TECH GURU, TECH-SCIENCE NEWS

"I celebrate myself, and sing myself,
and what I assume you shall assume,
for every atom belonging to me as good belongs to you."

Friday, November 23, 2012

১৩ মেগাপিক্সেলের নমনীয় স্মার্টফোন হবে ‘গ্যালাক্সি এস ৪’!



  • স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৪স্মার্টফোনটি  হতে পারে এ ধরনের নমনীয় ওএলইডি প্রযুক্তির
    স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৪স্মার্টফোনটি হতে পারে এ ধরনের নমনীয় ওএলইডি প্রযুক্তির
  • স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৪স্মার্টফোনটি  হতে পারে এ ধরনের নমনীয় ওএলইডি প্রযুক্তির
    স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৪স্মার্টফোনটি হতে পারে এ ধরনের নমনীয় ওএলইডি প্রযুক্তির
1 2 3 4 5
স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি সিরিজের এস ৪ স্মার্টফোনে কাচের ডিসপ্লের পরিবর্তে নমনীয় প্লাস্টিকের তৈরি ডিসপ্লে ব্যবহূত হতে পারে। ফলে সহজেই ভাঁজ করা যাবে এ স্মার্টফোনটি। ২০১৩ সালের প্রথম প্রান্তিকেই এ ধরনের নমনীয় প্রযুক্তির ডিসপ্লেযুক্ত ‘গ্যালাক্সি এস ৪’ স্মার্টফোনটি বাজারে আনছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান স্যামসাং। এ স্মার্টফোনে থাকতে পারে ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা, উন্নত প্রসেসর ও নতুন প্রযুক্তি। এক খবরে ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ জানিয়েছে, হালকা-পাতলা ও নমনীয় স্মার্টফোন তৈরির পরিকল্পনায় অনেক দূর এগিয়েছে স্যামসাং।
স্যামসাংয়ের তৈরি নমনীয় প্রযুক্তির ডিসপ্লের সঙ্গে যুক্ত হবে অর্গানিক এলইডি বা ওএলইডি প্রযুক্তি। উল্লেখ্য, বর্তমানে ওএলইডি প্রযুক্তি টেলিভিশন ও স্মার্টফোনে ব্যবহার করছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, অত্যন্ত পাতলা ওএলইডি ডিসপ্লে বিভিন্ন উপাদানের সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব। এর মধ্যে একটি হচ্ছে নমনীয় প্লাস্টিক। নমনীয় প্লাস্টিক ব্যবহার করলে স্মার্টফোন হবে টেকসই এবং ভাঁজ করা যাবে।
আইএইচএস ইলেকট্রনিকসের পরিচালক ভিনিতা ঝাখনওয়াল এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের আগে নমনীয় স্মার্টফোন বাজারে এনে পণ্যের তালিকায় নতুনত্ব যোগ করতে চাইছে স্মার্টফোন বাজারের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানটি। বাজারে এখন একই রকম ফিচার ও কাঠামোর প্রচুর স্মার্টফোন রয়েছে। নমনীয় আমোলেড প্রযুক্তির স্মার্টফোন বাজারে এনে নতুনত্ব যুক্ত করছে স্যামসাং।
স্যামসাং ছাড়াও নকিয়া, এসার, এলজি নমনীয় প্রযুক্তির স্মার্টফোন তৈরির আগ্রহ দেখিয়েছে।


১৩ মেগাপিক্সেলের নমনীয় স্মার্টফোন হবে ‘গ্যালাক্সি এস ৪’! - প্রথম আলো

বিশ্বের সেরা স্মার্টফোন আনবেন সাবেক নকিয়া-কর্মীরা!



২০১৩ সালের মাঝামাঝি ‘বিশ্বের সেরা স্মার্টফোন’ বাজারে আনবেন বলে দাবি করেছেন নকিয়ার সাবেক একদল কর্মী। এক খবরে এনডিটিভি জানিয়েছে, নকিয়ার সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা নিজেদের প্রতিষ্ঠান ‘জোলা’র ব্যানারে নকিয়ার নতুন অপারেটিং সিস্টেম ‘সেইলফিশ’-নির্ভর স্মার্টফোন বাজারে আনার পরিকল্পনা করেছেন। ২১ নভেম্বর জোলার পক্ষ থেকে ‘সেইলফিশ’ অপারেটিং সিস্টেম তৈরির ঘোষণা এসেছে।
২০১০-১১ সালের দিকে নকিয়া-ইনটেলের মিগো সফটওয়্যার আর সিমবিয়ান অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোন তৈরি করত ফিনল্যান্ডের মোবাইল নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান নকিয়া। বর্তমানে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম-নির্ভর স্মার্টফোন তৈরির কারণে সিমবিয়ান ও মিগো সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে দিয়েছিল নকিয়া। এ সময় নকিয়ার কয়েকজন কর্মকর্তা নকিয়া ছেড়ে দেন এবং জোলা প্রতিষ্ঠা করেন। 
জানা গেছে, নকিয়ার মিগো সফটওয়্যার ও এন৯ স্মার্টফোন তৈরির পেছনে যে দলটি কাজ করছিল, সে দলটিরই সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা মিলে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘জোলা’।
‘জোলা’ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা নতুন নকশায় প্রথমে সেইলফিশ-নির্ভর একটি স্মার্টফোন বাজারে ছাড়বে।
এদিকে স্মার্টফোনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বাজারে ‘জোলা’র এই নতুন স্মার্টফোনটিকে অ্যাপল, স্যামসাং, নকিয়া, অ্যান্ড্রয়েড-নির্ভর বিভিন্ন স্মার্টফোনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে বলেই জানিয়েছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা। তবে জোলার প্রতিষ্ঠাতা আনটি সারনিও জানিয়েছেন, বিশ্বের সেরা ফোনটি হবে হাই এন্ড বা বেশি দামের স্মার্টফোন। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রথমে ছাড়া হবে এ স্মার্টফোনটি। পরবর্তীতে সেইলফিশ-নির্ভর মিড রেঞ্জের স্মার্টফোন বাজারে আনবে জোলা।


বিশ্বের সেরা স্মার্টফোন আনবেন সাবেক নকিয়া-কর্মীরা! - প্রথম আলো

আবেগের তথ্য


মানুষ সহজেই আবেগ লুকিয়ে রাখতে পারে। কিন্তু লুকানো আবেগকে প্রযুক্তির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা বা জানা সম্ভব। অটিস্টিক শিশুদের আবেগ অনেক ক্ষেত্রেই বোঝা সম্ভব হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা জানিয়েছেন, কিউ সেনসর নামের একটি যন্ত্র ব্যবহার করে সহজেই তাদের আবেগ বোঝা যাবে এবং চিকিত্সকেরা সে তথ্য অনুযায়ী চিকিত্সা করতে পারবেন। যারা কথা বলতে পারে না বা আবেগ প্রকাশে অক্ষম, তাদের ক্ষেত্রেও এ সেনসর কাজে লাগবে। এক খবরে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষক অ্যাডাম শ কিউ সেনসর পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, এ যন্ত্রটি তারবিহীন পদ্ধতিতে শরীরের বিদ্যুত্প্রবাহের মাত্রা পরিমাপ করে আবেগসংশ্লিষ্ট তথ্য জানাতে পারে। বিরক্তি, চাপ, উত্তেজনার মতো বিষয়গুলো জানতে গবেষণা, চিকিত্সায় এ সেন্সর ব্যবহার করা যাবে।



‘কিউ সেনসর’ জানাবে আবেগের তথ্য - প্রথম আলো

চকলেট ও নোবেল তত্ত্ব!




