TECH GURU, TECH-SCIENCE NEWS

"I celebrate myself, and sing myself,
and what I assume you shall assume,
for every atom belonging to me as good belongs to you."

Friday, December 27, 2013

কী করছেন? সাবধান, কেউ দেখছে!

অনলাইন বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহে মরিয়া হয়ে উঠছে। সামাজিক যোগাযোগের প্রোফাইল থেকে শুরু করে মেইল ও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর পিছু তাড়া করছে তারা। অনলাইন বিজ্ঞাপনদাতাদের গোপনে গোয়েন্দাগিরির বিষয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। আপনি ফেসবুক, টুইটার, লিংকডইন, গুগল প্লাসে যখন নিশ্চিন্ত মনে কোনো বিষয় নিয়ে মন্তব্য লিখছেন, তখন অনলাইন বিজ্ঞাপনদাতারা কিন্তু বসে নেই। বিভিন্ন সফটওয়্যার, অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে আপনার ওপর গোপন নজরদারি করছে তারা। অনলাইনে আপনি কখন কী করছেন, ফেসবুকে কী লিখছেন, কী টুইট করছেন, বন্ধুবান্ধবের কাছে কী মেইল পাঠাচ্ছেন—সবকিছু নজরদারিতে রেখে আপনার একটা প্রোফাইল তৈরি করছে তারা। আপনার তথ্য সংগ্রহ করার পর সে অনুযায়ী আপনাকে বিজ্ঞাপন সরবরাহ করার লক্ষ্য তাদের। প্রশ্ন উঠেছে, শুধু কি বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্যই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে? ভারতের প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানান, অনলাইনে গোয়েন্দাগিরি এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে শুধু বিজ্ঞাপন দেখানোতেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। এখন সাইবার প্রতারণার কাজেও এ তথ্য ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানান, অনলাইন থেকে ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহের এ পদ্ধতিটির একটি ভদ্রস্থ নাম হচ্ছে ‘ম্যাপিং’। অনলাইন ব্যবহারকারীদের আচরণ বিশ্লেষণ করে সে তথ্য কাজে লাগানোর পদ্ধতি এটি। অবশ্য বাজার গবেষকেরা জানান, অনলাইন ব্যবহারকারীদের সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের প্রোফাইল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা দিয়ে অর্থ আয়ের পদ্ধতি বের করার ঘটনা অবশ্য একেবারে নতুন নয়। কিন্তু এ বিষয়টি ক্রমশ বাড়ছে। ২০১৪ সালে এ ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে। ভারতের ইগনাইট ডিজিটাল সার্ভিসেস নামের একটি অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী অতুল হেজ জানান, ম্যাপিং সাধারণত দুই ধাপে সম্পন্ন হয়। যেসব ওয়েবসাইটে শুধু ব্যবহারকারীরা কনটেন্ট দেখতে যান, সেখানে কতক্ষণ থাকেন এবং কী ধরনের কনটেন্ট দেখেন, সে তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। আর যে ওয়েবসাইটগুলোতে ব্যবহারকারী প্রোফাইল তৈরি করেছেন, সেখান থেকে তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। অনেক সময় ব্যবহারকারীর ই-মেইল স্ক্যান করে এবং ই-মেইলে ব্যবহূত শব্দগুলোর ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয়। বাজার গবেষকেরা জানান, অনলাইনে কোনো ওয়েবসাইটের গ্রাহক আচরণ বুঝতে গিয়ে বিপণনকারীরা ম্যাপিংয়ের চেয়েও বেশি কিছু করে ফেলছেন। ম্যাপিংয়ের ক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহের জন্য যেসব সফটওয়্যার, অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা হয়, বেশির ভাগই তা ব্যবহারকারীর প্রাইভেসি বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন। অনেক ক্ষেত্রে এমন সব অ্যাডওয়্যার ব্যবহূত হয়, যা ব্যবহারকারীর অজান্তে ব্যক্তিগত সব তথ্য সংগ্রহ করে। এইচডিএফসি নামের অনলাইন মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী সঞ্জয় ত্রিপাটি জানিয়েছেন, অনলাইন ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য প্যাকেজ আকারে কিনতে পাওয়া যায়। অনলাইন বিজ্ঞাপন ব্যবসায়ীরা অনেক সাইট থেকে এ ধরনের তথ্য নিলামে কিনে নেয়। কোনো ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য অনলাইন ব্যবহারকারীদের আচরণ অনুযায়ী তারা বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়। এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা শুধু ডেটা বা তথ্য কীভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে, তা নিয়ে না ভেবে ডেটা কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়েই বেশি ভাবেন। আপনি কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন, তা আপনার অগোচরে গোয়েন্দারা যেমন যেনে নিতে পারে। তেমনি আপনার সঙ্গে থাকা স্মার্টফোনটিও অগোচরে আপনার সব তথ্য অন্যের হাতে তুলে দিতে পারে। আপনার পেছনে কোনো গোয়েন্দা না থাকলেও মুঠোফোনের অ্যাপ্লিকেশনের লোকেশন ট্র্যাকিং বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সময় লোকেশন বা অবস্থান ট্র্যাক করার বিষয়টিতে সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা। গবেষকেরা জানান, মুঠোফোন লোকেশন ট্র্যাকিং করে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করে এবং সেই তথ্য বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে বিক্রি করে। সম্প্রতি বিবিসি অনলাইনের এক খবরে বলা হয়েছে, অ্যান্ড্রয়েডের জনপ্রিয় একটি অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করার প্রমাণ পেয়েছে মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি)। এফটিসি জানিয়েছে, প্রায় এক কোটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য অনুমতি ছাড়াই সংগ্রহ করেছে গোল্ডেনশোরস টেকনোলজি নামের একটি অ্যাপ নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান। প্রযুক্তি গবেষকেরা জানিয়েছেন, গোল্ডেনশোরস টেকনোলজি যা করেছে তা অধিকাংশ অ্যাপ্লিকেশন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই ঘটছে। জিপিএস ট্র্যাকিং করে ব্যবহারকারীদের নিয়ে বিজ্ঞাপন ব্যবসা করছে তারা।

