
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আকুপাংচার নিরাপদ। তবে বিজ্ঞাপনে যেভাবে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়, তা পুরোপুরি সঠিক নয়। আকুপাংচারের ক্ষতিকর প্রভাবের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় এমন তথ্য দাবি করেছেন গবেষকেরা। আকুপাংচার হলো মানবদেহের জীবন্ত কোষে সুচ ফুটিয়ে বা খুঁচিয়ে রোগ নিরাময় বা বেদনার উপশম কিংবা স্থানিক অসাড়তা সৃষ্টির পদ্ধতি।
যুক্তরাজ্যে সরকারি অর্থে পরিচালিত আকুপাংচার ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবার ওপর পরিচালিত ওই গবেষণায় দেখা যায়, চরম অবস্থায় রোগীর জীবনও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তা সত্ত্বেও ইউরোপের বেশির ভাগ দেশে আকুপাংচার সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব রিস্ক অ্যান্ড সেফিটতে প্রকাশিত এই গবেষণাকাজে সহায়তা করেন বিকল্প ওষুধের ওপর প্রমাণ সাপেক্ষ গবেষণার অন্যতম পুরোধা ইউনিভার্সিটি অব ইক্সেটার গবেষক এডজার্ড আর্নস্ট।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার (এনএইচএস) অধীন ন্যাশনাল পেশেন্ট সেফিট এজেন্সির কর্মকর্তারা ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আকুপাংচার চিকিৎসায় ক্ষতিকর বা বিপরীত ফলাফল হয়েছে এমন প্রতিবেদন সংগ্রহ করেন। এসব ক্লিনিকে প্রথাগত চিকিৎসক ও থেরাপিস্ট দিয়েই আকুপাংচার করানো হয়। অবশ্য তাঁরা আকুপাংচারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। বিপরীত ফলাফল হয়েছে এমন ৩২৫টি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া গেছে। অবশ্য, মোট কতজন রোগীকে আকুপাংচার চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, তার হিসাব নেই। তবে জার্মানি ও যুক্তরাজ্যে করা অন্যান্য গবেষণায় দেখা যায়, ১০ শতাংশ চিকিৎসায় বিপরীত ফল পাওয়া গেছে। কিছু প্রতিবেদনে চিকিৎসায় অযত্নের ছাপ দেখা গেছে। যেমন শরীরে সুচ বিদ্ধ অবস্থায় রোগীকে ছেড়ে দেওয়া, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় সুচ লাগিয়ে রাখার ঘটনাও ঘটেছে। পরে অস্ত্রোপচার করে রোগীর দেহ থেকে সুচ বের করতে হয়েছে।
৩২৫টি প্রতিবেদনের মধ্যে ৩০৯টিতে রোগীদের চিকিৎসায় কম-বেশি হিতে বিপরীত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ১৬২ জন রোগীর বেলায় সুচ ঢোকাতে গিয়ে মাথা ঘোরানো বা মূর্ছা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া, সুচের খোঁচায় পাঁচজন রোগীর ফুসফুস নষ্ট হয়ে গেছে।
এডজার্ড আর্নস্ট বলেন, প্রকৃতপক্ষে আকুপাংচার চিকিৎসায় তেমন কোনো ঝুঁকি নেই। তবে সমস্যা হলো, আকুপাংচার চিকিৎসকেরা বলেন, এটি সম্পূর্ণ ঝুঁকিহীন। সুচ ঢোকানোর পর একজন রোগীর শ্বাসকষ্ট হলে সেটা আমলে না নিয়ে চিকিৎসকেরা তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এতে রোগীর ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আর দুটি ফুসফুসই নষ্ট হয়ে গেলে নিশ্চিত মৃত্যু হবে ওই রোগীর। নিউ সায়েনটিস্ট।
যুক্তরাজ্যে সরকারি অর্থে পরিচালিত আকুপাংচার ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবার ওপর পরিচালিত ওই গবেষণায় দেখা যায়, চরম অবস্থায় রোগীর জীবনও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তা সত্ত্বেও ইউরোপের বেশির ভাগ দেশে আকুপাংচার সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব রিস্ক অ্যান্ড সেফিটতে প্রকাশিত এই গবেষণাকাজে সহায়তা করেন বিকল্প ওষুধের ওপর প্রমাণ সাপেক্ষ গবেষণার অন্যতম পুরোধা ইউনিভার্সিটি অব ইক্সেটার গবেষক এডজার্ড আর্নস্ট।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার (এনএইচএস) অধীন ন্যাশনাল পেশেন্ট সেফিট এজেন্সির কর্মকর্তারা ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আকুপাংচার চিকিৎসায় ক্ষতিকর বা বিপরীত ফলাফল হয়েছে এমন প্রতিবেদন সংগ্রহ করেন। এসব ক্লিনিকে প্রথাগত চিকিৎসক ও থেরাপিস্ট দিয়েই আকুপাংচার করানো হয়। অবশ্য তাঁরা আকুপাংচারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। বিপরীত ফলাফল হয়েছে এমন ৩২৫টি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া গেছে। অবশ্য, মোট কতজন রোগীকে আকুপাংচার চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, তার হিসাব নেই। তবে জার্মানি ও যুক্তরাজ্যে করা অন্যান্য গবেষণায় দেখা যায়, ১০ শতাংশ চিকিৎসায় বিপরীত ফল পাওয়া গেছে। কিছু প্রতিবেদনে চিকিৎসায় অযত্নের ছাপ দেখা গেছে। যেমন শরীরে সুচ বিদ্ধ অবস্থায় রোগীকে ছেড়ে দেওয়া, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় সুচ লাগিয়ে রাখার ঘটনাও ঘটেছে। পরে অস্ত্রোপচার করে রোগীর দেহ থেকে সুচ বের করতে হয়েছে।
৩২৫টি প্রতিবেদনের মধ্যে ৩০৯টিতে রোগীদের চিকিৎসায় কম-বেশি হিতে বিপরীত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ১৬২ জন রোগীর বেলায় সুচ ঢোকাতে গিয়ে মাথা ঘোরানো বা মূর্ছা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া, সুচের খোঁচায় পাঁচজন রোগীর ফুসফুস নষ্ট হয়ে গেছে।
এডজার্ড আর্নস্ট বলেন, প্রকৃতপক্ষে আকুপাংচার চিকিৎসায় তেমন কোনো ঝুঁকি নেই। তবে সমস্যা হলো, আকুপাংচার চিকিৎসকেরা বলেন, এটি সম্পূর্ণ ঝুঁকিহীন। সুচ ঢোকানোর পর একজন রোগীর শ্বাসকষ্ট হলে সেটা আমলে না নিয়ে চিকিৎসকেরা তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এতে রোগীর ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আর দুটি ফুসফুসই নষ্ট হয়ে গেলে নিশ্চিত মৃত্যু হবে ওই রোগীর। নিউ সায়েনটিস্ট।
আকুপাংচার সম্পূর্ণ নিরাপদ নয় - প্রথম আলো
No comments:
Post a Comment