যত বেশি চকলেট, তত বেশি নোবেল! বেশি করে চকলেট খেলে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার কপাল খুলে যায়! মুখরোচক চকলেটের আদুরে নাম তাই ‘কালো সোনা’ বলেন এর ভক্তরা। এক খবরে বিবিসি অনলাইন জানিয়েছে, চকলেট ও নোবেল পুরস্কারবিষয়ক প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর পাঠকেরা তাঁদের মন্তব্যে এ বিষয়ে তাঁদের নানা তত্ত্ব যুক্ত করেছেন।
‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’ সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব দেশের মানুষ তাঁদের দৈনন্দিন খাদ্যের তালিকায় চকলেট রাখেন, সে সব দেশ থেকেই বছরান্তে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার হার সবচে বেশি। এ তালিকার শীর্ষে আছে সুইজারল্যান্ড। এরপর রয়েছে সুইডেন ও ডেনমার্ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অবশ্য এ তালিকার ওপরের দিকে।
নিউইয়র্কের সেন্ট লিউকস রুজভেল্ট হাসপাতালের উচ্চ রক্তচাপ বিশেষজ্ঞ ফ্রানজ মেসারলি এই গবেষণার জনক। জাতিতে সুইস নাগরিক এ বিশেষজ্ঞ হঠাত্ করেই তাঁর এক অবসর মুহূর্তে চকলেটের সঙ্গে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার সম্পর্ক খুঁজে পান বলে দাবি করেন। তাঁর তথ্যমতে, দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে চকলেট থাকে এমন ২৩টি দেশের মানুষের মধ্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার হার সবচে বেশি।
মেসারলি তাঁর গবেষণার তথ্যগুলো সঠিক বলে দাবি করলেও তাঁর এ গবেষণায় যুক্তির প্রভাব খুব কম বলে স্বীকার করেছেন। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেরাসলি তাঁর গবেষণায় যুক্তির প্রভাব কম দেখলেও পাঠকেরা যথেষ্ট যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন তাঁদের মন্তব্যে। তাঁদের মধ্যে বাছাই করা মন্তব্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ম্যানচেস্টারের বাসিন্দা মাইকেল জনসনের। জনসন তাঁর মন্তব্যে লিখেছেন, ‘আমি যখন নিজেকে সময় দিই বা চিন্তামুক্ত থাকি, তখন সৃষ্টিশীল ধারণা আমার মাথায় আসে। চকলেট প্রয়োজনীয় কোনো খাবার নয়, এটা বরং আনন্দ অবকাশের বিলাসী খাবার। মানুষের হাতে যখন অবসর থাকে, তাঁর খাওয়া-পরা বা দৈনন্দিন জীবনের চাহিদার বিষয়গুলো যখন প্রভাব ফেলে না, সেই সময়টাতে সে সৃষ্টিশীল হয়ে উঠতে পারে বলেই আমার মনে হয়।’
কার্ডিফের লিজা প্রেস জানিয়েছেন, চকলেট খাওয়ার কারণেই তাঁর বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। যুক্তরাজ্যের বান্টু কানো জানিয়েছেন, চকলেটে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা যোগাযোগ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। সোমালিয়ার বাসিন্দারা হারে নামের এক ধরনের চকলেট খায়, যা তাদের বুদ্ধিমান করে তোলে। সেখানকার উপজাতি সর্দার যুদ্ধে যাওয়ার আগে চকলেট খান।
এথেন্সের অ্যাপোসতোলোস প্যাপোটিস জানিয়েছেন, ক্ষুধা পেলে গ্রিসের মানুষ চকলেট খায়, যা বুদ্ধিমত্তার লক্ষণ। এতে খাবার তৈরির ও বাসন ধোয়ার সময় বাঁচে। পৃথিবী একমাত্র গ্রহ, যেখানে চকলেট আর বুদ্ধিমান প্রাণীর যৌথ অস্তিত্ব রয়েছে।
জর্ডানের আইয়ুব আইয়ুব জানিয়েছেন, চকলেট পুষ্টিগুণে ভরা ও উদ্দীপন ক্ষমতাসম্পন্ন। অল্প বয়স থেকে চকলেট খেলে মস্তিষ্কের গঠন ভালো হয়। ক্ষুরধার মস্তিষ্ক গড়ে ওঠে। 
যুক্তরাজ্যের জর্জ চিলটন জানিয়েছেন, ‘শীতপ্রধান অঞ্চলের মানুষ বেশি পরিমাণ চকলেট খায়। তারা উষ্ণ অঞ্চলের মানুষের চেয়ে কাজ করে বেশি। ৩৫ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রায় বাইরে বেশিক্ষণ কাজ করতে কে চাইবে? আমি বর্তমানে স্পেনে বাস করছি। এখানকার খুব বেশি মানুষ নোবেল পুরস্কার জেতেননি, কারণ এখানে সবাই সমুদ্রতটে সময় কাটাতে ব্যস্ত, এখানে চকলেট খাওয়ার লোক কম।’
মেক্সিকোর আন্দ্রে ভ্যালদেস জানিয়েছেন, মায়া সভ্যতার লোকজন বেশি চকলেট পান করত। তাদের চকলেটপ্রীতির কারণেই তাঁরা বিভিন্ন বিষয় উদ্ভাবন করতে সমর্থ হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের জোহানা জানিয়েছেন, চকলেট খেলে তাঁর বুদ্ধি খুলে যায় এবং ভালো লাগে বলে তিনি চকলেটের ভক্ত। অস্ট্রেলিয়ার মার্তা জানিয়েছেন, ‘চকলেটের সঙ্গে নোবেলের সম্পর্কের কথা জানি না।’ তবে যেকোনো অজুহাতে তিনি চকলেট চান।
সুইজারল্যান্ডের ব্রায়ান ম্যাকিন জানিয়েছেন. চকলেটে খেলে নোবেল পাওয়া যায় এ তত্ত্বে তিনি বিশ্বাসী। কারণ সুইজারল্যান্ডে সবচে ভালো মানের চকলেট তৈরি হয়।
চকলেট তৈরিতে ব্যবহূত কোকোয় বিদ্যমান ফ্ল্যাভোনয়েড নামের এক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে মোরালেস দেখেন, চকলেট খাওয়ার দিক দিয়ে শীর্ষে থাকা ২৩টি দেশ থেকে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার হার সবচেয়ে বেশি।
এই তথ্য তিনি পান কাঠমান্ডুর একটি হোটেলে বসে, অবসর সময়ে। তিনি বলেন, ‘তথ্যগুলো পেয়ে খুব অবাক হয়েছিলাম। আমি অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, সবচে বেশি চকলেট খায় এমন দেশগুলোয় নোবেল বিজয়ী সবচে বেশি।’
অনেকে মেসারলির এই গবেষণাকে অযৌক্তিক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁরা বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনেক গবেষণা হয়, যেখানে তথ্যের সত্যতা থাকলেও যুক্তির প্রয়োগ খুব কম। মেসারলির গবেষণার মাধ্যমে পাওয়া তথ্য তেমনই একটি ব্যাপার। মেসারলি নিজেও অবশ্য এই গবেষণার অযৌক্তিক দিকটি অস্বীকার করেননি।
২০০১ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন এরিখ কর্নেল। তিনি বলেন, নোবেল পুরস্কার সাধারণত অসাধারণ কোনো গবেষণা ও কাজের ওপর দেওয়া হয়ে থাকে। একটি দেশের মানুষের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে চকলেট থাকার বিষয়টি সে দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতাকে নির্দেশ করে। একই সঙ্গে যে ধরনের উঁচুমানের গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়, সেই গবেষণাগুলোও ওই দেশটির শক্ত অর্থনৈতিক ভিত্তির কারণেই হয়ে থাকে।
কর্নেল অবশ্য তাঁর নোবেল সাফল্যের পেছনে চকলেটের অবদান অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, ‘যদি ডার্ক বা কালো চকলেটের কথা বলেন, তাহলে অবশ্যই এর একটা প্রভাব আছে।’
অন্যান্য গবেষক অবশ্য মেসারলির চকলেটবিষয়ক তথ্য তেমন একটা আমল দেননি। বলেছেন, এতে ফাঁকফোকর রয়েই গেছে।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অব অটোয়ার পারিবারিক ওষুধ বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক ইয়োনি ফ্রিডফ মেসারলির এ গবেষণাটি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘আমি এখনো পর্যন্ত চকলেটের মধ্যে এমন কিছু পাইনি, যার কারণে এটিকে আমি আমার দৈনন্দিন খাদ্যের তালিকায় রাখতে পারি।’ 

চকলেট ও নোবেল তত্ত্ব! - প্রথম আলো

অদৃশ্য দ্বীপ!(ভিডিও)



  • এখানেই থাকার কথা স্যান্ডি আইল্যান্ডের
    এখানেই থাকার কথা স্যান্ডি আইল্যান্ডের
  • গুগল ম্যাপে দেখানো স্যান্ডি দ্বীপের অবস্থান
    গুগল ম্যাপে দেখানো স্যান্ডি দ্বীপের অবস্থান
  • এরকম হতে পারে স্যান্ডি দ্বীপ
    এরকম হতে পারে স্যান্ডি দ্বীপ
1 2 3
গল্প আর উপন্যাসে অদৃশ্য দ্বীপের কথা শোনা যায়। কখনো বিশাল এক দ্বীপ আবার কখনো গভীর সমুদ্র! বাস্তবে কি থাকতে পারে এমন অদৃশ্য দ্বীপ? বিশ্ব মানচিত্র, গুগল ম্যাপ এমনকি নাবিকদের ব্যবহূত মানচিত্রেও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে ‘স্যান্ডি আইল্যান্ড’ নামের একটি লম্বাটে দ্বীপের খোঁজ পাওয়া যায়। আদৌ এ দ্বীপটির কোনো অস্তিত্ব আছে? সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা এ দ্বীপটির খোঁজে বের হয়ে একরাশ হতাশা নিয়ে ফিরেছেন। গুগল ম্যাপে অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রেঞ্চ শাসিত নিউ ক্যালেডোনিয়ার সমুদ্রসীমায় এ দ্বীপটির অবস্থান নির্দেশ করা হলেও গবেষকেরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে স্যান্ডি দ্বীপের কোনো অস্তিত্বই নেই। মানচিত্রে যেখানে এ দ্বীপটির অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে কোরাল সাগরের নীল জলরাশি খেলা করছে।
বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা সম্প্রতি স্যান্ডি দ্বীপের খোঁজে বেরিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন, যেখানে স্যান্ডি দ্বীপটি থাকার কথা, সেখানটায় সাড়ে চার হাজার ফুটের বেশি গভীর পানি।
গবেষক মারিয়া সেটন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গুগল আর্থ, বিশ্ব মানচিত্রসহ অন্যান্য মানচিত্রে এ দ্বীপটির অবস্থান দেখে সেখানে গিয়েছিলাম আমরা, অথচ সেখানে গিয়ে দেখি দ্বীপটি অদৃশ্য!’
তিনি বলেন, ‘নাবিকদের ব্যবহূত মানচিত্রে ওই এলাকায় সমুদ্রের গভীরতা চার হাজার ৬২০ ফুট দেখানো হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন ছিল এত গভীর সমুদ্রে কী করে লম্বা একটা দ্বীপ থাকতে পারে। এ রহস্য জানার জন্যই সেখানে যাওয়া।’
মারিয়া সেটন আরও বলেন, এ দ্বীপটি কীভাবে মানচিত্রে স্থান পেল, আমাদের কাছে সে তথ্য জানা নেই। তাই অদৃশ্য এ দ্বীপটির বিষয়ে আরও গবেষণা চালানো হবে।’
অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, স্যান্ডি দ্বীপটির যদি অস্তিত্ব থাকে, তবে তা নিউ ক্যালেডোনিয়ার সমুদ্রসীমার মধ্যে থাকতে পারে। তবে ফ্রান্সের সরকারি মানচিত্রে তার উল্লেখ নেই।
স্যান্ডি দ্বীপ কোথায় হারাল? অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বৈজ্ঞানিক মানচিত্র ও গুগল আর্থে এ দ্বীপটির অস্তিত্ব ভুল করে দেখানো হতে পারে। যার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে বছরের পর বছর।
এদিকে গুগল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গুগল ম্যাপ তৈরির সময় বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে কথা বলে ও পরামর্শ নিয়ে তবেই এ ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। তবে পৃথিবীতে অনেক কিছুই দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই অনেক কিছু আড়াল হয়ে যেতে পারে।
বিবিসি জানিয়েছে, অদৃশ্য স্যান্ডি দ্বীপের খোঁজে এখন অনেক রোমাঞ্চপ্রত্যাশী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।




অদৃশ্য দ্বীপ!(ভিডিও) - প্রথম আলো

Sunday, November 11, 2012

একই পাত্রে ফুলের চাষ আর বারবিকিউ!



1 2
টবে রোপিত ফুল আর সেই একই পাত্রে বারবিকিউ বা গ্রিল করে খাবার রান্না! বিষয়টি কল্পনা করা খানিকটা দুঃসাধ্যই বটে, কিন্তু সম্প্রতি উদ্ভাবিত `হট-পট বিবিকিউ' নামের একটি মাটির পাত্রে ঠিক তাই করা যাবে। অর্থাত্ যেমন ছোটোখাটো ফুলের চারা বা গুল্ম রোপণ করা যাবে ঠিক তেমনি সে পাত্রটিতেই গ্রিল করে রান্না করাও যাবে।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল জানিয়েছে, মাটির তৈরি পটটিকে বলা হচ্ছে টেরাকোটা পট। এ পাত্রে দুটি স্তর রয়েছে। পাত্রের উপরের অংশটি চারা রোপণের জন্য টব হিসেবে ব্যবহার করা যাবে আর পাত্রটির নীচের অংশে রান্না করা যাবে। পাত্রটির ভেতরে রয়েছে ইস্পাতের তৈরি অংশ এবং তাপ উত্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। হট পট বিবিকিউ নামের এ টেরাকোটা পাত্রটি তৈরি করেছে লন্ডনভিত্তিক ব্ল্যাকবাম নামের একটি দুইজনের নকশাকারী দলের প্রতিষ্ঠান।



একই পাত্রে ফুলের চাষ আর বারবিকিউ! - প্রথম আলো

বাড়ছে ল্যাপটপের কারণে শুক্রাণুর সমস্যা...............



যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পশায়ারের ৩০ বছর বয়সী বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি স্কট রিড ও তাঁর স্ত্রী লরা সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতার মুখে পড়েছিলেন। চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে গেলে তিনি জানান, শুক্রাণুর সমস্যা হওয়ায় সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে এ জটিলতা তৈরি হয়েছে। আর এর মূলে রয়েছে ল্যাপটপ! রিড সব সময় তাঁর কোলের ওপর রেখে ল্যাপটপ ব্যবহার করতেন। খবর প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার।
পরবর্তী সময়ে চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী স্কট রিড কোলের পরিবর্তে টেবিলের ওপর রেখে ল্যাপটপ ব্যবহার করা শুরু করলে দেখা যায়, কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর শুক্রাণুসংক্রান্ত জটিলতা কেটে গেছে। 
স্কটের স্ত্রী লরা বলেন, ‘এ ধরনের কিছু ঘটতে পারে তা আগে ভাবিনি বা শুনিনি। চিকিত্সকের কথা শুনে আমরা আশ্চর্য হয়েছিলাম।’ 
লরা আরও বলেন, ‘স্কট সাধারণত সন্ধ্যায় টেলিভিশন দেখার সময় দুই-তিন ঘণ্টা ল্যাপটপে ফেসবুক ব্যবহার বা অন্যান্য সাধারণ কাজ করত। ল্যাপটপ ব্যবহারে যে শুক্রাণুসংক্রান্ত সমস্যা তৈরি হয়, সে সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণাই ছিল না। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে সন্তান নেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হলে চিকিত্সকের কাছে গিয়েছিলাম। চিকিত্সক স্কটের শুক্রাণু পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। পরে স্কটের শুক্রাণু পরীক্ষা করে চিকিত্সক জানান, ল্যাপটপ থেকে নির্গত তাপের কারণে অধিকাংশ শুক্রাণুর লেজ জড়িয়ে গেছে।’
কুইন আলেকজান্দ্রা হাসপাতালের বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড্রোলজিস্ট সু কেনওর্থি ল্যাপটপ থেকে নির্গত তাপের কারণে শুক্রাণুর ক্ষতি হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন।



সমস্যার মূলে ল্যাপটপ! - প্রথম আলো

Wednesday, November 7, 2012

‘ওবামার জয়ে সুস্থ রাজনীতি বিকশিত হবে’



জর্জ সরোস
জর্জ সরোস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী বারাক ওবামা পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় সুস্থ রাজনীতির বিকাশ ঘটবে বলেই মনে করছেন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও মার্কিন অর্থনীতিবিদ জর্জ সরোস। গতকাল মঙ্গলবার জর্জ সরোস তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।
সরোস জানিয়েছেন, ‘ওবামার জয়ে আমি খুশি। মার্কিন ভোটাররা উগ্রপন্থী অবস্থানকে প্রত্যাখ্যান করে রাজনীতির সহনশীলতার পথকে উন্মুক্ত করেছে। তিনি বলেন- ওবামার জয়ে সুস্থ রাজনীতি বিকশিত হবে।
জর্জ সরোস আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘রিপাবলিকান দল আগামী বছরগুলোতে এবং তথাকথিত রাজস্ব নীতি থেকে সরে আসবে এবং মিলেমিশে কাজ করবে।’
সরোস মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট হবেন বারাক ওবামা। 
উল্লেখ্য, হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত জর্জ সরোস মার্কিন ধনকুবের হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়াও তাঁর পরিচিতি রয়েছে দার্শনিক, বিনিয়োগকারী হিসেবে। সরোস ফান্ড ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বুশের কঠোর সমালোচক ছিলেন বর্তমানে ৮২ বছর বয়সী জর্জ সরোস।


‘ওবামার জয়ে সুস্থ রাজনীতি বিকশিত হবে’ - প্রথম আলো

Friday, November 2, 2012

পাখিদের চেয়েও প্রাচীন উড়ুক্কু মাছ



1 2 3 4
মাছ উড়তেও পারে! সাগরের পানি থেকে লাফ দিয়ে পাখির মতই দ্রুতগতিতে কিছুদূর উড়ে যায় উড়ুক্কু মাছ। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় সাগরে উড়ুক্কু মাছেরা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে দীর্ঘদিন ধরে। পাখি ও ডাইনোসরদের আগে থেকেই এ মাছের অস্তিত্ব ছিল, এখনো রয়েছে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, ২৪ কোটি বছর আগে থেকেই সমুদ্রে রয়েছে উড়ুক্কু মাছেরা। চীনের জীবাশ্ম বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, আকাশে পাখিদের ওড়ার ৮ কোটি বছর আগে থেকেই উড়ুক্কু মাছেদের রাজত্ব ছিল। 
বিশ্বের সবচে প্রাচীন উড়ুক্কু মাছটি ২৪ কোটি বছর আগে সমুদ্র থেকে লাফিয়ে উঠেছিল শিকার হওয়া থেকে বাঁচার জন্য। সম্প্রতি চীনের জাদুঘরে সংরক্ষিত একটি উড়ুক্কু মাছের জীবাশ্ম গবেষণা করে এ তথ্য পেয়েছেন গবেষকেরা। এ প্রসঙ্গে এক খবরে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, আগে গবেষকদের ধারণা ছিল, উড়ুক্কু মাছের প্রজাতি বড়জোর সাড়ে ছয় কোটি বছরের পুরোনো হতে পারে। কারণ, এ সময়ের আগের কোনো উড়ুক্কু মাছের জীবাশ্ম তাঁদের কাছে ছিল না। সম্প্রতি চীনের জাদুঘরে থাকা উড়ুক্কু মাছের ফসিল বা জীবাশ্ম গবেষণায় তাঁরা দেখেছেন, ২৩ কোটি থেকে ২৪ কোটি বছর আগের মধ্য ট্রায়াসিক যুগে ‘পোটানিক্সাস কিংজিনসাস’ নামের উড়ুক্কু মাছের প্রজাতির অস্তিত্ব ছিল যা, জুরাসিক যুগের ডাইনোসরদের থেকেও ৫ কোটি বছর আগেকার।
‘প্রসিডিংস অব দ্য রয়্যাল সোসাইটি বি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত নিবন্ধে গবেষকরা জানিয়েছেন, সবচে প্রাচীন উড়ুক্কু মাছের জীবাশ্ম হিসেবে এর আগে ইউরোপে খোঁজ পাওয়া জীবাশ্মের তুলনায় ‘পোটানিক্সাস কিংজিনসাস’ প্রজাতির উড়ুক্কু মাছের জীবাশ্ম ২ কোটি ৭০ লাখ বছরের পুরোনো।
গবেষক ও নিবন্ধের লেখক গুয়ান-হুই জু উড়ুক্কু মাছের প্রাচীন প্রজাতি সম্পর্কে জানিয়েছেন, মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে ওড়ার দিক থেকে সবচেয়ে প্রাচীন প্রাণীর প্রমাণ হচ্ছে ‘পোটানিক্সাস কিংজিনসাস’। ‘পোটানিক্সাস কিংজিনসাস’ অর্থ হচ্ছে ‘কিংজিংয়ের পাখাওয়ালা মাছ’। ২০০৯ সালে চীনের কিংজিং শহর থেকে এ প্রজাতির মাছের জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন গবেষকেরা।
অদ্ভুত-দর্শন, বোঁচা নাকের এ প্রাণীটি সম্পর্কে গবেষকদের ধারণা, শিকারী প্রাণীদের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষার জন্যই উড়তে শুরু করে উড়ুক্কু মাছ। উড়ুক্কু মাছের গতি ঘণ্টায় ৭০ কিমি বা ৪৫ মাইলেরও বেশি হতে পারে। পানি স্পর্শ না করে বাতাসে এরা প্রায় এক মিনিট পর্যন্ত উড়তে পারে। এখনকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় সাগরের উপকূলে যেসব উড়ুক্কু মাছ দেখতে পাওয়া যায় সেগুলো ডলফিন, স্কুইড ও বড় মাছের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ৬ মিটারের বেশি উপর দিয়ে ৪০০ মিটার পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে। ৬ ইঞ্চি মাপের এই উড়ুক্কু মাছটির মোট চারটি পাখা ছিল। এ পাখার মধ্যে দুটি পাখা ছিল বড়। মাছের লেজও ছিল তুলনামূলকভাবে অনেক বড় যা পানি থেকে ওপরে উঠতে ব্যবহূত হত। এ মাছটির আদি নিবাস ছিল ভারত মহাসাগরে।

(লাইভসায়েন্স)

পাখিদের চেয়েও প্রাচীন উড়ুক্কু মাছ - প্রথম আলো

গরিব বলেই গিনিপিগ?



