপর, আইনের ওপর, মানবাধিকারের ধারণার ওপর কি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলেন তাঁরা? নরকের পথও কি এত দীর্ঘ হয় নাকি? স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিকেরা কি এ রকম বেওয়ারিশ নাকি? তাদের নিয়ে যা খুশি তা করা চলে নাকি?
র্যা বের গুলিতে পা হারানো লিমন বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির পঙ্গুত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। আর ক্রমাগত নিপীড়িত হতে থাকা এই মা ও মেয়ে এখন মানবাধিকার বিলয়ের প্রতীক। এই প্রতীক যারা সৃষ্টি করেছে, সেই দুর্বৃত্ত নির্যাতক পুলিশ সদস্যদের নিয়ে আমরা কী করব? 
একাত্তরে পাকিস্তান বাহিনীর হাতে নির্যাতিত ব্যক্তিদের বয়ান আমরা শুনেছি। একটা পর্যায়ে তাঁরা ভাবতেন, এর কি কোনো শেষ নেই? অনেকে শেষ দেখে যাওয়ার আগেই মারা গিয়েছেন, অনেকে আত্মহত্যা করেছেন, অনেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে শেষ হয়ে গিয়েছেন। এই মেয়ে ও মা ছয় দিন কুষ্টিয়ার খোকসা থানার অন্ধকার হাজতে নির্যাতিত হতে হতে হয়তো ভাবছিলেন, এর কি শেষ নেই? না, নেই। ৯ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হওয়ার সময় যে দুর্ভাগ্যের সূচনা হয়েছিল, তা এখনো চলছে। কুষ্টিয়া জেলে বসে হয়তো তাঁরা তালাশ করছেন, কোথায় এর শেষ? কোথায় এর শেষ মাননীয় পুলিশপ্রধান, কোথায় এর শেষ মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? দিনাজপুরের ইয়াসমিন, চট্টগ্রামের সীমা চৌধুরীদের মতো ঘটনার কি কোনো কমতি পড়বে না বাংলাদেশে? খবরটি পড়ে প্রথম আলোর অনলাইনে এক পাঠক মন্তব্য করেছেন, ‘এ আমরা কোথায় আছি?’ সত্যিই, এ আমরা কোথায় বাস করছি? কোন দেশ, কোন সময়, কোন পরিবেশে?
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এ রকম অনেক অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়ে চলেছে প্রতিদিন। কিন্তু উত্তর নেই। উত্তর দেওয়ার মালিক যাঁরা, আসলেই বলবার মতো কোনো উত্তর তাঁদের আছে বলে মনে হয় না। তাঁরা যেমন চলছেন, তেমনই চলতে থাকবেন বলে হয়তো বিশ্বাস করেন। সত্যিকার উত্তরের বদলে তাঁদের আছে মিথ্যা আশ্বাস, মেকি তৎপরতা আর উদাসীনতার হাসি। সেই হাসি নিরাপত্তাহীনতার ভয় আরও বাড়ায়। গত মাসেই মিরপুরে এ রকমই এক মা ও তাঁর শিশুকন্যা পুলিশের হাতে নিপীড়িত হয়েছেন বলে অভিযোগ প্রকাশিত হয়। এঁরাও ছিলেন খুনের শিকার এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী ও শিশুকন্যা। আসল খুনিদের আড়াল করতে সেই নারীকেই উল্টো স্বামী হত্যার দায়ে ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয়। ঢাকার ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। চোখের সামনে মায়ের নির্মম অপমানের ধাক্কা ছোট্ট মেয়েটির মানসিক সুস্থতা নষ্ট করে ফেলে। 
গত জুন মাসে ঢাকার জেলা জজ আদালত চত্বর থেকে বাবা, মা ও মেয়েকে প্রহার করতে করতে পুলিশ ক্লাবে নিয়ে তিনজনকে তিন ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন কর হয়। মা এক কানে স্বামীর চিৎকার শুনেছেন, অন্য কানে শুনেছেন মেয়ের আর্তনাদ। কিন্তু পুলিশ কিছুই শুনছে না, থামছে না, মানছে না। এই পুলিশ বাহিনীই তো মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র প্রতিরোধের প্রথম সারিতে দাঁড়িয়েছিল! যাকে সেদিন তারা প্রতিরোধ করেছিল, আজ তাদের আচরণ তাদের মতোই মানবতাবিরোধী হয়ে উঠছে। আমরা দেখেছি, পুলিশ বাহিনীর সদস্য অর্থের বিনিময়ে খুন করেন। চুরি-ডাকাতি-ঘুষের বিস্তারের থেকেও এটা ভয়াবহ। পুলিশের কাজ আর অপরাধীদের কাজের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যাচ্ছে না। পুলিশ বাহিনী কি ঠিক করেছে, নির্যাতিত পরিবারের সংখ্যা তারা বাড়িয়েই যাবে? এতগুলো ঘটনায় এত এত থানার এত এত পুলিশ জড়িত যে এসব আর বিচ্ছিন্ন ব্যাপার বলে পাশ কাটানোর সুযোগ নেই। দেশে বাড়তে থাকা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কীভাবে সম্ভব, যখন পুলিশ নিজেই নারীর জন্য বিরাট হুমকি হয়ে উঠছে? একের পর এক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসেন, পুলিশের নতুন নতুন প্রধান আসেন। তাঁদের কাছ থেকে আমরা জানতে পারি, পুলিশ এখন কতটা আধুনিক, কতটা মানবিক। পুলিশ বাহিনীতে মানবাধিকারের প্রশিক্ষণের খবরও আমাদের জানানো হয়। আধুনিক, মানবিক, দক্ষ পুলিশই যদি সত্য হবে, তা হলে এমন লোম শিহরে ওঠা ঘটনা ঘটাচ্ছে কারা? পুলিশের শক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে অপরাধের শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার মধ্যে সম্পর্কটা কী?
পরিচিত একটি শিশু বড় হয়ে পুলিশ হতে চায়। তাকে প্রশ্ন করা হলো, বাবা, কেন তুমি পুলিশ হতে চাও? চেহারায় ডাঁট এনে সে বলে, ‘তা হলে যে সবাই আমাকে ভয় পাবে!’ পুলিশের এতে খুশিই হওয়ার কথা। মানুষের ভালোবাসা দূরে থাক, আস্থা ও বিশ্বাসের কোনো প্রয়োজন তাদের আছে বলে মনে হয় না। অপরাধের হিড়িক দেখে তো বলার উপায় নেই, অপরাধীরা পুলিশকে খুব একটা ভয় পায়। পুলিশকে ভয় পায় নিরীহ সাধারণ মানুষ, যাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি বা বিত্ত কম। নিদারুণ ভয় দিয়েই তারা পুলিশের মর্যাদা রক্ষা করে চলে। পুলিশও মনে হয় চায়, মানুষ তাদের ভয়ে কাঁপুক। এখনো দুরন্ত বাচ্চারা ঘুমাতে না চাইলে অনেক মা-ই কপট ভয় দেখিয়ে বলেন, ‘ঘুমা, নইলে কিন্তু পুলিশ আসবে।’ অস্বীকার করা যাবে না, পুলিশ সম্পর্কে আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষেরই প্রথম অনুভূতিটি ভয়ের। ব্রিটিশ শাসকেরা পুলিশকে তৈরি করেছিলেন যতটা আইন প্রয়োগের জন্য, তার থেকে বেশি স্থানীয় জনগণকে ভয় দেখিয়ে চুপ রাখার জন্য। আমল বদলেছে, ভয়ের সংস্কৃতি লোপ তো পায়ইনি বরং বেড়েছে। পুলিশ এখন ভয়ের আরেক নাম। পুলিশের ভয়ে যখন সাধারণ মানুষ কাঁপে, তখন মানবাধিকার, আইনের শাসন, গণতন্ত্র—সবই মূলসুদ্ধ কাঁপতে থাকে। মানুষ ভয়ে কাঁপবে আর সরকার থাকবে নিষ্ক্রিয়তায় অটল; এটা হতে পারে না।
 ফারুক ওয়াসিফ: লেখক ও সাংবাদিক।

পুলিশি অন্ধকার এবং এক মা ও মেয়ের গল্প - প্রথম আলো

রিমির নৌকা এগিয়ে




গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের উপনির্বাচনে আজ রোববার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট নেওয়া হয়েছে। এখন ভোট গণনা চলছে। ১০২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৬টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফল পাওয়া গেছে। এই উপনির্বাচনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমি ২৮ হাজার ৬৮১ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। মোরগ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আফসারউদ্দীন আহমদ পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৫০ ভোট। সিপিবির মনোনীত প্রার্থী আসাদুল্লাহ বাদল ৭১০ ভোট পেয়েছেন। তিনি কাস্তে প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন।
গাজীপুর-৪ উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারোয়ার মোরশেদ জানান, সারা দিনে শতকরা ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ ভোট পড়েছে বলে তিনি আশা করছেন। আজ তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই উপনির্বাচনে কম ভোট পড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উপনির্বাচনে সর্বনিম্ন ২৬ শতাংশ ভোট পড়ার রেকর্ড আছে।


রিমির নৌকা এগিয়ে - প্রথম আলো

ডিম-দর্পণ!



কারও পছন্দ সেদ্ধ ডিম, কারও পেঁয়াজ-মরিচ দিয়ে ভাজা ওমলেট, কারও আবার শুধু অল্প আঁচে তেলে ভাজা কিংবা পোচ। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে ডিম খাওয়ার বিষয় নিয়ে এক গবেষণা করেছেন। গবেষকদের দাবি, ডিম খাওয়ার ধরন ব্যক্তিত্বের নির্ণায়ক হতে পারে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে টেলিগ্রাফ অনলাইন।
গবেষকেরা ডেটা মাইনিং ও নির্দিষ্ট গাণিতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখেছেন, বিভিন্নভাবে ডিম খাওয়ার সঙ্গে মানুষের ব্যক্তিত্বের একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। অর্থাত্ ডিম মানুষের চরিত্র, জীবনযাপন এমনকি সামাজিক শ্রেণী নির্ণয়েও ভূমিকা রাখতে পারে। ব্যক্তিত্ব বিশেষে কেউ পছন্দ করেন সেদ্ধ, কেউ ভাজা আবার কেউ পোচ।
ব্রিটিশ এগ ইন্ডাস্ট্রি কাউন্সিলের অর্থায়নে এ গবেষণা পরিচালনা করেছে মাইন্ডল্যাব ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান। গবেষণার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের এক হাজার ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ডিম খাওয়ার ধরন নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন গবেষকেরা। 
গবেষকেরা জানিয়েছেন, যাঁরা ডিম পোচের ভক্ত, তাঁরা বাইরে বেশি কাজ করেন, উচ্চ স্বরে গান শোনেন এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁরা সুখী। পক্ষান্তরে সেদ্ধ ডিম যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁরা কিছুটা অগোছালো হন। রান্না করা ডিমের ভক্তরা আবার দৃঢ়প্রত্যয়ী হন। গবেষকেরা দেখেছেন, ভাজা ডিমের ভক্ত হন তরুণ ও কাজে দক্ষরা। আবার নিজের বাড়ি আছে এবং বড় পদে কাজ করেন এমন ব্যক্তিরা রান্না করা ডিমই বেশি পছন্দ করেন।