নতুন ওষুধ সেবনের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মারা যান নারায়ন সুরভিয়ার মা তিজুজা বাই
নতুন ওষুধ সেবনের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মারা যান নারায়ন সুরভিয়ার মা তিজুজা বাইভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে গোপনে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা নতুন ওষুধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। সে পরীক্ষায় গিনিপিগের মতো ব্যবহূত হচ্ছে দেশটির নিম্ন বর্ণের হতদরিদ্র মানুষ। বিবিসির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়ার দাবি করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ঘটনা। নিতু সোদি তাঁর শাশুড়ি চন্দ্রকলা বাইকে নিয়ে ইন্দোরের মহারাজা যশবন্তরাও হাসপাতালে যান। শাশুড়ির বুকে ব্যথা হওয়ার কারণে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। 
নিতু বলেন, ‘আমরা নিম্নবর্ণের মানুষ। দলিত সম্প্রদায়ের। আমাদের অস্পৃশ্য মনে করা হয়। হাসপাতালে চিকিত্সকের দেখা পেতে তাই আমাদের দীর্ঘ সময় লাইনের পেছনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু সেদিন আশ্চর্য হয়ে দেখলাম, চিকিত্সক আমাদের অনেক দামি ওষুধ দিলেন। হাসপাতালে গেলে মাত্র পাঁচ রুপিতে একটি রসিদ দেওয়া হয়েছিল। চিকিত্সকেরা বলেন, তাঁরা আমাদের এক লাখ ২৫ হাজার রুপি দামের ওষুধ দেবেন।’
নিতু বলেন, ‘রোগের চিকিত্সার ব্যয় বহন করার মত সামর্থ্য নেই আমাদের। কিন্তু চিকিত্সকেরা পাঁচ রুপির রসিদ নিয়ে বলেছিল, বেশি দামের ওষুধের বাকি অর্থ সরকারি বিশেষ তহবিল থেকে জোগানো হবে।’ 
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিতু বুঝতেই পারেননি যে তাঁর শাশুড়ির ওপর ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়োজেনের ‘টোনাপোফিলিন’ ওষুধের পরীক্ষা চালাচ্ছেন চিকিত্সকেরা। তিনি জানান, এ ওষুধ দেওয়ার আগে চিকিত্সকরা তাঁদের আগে থেকে কোনো কিছু পড়তে বা কোনো কাগজে সই করতেও বলেননি। 
নিতু জানান, এ ওষুধ সেবনের পর তাঁর শাশুড়ির হূদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়। তিনি কিছুদিন এ ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দেন। এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মারা যান তিনি।
বহুজাতিক ওষুধ নির্মাতা অনেক প্রতিষ্ঠান ভারতের নিম্নবর্ণের গরিবদের গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে। চন্দ্রকলা বাইয়ের বেলায়ই যে কেবল এমনটি ঘটেছে, তা নয়। একই ঘটনা ঘটেছে নারায়ণ সুরভাইয়ার ক্ষেত্রে। তাঁর মায়ের চিকিত্সার সময় নতুন ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কোনোরূপ অনুমতি নেননি চিকিত্সকেরা। পায়ের সমস্যার জন্য চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়ার পর তাঁকে দামি ওষুধ দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়। ওষুধের খরচ দাতব্য খাত থেকে আসবে বলে নিশ্চিত করা হয়। ওষুধ সেবনের পর সুরভাইয়ার মায়ের স্বাস্থ্যহানি ঘটে এবং তিনি পঙ্গু হয়ে যান। 
সুরভাইয়া বলেন, নতুন ওষুধ সেবনের পর মায়ের শরীর খারাপ হতে শুরু করলে আমি চিকিত্সককে ঘটনাটা জানিয়েছিলাম। চিকিত্সকদের পরামর্শ ছিল ওষুধ চালিয়ে যাওয়ার। চিকিত্সক সুরভাইয়াকে জানিয়েছিলেন, ওষুধ সেবনে সাময়িকভাবে শরীর অচল হয়ে যেতে পারে, পরে ঠিক হয়ে যাবে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুরভাইয়ার মা মারা যান। 
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বহুজাতিক ওষুধ নির্মাতা অনেক প্রতিষ্ঠান ভারতের নিম্নবর্ণের গরিব মানুষকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে। গত সাত বছরে তিন হাজার ৩০০ রোগীর মধ্যে ৭৩টি ওষুধের পরীক্ষা চালানো হয়েছে ইন্দোরের মহারাজা যশবন্তরাও হাসপাতালে। এর মধ্যে পরীক্ষায় ব্যবহুত মানুষের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা পরীক্ষামূলকভাবে ওষুধ সেবন করতে গিয়ে অনেকেই মারা গেছে। কিন্তু মারা যাওয়ার পর তাঁদের পরিবারকে কোনোরকম সাহায্য করা হয়নি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের মধ্য প্রদেশের ভোপালের কারবাইড প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের পর গ্যাস দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রায় ২৫ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটেছিল। এ দুর্ঘটনাকবলিত মানুষের ভরসাস্থল ছিল ভোপাল মেমোরিয়াল হাসপাতাল। এ হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল ড্রাগ ট্রায়াল সম্পর্কে রোগীরা খুব কমই জানতে পারেন। সেখানে চিকিত্সা নিতে যাওয়া অনেকেই বিভিন্ন জটিলতার শিকার হয়েছেন এবং মারাও গেছেন। এসব ওষুধ হাসপাতালের বাইরে পাওয়া যায় না। 
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে নতুন ওষুধ সেবনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত সাত বছরে দেশটিতে দুই হাজারেরও বেশি পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়োজেন থেকে শুরু করে গ্ল্যাক্সো স্মিথের নাম। ২০০৮ সালে ওষুধ পরীক্ষার কারণে ২৮৮ জন মারা যান। ২০১১ সালে মৃতের সংখ্যা ৪৩৮ জনে পৌঁছায়। 
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সময় ওষুধ সেবনেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে—এমন কোনো তথ্য প্রমাণ নেই। কারণ, এসব গরিব রোগীদের মারা যাওয়ার পর কারও ময়নাতদন্ত হয়নি। হাসপাতালের চিকিত্সকেরা নানাভাবে দরিদ্র রোগীদের ওষুধ সেবনের প্রলোভন দেখায়। তাদের সাধ্যের বাইরে থাকা ওষুধ সেবনের জন্য পরামর্শ দেয় এবং বিনামূল্যে তা জোগাড় করার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা জানায়।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সময় রোগীর সঙ্গে বিধিসম্মতভাবে চুক্তি সই করতে হয়। এ বিপজ্জনক পরীক্ষার রোগীকে ব্যবহার করার ব্যাপারে সম্মতি নেওয়া তো দূরের কথা পুরো বিষয়টি অতি গোপন রাখা হয়। বিষয়টি গোপনে সারতে অবৈধভাবে অর্থ ব্যয় করে বহুজাতিক ওষুধ ব্যবসায়ীরা। 
আন্তর্জাতিক স্তরেও ভারতের মতো দেশে যেখানে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও গবেষণা পদ্ধতির উপর সরকারী নিয়ন্ত্রণ যথেষ্ট কম, যেখানে মানুষকে নির্বিচারে সহজেই পরীক্ষার মাধ্যম করে তোলা যায়, সেখানে ট্রায়াল কতটা সঠিক হচ্ছে সম্প্রতি সেই প্রশ্ন জোরালো হয়ে উঠছে। পরীক্ষা পদ্ধতির স্বচ্ছতা, গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও তৈরি হচ্ছে নানা বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছে, যে হারে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বাড়ছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই ব্যাপারে নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা বাড়ছে না। নিরুপায় হয়ে যারা নিজেদের শরীরে এই পরীক্ষা চালাতে দিচ্ছে তারা জানেই না ব্যাপারটা কী? অধিকাংশই নিরক্ষর, লিখিত সম্মতিদানের প্রশ্ন ওঠে না।
হতদরিদ্র মানুষদের মধ্যে পরীক্ষা নিরীক্ষার এ বিষয়টি চোখে পড়েছিল চিকিত্সক আরনান্দ রাইয়ের। এ বিষয়ে মুখ খোলার জন্য হাসপাতাল থেকে তাঁর চাকরি চলে যায়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে দরিদ্র মানুষের ওপর ওষুধ পরীক্ষার বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছেন।
গবেষক আরনান্দের ভাষ্য, পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সব শ্রেণীর মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার নিয়ম থাকলেও কেবল দরিদ্র, অশিক্ষিত রোগীদের বেছে নেওয়া হয় যারা মোটেও ক্লিনিক্যাল ড্রাগ ট্রায়াল বিষয়টি জানেন না। 
মহারাজা যশবন্তরাও হাসপাতালের এথিকস কমিটির প্রধান ড. কেডি ভার্গভ স্বীকার করেছেন যে, হাসপাতালটিতে ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার বিষয়টি বেড়ে গেছে। হঠাত্ করেই এতে অনেক বেশি পরিমাণ অর্থ সংক্রান্ত বিষয় জড়িয়ে গেছে এবং তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
ইন্দোরের আইনজীবী সাটনাম সিং বেইনসের মতে, ভারতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রতারণা করা হচ্ছে, অবৈধ অর্থ ব্যয় হচ্ছে, তথ্য গোপন করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে সঠিক তদন্ত করা হচ্ছে না। অনেক ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য আন্তর্জাতিকভাবে নির্ভরযোগ্যতার বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।



গরিব বলেই গিনিপিগ? - প্রথম আলো

Tuesday, October 23, 2012

হাতের নাগালে থ্রিজি



টেলিটকের নতুন থ্রিজি সুবিধার সিম কিনেছেন শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান। থ্রিজিতে কী ধরনের সুবিধা পাচ্ছেন? নাজমুল বলেন, `থ্রিজি প্রযুক্তির স্মার্টফোন ব্যবহার করে আমি দ্রুত ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারছি। অবিশ্বাস্য দ্রুত। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ওয়াইম্যাক্স সেবাকে পেছনে ফেলবে টেলিটকের থ্রিজি।'
আরেক থ্রিজি ব্যবহারকারী মারুফ হোসেন বললেন ভিন্ন কথা। তঁার অভিযোগ, থ্রিজিতে সংযোগ করতে গেলে অনেক সমস্যা পোহাতে হয়। সংযোগ পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।'
থ্রিজি চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর এক সপ্তাহ পার হয়েছে। কতগুলো নতুন থ্রিজি সুবিধার সিম বিক্রি হয়েছে? প্রশ্ন ছিল টেলিটকের বিপণন বিভাগের কর্মকর্তা মো. সামসুজ্জোহার কাছে। টেলিটকের এ কর্মকর্তা জানান, টেলিটকের থ্রিজি সিম নিয়ে মানুষের আগ্রহ ব্যাপক। নতুন সিম বিক্রির পরিমাণ পঁাচ হাজার ছাড়িয়েছে। থ্রিজি সুবিধার নতুন সিম ছাড়াও টেলিটকের পুরোনো সিমে থ্রিজি ব্যবহার করা যাবে। টেলিটকের পক্ষ থেকে মেসেজ পাঠিয়ে গ্রাহককে টেলিটকের থ্রিজি সুবিধার আওতায় আনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। পাশাপাশি শিগগিরই থ্রিজি সুবিধার ডোঙ্গল বাজারে আনবে টেলিটক।
দীর্ঘদিন ধরে মানুষের মনে প্রশ্ন ছিল, বিশ্বে যেখানে ৪জি আর ৫জি নিয়ে কাজ চলছে, সেখানে কবে আমাদের দেশে আসবে থ্রিজি বা তৃতীয় প্রজন্মের নেটওয়ার্ক সুবিধা? 
....

হাতের নাগালে থ্রিজি - প্রথম আলো

Sunday, October 21, 2012

ফেসবুক চালু করলেই চড়!



কাজের সময় ফেসবুক ঘাঁটাঘাঁটির জন্য কাজের ক্ষতি হওয়া ঠেকাতে সম্প্রতি অভিনব এক উপায় বের করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা মনীশ শেঠি। মনীশ তাঁর ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য ঘণ্টাভিত্তিক চুক্তিতে একজনকে নিয়োগ করেছেন। এ কর্মচারীটির একমাত্র কাজ হচ্ছে, মনীশ ফেসবুকে লগ ইন করলেই তাঁকে কশে একটি চড় মারা! 
মনীশ তাঁর ব্লগপোস্টে লিখেছেন, তিনি যাকে নিয়োগ দিয়েছেন তাঁর একমাত্র কাজ হচ্ছে সব সময় তাঁকে নজরদারিতে রাখা; আর সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট চালু করলেই কশে একটা চড় বসিয়ে দেওয়া। মনীশের দাবি, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের এ আসক্তি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য এই ‘চড় পদ্ধতি’ বেশ ভালোই কাজ দিচ্ছে। 
মনীশ জানিয়েছেন, এখন আর তাঁর সময় নষ্ট হচ্ছে না, অনলাইনের কাজ এখন আগের চেয়ে চারগুণ বেড়েছে।
মনীশ জানান, অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে তিনি দেখেছেন, প্রতি সপ্তাহে অনলাইনে কাজের চেয়ে ফেসবুক চ্যাটিংয়েই বেশি সময় যাচ্ছে তাঁর। তাই তিনি চড় মারায় দক্ষ ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন এমন একজনের খোঁজে বিজ্ঞাপন দেন। 
মনীশ অবশ্য আরও জানিয়েছেন, চড়ে দক্ষ একজন পাশে বসে আছে এই ভয়েই ফেসবুক আসক্তি ছেড়ে কাজে মনোযোগ এসেছে এটা ঠিক নয়, তবে মানসিক প্রভাব পড়েছে। কাজের ফাঁকে পরামর্শ ও কাজে মনোযোগ দেওয়ার কারণেই কাজের সময় নষ্ট হওয়া থেকে রেহাই মিলেছে। তিনি জানান, কেউ যখন চেঁচিয়ে কাজের কথা মনে করিয়ে দেয় এবং সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ভুল করে চালু করে ফেললে শাসাতে শুরু করে, তখন এমনিতেই কাজের প্রতি মনোযোগ বেড়ে যায়।



ফেসবুক চালু করলেই চড়! - প্রথম আলো

Wednesday, October 10, 2012

‘৫জি’র গবেষণা শুরু



যুক্তরাজ্যে চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ‘ফোরজি’ চালু হতে না হতেই পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ‘৫জি’ নিয়ে গবেষণা শুরু হচ্ছে। সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা বা যোগাযোগ প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ শুরু করছেন। 
‘৫জি’ নিয়ে কাজ করার জন্য মোবাইল অপারেটর, অবকাঠামো নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এবং যুক্তরাজ্যের গবেষণা উন্নয়ন তহবিল থেকে সাড়ে তিন কোটি পাউন্ড পাচ্ছেন গবেষকরা । এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘৫জি’ গবেষণার জন্য যে অর্থ পাওয়া যাবে তা দিয়ে ‘৫জি উদ্ভাবন কেন্দ্র’ গড়ে তোলা হবে। 
গবেষক রহিম তাফোজল্লি এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘৫জি’ তৈরির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ইন্টারনেটের ব্যবহারের মধ্যে যে বাধা ছিল তা ইতিমধ্যে দূর হয়েছে। পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় চলার পথে ইন্টারনেট ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করা হবে।
তাফোজল্লি আরও বলেন, আমাদের কাছে ফোরজি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা পুরোনো হয়ে গেছে। কারণ, দশ বছর আগে আমরা ফোরজি নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। আগামী দশকে পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় সাশ্রয়ী অবকাঠামো তৈরিতে কাজ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২০২০ সাল নাগাদ ‘৫জি’ প্রযুক্তি আসতে পারে বলেই আশা করছেন সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।



‘৫জি’র গবেষণা শুরু - প্রথম আলো

স্কাইপিতে ভাইরাস!


 
ইন্টারনেটে যোগাযোগের সফটওয়্যার ‘স্কাইপি’ ব্যবহার করে উইন্ডোজনির্ভর কম্পিউটারের জন্য ক্ষতিকর ভাইরাস ছড়াচ্ছে হ্যাকাররা। হ্যাকাররা স্কাইপিতে ইনস্ট্যান্ট মেসেজ হিসেবে ‘লোল ইজ দিস ইয়োর নিউ প্রোফাইল পিক?’ বাক্যটি লিখে পাঠায়। বার্তাটিতে ক্লিক করলে ট্রোজান হর্স ম্যালওয়্যার কম্পিউটারে ডাউনলোড হয়ে যায়; যা কম্পিউটার থেকে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে নিতে পারে। খবর বিবিসির।
ইন্টারনেটভিত্তিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান সফোসের বিশেষজ্ঞদের মতে, হ্যাকারদের এ বার্তাগুলোকে বলে ‘এলওএল’ বার্তা। এ ধরনের বার্তায় ক্লিক করলে ট্রোজান ভাইরাস কম্পিউটারে ঢুকে পড়ে এবং কম্পিউটার অচল করে দিতে পারে। এ ভাইরাসটি সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে ছড়ানো ‘ডর্কবট’ ভাইরাসের একটি বিশেষ ধরন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত কম্পিউটার থেকে স্কাইপি ব্যবহার করা হলে ব্যবহারকারীর যোগাযোগ তালিকায় থাকা সবার কাছেই এলওএল বার্তাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পৌঁছে যায়।
স্কাইপিতে এলওএল ভাইরাস প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যবহারকারীর কোনো বিষয়ে অসুবিধা হলে তা সমাধান করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে স্কাইপি। নিরাপত্তার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। নতুন এ ভাইরাসটি সম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি এবং দ্রুত তা সমাধানের চেষ্টা করছি।
এলওএল ভাইরাস থেকে সাবধানতা হিসেবে স্কাইপির সর্বশেষ সংস্করণ ব্যবহার ও কম্পিউটারে হালনাগাদ নিরাপত্তাব্যবস্থা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।


স্কাইপিতে ভাইরাস! - প্রথম আলো

লেনোভোর ইয়োগা ল্যাপটপ-ট্যাব


ল্যাপটপ নাকি ট্যাবলেট? এ নিয়ে যারা দ্বিধায় ভোগেন তাদের কথা মাথায় রেখেই চীনের কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লেনোভো ইয়োগা’ নামের উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর ‘একটি পণ্য বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে। 
লেনেভোর এ পণ্যটি একাধারে ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট। এর কিবোর্ডকে স্ট্যান্ড হিসেবে পেছন দিকে ভাঁজ করে ডিভাইসটিকে টেবিল ক্যালেন্ডার আকারে দাঁড় করিয়ে রাখা যায়। আবার পুরোপুরি ঘুরিয়ে ট্যাবলেট হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এক খবরে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেট জানিয়েছে, গতকাল ৯ অক্টোবর মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের একটি অনুষ্ঠানে ‘ইয়োগা’ নামের এ ট্যাবলেটের ঘোষণা দিয়েছে লেনেভো।
লেনোভো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কিবোর্ড ছাড়াও টাচস্ক্রিন সুবিধার ‘ইয়োগা’কে ট্যাবলেট হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। ১৩ ইঞ্চি ও ১১ ইঞ্চি মাপের মোট দুটি সংস্করণের ‘ইয়োগা’ ল্যাপটপের ঘোষণা দিয়েছে লেনোভো। এ ছাড়াও নিউইয়র্কে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উইন্ডোজের আরটি সংস্করণনির্ভর ‘আইডিয়া ট্যাব লিনাক্স ট্যাবলেট’ এবং ‘থিংকপ্যাড টুইস্ট’ নামে সহজেই ভাঁজ করা যায় এমন একটি ল্যাপটপ বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইয়োগা ১৩.৩ ইঞ্চি মাপের মডেলটিতে থাকবে ইনটেলের কোর আই৫ বা কোর আই ৭ প্রসেসর, ৮ গিগাবাইট র্যাম, ২৫৬ গিগাবাইট সলিড-স্টেট ড্রাইভ সুবিধা। ৩.৪ পাউন্ড ওজন ও ০.৬৭ ইঞ্চি পুরুত্বের এ পণ্যটির দাম হবে ১ হাজার ৯৯ ডলার।
এদিকে ১১.৬ ইঞ্চি মাপের ‘ইয়োগা’তে থাকবে এএমডির তৈরি প্রসেসর। ২.৩ পাউন্ড ওজনের ০.৬১ ইঞ্চি পুরুত্বের এ পণ্যটিতে ২ গিগাবাইট র্যাম সুবিধা থাকবে। দাম হবে ৭৯৯ ডলার।
চলতি বছরেই লেনোভোর নতুন মডেলের ট্যাবলেট ও ল্যাপটপের হাইব্রিডগুলো বাজারে পাওয়া যাবে।


লেনোভোর ইয়োগা ল্যাপটপ-ট্যাব - প্রথম আলো

রসায়নে নোবেল পেলেন দুই মার্কিন গবেষক



  • হরমোনের গেটওয়ে হিসেবে কাজ করে ‘জি প্রোটিন-কাপলড রিসেপ্টরস’
    হরমোনের গেটওয়ে হিসেবে কাজ করে ‘জি প্রোটিন-কাপলড রিসেপ্টরস’
  • ২০১২ সালে রসায়নে নোবেলজয়ী রবার্ট লেফকোইত্জ ও ব্রায়ান কোবিলকার
    ২০১২ সালে রসায়নে নোবেলজয়ী রবার্ট লেফকোইত্জ ও ব্রায়ান কোবিলকার
1 2
এ বছর রসায়নে নোবেল পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের দুজন গবেষক— রবার্ট লেফকোইত্জ ও ব্রায়ান কোবিলকার। মানবদেহের কোষের রসায়ন নিয়ে গবেষণার জন্য তাঁরা এ বছর নোবেল পুরস্কার পেলেন। মানবদেহের কোটি কোটি কোষ যেভাবে তাদের পরিবেশ তৈরি করে নেয়, তা নিয়ে কাজ করেছেন তাঁরা। খবর বিবিসির।
আজ বুধবার রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস রসায়নে চলতি বছরের নোবেল পুরস্কারের জন্য রবার্ট লেফকোইত্জ ও ব্রায়ান কোবিলকারের নাম ঘোষণা করেছে। তাঁরা যৌথভাবে পুরস্কার হিসেবে ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার পাবেন। 
এক কোষ থেকে আরেক কোষে যে জটিল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান চলে, তা নিয়ে কাজ করেছেন রবার্ট লেফকোইত্জ ও ব্রায়ান কোবিলকার। তাঁরা এ পদ্ধতির নাম দিয়েছেন ‘জি প্রোটিন-কাপল্ড রিসেপ্টরস’। এ প্রক্রিয়া সম্পর্কে গবেষক লেফকোইত্জ জানিয়েছেন, এ রিসেপ্টরগুলো কোষের মধ্যে হরমোনের গেটওয়ে হিসেবে কাজ করে। 
সফল ও অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৯০১ সালে প্রবর্তিত হয় এ মহার্ঘ্য পুরস্কার। মোট ছয়টি বিষয়ে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়—পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিত্সাশাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য ও শান্তি। রসায়নে প্রথম নোবেল পেয়েছিলেন ডাচ বিজ্ঞানী ইয়াকোবুস হেনরিকুস ফান্ট হফ। রাসায়নিক গতিবিদ্যার গুরুত্বপূর্ণ নীতি এবং দ্রবণের অভিস্রবণ চাপ আবিষ্কারের জন্য তিনি রসায়নে প্রথম নোবেল পেয়েছিলেন। ২০১২ সাল পর্যন্ত রসায়নে নোবেলজয়ীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৬৩।
গতকাল মঙ্গলবার নোবেল কমিটি পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে। কোয়ান্টাম অপটিকস গবেষণায় অবদানের জন্য চলতি বছর পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ফ্রান্সের সার্জ হ্যারোশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড ওয়াইনল্যান্ড। স্টেমসেল নিয়ে গবেষণার জন্য এ বছর চিকিত্সায় নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের গবেষক স্যার জন গর্ডন ও জাপানের শিনইয়া ইয়ামানাকা। ৮ অক্টোবর সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের নাম ঘোষণা করে নোবেল কর্তৃপক্ষ। 
আগামী ১০ ডিসেম্বর স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১২ সালের নোবেল বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। 
কাল বৃহস্পতিবার সাহিত্যে, শুক্রবার শান্তিতে ও ১৫ অক্টোবর সোমবার অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।


রসায়নে নোবেল পেলেন দুই মার্কিন গবেষক - প্রথম আলো

Monday, October 8, 2012

আইকনিয়া একই অঙ্গে দুই রূপ!



উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর একটি হাইব্রিড কম্পিউটার বাজারে আনছে এসার। ‘আইকনিয়া ডব্লিউ ৭০০’ নামের এ কম্পিউটারটি একাধারে ডেস্কটপ ও ট্যাবলেট হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ‘টাইম ম্যাগাজিন’।
চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আসবে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেম। এ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর বেশ কিছু নতুন মডেলের ট্যাবলেট, ল্যাপটপ, ল্যাপটপ-ট্যাবলেট হাইব্রিড পণ্য বাজারে পাওয়া যাবে। এ প্রসঙ্গে এসার জানিয়েছে, ডেস্কটপ ও ট্যাবলেটের হাইব্রিড নিয়ে উইন্ডোজনির্ভর পণ্যের বাজারে আসছে তারা।
‘আইকনিয়া ডব্লিউ ৭০০’ নামের ১১.৬ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লেযুক্ত এ হাইব্রিড কম্পিউটারটির সঙ্গে থাকবে একটি ডকিং স্টেশন, যার মাধ্যমে ট্যাবলেটটিকে বিভিন্ন কোণে ঘোরানো যাবে। এ স্টেশনের সঙ্গে তিনটি ও ট্যাবলেটের সঙ্গে একটি ইউএসবি ৩.০ পোর্ট থাকবে। ট্যাবলেটটির সঙ্গে থাকবে মাইক্রো-এইচডিএমআই স্লট, যার মাধ্যমে আলাদা মনিটর যুক্ত করা যাবে। এ ছাড়া ট্যাবলেটটি ব্লুটুথ কিবোর্ড সমর্থন করবে।
উল্লেখ্য, এসার ছাড়াও ডকিং পদ্ধতির ট্যাবলেট কম্পিউটার বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে ডেল ও এইচপি। ডেলের ‘ল্যাটিচুড ১০’ ও এইচপির ‘এলিটপ্যাড ৯০০’ ট্যাবলেটে ডকিং সিস্টেম থাকবে।
ইনটেল কোর আই৩ প্রসেসরযুক্ত ৬৪ গিগাবাইট তথ্য ধারণক্ষমতার এ হাইব্রিড ট্যাবলেটটির র্যাম হবে ৪ গিগাবাইট। পেছনে ও সামনে উভয় দিকেই থাকবে ক্যামেরার সুবিধা। পেছনের ক্যামেরাটি হবে ৫ মেগাপিক্সেলের।
এসার জানিয়েছে, তথ্য ধারণক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে এই হাইব্রিড ট্যাবলেটের দাম নির্ধারিত হবে। ৬৪ গিগাবাইট তথ্য ধারণক্ষমতার ‘আইকনিয়া ডব্লিউ ৭০০’ মডেলের দাম হবে ৮০০ ডলার, ১২৮ গিগাবাইট মডেলটির দাম হবে ৯০০ ডলার এবং ইনটেলের কোরআই৫ প্রসেসরযুক্ত ৬৪ গিগাবাইট মডেলটির দাম হবে এক হাজার ডলার।

আইকনিয়া একই অঙ্গে দুই রূপ! - প্রথম আলো

সম্পর্কের সর্বনাশে মুঠোফোন!



মুঠোফোনটি ব্যবহার করা হোক বা না হোক ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাঙ্গার পেছনে মুঠোফোনের উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ একটা কারণ হতে পারে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের গবেষকদের একাধিক গবেষণায় উঠে এসেছে, কেবল মুঠোফোনের উপস্থিতিই সম্পর্কের সর্বনাশ ঘটানোর কারণ হতে পারে।
সরাসরি আলোচনার সময় মুঠোফোন থাকলে কী ধরনের প্রভাব পড়ে এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চালিয়েছিলেন গবেষকরা। 
এক খবরে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানীরা একাধিক গবেষণায় দেখেছেন যে, মুঠোফোনের উপস্থিতির কারণে মুখোমুখি আলোচনার সময়ও চিন্তা-ভাবনা সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ঘিরেই চলতে থাকে। মুঠোফোনের উপস্থিতিতে আলোচনার সময় একে অন্যের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব কম থাকে। এ ছাড়াও ঘনিষ্ঠ কোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে মুঠোফোনের উপস্থিতি এর সামাজিক গুরুত্ব কমিয়ে দেয়। 
গবেষক অ্যান্ড্রু প্রেজবিলস্কি এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, গবেষণায় দেখা গেছে ঘনিষ্ঠতা, যোগাযোগ ও আলোচনার ক্ষেত্রবিশেষে মুঠোফোনের নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে।


সম্পর্কের সর্বনাশে মুঠোফোন! - প্রথম আলো

‘বিএনপি কি ক্ষমতায় এসেই গেছে?’