ডিম-দর্পণ! - প্রথম আলো

বিয়ে করছেন জ্যানেট জ্যাকসন



জ্যানেট জ্যাকসন ও উইসাম আল মানা
জ্যানেট জ্যাকসন ও উইসাম আল মানা
এরই মধ্যে প্রেমিক উইসাম আল মানার সঙ্গে বাগদান সেরে নিয়েছেন মার্কিন গায়িকা ও অভিনেত্রী জ্যানেট জ্যাকসন। সম্প্রতি এক খবরে ‘ন্যাশনাল এনকুইরার’ ম্যাগাজিন জানিয়েছে, আগামী বছর জমকালো এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গাঁটছড়া বাঁধার পরিকল্পনা করছেন এই জুটি।
ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০০৯ সালে ধনাঢ্য ব্যবসায়ী উইসামের সঙ্গে জ্যানেটের প্রথম সাক্ষাত্ হয় মধ্যপ্রাচ্যে। পরের বছর প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তাঁরা। এরপর বাগদানের কাজটিও সেরে ফেলেন এই জুটি। বাকি ছিল বিয়ে। প্রেমের সম্পর্ককে স্থায়ী রূপ দিতে সামনের বছর কাতারের রাজধানী দোহায় গাঁটছড়া বাঁধার পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। তবে বিয়ের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। 
সূত্রটি আরও জানায়, ৪৬ বছর বয়সী জ্যানেটকে ঘটা করেই ঘরে তুলতে চান তাঁর চেয়ে বয়সে ১০ বছরের ছোট উইসাম। তিনি চাইছেন, শতাব্দীর অন্যতম আলোচিত হিসেবে যেন বিবেচিত হয় তাঁদের বিয়ে।


বিয়ে করছেন জ্যানেট জ্যাকসন - প্রথম আলো

দাম কমছে পুরোনো লুমিয়ার (ভিডিও)



উইন্ডোজ ফোন ৮ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর লুমিয়া ৯২০ ও লুমিয়া ৮২০ স্মার্টফোন দুটি বাজারে আনার ঘোষণা দেওয়ার পর পুরোনো মডেলের লুমিয়া স্মার্টফোনের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে লোকসানের মুখে পড়া নকিয়া। ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 
বাজার বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বী স্মার্টফোন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে ইউরোপের বাজারে মিড রেঞ্জ বা মাঝারি দামের স্মার্টফোন হিসেবে লুমিয়া ৮০০ মডেলের উইন্ডোজ ফোনের দাম ১৫ শতাংশ কমিয়েছে নকিয়া। এ ছাড়াও লুমিয়া ৯০০ মডেলের স্মার্টফোনটির দাম ১০ শতাংশ কমিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। 
যুক্তরাজ্যের বাজার গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সিসিএস ইনসাইট নকিয়ার উইন্ডোজ ফোনের দাম কমানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, লুমিয়া ৮০০ ও ৯০০ মডেলের স্মার্টফোনের দাম কমানোর পাশাপাশি অন্যান্য মডেলের স্মার্টফোনেরও দাম কমাচ্ছে ফিনল্যান্ডের মোবাইল ফোন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানটি। বাজারে অন্যান্য মুঠোফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই দাম কমিয়ে আনছে নকিয়া।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, নকিয়ার নতুন লুমিয়া স্মার্টফোনগুলোতে ভোক্তাদের চমক দেওয়ার মতো কিছু নেই। ইতিমধ্যে এ হতাশার প্রতিফলন ঘটেছে শেয়ারবাজারে। নতুন স্মার্টফোন ঘোষণা দেওয়া সত্ত্বেও নকিয়ার শেয়ারের দাম পড়ে গেছে। 
নিউইয়র্কের এক অনুষ্ঠানে ৫ সেপ্টেম্বর নকিয়ার প্রধান নির্বাহী স্টিফেন ইলোপ লুমিয়া সিরিজের উইন্ডোজনির্ভর দুটি স্মার্টফোনের ঘোষণা দিয়েছেন। উইন্ডোজ ফোন ৮ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর নতুন দুটি স্মার্টফোন হচ্ছে লুমিয়া ৯২০ ও লুমিয়া ৮২০। অনুষ্ঠানে নকিয়ার প্রধান নির্বাহী এ ফোনটি নিয়ে উচ্চাশা পোষণ করলেও প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, এ দুটি স্মার্টফোনই নকিয়ার জন্য শেষ সুযোগ হতে পারে। লুমিয়া ৯২০ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে সাড়ে চার ইঞ্চি মাপের বাঁকানো এইচডি প্রযুক্তির ডিসপ্লে, ডুয়াল কোরের ১.৫ গিগাহার্টজের প্রসেসর, ১ গিগাবাইট র্যাম, নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) প্রযুক্তি, ৮ মেগাপিক্সেল পিউরিভিউ ক্যামেরা-সুবিধা। শক্ত প্লাস্টিক বা পলিকার্বনেটের তৈরি লুমিয়া ৯২০ স্মার্টফোনটিতে তারবিহীন চার্জিং পদ্ধতি যুক্ত হয়েছে। এলটিই এবং এইচএসপিএ+ উভয় প্রযুক্তি সমর্থন করবে লুমিয়া ৯২০।
লুমিয়া সিরিজের নতুন ৮২০ স্মার্টফোনটি ৪.৩ ইঞ্চি মাপের সমান্তরাল ওএলইডি স্ক্রিনের সঙ্গে রয়েছে ডুয়াল কোরের প্রসেসর, ১ গিগাবাইট র্যাম, এনএফসি ও তারবিহীন চার্জিং পদ্ধতি। লুমিয়া ৮২০-এ রয়েছে কার্ল জেইস লেন্সভিত্তিক ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। এ ছাড়া ভয়েস চ্যাটের জন্য সামনের দিকে রয়েছে ভিজিএ ক্যামেরা। ৮ গিগাবাইট মেমোরির পাশাপাশি রয়েছে মাইক্রোএসডি কার্ড ব্যবহারের সুবিধা এবং স্কাই ড্রাইভে ৭ গিগাবাইট তথ্য সংরক্ষণের সুবিধা। সাতটি রঙে বাজারে আসবে নকিয়ার লুমিয়া ৮২০।
বাজার বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, চলতি বছরের নভেম্বর মাস নাগাদ স্মার্টফোন দুটি বাজারে আনবে ফিনল্যান্ডের মোবাইল ফোন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান নকিয়া। নভেম্বর মাসে লুমিয়ার নতুন মডেল বাজারে আসার আগে দাম কমানোর ফলে নকিয়ার স্মার্টফোন বিক্রি বেড়ে যাবে বলে আশা করছে নকিয়া কর্তৃপক্ষ। 
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর এ দুটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে স্মার্টফোনের বাজারে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করেছে নকিয়া। তবে বাজারে আসার পর নকিয়ার স্মার্টগুলোকে আইফোন ৫, স্যামসাংয়ের অ্যাটিভ এস, এইচটিসির স্মার্টফোন, এলজির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে।
অবশ্য স্মার্টফোন দুটির দামের বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি নকিয়া।




দাম কমছে পুরোনো লুমিয়ার (ভিডিও) - প্রথম আলো

অভ্যাস বদলাচ্ছে মশা



ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে মশা-প্রতিরোধী মশারির ব্যবহার কাজে আসছে না। বদলে যাচ্ছে মশার অভ্যাস। মানুষকে কামড়ানোর সময়সূচিতেও পরিবর্তন এসেছে।
মশার আচরণের বদল নিয়ে গবেষণাটি করেছে ফ্রান্সভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ ফর ডেভেলপমেন্টের গবেষকেরা। বিজ্ঞান সাময়িকী জার্নাল অব ইনফেকশাস ডিজিজ-এ গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে।
আফ্রিকার বেনিন ও কেনিয়ার গ্রামে গবেষণার ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে কীটপতঙ্গ-প্রতিরোধী মশারি তেমন কার্যকর হচ্ছে না। মশা কীটনাশক-প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। মশারি প্রচলনের তিন বছর পর মশার কামড়ের সময়সূচিতেও পরিবর্তন এসেছে। আগে রাত দুইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত মশা সক্রিয় থাকত। কিন্তু বর্তমানে তারা ভোর পাঁচটার দিকে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এর ফলে ভোরে ঘুম থেকে ওঠা কৃষকেরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আর ঘরের বাইরে কামড়ের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন এসেছে। তিন বছরে তা ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬১ শতাংশ হয়েছে। 
গবেষকেরা প্রতিটি গ্রামে তিন দফায় ঘরে-বাইরে ফাঁদ পেতে শত শত মশা সংগ্রহ করেন। কীটপতঙ্গ-প্রতিরোধী মশারি প্রচলনের আগে একবার এবং এরপর প্রথম ও তৃতীয় বছরে মশা সংগ্রহ করা হয়।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ জেনিফার স্টিভেনসন ও তাঁর সহযোগীরা বলছেন, ঘরে ও বাইরের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা মশার প্রায় ৪০ ভাগই নতুন বৈশিষ্ট্য বহনকারী। পরীক্ষায় এই অঞ্চলের অন্যান্য মশার সঙ্গে নতুনদের ডিএনএর মিল পাওয়া যায়নি।
কেনিয়া ও বেনিনে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর খবর নতুন নয়। তবে এই মহামারি ঠেকাতে তিন বছর ধরে মশারির ব্যবহার শুরু করেছে তারা। মশারি ব্যবহারের উদ্যোগে গত বছরও আফ্রিকায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যায়। নিউসায়েন্টিস্ট ও রয়টার্স।


অভ্যাস বদলাচ্ছে মশা - প্রথম আলো

Friday, September 28, 2012

সন্দেহের ঘেরাটোপে হিনা-বিলাওয়ালের প্রেম



পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খারের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বলে বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে খবর ছড়িয়েছে। বিদেশি পত্রিকাগুলো বাংলাদেশি ইংরেজি সাপ্তাহিক ট্যাবলয়েড ‘ব্লিটজ’-এ প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে সংবাদ পরিবেশন করেছে। 
প্রতিবেদনে বলা হয়, হিনা ও বিলাওয়ালের মধ্যে প্রেমের বিষয়টি নিয়ে ভুট্টো পরিবারে শীতল যুদ্ধ চলছে। বাবা আসিফ আলী জারদারি (পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট) চান না বিলাওয়াল তাঁর চেয়ে ১১ বছরে বড় এবং দুই মেয়ের মা হিনাকে বিয়ে করেন। অথচ বিলাওয়াল নাছোড়বান্দা। প্রয়োজনে তিনি পিপিপি ছাড়বেন, রাজনীতি ছাড়বেন, কিন্তু হিনাকে বিয়ে করে পাড়ি দেবেন সুইজারল্যান্ডে।
হিনার পরিবারেরও সমস্যা চলছে। গত বছর স্বামীর পরকীয়ার সূত্র ধরে কোটিপতি স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিনা খুব দ্রুত বিয়ে ভেঙে দিতে চান। আর এরপর হয়তো থেকে যাবেন বিলাওয়ালের সঙ্গে। বাবা আসিফ আলী জারদারি ছেলেকে রাষ্ট্রপতি ভবনের ভেতরে হিনার সঙ্গে বিলাওয়ালকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলার পর থেকে ক্ষুব্ধ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ নিয়ে হিনার সঙ্গে তাঁর বচসাও হয়েছে। ফলাফলে হিনাকে ক্ষমতা ছাড়তেও হতে পারে। তবে এ বচসা আরও বেশি ক্ষুব্ধ করে তুলেছে বিলাওয়ালকে। এ বিষয়ে একটা হেস্তনেস্ত তিনি হয়তো করেই ফেলবেন।

সত্যি-মিথ্যার বিতর্ক
অভিজাত প্রেমের এ খবরটি পাকিস্তানের প্রধান সংবাদপত্র বা প্রচারমাধ্যমগুলোতে স্থান পায়নি। তবে ভারত ও বাংলাদেশের অনেক দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হয়েছে। বাংলাদেশে ইংরেজি পত্রিকাগুলো খুব বেশি পরিচিত নয়। ইংরেজি ট্যাবলয়েড এখানে আরও অপরিচিত। তবে ‘ব্লিটজ’ খবরটি ছড়িয়ে দিয়ে নিশ্চিতভাবে সাড়া জাগিয়েছে। সাধারণত পাকিস্তানের অভিজাতদের নিয়ে এর আগে খবর প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘ডেইলি মেইল’, ‘সান’-এর মতো বিশ্বখ্যাত ট্যাবলয়েডগুলো কিংবা ভারত বা পাকিস্তানের কোনো পত্রিকা। কিন্তু এবার বাংলাদেশের স্বল্প পরিচিত পত্রিকাটি বিশ্বকাঁপানো খবরটির জন্ম দিয়ে প্রমাণ করল, খবর সব জায়গাতেই হতে পারে।
কিন্তু খবরটি কতটুকু সত্য, তা নিয়ে পাঠকমহলে সংশয় থেকেই গেছে। এমন কথা বলা হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এর এক খবরে। প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্ভি নামের এক ব্লগার লিখেছেন, ‘এ খবর মিথ্যা। এটা এত অসত্য যে কখনোই সত্যি হতে পারে না।’ সুরেশ নামের আরেকজন ব্লগারকে নিজেকে বিলাওয়ালের পারিবারিক বন্ধু দাবি করে লিখেছেন, ‘বিলাওয়াল এক “অতৃপ্ত আত্মা” যে এখনো নিজেকে খুঁজে ফিরছে। তাই এমন অবস্থায় তাঁর পক্ষে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানো অসম্ভব।’ তানজীন জাভেদ নামের এক পাকিস্তানিও একই কথা বলেছেন। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেকের ধারণা ‘যা রটে, তার কিছু তো বটে’।
পাকিস্তানের পত্রিকা ‘দ্য নেশন’-এর সম্পাদক সেলিম বোখারিকে উদ্ধৃত করে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এর খবরে বলা হয়, খবরটি চেপে যাওয়ার জন্য সরকার প্রচারমাধ্যমকে কোনো চাপ দিচ্ছে না। যারা খবরটি প্রচার করেনি, সেটি তাদের ইচ্ছায়। এর বাইরে আইনি ঝামেলাও আছে। এর আগে জং গ্রুপের একটি সংবাদে প্রেসিডেন্ট জারদারির বিয়ে নিয়ে গুঞ্জন ছড়ানো হয়। খবরটিতে বলা হয়েছিল, জারদারি গোপনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক নারী চিকিত্সককে বিয়ে করেছেন। এই খবর প্রচার করায় জং গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন জারদারি।
‘পাকিস্তান টাইমস’-এর ব্লগে আজ বৃহস্পতিবার খুররম রেহমান নামের একজন বলেছেন, ‘এটি মিথ্যা’। ফারুক রেহমান নামের আরেকজন পাঠক বলেছেন, খবরটি যে মিথ্যা তার প্রমাণ এটি ফাঁস করেছে বাংলাদেশি একটি পত্রিকা। তিনি দাবি করেছেন, হিনা রাব্বানি বাংলাদেশে জনপ্রিয় এবং এখানে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে তাঁকে ফলো করে। তবে এরপর অনেক মন্তব্যকারী তাঁর বক্তব্য খণ্ডন করে বলেছেন, বাংলাদেশে হিনার তেমন কোনো জনপ্রিয়তা নেই।
পাকিস্তানের অনলাইন পত্রিকা দ্য খুজায় ২৪ সেপ্টেম্বর এক খবরে বলা হয়, ‘কর্মকর্তারা মনে করেন, হিনা রাব্বানি ও বিলাওয়াল ভুট্টোর প্রেমের খবরটি সাজানো, গোঁজামিল দেওয়া এবং পাকিস্তানের গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তাঁরা মনে করেন, কিছু প্রথম সারির নেতা এ বুদ্ধির খেলায় উসকানি জোগাচ্ছেন। তাঁদের উদ্দেশ্য হলো পাকিস্তান সরকারকে আন্তর্জাতিক মহলে লজ্জিত করা। খবরটি প্রথমে টুইটারে প্রচারিত হয়। এরপর অনেক ব্লগার, ই-পেপার ও সংবাদপত্র খবরটি প্রচার করে। এসব খবরের কোথাও ‘পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নাম’ প্রকাশ করা হয়নি বা নির্ভর করার মতো কোনো সূত্রের নাম উল্লেখ করা হয়নি। যখন প্রেসিডেন্ট জারদারি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন, তখন এ খবরটির প্রচার অবশ্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক খবরে আজ বলা হয়, হিনা রাব্বানির স্বামী ফিরোজ গুলজার তাঁর স্ত্রীকে জড়িয়ে প্রকাশিত খবরগুলোকে ‘উচ্ছিষ্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। পাকিস্তানের জিও নিউজকে ফিরোজ বলেন, ওই খবরগুলোর কোনো সত্যতা নেই। তিনি বলেন, ওই খবরগুলোকে ‘প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়’ এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে প্রচারিত খবরগুলো সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করতে আগ্রহী নন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের একটি স্বল্প পরিচিত ট্যাবলয়েডে কোনো প্রমাণ ছাড়াই প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির ছেলে বিলাওয়ালের সঙ্গে হিনার প্রেমের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে সেটির সত্যতা বিষয়ে সন্দেহ থেকে গিয়েছিল।’
‘ব্লিটজ’-এ প্রকাশিত ‘কোল্ড ওয়্যার ইনসাইড পাকিস্তানি প্রেসিডেন্টশিয়াল প্যালেস’ শিরোনামের প্রতিবেদনটিতে তিন ধরনের সূত্রের উল্লেখ করা হয়েছে। দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে ‘জারদারি পরিবারের নির্ভরযোগ্য সূত্র’, তৃতীয় অনুচ্ছেদে ‘গোয়েন্দা সূত্রের’ উল্লেখ করা হয়েছে এবং পঞ্চম অনুচ্ছেদে ‘এক পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের’ বরাত দেওয়া হয়েছে। তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কোন দেশের বা কোন ধরনের, তার কোনো বর্ণনা নেই। 
তবে, ‘ব্লিটজ’-এর প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদন সম্পর্কে আরেকটি অভিযোগ সামনে এসেছে। সেটি হলো কুম্ভিলকবৃত্তির। অর্থাত্ প্রতিবেদক সূত্র উল্লেখ করা ছাড়াই উইকিপিডিয়া ও ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এ প্রকাশিত একটি প্রবন্ধ থেকে হুবহু বসিয়ে দিয়েছেন নিজের লেখায়। 
গতকাল বুধবার ‘ব্লিটজ’-এর অনলাইনে গিয়ে দেখা গেছে, ট্যাবলয়েডটির ভলিউম ৭ এর ৩৭ নম্বর ইস্যুতে ‘কোল্ড ওয়্যার ইনসাইড পাকিস্তানি প্রেসিডেন্টশিয়াল প্যালেস’ (পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ভবনের অভ্যন্তরে শীতল যুদ্ধ) শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে। পত্রিকাটির ওয়েবসাইট থেকে দেখা যায়, সেটি প্রীতা মেমন নামের একজন প্রতিবেদকের। ‘বাই লাইনের’ নিচে তারিখ দেওয়া আছে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১২। এর আগের দিন ‘ব্লিটজ’-এ আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, সেটিও প্রীতা মেননের। শিরেনাম ‘হাই প্রোফাইল রোমান্স ইন পাকিস্তান এক্সপোজড’ (পাকিস্তানে অভিজাতদের মধ্যে প্রেমের খবর ফাঁস)। তবে এ প্রতিবেদনটি ‘পাকিস্তান ডিফেন্স’ নামের একটি ওয়েবসাইটেও সেদিন প্রকাশিত হয়। এর ঠিকানা www.defence.pk। এ প্রতিবেদনটির প্রথম অনুচ্ছেদের ‘ফিউডাল অ্যান্ড ল্যান্ডওনার ফ্যামিলি’ অংশ থেকে চতুর্থ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত পুরো অংশটি কপি করা হয়েছে উইকিপিডিয়া থেকে, সূত্র উল্লেখ না করেই। এ অংশে হিনার ব্যক্তিগত জীবন, শিক্ষা, রাজনীতিচর্চা ইত্যাদির বর্ণনা ছিল।
‘কোল্ড ওয়্যার ইনসাইড পাকিস্তানি প্রেসিডেন্টশিয়াল প্যালেস’ শিরোনামের প্রতিবেদনটির অনুচ্ছেদ ছয়টি। এর মধ্যে ষষ্ঠ অনুচ্ছেদের ‘ইন ১৯৯৪, এক্সিকিউটিভস অব দ্য টু সুইস কোম্পানিজ রোট’ অংশ থেকে ‘মেকিং মোর দ্যান ইউএস ডলার ১৩১ মিলিয়ন’ অংশটি কপি করা হয়েছে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকে।
১৯৯৮ সালের ৯ জানুয়ারি নিউইয়র্ক টাইমসে পুলিত্জারজয়ী ব্রিটিশ সাংবাদিক জন এফ বার্নসের ‘হাউস অব গ্রাফট: ট্রেসিং দ্য ভুট্টো মিলিয়নস¬—অ্যা স্পেশাল রিপোর্ট; ভুট্টো ক্ল্যান লিভস ট্রেইল অব কোরাপশন’ প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়। এর তিনটি অনুচ্ছেদ প্রীতা তাঁর প্রতিবেদনে হবহু কপি করলেও সূত্র উল্লেখ করেননি। হয়তো এসব কারণেও ‘ব্লিটজ’-এর প্রতিবেদনগুলো নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

সন্দেহের ঘেরাটোপে হিনা-বিলাওয়ালের প্রেম - প্রথম আলো

শিক্ষার জন্য যৌনব্যবসা!