হবিগঞ্জের জনসভায় খালেদা জিয়া
হবিগঞ্জের জনসভায় খালেদা জিয়া
আমাদের দেশে যাঁরা ক্ষমতায় থাকেন, তাঁদের মাথা ঠিক থাকে না বলে একটি কথা প্রচলিত আছে। কিন্তু বিরোধী দলে গিয়েও যদি কারও মাথা বেঠিক হয়ে যায়, তা মহা চিন্তার বিষয়। সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের নেতাকে বিকল্প প্রধানমন্ত্রী ভাবা হয়। যদিও আমাদের দেশে কোনো বিরোধীদলীয় নেতাই দায়িত্বশীল আচরণ করেননি, এখনো করছেন না। কেননা, নির্বাচনের পরদিন থেকেই তাঁরা রাজনীতি শুরু করেন ‘মানি না মানব না’ স্লোগান দিয়ে। নির্বাচনে জয়ী হলে সবকিছু ঠিক আছে, নির্বাচন কমিশন ভালো, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভালো, পুলিশ ভালো, বিজিবি ভালো, নিরাপত্তা বাহিনী—সব ভালো। আর নির্বাচনে পরাজিত হলে সবাই মন্দ হয়ে যায়, দেশদ্রোহী বনে যায়। ভোট কারচুপি, ভোট জালিয়াতি ও সাজানো নির্বাচনের এন্তার অভিযোগ নিয়ে আসেন মাননীয়ারা। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে স্থূল কারচুপি হয়েছে, দাবি করলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ২০০১ সালের ফল যেমন আওয়ামী লীগের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না, তেমনি ২০০৮ সালের নির্বাচনের ফলও বিএনপি অদ্যাবধি মানতে পারেনি।
এই যে নির্বাচনে পরাজিত হলেই ফল মেনে না নেওয়ার অপসংস্কৃতি, এটা আমাদের গণতন্ত্রের প্রধান সমস্যা। আমাদের নেতা-নেত্রীরা কখনোই হারতে চান না। তাঁরা জনগণের ওপর ভরসা করেন না, ভরসা করেন দলীয় ক্যাডার-কর্মী-সমর্থক এবং কালোটাকা ও পেশিশক্তির ওপর। সেই পেশিশক্তি ও কালোটাকার জোরেও যখন তাঁরা নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পারেন না, তখন সব দোষ প্রতিপক্ষের ওপর চাপিয়ে রাজপথ উত্তপ্ত করতে থাকেন। আর আমাদের সরকারগুলো এতটাই নির্বোধ যে বিরোধী দলের হাতে একটার পর একটা ইস্যু তুলে দেয়। গত বছর পর্যন্ত বিরোধী দলের প্রধান অস্ত্র ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও শেয়ারবাজারে ধস। এ বছর তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হলমার্ক কেলেঙ্কারি, পদ্মা সেতু প্রকল্প জটিলতা, ইলিয়াস আলীর গুম হওয়া, সাবেক রেলপথমন্ত্রীর এপিএসের গাড়ি থেকে ৭৪ লাখ টাকা উদ্ধার ইত্যাদি। দিন যতই যাবে, বিরোধী দলের হাতে নতুন নতুন ইস্যু যুক্ত হবে। 
বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বাকসংযমী মানুষ বলে একটা সুনাম ছিল। তিনি কম কথা বলেন। যা বলেন তা হিসাব-নিকাশ করে বলেন। পারতপক্ষে কাউকে আঘাত করে, অসম্মান করে কথা বলেন, সেই বদনাম ছিল না। কিন্তু তাঁর সাম্প্রতিক কথাবার্তা শুনে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের সেই বিখ্যাত কবিতার লাইনই মনে পড়ল। ‘দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি তাই যাহা আসে কই মুখে’। গত মাসে দিনাজপুরে ১৮ দলীয় জনসভায় তিনি সরকারকে ‘মহাচোর’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। গত শনিবার হবিগঞ্জের জনসভায় বললেন, বিশ্বচোর। তাঁর ভাষায় ‘দেশ এখন বিশ্বচোর ও বিশ্ববেহায়ার কবলে পড়েছে।’ 
বিরোধী দলের নেতা আরও বলেছেন, ‘সরকার নাকে খত দিয়ে কানে ধরে ওঠবস করে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন করতে ফের রাজি করিয়েছেন।’ দিনাজপুরের জনসভায় খালেদা জিয়া সরকারি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খরা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের একহাত নিয়েছেন। হবিগঞ্জের জনসভায় হুমকি দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক)। বলেছেন, ‘ঠিকমতো কাজ না করলে ভবিষ্যতে ধরা হবে।’ দুদক একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। ভবিষ্যতে এ প্রতিষ্ঠানকে ধরার কথা বলে তিনি কি তাদের খামোশ করতে চাইছেন? 
দুই জনসভায়ই খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া নির্বাচন হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।’ দুই পক্ষের এ বিপরীত অবস্থানে জনগণের করণীয় কী? তারা কোথায় যাবে? এভাবে নির্বাচন নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মল্লযুদ্ধ কত দিন চলবে?
বিরোধীদলীয় নেতা যখন বলেন আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হবে না, তার একটা যুক্তি খুঁজে পাওয়া যায়। কেননা, আওয়ামী লীগের আন্দোলনের মুখে বিএনপিই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা চালু করেছিল। কিন্তু তিনি যখন দলীয় নেতা-কর্মীদের আওয়ামী লীগার আত্মীয়স্বজন সম্পর্কেও সতর্ক থাকতে বলেন, তখন মনে হয় রাজনীতি রাজনীতির মাঠ ছেড়ে এখন শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েছে। কে কার সঙ্গে আত্মীয়তা করবেন, আত্মীয়তা রাখবেন, সেসবও কি নেতা-নেত্রীরা ঠিক করে দেবেন? 
১৯৯৫-৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার লড়াই চালাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ জনতার মঞ্চ গড়েছিল, অসহযোগের ডাক দিয়েছিল। আমরা আশঙ্কা করি, বিএনপিও সেই পথ অনুসরণ করতে যাচ্ছে। খালেদা জিয়া বলেছেন, কোরবানির ঈদের পর তাঁরা কঠোর আন্দোলনে যাবেন, তাঁদের কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিলে ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে। বাংলাদেশ অনেকবারই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এসেছে। ভবিষ্যতে কেউ ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা বললে গলা শুকিয়ে যায়। ভয়াবহ পরিস্থিতি কাকে বলে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রামুর বৌদ্ধপল্লির বাসিন্দারা টের পেয়েছেন। বিরোধী দলের নেতা কি সারা দেশের মানুষকেই তা টের পাওয়াতে চান? বিরোধী দলের নেতা যখন বলেন, সরকার ও সরকারি দলের লোকেরা এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তখন তাঁর উচিত ছিল হবিগঞ্জে জনসভা না করে কক্সবাজারে যাওয়া। কেননা, সরকার ও সরকারি দলের মুখোশ উন্মোচন করাই বিরোধী দলের কর্তব্য। 
দুটি জনসভায় খালেদা জিয়ার এ চড়া মেজাজের ভাষণ শুনে মনে হচ্ছে, তিনি কোয়ার্টার ফাইনাল-সেমিফাইনাল শেষ করে এখন ফাইনাল রাউন্ডে এসে পড়েছেন। হয় জয় অথবা লয়। কিন্তু আমজনতার কী হবে? খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারকে ‘বিশ্বচোর’ এবং সরকারের অন্যতম শরিক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে বলেছেন বিশ্ববেহায়া। ১৯৮৮ সালে শিল্পী কামরুল হাসানই এ নামেই তাঁর একটি কার্টুন এঁকেছিলেন। আমাদের বিস্মৃত হওয়ার কথা নয় এই বিশ্ববেহায়াকে নিয়েই খালেদা জিয়া ১৯৯৯ সালে চারদলীয় জোট করেছিলেন। ২০০৬-০৭ সালেও সেই ‘বিশ্ববেহায়া’কে জোটে টানতে নানা প্রলোভন দেওয়া হয়েছিল। এখনো বিএনপির অনেক নেতা তাঁকে মহাজোট ছেড়ে চলে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন। বিএনপি বাইরে যতই এরশাদকে গালাগাল করুক না কেন, কাজী জাফর ও রওশনকে দিয়ে মহাজোট ভাঙার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বড় দুর্বলতা হলো সাবেক স্বৈরাচারকে নিয়ে দুই পক্ষই টানাটানি করছে।
দ্বিতীয় কথা হলো, খালেদা জিয়া এসব কথা বলেছেন কাদের পাশে রেখে? তাঁর মঞ্চে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন মুহসীন হলে সাত হত্যা মামলার দণ্ডিত আসামি, ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের আতঙ্ক নামে পরিচিত ব্যক্তিও। বিরোধী দলের নেতা গণতন্ত্র ও সুশাসন কায়েমের কথা বলেন। কিন্তু একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের নিয়ে কি তা সম্ভব? তিনি সরকারের সমালোচনা করতেই পারেন, কিন্তু শিষ্টতা ও শালীনতার সীমা অতিক্রম করা উচিত নয়। আমাদের দেশে অনেক নেতা-নেত্রীকে জিহ্বা সংবরণ না করার জন্য অনেক খেসারত দিতে হয়েছে, খালেদা জিয়াও কেন সেই দলে নাম লেখালেন? তিনি কি মনে করেন, আগামী নির্বাচনে বিজয়ের জন্য এসব অশিষ্ট ও কড়া ভাষাই উত্তম অস্ত্র? ১৯৯১, ২০০১ সালে কিন্তু তিনি এসব অশিষ্ট ভাষা ব্যবহার না করেই নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। রাজনীতিতে মত ও পথের ভিন্নতা থাকবে, নীতি ও আদর্শের লড়াই চলবে। কিন্তু সেসব ছাপিয়ে এখন ব্যক্তিগত কুৎসা ও বিদ্বেষ প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠছে। 
নেতা-নেত্রীদের মনে রাখা উচিত, সারা দেশে তাঁদের বিশাল কর্মিবাহিনী আছে, ভক্ত-অনুসারী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীরা আছেন, কিন্তু তাঁরা যদি তাঁদের ভাষা-ভঙ্গি অনুসরণ করেন, তা হলে দেশে রক্তারক্তি ঘটে যেতে পারে। এই যে নতুন প্রজন্মের কাছে, ভবিষ্যৎ নাগরিকদের কাছে তাঁরা কী উদাহরণ রেখে যাচ্ছেন? অনেকে বলবেন, ‘অপর নেত্রী’ এর চেয়ে বেশি অশিষ্ট ভাষায় কথা বলেন। মানুষ ভালোকেই অনুসরণ করে, মন্দকে নয়। 
কয়েক দিন আগে বিএনপির একজন প্রভাবশালী সাংসদের কাছে বিষয়টি তুললে তিনি বলেছিলেন, ‘দিনাজপুরে ম্যাডাম যে ভাষায় কথা বলেছেন, তাতে আমরাও বিস্মিত হয়েছি। এটি ছিল এত দিনকার বক্তৃতা-বিবৃতির বিপরীত।’ কিন্তু সেই সঙ্গে তিনি এ-ও বললেন, কখন বিরোধীদলীয় নেতা এসব কথা বলছেন, যখন সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। তাঁকে প্রায় ৪০ বছরের পুরোনো বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। সংসদের ভেতরে-বাইরে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া সম্পর্কে অশালীন বক্তব্য দেওয়া হয়।
এসব হয়তো সত্য। তার চেয়েও বেশি সত্য একই আচরণ বিএনপি তথা চারদলীয় জোটের নেতা-নেত্রীরা, সাংসদেরাও করেছেন। কয়েক মাস আগে সংসদ যে স্পিকারের ভাষায় মাছের বাজার হয়ে গিয়েছিল, তার শুরুটা করেছিলেন বিএনপির পেছনের সারির সদস্যরাই। 
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সমালোচনায় নেতা-নেত্রীরা কি আরেকটু মার্জিত হতে পারেন না? এ দেশেরই জননন্দিত নেতা-নেত্রী তাঁরা, পালা করে একজন প্রধানমন্ত্রী, আরেকজন বিরোধীদলীয় নেতা হন, কিন্তু সম্পর্ককে পাঞ্জাবি বনাম বাঙালিদের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সমীচীন নয়। 
রোম যখন পুড়ছিল, তখন নাকি নিরো বাঁশি বাজিয়েছিলেন। আজ রামু, উখিয়া ও পটিয়ায় যখন বৌদ্ধপল্লিগুলো জ্বলছে, যখন সেখানে আমাদের বৌদ্ধ ভাইবোনেরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তখন নেতা-নেত্রীরা একে অপরকে ‘বিশ্বচোর’ ও ‘চোরের মায়ের বড় গলা’ বলে বাগ্যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের কেউই আক্রান্ত বৌদ্ধদের পাশে দাঁড়ান না, অভয় দেন না।
দিনাজপুর ও হবিগঞ্জের জনসভায় খালেদা জিয়ার দেওয়া ভাষণ শুনে আমাদের এক সহকর্মী প্রশ্ন করলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসেই গেল নাকি? না হলে তাঁদের নেতা দেড় বছর আগে থাকতেই এমন হুমকি-হুংকার ছাড়বেন কেন? আরেকজন বললেন, ক্ষমতায় এসে গেছে, তা সত্য নয়। বরং ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নানা কসরত শুরু হয়েছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কীভাবে? তিনি বললেন, কিছুদিন আগেও যে দলের নেতারা বলতেন—আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি, দিল্লি-ওয়াশিংটন অক্ষশক্তি তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, সেই দিল্লি-ওয়াশিংটনের কৃপা পেতে তারা উদ্গ্রীব, এমনকি দলের নেত্রী বৃহৎ প্রতিবেশী দেশটির বন্ধুত্ব কামনা করে বিদেশি পত্রিকায় নিবন্ধ লিখেছেন। 
কী বিচিত্র ক্ষমতার রাজনীতি। 