  • ওয়েব ক্যামের সামনে বসাই বেশি পছন্দ রেবেকার
    ওয়েব ক্যামের সামনে বসাই বেশি পছন্দ রেবেকার
  • মিশেল সায়ার্স। তাঁর আয়ের উত্স ল্যাপ ডান্সিং
    মিশেল সায়ার্স। তাঁর আয়ের উত্স ল্যাপ ডান্সিং
  • কোটিপতি বয়ফ্রেন্ডের কল্যাণে অর্থ নিয়ে ভাবনা নেই লিয়ার
    কোটিপতি বয়ফ্রেন্ডের কল্যাণে অর্থ নিয়ে ভাবনা নেই লিয়ার
1 2 3
ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বড় অঙ্কের টিউশন ফি। পড়ালেখার খরচ জোগাড় হবে কী করে? পড়ালেখার ব্যয় নির্বাহ করতে গিয়ে কতজন কত রকম পথই না বেছে নেন। বিস্ময়কর হলেও সত্য, দেহব্যবসার মতো পথও বেছে নেন অনেক নারী শিক্ষার্থী।
ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য সান’ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখার ব্যয় নির্বাহ করতে গিয়ে কত নারী শিক্ষার্থী দেহব্যবসার মতো পথ বেছে নেন—এ নিয়ে গবেষণায় নেমেছেন ব্রিটেনের এক দল গবেষক। তথ্য পেতে গতকাল মঙ্গলবার একটি ওয়েবসাইটও তৈরি করেছেন তাঁরা। যেসব শিক্ষার্থী এ পথে অর্থ আয় করেন, তাঁদের নিজেদের কথা অকপটে বলতে আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকেরা। তিন বছর ধরে এভাবে তথ্য সংগ্রহ চলবে।
সোয়ানজি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের প্রধান ট্রেইসি স্যাগার বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো পড়ালেখার খরচ জোগাতে গিয়ে দেহব্যবসায় জড়িতদের সংখ্যা নির্ণয় করা। ওয়েব ক্যাম সেক্স, ফোন চ্যাট সেক্স, পারলারে ম্যাসেজ করানোর মতো কাজও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। তবে আমরা শুধু নারীদের ওপরই জোর দিচ্ছি না, পুরুষ ও হিজড়াদের দিকেও দৃষ্টি থাকবে।’
পড়ালেখার খরচ জোগানোর জন্য নিজের শরীরকে ব্যবহার করেন, এমন কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে এরই মধ্যে কথা বলেছেন গবেষকেরা। তাঁদের মধ্যে তিনজনের কথাবার্তা তুলে ধরা হয় ‘দ্য সান’-এর প্রতিবেদনে।
রেবেকা থালবোর্ন পড়েন সালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২৩ বছর বয়সী এই নারীর স্বপ্ন মনোরোগ চিকিত্সক হওয়া। টিউশন ফি বাবদ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়কে দিতে হয় তিন হাজার পাউন্ড। অর্থ আয় সম্পর্কে রেবেকা বলেন, ‘লোকে হয়তো অনেক কিছু মনে করে। তবে আমি মূলত ওয়েব ক্যামের সামনে বসি। পানশালায় কাজ করার চেয়েও এভাবে বেশি অর্থ আয় হয়। পড়ালেখার সময় তেমন পাই না। আমি শুধু অর্ধনগ্ন (টপলেস) হই। আমার পরিবার এটা জানে। তবে এ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই তাঁদের।’
রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক্রিয়েটিভ আর্টস’ বিষয়ে পড়াশোনা করেন লিয়া স্টেপ। ২২ বছর বয়সী এই নারীর স্বপ্ন ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়া। বছরে বিশ্ববিদ্যালয়কে দিতে হয় পাঁচ হাজার পাউন্ড। এ অর্থ জোগাতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ৪৩ বছর বয়সী এক কোটিপতির কল্যাণে এখন আর ভাবনা নেই তাঁর। অর্থ আয় সম্পর্কে লিয়া বলেন, ‘অতিরিক্ত অর্থ আয় করতে অনেক কিছু করারই চেষ্টা করেছি। একপর্যায়ে বুঝতে পারি, আমাকে দেখাশোনার জন্য একজন কোটিপতি দরকার। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একজনকে পেয়েও যাই। ওকে আমার অবস্থা খুলে বলি। ও আমাকে সাহায্য করতে রাজি হয়।’
লিয়া বলেন, ‘এটা শুনতে খারাপ লাগতে পারে। কিন্তু এখন ও আমার বয়ফ্রেন্ড। আমরা আমাদের সম্পর্কের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চাই। কিন্তু ওর সহায়তা ছাড়া এটা সম্ভব নয়। না হলে আবারও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ব। শুনেছি, অনেকেই পতিতাবৃত্তির দিকে ঝুঁকছে। এটা আমার কাছে ভয়ংকর মনে হয়।’
রোহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিজনেস ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ে পড়েছেন মিশেল সায়ার্স। প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়কে দিতে হয় সাড়ে আট হাজার পাউন্ড। এত অর্থ জোগাড় করতে গিয়ে ল্যাপ ডান্সিং (নগ্ন বা অর্ধনগ্ন হয়ে নৃত্য) পেশায় নেমেছেন তিনি। এখন প্রতি রাতে ৮০০ পাউন্ড পর্যন্ত আয় হয় তাঁর। মিশেল বলেন, ‘আমি এক বয়ফ্রেন্ডের কাছ থেকে শুনে ল্যাপ ডান্সিং শুরু করি। অডিশনে অংশ নিই। ভাবতেই পারিনি, কাজটা এত সহজ। প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। পরে ওরা বলল, আমি ভালো করেছি। এভাবেই চাকরিটা পেলাম।’

শিক্ষার জন্য যৌনব্যবসা! - প্রথম আলো

যন্ত্র গলবে শরীরের ভেতর!



1 2 3
কথায় বলে, ‘শরীরের নাম মহাশয়, যা সওয়াবে তা-ই সয়’। তাই বলে শরীরের ভেতর ইলেকট্রনিক যন্ত্র? হ্যাঁ, এটি সম্ভব বলে দাবি করছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, চিকিত্সার প্রয়োজনে বিশেষ একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র শরীরের নির্দিষ্ট অংশে ওষুধ প্রয়োগের পর আপনাআপনি তা গলে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা সম্প্রতি অতি পাতলা এমন এক ইলেকট্রনিক যন্ত্রের উদ্ভাবন করেছেন, যা চিকিত্সা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনে এ তথ্য জানানো হয়।
‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে গবেষকেরা জানান, ইলেকট্রনিক এ যন্ত্রাংশটি তৈরি হবে সিলিকন ও ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইড থেকে, যার ওপর রেশমের আবরণ থাকবে। এ ধরনের যন্ত্রাংশ তৈরির ক্ষেত্রটিকে বলা হয় ‘ট্রান্সিয়েন্ট ইলেকট্রনিকস’। কাজ শেষে যন্ত্রাংশটি শরীরের ভেতরেই গলে যাবে। এ ধরনের প্রযুক্তি আহত কোনো ব্যক্তির শরীরকে গরম করতে ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রক্ষা করতে ব্যবহূত হয়।
ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এ মেডিকেল সেন্সর তৈরিতে কাজ করছেন। এ প্রসঙ্গে গবেষক জন রজার্স জানিয়েছেন, এ ধরনের মেডিকেল সেন্সর গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগানো যাবে। কাজ শেষ করার পর যন্ত্রাংশটি শরীরে মিশে যাবে। সিলিকন ও ম্যাগনেশিয়ামের সঙ্গে রেশমের কাঠামো মিলিয়ে তৈরি হয় ন্যানোমেমব্রেন বা ক্ষুদ্র একটি ইলেকট্রনিক সেন্সর, যা সহজেই শরীরে মিশে যেতে পারে। এ সেন্সরে করে শরীরের কোনো অংশে ওষুধ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। 
গবেষকেরা এ প্রযুক্তিটি চিকিত্সা ক্ষেত্র ছাড়াও কম্পিউটার ও স্মার্টফোনে ব্যবহার করার কথাও ভাবছেন। গবেষকেরা আশা করছেন, এ ধরনের প্রযুক্তি কম্পিউটার ও স্মার্টফোনে যুক্ত করা সম্ভব হলে তা আরও পরিবেশবান্ধব হবে।


যন্ত্র গলবে শরীরের ভেতর! - প্রথম আলো

নমনীয় আইফোন আনবে অ্যাপল!


  • ভবিষ্যৎ আইফোন হতে পারে এরকম। কাল্পনিক আইফোনের নকশা
    ভবিষ্যৎ আইফোন হতে পারে এরকম। কাল্পনিক আইফোনের নকশা
  • নমনীয় আইফোন তৈরি করতে পেটেন্ট আবেদন করেছে অ্যাপল
    নমনীয় আইফোন তৈরি করতে পেটেন্ট আবেদন করেছে অ্যাপল
  • ভবিষ্যতে অ্যাপলের পন্য হতে পারে নমনীয় যা সহজেই ভাঁজ করা যাবে
    ভবিষ্যতে অ্যাপলের পন্য হতে পারে নমনীয় যা সহজেই ভাঁজ করা যাবে
  • অ্যাপলের কাল্পনিক আইফোন
    অ্যাপলের কাল্পনিক আইফোন
1 2 3 4
সম্প্রতি অ্যাপলের বাজারে আনা আইফোন ৫ প্রযুক্তি বিশ্বে নজর কাড়ার পর পরবর্তী আইফোন নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন ধরনের স্মার্টফোনের পর্দার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট আদালতে আবেদন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। জানা গেছে, ভবিষ্যতে নমনীয় প্রযুক্তির আইফোন তৈরির জন্য পরিকল্পনা করছে অ্যাপল। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চ।
অ্যাপলের পেটেন্ট আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পরবর্তী প্রজন্মের আইফোন হবে নমনীয় প্রযুক্তির, যা সহজেই ভাঁজ করা যাবে। আইফোন ছাড়া অন্যান্য মোবাইল ডিভাইসের ক্ষেত্রেও এ ধরনের স্ক্রিন ব্যবহার করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। এ স্ক্রিনটিতে স্পর্শ করা হলে স্পিকারের মতো শব্দ করতে পারবে। এ ছাড়া স্ক্রিনে স্পর্শ করলে বাটন অনুভব করা যাবে। পাশাপাশি স্ক্রিনটি কণ্ঠস্বর চেনার উপযোগী হবে।
অ্যাপল ছাড়া নমনীয় প্রযুক্তির স্মার্টফোন তৈরিতে স্যামসাং ও নকিয়া কাজ করছে বলে জানা গেছে।

নমনীয় আইফোন আনবে অ্যাপল! - প্রথম আলো

দ. এশিয়ার প্রথম মসজিদটি বাংলাদেশে!



ধারণা করা হয়, বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের প্রচার-প্রসার শুরু হয়েছিল ১২০০ শতকে। কিন্তু নতুন একটি প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের ফলে ইতিহাসটা নতুন করেই লিখতে হতে পারে। সম্প্রতি শৌখিন এক ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ রংপুরের রামজাপুর নামের গ্রামে পেয়েছেন এমন এক মসজিদের ধ্বংসাবশেষ, যেটি সপ্তম শতকে নির্মিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। সত্যতা প্রমাণিত হলে এটিই হয়তো হবে দক্ষিণ এশিয়ায় নির্মিত প্রথম মসজিদের নিদর্শন। সঙ্গে সঙ্গে এটাও বলা যাবে, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবদ্দশায়ই বা তাঁর মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই দক্ষিণ এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল ইসলাম ধর্ম। কিন্তু এ ধরনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন অবহেলায় থেকে যাচ্ছে দৃষ্টিসীমার বাইরে। কখনো কখনো অর্থের লোভে দেশীয় অনেক মূল্যবান প্রত্নসম্পদ বহির্বিশ্বে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানা গেছে আল জাজিরার একটি প্রতিবেদন থেকে।
রামজাপুরের গ্রামটিতে নতুন একটি মসজিদ বানাতে গিয়েই গ্রামবাসী খুঁজে পান সপ্তম শতকের এই মসজিদটি। খোঁড়াখুঁড়ির পরে সেখান থেকে পাওয়া যায় অনেক প্রাচীন ধনসম্পদ ও ইসলাম-সংশ্লিষ্ট নৃতাত্ত্বিক নিদর্শন। পবিত্র কোরআনের বাণী সংবলিত একটি পাথরও পাওয়া যায় এখানে। শৌখিন ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ টিম স্টিল এই নতুন আবিষ্কারটিতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যদি এটা প্রমাণ করতে পারি, তাহলে হয়তো এটাই হবে দক্ষিণ এশিয়ায় নির্মিত প্রথম মসজিদ। শোনা যায়, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনকালে ভারতের কেরালা ও চীনে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলোর কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ নেই। আর আমরা এখানে একটা মসজিদ খুঁজে পেয়েছি, সেটার কথা কেউ দাবি করেনি, কিন্তু এটা সত্যিকারের একটা প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ। আর এটা নির্মাণ করা হয়েছিল সপ্তম শতকে। মহানবীর জীবদ্দশার কাছাকাছি সময়ে।’ এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিয়ে গেছে বলে জানান এলাকাবাসী। রমজাপুরের বয়োবৃদ্ধ এক ব্যক্তি বলেন, ‘এখানে যত কিছু পাওয়া গিয়েছিল, সবই কর্তৃপক্ষ নিয়ে গেছে। আমরা এগুলোর কথা আর পরে কখনো শুনতে পাইনি।’ স্থানীয় একটি জাদুঘরে এসব নিদর্শনের খোঁজ করতে গেলে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি আল জাজিরার প্রতিনিধিকে।
ইন্টারনেটে একটু অনুসন্ধানের পর অনুমান করা যায়, কেন কর্তৃপক্ষ এসব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সম্পর্কে কোনো আলাপ করতে চায় না। এ ধরনের মূল্যবান নিদর্শন কেনাবেচা করা হয় ইন্টারনেটে। এমন বেশকিছু ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা গেছে, মিউজিয়ামের অনেক প্রত্নসম্পদ, যেগুলো ইন্টারনেটে বিক্রি করা হয়েছে সেগুলোর প্রাপ্তিস্থান বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি আল জাজিরার প্রতিনিধি।
ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ টিম স্টিল বিশ্বাস করেন, রংপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম রমজাপুরের এই মসজিদে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নসম্পদ। এ ধরনের প্রত্নসম্পদ খুঁজে বের করা ও রক্ষণাবেক্ষণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকারকে ১২০ কোটি ডলার অনুদান দিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। এখানকার কাদামাটি প্রত্নতাত্ত্বিক খোঁড়াখুঁড়ির জন্যও আদর্শ স্থান। কিন্তু স্থানীয় গ্রামবাসীর কোনো আস্থা নেই কর্তৃপক্ষের ওপর। কেউ বিশ্বাসও করে না যে সরকার এই স্থানটার ঐতিহাসিক গুরুত্ব বুঝে কোনো কাজ করবে। তার পরও তাঁরা সযত্নে রক্ষা করে যাচ্ছে প্রত্নতাত্ত্বিক এই স্থানটিকে। কারণ, তাঁদের কাছে এটা খুবই পবিত্র একটা স্থান।


দ. এশিয়ার প্রথম মসজিদটি বাংলাদেশে! - প্রথম আলো

‘আমরা দুজন হব শুধু দুজনার’


বিলাওয়াল ভুট্টো, হিনা রাব্বানি খার
বিলাওয়াল ভুট্টো, হিনা রাব্বানি খার
‘...আমাদের অপেক্ষার প্রহর শেষ করার সময় এখনো আসেনি।’ গত আগস্টে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিলাওয়াল ভুট্টোর কাছে পাঠানো শুভেচ্ছা কার্ডে এ কথাটি লিখেছিলেন হিনা রাব্বানি খার। ২১ সেপ্টেম্বর বিলাওয়ালকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে পাঠানো কার্ডে হিনা নিজ হাতে লিখেছেন, ‘আমাদের ভালোবাসা চিরন্তন, শিগগিরই আমরা দুজন হব, শুধুই দুজনার।’
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টোর সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খারের সম্পর্কের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। আলোচিত হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকেও। বেশির ভাগ গণমাধ্যমই বাংলাদেশের ইংরেজি সাপ্তাহিক ব্লিট্স্-এর বরাত দিয়ে বিলাওয়াল-হিনার সম্পর্কের খবর প্রকাশ করেছে।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ২৪ বছরী বয়স বিলাওয়ালের সঙ্গে তাঁর চেয়ে ১১ বছর বড় হিনার সম্পর্ক মেনে নিতে পারছেন না জারদারি। তাই হিনাকে হত্যার জন্য দুবাইয়ের এক বন্ধুর মাধ্যমে ২০ লাখ মার্কিন ডলার দিয়ে অপরাধজগতের এক খুনির সঙ্গেও যোগাযোগ করেন তিনি। হিনার সম্পর্কের বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না তাঁর স্বামী কোটিপতি ব্যবসায়ী ফিরোজ গুলজারও। হিনা-ফিরোজ দম্পতির দুই মেয়ে আছে। হিন্দুস্তান টাইমস-এর বরাত দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস জানায়, ফিরোজ গত মঙ্গলবার দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার কাছে সন্দেহভাজন কয়েকটি ফোন নম্বর দিয়ে তার বিস্তারিত জানার আবেদন করেছেন। অন্য গণমাধ্যমগুলোয় বলা হচ্ছে, ফিরোজ আসলে তদন্ত সংস্থার কাছে হিনার নম্বর দিয়ে তিনি কখন, কাকে ফোন করেছেন—তার বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন।
ব্লিট্স্-এর খবরে বলা হয়, হিনা ও বিলাওয়ালের সম্পর্কের কথা জানার সঙ্গে সঙ্গে জারদারি হিনাকে ডেকে এ ব্যাপারে তাঁর কাছে জানতে চান। এ সময় জারদারি রূঢ় আচরণ করেন হিনার সঙ্গে। হিনাও কঠোর ভাষায় জারদারিকে তাঁদের ‘ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক না গলানোর’ পরামর্শ দেন। রূঢ় আচরণের কারণে হিনার কাছে ক্ষমা না চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদও ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন হিনা। বিষয়টি দ্রুতই বিলাওয়ালের কানে যায়। বিলাওয়াল বাবার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চান এবং একপর্যায়ে প্রয়োজনে ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেওয়ারও হুমকি দেন। জারদারির পরিবারের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বিলাওয়াল চলতি বছরের শেষ দিকে বা আগামী বছরের শুরুর দিকে রাজনীতি ও দেশ ছেড়ে যাওয়ার মনস্থির করেছেন। হিনাও ওই সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পদত্যাগ করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে ব্লিট্স্ জানায়, খবরে আরও বলা হয়, জারদারি কোনোভাবেই হিনা-বিলাওয়ালের সম্পর্ক মেনে নেবেন না। তাই গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে হিনার স্বামীর মালিকানাধীন গ্যালাক্সি টেক্সটাইল মিলসের সাত কোটি রুপি বিদ্যুৎ বিল ফাঁকি কেলেঙ্কারির বিষয়টি প্রকাশের ব্যবস্থা করেন। হিনাকে হত্যার জন্য খুনি ভাড়া করার চেষ্টা করেন। বাবার এই কঠোর অবস্থানের কথা জানেন বিলাওয়াল। তাই তিনিও জারদারিকে জানিয়ে দিয়েছেন, হিনাকে নিয়ে সুইজারল্যান্ডে ঘর বাঁধবেন তিনি। হিনা দুই মেয়েকে ছেড়ে তাঁর কাছে চলে আসবেন। জানা গেছে, বিলাওয়ালের মা বেনজির ভুট্টো সুইজারল্যান্ডে কয়েক শ কোটি ডলার গোপনে রেখে গেছেন। সেই ডলারের বৈধ মালিকানা এখন বিলাওয়ালের। তাই হিনাকে নিয়ে সুইজারল্যান্ডেই ঘর বাঁধার স্বপ্ন তাঁর।
জারদারি সম্প্রতি তাঁর সরকারি বাসভবনে হিনা ও বিলাওয়ালকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় পান। এরপর বিলাওয়ালের জন্মদিনে হিনার পাঠানো উপহার হাতে পড়ে জারদারির। এতেই সম্পর্কের বিষয়ে নিশ্চিত হন তিনি।
জানা যায়, হিনার সঙ্গে ফিরোজের বিবাহবিচ্ছেদের ব্যাপারে মধ্যস্থতা করছেন তাঁদের পারিবারিক এক বন্ধু। বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হলে হিনা পাঁচ তারকা হোটেল পেলো লাউঞ্জের তাঁর মালিকানার অংশ দুই মেয়ের নামে দেবেন। হিনার সঙ্গে ফিরোজের সম্পর্কের ভাঙন শুরু হয় প্রায় দুই বছর আগে। ওই সময় হিনা তাঁর স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। এটা সহ্য করতে পারেননি তিনি। একপর্যায়ের ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন হিনা। এ সময় হিনার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে বিলাওয়ালের সঙ্গে। ধীরে ধীরে তা প্রণয়ে রূপ নেয়। 
ওয়ান ইন্ডিয়া টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বিলাওয়ালের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে শাস্তি দেওয়া হতে পারে হিনাকে। তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে দুজনের পরিবার বা সংশ্লিষ্ট কেউ কোনো বিবৃতি দেননি। ব্লিট্স্, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস ও ওয়ান ইন্ডিয়া নিউজ।


‘আমরা দুজন হব শুধু দুজনার’ - প্রথম আলো

আসছে খাওয়ার উপযোগী প্লাস্টিক! (ভিডিও)


প্রতিবছর খাবারের মোড়কসহ দৈনন্দিন কাজে ব্যবহূত হাজার হাজার টন প্লাস্টিক ব্যাগ নষ্ট হয়। এসব প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকরও বটে। সম্প্রতি আর্জেন্টিনার একদল গবেষক জানিয়েছেন, খাওয়ার উপযোগী ও সহজেই পচনশীল প্লাস্টিক তৈরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন তাঁরা। খাদ্যশস্য থেকে তৈরি এ বায়োপ্লাস্টিক খাবারের ওপর জেলির মতো লাগালে তা যেমন খাবারের মোড়ক হিসেবে কাজ করবে, তেমনি ক্রেতা চাইলে এ প্লাস্টিকসহ তাঁর খাবার খেতেও পারবেন। খবর রয়টার্সের।
বুয়েনস এইরেস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানিয়েছেন, উপাদান হিসেবে খাদ্যশস্য ব্যবহার করে তৈরি তাঁদের এ বায়োপ্লাস্টিক সম্পূর্ণ নিরাপদ।
গবেষক সিলভিয়া গোয়ানিজ এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বায়োপ্লাস্টিক তৈরির উপাদান হিসেবে শর্করার যে অণু ব্যবহার করা হয়েছে, তা মানুষের চুলের চেয়েও ৫০ হাজার গুণ ক্ষুদ্রাকৃতির। এ প্লাস্টিক অনেক শক্ত ও মজবুতও বটে। খাবারের মোড়ক হিসেবে এটি খাবার সুরক্ষিত রাখে, পাশাপাশি এ প্লাস্টিক পরিবেশবান্ধব। কেননা এ প্লাস্টিক সহজেই মাটিতে মিশে যায়।
এ বায়োপ্লাস্টিক খাবারের ওপর জেল হিসেবে ব্যবহার ও প্লাস্টিক ব্যাগ হিসেবে বাজারে আনার পরিকল্পনা করেছেন গবেষকেরা।





আসছে খাওয়ার উপযোগী প্লাস্টিক! (ভিডিও) - প্রথম আলো

অসম প্রেমের শাস্তি পাবেন হিনা!



পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খারের প্রেমে মত্ত—চারদিকে শুরু হয়েছে এমন গুঞ্জন। তাঁরা দুজনে ঘর বাঁধতে চান সুদূর সুইজারল্যান্ডে। তবে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ছেলের প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ান। সরে আসতে বলেন ছেলেকে। প্রেমিক বিলাওয়াল বাবাকে পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেন, এমন কথা বললে দলের প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে দেবেন। নানাভাবে ছেলেকে বোঝানোরও চেষ্টা করছেন তিনি। কিন্তু বিলাওয়াল অনড়। এগুলো অবশ্য পুরোনো খবর।
পুরোনো দিনের প্রেমকাহিনিতে যা হয়, তা-ই ঘটতে যাচ্ছে বিলাওয়াল ভুট্টো ও হিনা রাব্বানি খারের ক্ষেত্রে। ক্ষমতার দাপটে সরিয়ে দেওয়া হয় নায়িকাকে। এই জুটির বেলায়ও এমনটি ঘটার খবর শোনা যাচ্ছে। তাঁদের প্রেমের ফলস্বরূপ হিনা রাব্বানিকে শাস্তি পেতে হচ্ছে। বিলাওয়ালের সঙ্গে গোপন প্রেমের কারণে হিনাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। ওয়ান নিউজের খবরে আরও বলা হয়েছে, হিনাকে পদত্যাগ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আসিফ আলী জারদারির এ প্রস্তাবে হিনা সাড়া দেবেন না বলে জানা গেছে। যদিও দুজনের গোপনে মন দেওয়া-নেওয়ার ব্যাপারে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেউই মুখ খোলেননি। 
তবে হিনার মুঠোফোন কলের বিস্তারিত বিবরণ চেয়েছেন তাঁর কোটিপতি ব্যবসায়ী স্বামী ফিরোজ গুলজার। এ জন্য তিনি একটি আবেদন করেছেন বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। আজ বুধবার বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয় বলে জি-নিউজ অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ভবনে হিনা ও বিলাওয়ালকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। এর পরই তাদের অসম প্রেমের ব্যাপারটি চাউর হয়। বিলাওয়ালের জন্মদিনে হিনা নিজ হাতে লেখা একটি বার্তাসহ কার্ড পাঠান। ‘আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর এবং শিগগিরই আমরা এক হতে যাচ্ছি’ কার্ডে শুধু এটুকু লেখেন হিনা। 
বিলাওয়ালের চেয়ে ১১ বছরের বড় হিনা। অনন্যা ও দিনা নামের দুটি সন্তান আছে তাঁর। এই প্রেমের জন্য হিনা স্বামীকে তালাক দেওয়ারও চিন্তা করছেন বলে খবর রয়েছে।


অসম প্রেমের শাস্তি পাবেন হিনা! - প্রথম আলো

সানিকে বাড়ি ভাড়া দিচ্ছে না কেউ ...



1 2
শুনতে অবাক লাগতে পারে। কারও কারও কাছে মনে হতে পারে বিষয়টি ঈর্ষার বা ছুত্মার্গের বা শ্রেষ্ঠমন্যতার। হয়তো অন্য কেউ যুক্তি দিয়ে বলবেন, ভারতের প্রথা ও অস্পৃশ্যতার ধারণাই এ ক্ষেত্রে প্রধান বাধা। তবুও সত্যি হলো, প্রাপ্তবয়স্কদের চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী সানি লিওন অনেক খুঁজেও মুম্বাইয়ে একটি বাসা পাচ্ছেন না। ভাড়া দিতে কার্পণ্য নেই তাঁর। নেই কোনো শর্ত। তবুও একটা বাসা মিলছে না মুম্বাইয়ে। ধারণা করা হয়, ভারতের এ শহরটি অন্যান্য শহরের তুলনায় এগিয়ে থাকে সভ্যতায়, ভব্যতায়। বিভিন্ন জাতি, দেশ, ধর্মের মানুষের বাস বলে ভারতের এই প্রধান বাণিজ্যিক শহরটিকে প্রায়ই ‘অপেক্ষাকৃত উদার’ বলে দাবি করেন ভারতীয়রা। 
বছর খানেক আগে বলিউড দাপানো অভিনেতা ইমরান হাশমি একই রকম কথা বলেছিলেন। তখন ‘সিরিয়াল কিসার’ হিসেবে খ্যাতি কুড়ালেও, বাসা খুঁজতে গিয়ে কেঁদেছিলেন। কেউ বিশ্বাসও করেনি। একসময় ইমরান দাবি করেন, তিনি মুসলমানের ছেলে বলে কেউ বাসা ভাড়া দিতে চায় না। দিল্লিসহ ভারতের প্রায় সব শহরেই এ সমস্যা আছে, কেউ মুসলমানদের বাসা ভাড়া দিতে চায় না। কিন্তু, এত দিন মুম্বাই এসবের ঊর্ধ্বে ছিল। এবার সানির অভিযোগের পর অনেকেরই মনে হচ্ছে, ইমরান মায়াকান্না কাঁদেননি। হয়তো তাতে খানিকটা সত্যিও ছিল। 
জিসম ২ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে অনেক যশ হয়েছে সানির। স্বপ্ন দেখেছিলেন বলিউডের শহরে থেকে যাবেন। গতকাল সোমবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, সানি ও তাঁর স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবার মুম্বাই শহর ও উপশহরে বাসা খুঁজে খুঁজে হয়রান। কিন্তু, কোনো আশার আলো নেই।
অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সানি এখন মুম্বাইয়ে যে হোটেলটিতে আছেন, সেটি তিনি খুব দ্রুত ছাড়তে চান। এ জন্য ম্যাক্সিমাম সিটি নামের একটি আবাসন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের শরণাপন্নও হয়েছেন সানি ও ড্যানিয়েল। ওই প্রতিষ্ঠানের একজন টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, ‘কয়েকটি সপ্তাহ ধরে বাসা খুঁজেও ব্যর্থ হয়েছেন সানি। কারণ, অনেক বাড়ির মালিক বা আবাসন এলাকা প্রাপ্তবয়স্কদের চলচ্চিত্রে অভিনয় করে এমন একজনকে বাসা ভাড়া দিতে চায় না।’
কয়েক মাস আগে জিসম ২ চলচ্চিত্রটির বিপুল সাফল্যের পর সানি বলেছিলেন, বলিউডের চলচ্চিত্রের দর্শকরা তাঁকে গ্রহণে পুরোপুরি প্রস্তুত। তাই এত তাড়াতাড়ি ভারত ছাড়ার কথা তিনি ভাবছেন না। হয়তো সানি বুঝতে পারেননি, বলিউডের রঙিন দুনিয়াটি পুরো ভারতের প্রতিনিধিত্ব করে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেকে এটাকে ঈর্ষা বলতে পারে, কারণ যে মানুষটি তাঁর চলচ্চিত্র কেনা বা দেখার জন্য অগ্রিম অর্থ দিতে রাজি থাকে বা নিজের ঘরে সানির ছবি দেখে, সে সানিকে বাসা ভাড়া দিতে চায় না। তবে, এ ধরনের একজন অভিনেত্রীর ভক্তরা বাসার সামনে বা এলাকায় যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের ঝামেলা করতে পারে—এমন আশঙ্কায় অনেকেই বাসা ভাড়া দিতে চাইছেন না।



সানিকে বাড়ি ভাড়া দিচ্ছে না কেউ - প্রথম আলো

৯.৯৯ ডলারে আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক!



আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক ঘিরে রহস্য ছিল সব সময়ই। তাঁর মস্তিষ্ক গোপনে বিভিন্নভাবে হাতবদলও হয়েছে। এমনকি আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক-রহস্য নিয়ে মাইকেল প্যাটার্নিটি ‘ড্রাইভিং মি. অ্যালবার্ট’ নামে একটি বইও লিখেছেন। কিন্তু কী ছিল পদার্থবিদ আইনস্টাইনের মাথার রহস্য যে তিনি ভুলে যেতেন এ পৃথিবীর সহজতম কাজ, কিন্তু মনে রাখতেন গণিতের জটিল সব সূত্র? এবার তাঁর মস্তিষ্ক বিশ্লেষণের সুযোগ পাচ্ছেন গবেষক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সবাই। মাত্র ৯.৯৯ ডলারে আইপ্যাড অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে জানা যাবে আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক-রহস্য। 
আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের স্লাইড স্ক্যান ও ছবি ডিজিটাইজ করে আইপ্যাডের জন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি হয়েছে ২৫ সেপ্টেম্বর। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব হেলথ অ্যান্ড মেডিসিন ও শিকাগো স্যাটেলাইট মিউজিয়ামের পক্ষ থেকে এ অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হয়েছে। আইপ্যাডের জন্য তৈরি এ অ্যাপ্লিকেশনটি মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে সূক্ষ্ম পরীক্ষার কাজেও ব্যবহার করতে পারবেন গবেষকেরা।
শিকাগোর ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব হেলথ অ্যান্ড মেডিসিনের পরামর্শক স্টিভ ল্যান্ডার্স জানিয়েছেন, ‘আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক ডাউনলোড করে সবাই কী খুঁজে পাবে, তা জানতে আমার ধৈর্য সইছে না।’ ল্যান্ডার্স আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, আইনস্টাইন নিজেও এ অ্যাপ্লিকেশনটি বিষয়ে উত্সাহী হতেন।’
১৯৫৫ সালে আইনস্টাইন মারা যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রিন্সটন হাসপাতালের চিকিত্সক টমাস স্লজ হার্ভি আইস্টাইনের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করেছিলেন। ভবিষ্যতে গবেষণার কাজে ব্যবহারের জন্য আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক আলাদা করে শত শত স্লাইডে তার নমুনা সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন তিনি। ভবিষ্যতে আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক গবেষণা করে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যাবে, এ লক্ষ্যেই তিনি মস্তিষ্ক আলাদা করে রেখেছিলেন।
১৯৯৯ সালে ‘ল্যানচেট’ সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রের জন্য হার্ভে গবেষকদের কাছে আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের স্লাইড ও নমুনা সরবরাহ করেছিলেন। সে গবেষণা অনুসারে, আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের প্যারিয়েটাল লোব নামের একটি অংশ সাধারণ মস্তিষ্কের তুলনায় ১৫ শতাংশ প্রশস্ত ছিল। এ অংশটিই গণিতের মতো জটিল বিষয়গুলো বুঝতে সাহায্য করে।
আরেক দল গবেষকের মতে, আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা করেও অস্বাভাবিক কোনো তথ্য উদ্ধার করতে করা যায়নি। তাঁরা মনে করেন, তাঁর মস্তিষ্কের আকারও স্বাভাবিক ছিল। তবে আইনস্টাইনের মস্তিষ্কে ‘জিলিয়াল’ কোষের অনুপাত অন্যান্য মস্তিষ্কের তুলনায় বেশি ছিল। গবেষকরা বলছেন, এতে করে নিউরনের সঙ্গে যোগাযোগ-ব্যবস্থায় সহায়তা পেত তাঁর মস্তিষ্কের বাকি অংশ।
হার্ভির হাত থেকে আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক চলে আসে ফিলাডেলফিয়ার শিশু হাসপাতালের স্নায়ুবিদ লুসি রোরকি-অ্যাডামসের কাছে। তিনিও আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা করেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল বিভিন্ন বয়সের মস্তিষ্কের সঙ্গে তুলনা করা। গবেষণার ফল হিসেবে লুসি জানিয়েছিলেন, ‘অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক তরুণ মস্তিষ্কের মতোই মনে হয়। আর তাঁর মস্তিষ্কে বয়সের কোনো ছাপ পড়েনি।’
শিকাগোর স্নায়ুবিদ ফিলিপ ইপসটেইন জানিয়েছেন, নতুন আইপ্যাড অ্যাপ্লিকেশনটি গবেষকদের আইস্টাইনের মস্তিষ্ক নিয়ে আরও বেশি গবেষণার সুযোগ তৈরি করবে। কিন্তু স্লাইডগুলো আধুনিক ছবি তোলার প্রযুক্তির উদ্ভাবনের আগের তাই গবেষকদের প্রতিটি স্লাইড আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের কোন অংশের, তা নির্ণয় করা কঠিন হতে পারে বলে এ অ্যাপ্লিকেশনটির সমালোচনাও হচ্ছে।



৯.৯৯ ডলারে আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক! - প্রথম আলো

ছাত্রীর হাত ধরে শিক্ষকের পলায়ন


ব্রিটেনের স্কুলছাত্রী মেগান স্ট্যামার্স তার গণিতের শিক্ষককে বিয়ে করে ফ্রান্সে পাড়ি দিয়েছে। ১৫ বছর বয়সী মেগান আইনের চোখে বিয়ের জন্য এখনো অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাই ঘটনায় টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। মেগানের বাবা-মা আজ সোমবার বিকেলে তাঁদের মেয়েকে ঘরে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে পুলিশ বলছে, এ জুটির কোন খোঁজ নেই তাদের কাছে।
বিকেলের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নাচোখে মেগানের মা বলেন, ‘সোনামণি, তুমি কী করেছ, কেন করেছ—এসব আমি জানতে চাই না। আমি শুধু চাই, তুমি বাড়িতে ফিরে এসো। তুমি জানো, তোমার রাজকন্যা তার মত্সকন্যাকে ফিরে পেতে চায়।’
সাসেক্সের পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলশিক্ষক জেরেমি ফরেস্ট (৩০) তাঁর ছাত্রীকে নিয়ে ফেরিতে করে ফ্রান্সে পালিয়েছেন। এর পরের কোনো খবর তাদের কাছে নেই। তাদের উদ্দেশে পুলিশের প্রধান পরিদর্শক জেসন টিঙ্গলে বলেন, ‘আমরা জানি, তুমি (মেগান) স্বেচ্ছায় জেরেমির সঙ্গে চলে গেছ, কিন্তু আমরা নিশ্চিত হতে চাই যে তুমি ভালো আছ। তুমি কোনো সমস্যা বোধ না করলেও তোমার পরিবার ও বন্ধুরা ভীষণ চিন্তিত। তোমাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের সহায়তা আমরা করব।’
মেগান ও ফরেস্ট গত বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের ডোভার থেকে ফেরিতে করে ফ্রান্সের ক্যালাইসে গেছে। গতকাল রোববার ফিরতি টিকিটে তাদের ফেরার কথা, তবে তারা ফেরেনি।
গত শুক্রবার মেগান স্কুলে অনুপস্থিত থাকার পর তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।
গণিতশিক্ষক ফরেস্ট তাঁর ব্লগে লিখেছেন, তাঁদের নিষিদ্ধ প্রেমটি যেন ‘হেরোইনের নেশা ধরিয়ে দিয়েছিল’। তিনি চার মাস ধরে টুইটারে তাঁর শিক্ষার্থীকে ‘ফলো’ করেছেন। এ সময়ে তিনি তাকে হাজার হাজার প্রেমময় বার্তা পাঠিয়েছেন।
ফরেস্ট আরও লিখেছেন, প্রেমটি ছিল তাঁর ‘নৈতিক দ্বন্দ্ব’। তিনি বলেন, ‘কোনটি ঠিক, কোনটি বেঠিক, কোনটি গ্রহণযোগ্য বা কোনটি একেবারে মানা যায় না, তা কীভাবে নির্ধারিত হয় বা কীভাবে নির্ধারিত হওয়া উচিত?’
স্কুলের ভেতরে প্রেম বিষয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমি কয়েকটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। হয়তো আমরা অনেক ভুল করি। কিন্তু দিন শেষে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে এটা ভেবে ভালো লাগে যে, আমি একজন ভালো মানুষ। যদি সত্যিই কেউ ভালো হয়, তবে নিজের বিচারের ওপর তাদের আস্থা রাখা উচিত।’
ফরেস্ট ও মেগানকে ধরতে আজ সোমবার ফরাসি পুলিশ সব প্রধান সড়কে পাহারা বসিয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে, তারা একটি কালো ফোর্ড ফিয়েস্তা গাড়িতে অবস্থান করছে।
ফরেস্ট তাঁর ব্লগে লিখেছেন, ‘আমি সাগরের পানিতে এক টুকরো পাথরের মতো ডুবে যাচ্ছি। তোমার কায়ার জন্য আমি জ্বলেপুড়ে যাচ্ছি।’ আরেকটিতে তিনি লিখেছেন, ‘কিছু কিছু জিনিস ছাড়া আমি বাঁচতে পারি। কিন্তু, আমি তোমাকে জানাতে চাই যে, তোমাকে আমার এক্ষুনি চাই। রাত ফোরানোর আগেই ...’
ফরেস্টের ব্লগ ঘেঁটে দেখা গেছে, তিনি পালিয়ে যাওয়ার জন্য মেগানকে দুবার পরোক্ষভাবে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। গত ৩০ মে তিনি লিখেছেন, ‘মেয়ে, যদি আমাদের সামনে কেবল অনন্ত পথই খোলা থাকে, তবে চলো, সে পথকেই পাথেয় করে নিই।’
ঘটনার পর মেগানের স্কুল বিশপ বেল সি অব ই-এর শিক্ষকেরা এবং পরিচালনা কমিটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জ্যেষ্ঠ শিক্ষকেরা বলছেন, ঘটনাটি ‘অনভিপ্রেত।’ প্রধান শিক্ষক টেরি বোটরাইট বলেন, ‘যা ঘটেছে, তার জন্য স্কুলের সবাই উদ্বিগ্ন ও দুঃখিত।’
মেগানের বাবা মার্টিন স্টেমার্স গত রাতে বলেন, ‘মনে হচ্ছে, এটা একটা দোজখ। ওরা কোথায়, কিছুই জানি না।’ মার্টিন মেগানের স্কুলেরই অন্য এক শাখায় শিক্ষকতা করেন।
ফরেস্ট ও তাঁর স্ত্রী এমেলি (৩১) ২০০৮ সালের কোনো এক সময় বিয়ে করেছিলেন ভালোবেসে। এরপর তাঁরা পূর্ব সাসেক্সের রিংমারে বাসা নিয়েছিলেন। নাম গোপন রাখার শর্তে তাঁদের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ফরেস্ট ও এমেলি প্রতি রাতেই ঝগড়া করতেন। একজন বলেন, ‘ওরা তিন বছর এখানে ছিল। তারা এত ঝগড়া-বিবাদ করত যে এলাকাটিকে মনে হতো একটা নরক। একসময় কোলাহল এত চরমে উঠেছিল যে আমি পুলিশে খবর দিয়েছিলাম। এতে অবশ্য কোনো কাজ হয়নি, ঝগড়াঝাটি চলছিলই।’
বাবা জিম ফরেস্ট ছেলের আচরণে ভীষণ ক্ষুব্ধ। তিনি চান ছেলে ফিরে আসুক এবং মেগানকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিক। ৫৯ বছর বয়সী এই তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের শ্রমিক বলেন, ‘আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেছে। পরিবারের সবার প্রশ্ন, এটা কী হলো? কেউ এটা বিশ্বাস করতে পারছে না।’
জিম বলেন, ‘শিক্ষকতার প্রতি জেরেমির বেশ ঝোঁক ছিল। আমি ওর স্কুলের ফুটবল দলের সঙ্গে কাজ করেছি। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, বাচ্চারা ওকে পছন্দ করত, সম্মান করত। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সে খুবই জনপ্রিয় ছিল।’
ছাত্রীর হাত ধরে শিক্ষকের পলায়ন - প্রথম আলো

সালমানের এক ছবিতে দশ নায়িকা!