‘বিএনপি কি ক্ষমতায় এসেই গেছে?’ - প্রথম আলো

নোটে চলে জীবাণুর লেনদেন



টাকা কত হাত ঘোরে। কত কিছু লেগে থাকে। নোটে নোটে হয় লাখ লাখ জীবাণু লেনদেন। সেসব জীবাণু থেকে ভয়ংকর সব রোগ-ব্যাধি মানুষের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। আজ সোমবার ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’য় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
খবরে বলা হয়, সম্প্রতি ভারতের তিন বিজ্ঞানী ই কে ইলুমালাই, আর্নেস্ট ডেভিড ও জে হেমচন্দ্রন টাকায় লেগে থাকা জীবাণুর ভয়াবহতা অনুসন্ধান করেছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে তামিলনাড়ুর ভেল্লোরে বাসের কয়েকজন কন্ডাক্টর, মাছ ও সবজি বিক্রেতার কাছ থেকে পাঁচ ও ১০ টাকার বেশ কিছু নোট সংগ্রহ করেন তাঁরা। সেগুলো বায়ুনিরোধক পরিষ্কার কৌটায় রাখা হয়। এরপর গবেষণাগারে পরীক্ষা করে দেখা যায়, বারবার হাতবদলের ফাঁকে নোটগুলোতে হরেক রকমের জীবাণু বাসা বেঁধেছে। তার মধ্যে ছিল সংক্রামক কয়েকটি রোগের ব্যাকটেরিয়া, যেগুলো থেকে ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে। নানা অসুখ ছড়াতে পারে শ্বাসযন্ত্র ও পাকযন্ত্রে। খাদ্যে বিষক্রিয়াও হতে পারে। এমনকি মেনিনজাইটিস, সেপটিসেমিয়ার মতো জটিল রোগও হতে পারে।
‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব অকুপেশনাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল মেডিসিন’ পত্রিকার অক্টোবর মাসের সংস্করণে এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হবে।
গবেষক দলটির অন্যতম সদস্য ভেল্লোরের থিরুভাল্লুভার বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈবপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আর্নেস্ট ডেভিড জানিয়েছেন, টাকায় যে বিভিন্ন রোগজীবাণু থাকে, সে ব্যাপারে সবাই সচেতন নন। নোট গোনার সময় অনেকেই জিভের লালায় আঙুল ভিজিয়ে নেন। রাস্তাঘাটে খাবার কিনে খাওয়ার ক্ষেত্রেও একই বিপদ। হাতে কোনো ক্ষত থাকলে তা দিয়েও নোটের জীবাণু শরীরে ঢুকে পড়তে পারে।
আর্নেস্ট ডেভিড বলেন, দোকান-বাজার থেকে পাঁচতারা হোটেল—সর্বত্রই টাকার অবাধ বিচরণ। সময়ে-সময়ে অসংখ্য মানুষের কাছে পৌঁছায় সেগুলো। এতে সহজেই একজনের থেকে অন্য জনের শরীরে রোগজীবাণু ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তবে গবেষকেরা এটাও জানিয়েছেন, পরিচ্ছন্নতার সহজ কিছু নিয়ম মানলেই নোটে থাকা জীবাণুর আক্রমণ ঠেকানো সম্ভব। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে স্মার্ট কার্ডে লেনদেন করলেও এই বিপদ খানিকটা কমে আসে।
কলকাতার একটি হাসপাতালের এক ভাইরাস-বিশেষজ্ঞ বলেন, টাকা কিছুটা পুরোনো হলে ধুলো জমে সেগুলো কালচে হয়ে যেতে থাকে। প্রচুর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস নোটগুলোর ওপর লেগে থাকে। আর্দ্র আবহাওয়ায় টাকার নোটে কিছুটা জলীয়বাষ্প জমে থাকে। তা ওই জীবাণুগুলোকে নোটের ওপর টিকে থাকতে সাহায্য করে। অপরিচ্ছন্ন ঘিঞ্জি এলাকায় বাজারের নোটে ব্যাকটেরিয়া বেশি থাকে। সর্দি-কাশি থাকলে ওই ব্যক্তির কাছে থাকা নোটে তার রোগের জীবাণুর হদিস মিলতে পারে। ফলে নোটের মাধ্যমে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা অমূলক নয়।
গবেষক দলের সদস্য ডেভিড জানিয়েছেন, নমুনা হিসেবে যে নোটগুলো নেওয়া হয়েছিল, তার সব কটিতেই রোগজীবাণু মিলেছে। পুরোনোগুলো তো বটেই, নতুন নোটেও কমপক্ষে আট রকমের ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে: এসচেরিচিয়া কোলাই, প্রোটিয়াস মিরাবিলিস, স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস ও সালমোনেল্লা, ব্যাসিলাস, সিউডোমোনাস, ভিব্রিও প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া। 
চিকিত্সক অভিজিত্ জানিয়েছেন, বিশেষ ক্ষেত্রে ওই সব ব্যাকটেরিয়া মানবদেহে ত্বক, খাদ্যনালি, শ্বাসনালি, রেচননালির বিভিন্ন অংশে সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম।
টাকা জীবাণুমুক্ত করার কয়েকটি উপায়ও বলেছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলেছেন, ব্যাংকে নোট পৌঁছালে অতিবেগুনি রশ্মি দিয়ে বা কোনো রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সেগুলো জীবাণুমুক্ত করে নেওয়া সম্ভব। 
গবেষক আর্নেস্ট ডেভিড বলেন, কিছুটা সতর্ক হলেই ওই সংক্রমণ থেকে বাঁচা যায়। টাকা লেনদেন ও রাস্তাঘাটে খাওয়ার সময় এ কথা মনে রাখাটা খুব জরুরি।


নোটে চলে জীবাণুর লেনদেন - প্রথম আলো

ড্রাগনের মহাকাশ যাত্রা


শাটল যুগের সমাপ্তির পর প্রথমবারের মতো ব্যক্তিমালিকানাধীন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স নির্মিত ‘ড্রাগন’ কার্গো যানটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের পথে (আইএসএস) রওনা হয়েছে। রোববার রাত আটটা ৩৫ মিনিটে ফ্লোরিডা থেকে ফ্যালকন রকেটে করে এ কার্গো যানটিকে পাঠানো হয়েছে। ১০ অক্টোবর বুধবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছাবে ড্রাগন আর ফিরবে চলতি মাসের শেষ নাগাদ। খবর বিবিসির।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের ছয়জন নভোচারীর জন্য প্রয়োজনীয় খাবার, পোশাকসহ অন্যান্য সরঞ্জাম বয়ে নিয়ে যাবে স্পেসএক্স নির্মিত ড্রাগন। এ মহাকাশযানাটি ৪০০ কেজি পর্যন্ত মালামাল বহন করতে সক্ষম। 
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে চুক্তিতে স্পেসএক্স ড্রাগন নামের এ কার্গো যানটি তৈরি করেছে। এ জন্য নাসার পক্ষ থেকে স্পেসএক্সের সঙ্গে ১০৬ কোটি ডলারের চুক্তি করা হয়েছিল। চলতি বছরের মে মাসে পরীক্ষামূলকভাবে স্পেসএক্সের ‘ড্রাগন’ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিল। 
স্পেসএক্স ছাড়াও নাসার হয়ে অরবিটাল সায়েন্সেস করপোরেশন (ওসিএস) নামের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কার্গো যান তৈরির জন্য কাজ করছে। এ প্রতিষ্ঠানটি আগামী বছর নাগাদ ‘অ্যান্টারেস’ রকেট ও রোবোটিক যান ‘সিগনাস’ পরীক্ষা চালাবে। পরীক্ষা সফল হলে নাসা ওসিএসের সঙ্গে ১৯০ কোটি ডলারের চুক্তি করবে।
বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের তৈরি কার্গো যান ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়ার কাজ ছাড়াও মহাকাশ ভ্রমণসংক্রান্ত ব্যবসার বিষয়টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের হাতেই ছেড়ে দিচ্ছে নাসা। এ সুযোগ নিয়ে স্পেসএক্স তাদের ড্রাগন কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছে। ড্রাগনে নিরাপত্তাব্যবস্থা ও টিকে থাকার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করে কয়েক বছরের মধ্যে নিয়মিত মহাকাশ সার্ভিস হিসেবে ড্রাগনকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে মহাকাশযান নির্মাতা স্পেসএক্স।
নাসার প্রশাসনিক কর্মকর্তা চার্লস বোলডেন এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের হাতে যাতায়াত ব্যবস্থার ভার ছেড়ে দিলে নাসা সৌরজগতের বাইরে অনেক বিষয় নিয়ে ভাবার সুযোগ পাবে।


ড্রাগনের মহাকাশ যাত্রা - প্রথম আলো

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন স্যার গর্ডন ও ইয়ামানাকা



জন গর্ডন ও সিনইয়া ইয়ামানাকা
জন গর্ডন ও সিনইয়া ইয়ামানাকা
স্টেম সেল গবেষণায় অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর চিকিৎসায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের গবেষক স্যার জন গর্ডন ও জাপানের গবেষক সিনইয়া ইয়ামানাকা। আজ সোমবার এক খবরে জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাজ্যের স্যার জন গর্ডন এবং জাপানের গবেষক সিনইয়া ইয়ামানাকা এমন একটি পদ্ধতি নিয়ে কাজ করেছেন যে পদ্ধতিতে পূর্ণবয়স্ক কোষ থেকে প্রাথমিক স্টেম সেল তৈরি করা সম্ভব হয়েছে এবং এই প্রাথমিক স্টেম সেল বা কোষ থেকে পরবর্তীতে যে কোনো ধরনের টিস্যু বা কলা তৈরি করা সম্ভব। 
১৯০১ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে সর্বপ্রথম নোবেল পুরস্কার লাভ করেন এমিল ভন বোরহিং। বোরহিং মূলত ডিপথেরিয়া রোগের চিকিৎসায় সেরাম থেরাপি আবিষ্কারের জন্য এ পুরস্কারটি পেয়েছিলেন। 
১৯০১ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ১০২ বারে মোট ১৯৯ জনকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। ২০১১ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুস বাটলার, ফ্রান্সের জুলস হফম্যান ও কানাডার রালফ স্টেইনম্যান। 
প্রসঙ্গত, চিকিৎসাক্ষেত্রে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয় স্টকহোমের ক্যারোলিনাস্কা ইনস্টিটিউট থেকে।


চিকিৎসায় নোবেল পেলেন স্যার গর্ডন ও ইয়ামানাকা - প্রথম আলো

Sunday, October 7, 2012

৬০ পেরোল বারকোড!




বারকোড পেটেন্টের ৬০তম জন্মদিন আজ ৭ অক্টোবর। কোনো ক্যান বা প্যাকেটজাত পণ্যের গায়ে একসঙ্গে কয়েকটি কালো সরলরেখার যে দাগ, মূলত এটিই বারকোড নামে পরিচিত। বারকোডের মাধ্যমে কোনো পণ্য-সম্পর্কিত তথ্য কোড আকারে জুড়ে দেওয়া হয়; যা লেজারযুক্ত যন্ত্র পড়তে পারে। খবর বিবিসির।
১৯৪৯ সালের ২০ অক্টোবর বারকোডের উদ্ভাবক উডম্যান ও সিলভার ‘ক্লাসিফায়িং অ্যাপারেটাস অ্যান্ড মেথড’ নামে একটি পেটেন্টের আবেদন করেছিলেন। এ কোডের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে কোনো কোড পড়ার ব্যবস্থার কথা ছিল। ১৯৫২ সালের ৭ অক্টোবর এ পেটেন্ট অনুমোদন দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট অফিস।
যুক্তরাজ্যের বারকোড নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান জিএস১ জানিয়েছে, সারা বিশ্বে বর্তমানে ৫০ লাখেরও বেশি ভিন্ন ভিন্ন বারকোড ব্যবহূত হচ্ছে। ১৯৫২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট অফিস এ কোডটির পেটেন্টের অনুমতি দিলেও ১৯৭৪ সালের আগ পর্যন্ত এ কোড ব্যবহার শুরু হয়নি। কারণ, এ কোড পড়তে যে লেজারের প্রয়োজন পড়ত, তা তখনো সহজলভ্য ছিল না।
যুক্তরাজ্যের বারকোড নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান জিএস১ ভাষ্য, বর্তমানে বারকোডের স্থান করে নিচ্ছে কিউআর কোড। কিউআর কোড হচ্ছে দ্বিমাত্রিক চিত্রের আদলের এক ধরনের বিশেষ কোড। এ কোডের মধ্যে টেক্সট, ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা থেকে শুরু করে বিশেষ বা উল্লেখযোগ্য ঘটনার তারিখও দেওয়া থাকে। এ ধরনের কোড মুঠোফোনের সাহায্যে স্ক্যান করা হলে ওয়েবসাইট লিংক তৈরি করতে পারে এবং স্মার্টফোনের পর্দায় সংশ্লিষ্ট তথ্য দেখাতে পারে। কিউ আর কোডের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি বারকোডের জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করবে না। কারণ কিউআর কোড বারকোডের চেয়ে বেশি তথ্য ধারণ করে এবং এর বহু ব্যবহার। আর বারকোডে সাধারণত কোনো টিন বা প্যাকেটজাত পণ্যের দাম ও পণ্যসংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য থাকে।
১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো চিউয়িংগামের প্যাকেটে বারকোড স্ক্যান করা হয়েছিল। তবে বারকোডের ব্যবহার ওই সময় ততটা জনপ্রিয়তা পায়নি। যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক সময়ে শরীরের উল্কি হিসেবে বারকোডের ব্যবহার শুরু হয়েছে।


৬০ পেরোল বারকোড! - প্রথম আলো