সালমান খান
সালমান খান
একের পর এক সুপারহিট চলচ্চিত্র উপহার দিয়ে বলিউডে নিত্যনতুন সব রেকর্ড গড়ে চলেছেন সালমান খান। তাঁর ছবি আর চমক যেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। সালমান অভিনীত নতুন চলচ্চিত্র ‘নো এন্ট্রি মে এন্ট্রি’ও এর ব্যতিক্রম নয়। এই চলচ্চিত্রের অন্যতম চমক হলো, বলিউডের প্রথম সারির ১০ জন অভিনেত্রীকে দেখা যাবে এতে। এরই মধ্যে সালমানকে এই ১০ জন অভিনেত্রী নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়েছেন পরিচালক আনিস বাজমি।
২০০৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘নো এন্ট্রি’ চলচ্চিত্রের এই সিক্যুয়েলে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করবেন সালমান। ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জড়ুয়া’ চলচ্চিত্রের পর এই প্রথম দ্বৈত চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। এ ছাড়া এটাই হবে সালমানের প্রথম সিক্যুয়েলে অভিনয়। সম্প্রতি এক খবরে এমন তথ্য জানিয়েছে ওয়ান ইন্ডিয়া। 
এরই মধ্যে সম্ভাব্য অভিনেত্রীদের নামের তালিকা প্রস্তুত করেছেন পরিচালক আনিস বাজমি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত একজন অভিনেত্রীকেও চূড়ান্ত করতে পারিনি আমরা। এটা সালমান খানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ছবি। বলিউডে প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রীরাই আমাদের পছন্দের তালিকায় এগিয়ে আছেন। নায়িকা নির্বাচনে সালমান খান চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর আমরা আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠাব নির্বাচিত অভিনেত্রীদের কাছে।’

সালমানের এক ছবিতে দশ নায়িকা! - প্রথম আলো

এবার ‘স্মার্ট’ বাতি

আকারে কিংবা আলোর ধরনে—যা-ই বলা হোক না কেন, বছরের পর বছর ধরে বৈদ্যুতিক বাতি কমবেশি অপরিবর্তিত হয়েছে। এবার অস্ট্রেলিয়ার একদল তরুণ উদ্ভাবক ভিন্ন ধরনের একটি বৈদ্যুতিক বাতি তৈরি করেছেন। তাঁদের দাবি, এটি বিশ্বের সবচেয়ে ‘স্মার্ট’ বৈদ্যুতিক বাতি, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিসকো বাল্ব’।
উদ্ভাবকেরা বলছেন, প্রয়োজনে এ বাতির আলো উজ্জ্বল থেকে অনুজ্জ্বল করা যাবে, পাল্টানো যাবে রং। আবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ-চালু করার ব্যবস্থাও থাকবে। সব মিলিয়ে ইচ্ছা করলেই কেউ এ বাতি ব্যবহার করে একটি আবেগঘন পরিবেশও সৃষ্টি করতে পারেন।
আবার একটি মুঠোফোনের মাধ্যমে এ বৈদ্যুতিক বাতি পুরোপুরিভাবে পরিচালনা করা যাবে। প্রথাগত বাতির স্থলেই এটি সংযোজন করা যাবে। পরিচালনার জন্য ব্যবহূত মুঠোফোনটি হারিয়ে গেলেও সমস্যা নেই। সে ক্ষেত্রে এটা প্রচলিত বাতির মতোই কাজ করবে।
এত সব সুবিধাসম্পন্ন বাতিটির দাম পড়বে ৪২ পাউন্ড। মেয়াদ থাকবে ২৫ বছর। বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী সাধারণ একটি বাতি দুই পাউন্ডেও পাওয়া যায়, যা স্বাভাবিকভাবে ১০ বছর টিকে থাকে।
তবে দাম চড়া হওয়া সত্ত্বেও তরুণ উদ্ভাবকদের এ প্রকল্প ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। উদ্ভাবকের দল প্রকল্পটি তাদের ওয়েবসাইট কিকস্ট্রাটারে চালু করার পর থেকে এ পর্যন্ত তহবিল সংগ্রহ করেছে সাত লাখ ৪০ হাজার ৫২০ পাউন্ড। অথচ তাদের মোট তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্য ছিল মাত্র ৬১ হাজার পাউন্ড!
প্রকল্পের উদ্যোক্তা ফিল বোসুয়া জানান, প্রচলিত বাতির জন্য প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ লাগে। আবার বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী বাতি শুধু শীতল সাদা আলো দেয়, যা সবার একই রকম পছন্দ নয়। তিনি বলেন, ‘ছয় মাস ধরে এক ডজনের বেশি নমুনা বাতি তৈরি করার পর আমরা শেষ পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে স্মার্ট বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী বাতি তৈরি করতে পেরেছি।’ দ্য টেলিগ্রাফ।

এবার ‘স্মার্ট’ বাতি - প্রথম আলো

বিমান থেকে আইপ্যাড চুরি করে ধরা!



পোর্টল্যান্ডের অরেগনের উদ্দেশ্যে হরাইজন এয়ারলাইনের একটি বিমানে ভ্রমণের সময় সাধের আইপ্যাড খোয়া যায় যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদাবাসী এক যাত্রীর। তিনি আইপ্যাডের খোঁজ পেতে ‘ফাইন্ড মাই আইপ্যাড’ নামের একটি বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে জানতে পারেন তাঁর হারানো আইপ্যাডটি রয়েছে ওই বিমানের এক ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের বাড়িতে।
অরিগনের পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিমানে খোয়া যাওয়া আইপ্যাডটি পাওয়া গেছে ওয়েন্ডি রোনেল ডাই নামের ৪৩ বছর বয়সী হরাইজন এয়ারলাইনের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের বাড়িতে। তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ফ্লাইট অ্যাটেনডেন ওয়েন্ডি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, বিমানের অন্য যাত্রীরা তাঁকে সিটের ওপর ওই আইপ্যাড পড়ে থাকার কথা বলে। তিনি এটা তাঁর নিয়োগদাতা এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছিলেন। এটা ব্যবহার করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না তাঁর।
অরেগন সিটি পুলিশের মুখপাত্র বিল ক্লের জানিয়েছেন, খোয়া যাওয়া ওই আইপ্যাড পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ব্যক্তিগত কাজে ওয়েন্ডি তা ব্যবহার করেছেন। এমনকি আইপ্যাডে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য, স্বামীর জন্মতারিখ পর্যন্ত লিখে রেখেছেন।

বিমান থেকে আইপ্যাড চুরি করে ধরা! - প্রথম আলো

কনডম রপ্তানির সুপারিশ



সরকারিভাবে উৎপাদিত কনডমের উৎপাদন বাড়িয়ে তা রপ্তানির সুপারিশ করেছে সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান-সম্পর্কিত হিসাব কমিটি। আজ রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির এক বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। 
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এসেনসিয়াল ড্রাগ কোম্পানি লিমিডেটের (ইডিসিএল) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে বছরে যে পরিমাণ কনডমের প্রয়োজন হয়, তার পুরোটাই খুলনারর এসেনসিয়াল ল্যাটেক্স প্লান্ট থেকে উৎপাদন করা সম্ভব। সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, ইডিসিএলের তথ্যের ভিত্তিতে সংসদীয় কমিটি দেশীয় কাঁচামাল (ল্যাটেক্স) ব্যবহার করে উৎপাদিত কনডম দিয়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পর উদ্বৃত্ত কনডম রপ্তানি করতে বলেছে। এ জন্য কমিটি কনডমের উৎপাদন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। 
এ বিষয়ে কমিটির সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদল প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে যে কনডম উত্পাদন হচ্ছে, তার গুণগত মান মালয়েশিয়া থেকে আমদানি করা কনডমের চেয়ে ভালো। সরকারি এই কারখানা দেশের চাহিদার চেয়ে বেশি পরিমাণে উৎপাদন করতে সক্ষম। সে জন্য কমিটি উৎপাদন বাড়িয়ে রপ্তানি করতে বলেছে।’ 
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, গত ২০১১-১২ অর্থবছরে খুলনা এসেনসিয়াল ল্যাটেক্স প্লান্ট ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যের কনডম বাজারে সরবরাহ করেছে। সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানির (এসএমসি) হিসাব মতে, দেশে প্রতিদিন ৮০ লাখের বেশি কনডমের চাহিদা রয়েছে। সে হিসাবে বছরে কনডমের চাহিদার পরিমাণ প্রায় ৩০০ কোটি। বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে অনুসারে, কনডমের মোট চাহিদার সাড়ে ৫৬ শতাংশের জোগান দেয় এসএমসি (রাজা, প্যান্থার, সেনসেশন, হিরো)। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় প্যান্থার (২৭ দশমিক ৪ শতাংশ)। পরিবার পরিকল্পনা কাজের আওতায় সরকার বিনা মূল্যে বিতরণ করে ২৪ দশমিক ২ শতাংশ কমডম। দাতাদের অর্থে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সরকার এসব কনডম কেনে। ৬ দশমিক ৩ শতাংশ কনডম বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আমদানি করে বাজারে সরবরাহ করে থাকে। বাকি ১৩ শতাংশ কনডম সরবরাহ করে বিভিন্ন এনজিও।
কমিটির সভাপতি এ বি এম গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য এস কে আবু বাকের, খান টিপু সুলতান ও মঈন উদ্দীন খান বাদল অংশ নেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহম্মদ হুমায়ুন কবীর, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী প্রমুখ।


কনডম রপ্তানির সুপারিশ - প্রথম আলো

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৩-এর দাম কমাচ্ছে আইফোন ৫!



অ্যাপলের তৈরি আইফোন ৫ ক্রেতাদের হাতে আসতে শুরু করায় প্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি সিরিজের স্মার্টফোনের দাম কমতে শুরু করেছে। ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ এক খবরে সম্প্রতি জানিয়েছে, ভারতের বাজারে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৩ স্মার্টফোনটির দাম সাড়ে তিন হাজার রুপি কমে গেছে আর গ্যালাক্সি এস২-এর দাম কমেছে প্রায় দুই হাজার রুপি।
আইফোন ৫ বাজারে আসায় বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারেও এর প্রভাব পড়তে পারে। স্যামসাং সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের বাজারে এখনো গ্যালাক্সি এস৩ স্মার্টফোনটির দাম কমেনি। এর দাম সাড়ে ৬৭ হাজার টাকা। তবে এস২ মডেলটির দাম কমেছে। ৫৫ হাজার হাজার টাকা থেকে এর দাম ৫০ হাজারের নিচে চলে এসেছে। তবে সাশ্রয়ী দামের অন্যান্য মডেলের স্মার্টফোনের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি।
প্রযুক্তিবিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, আইফোন ৫ বাজারে আসার মুহূর্তে স্যামসাং কর্তৃপক্ষ জনপ্রিয় স্মার্টফোন সিরিজের দাম কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে। স্মার্টফোন ক্রেতাদের আগ্রহ ধরে রাখতে স্যামসাং কর্তৃপক্ষ দামের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
উল্লেখ্য, ২১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, হংকং ও সিঙ্গাপুরের বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে আইফোন ৫। ২৮ সেপ্টেম্বর আরও ২০টি দেশে বিক্রি শুরু হবে নতুন এ স্মার্টফোনটির। প্রযুক্তিবিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে এক কোটি আইফোন ৫ বিক্রি করবে অ্যাপল। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের স্মার্টফোন বাজারে আইফোন ৪ এস বিক্রিকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৩। এবারে নতুন আইফোনকে ঠেকাতে দাম কমানোর পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
রয়টার্স জানিয়েছে, বাজারে নতুন স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার পাশাপাশি অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের স্মার্টফোনের পেটেন্ট যুদ্ধে নতুন মোড় এসেছে। আবারও নতুন করে মামলায় জড়িয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি। ২১ সেপ্টেম্বর করা পেটেন্ট ভঙ্গের এক মামলায় অ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রে স্যামসাং স্মার্টফোন বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে ও ৭৭ কোটি ডলার জরিমানার জন্য আবেদন করেছে। স্যামসাংও মামলা লড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।


স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৩-এর দাম কমাচ্ছে আইফোন ৫! - প্রথম আলো