অ্যালকাটেল আইডল এক্স প্লাস

চীনের প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা টিসিএল সম্প্রতি অ্যালকাটেল ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন বাজারে এনেছে। পাঁচ ইঞ্চি মাপের ফুল এইচডি ডিসপ্লেযুক্ত অ্যান্ড্রয়েড জেলি বিন অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর ‘আইডল এক্স প্লাস’ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে অক্টা কোরের প্রসেসর। চীনের বাজারে এই স্মার্টফোনটির দাম ৩৩০ মার্কিন ডলার। প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট এনগ্যাজেট চায়না জানিয়েছে, বিশেষ বুম ব্যান্ড স্মার্টঘড়ির সঙ্গে প্যাকেজ হিসেবে অ্যালকাটেল স্মার্টফোনটি বাজারে এনেছে টিসিএল। টিসিএলের তৈরি স্মার্ট হাতঘড়িটি স্মার্টফোনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে। স্মার্টফোন ভুলে কোথাও ফেলে রাখলে এই হাতঘড়িটি সংকেত দেবে। এ ছাড়াও ব্যবহারকারীর শরীরের রক্তচাপ, হূত্স্পন্দন পরীক্ষা করতে পারে এই হাতঘড়ি। টিসিএল জানিয়েছে, এ বছর বাজারে আসা আইডল এক্স স্মার্টফোনটির পরবর্তী সংস্করণ হচ্ছে আইডল এক্স প্লাস। দুই গিগাবাইট র‌্যাম ও ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাযুক্ত স্মার্টফোনটি চীন ছাড়াও অন্যান্য দেশে বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে টিসিএল।

Wednesday, December 25, 2013

আসিফ নজরুল ও হুমায়ুনকণ্যা শীলার বিয়ে

আসিফ নজরুল আবারও বিয়ে করলেন। এবার কনে হুমায়ূন আহমেদতনয়া শীলা আহমেদ। মাস দুয়েক আগে আসিফ নজরুলের সঙ্গে শীলা আহমেদের বিয়ে হয়েছে বলে আসিফ নজরুলের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র প্রথম আলো ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন। আসিফ নজরুল ও শীলা আহমেদের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টের কভার ছবি হিসেবে দুজনের ঘনিষ্ঠ একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে।
ওই সূত্র আরও জানায়, ১০-১২ বছর আগে আসিফ-শীলার বিয়ের জোরালো গুঞ্জন উঠেছিল। তবে সে সময় তাঁদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও তা বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। গত দুই মাস আগে তা বিয়েতে রূপলাভ করেছে। দুই মাস আগে তাঁদের বিয়ের কাজটি সম্পন্ন হলেও এত দিন বিষয়টি অনেকটা অজানাই ছিল। আসিফ-শীলা দুজনের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একান্ত মুহূর্তের ছবি প্রকাশের পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। আসিফ নজরুলের সঙ্গে এর আগে অভিনয়শিল্পী রোকেয়া প্রাচীর বিয়ে হয়েছিল। সেই সংসারে ছয় বছরের একটি সন্তানও রয়েছে। অন্যদিকে শীলা আহমেদও এর আগে একবার বিয়ে করেছিলেন। ওই সংসারে চার বছর ও দুই বছর বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে। দুজনেরই কয়েক মাস আগে বিচ্ছেদ হয়েছে বলে জানা গেছে। http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/107962/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A8%E0%A7%87_%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AB_%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2_%E0%A6%93_%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%82%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE_%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B2%E0%A6%BE

Monday, December 23, 2013

Big Data vs. Small Data Strategies for Next Generation Business

প্রায় এক বছর পর আমার একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হল। প্রকাশক যুক্তরাষ্ট্রের মাইন্ডকমার্স পাবলিকেশন। আমার গবেষণার বিষয় ছিল Big Data vs. Small Data Strategies for Next Generation Business তথ্য বা ডাটা নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো কী করতে পারে এবং ব্যবসা মডেল কেমন হতে পারে তা নিয়ে এই গবেষণা। বড় ডাটা ও ছোট ডাটা নিয়ে অনেক ব্যবসা করা যায়। এটি আমার তৃতীয় গবেষণাপত্র। আমি শিগগিরই চতুর্থটির জন্য কাজ শুরু করব। সবার কাছে দোয়া চায়। গবেষণাপত্রটির বিষয়বস্তু দেখে নিতে পারেন। আশা করি এই গবেষণাপত্রে আমার নাম না থাকলেও আন্তর্জাতিক বেশ কিছু মিডিয়ায় এই বিষয়টি নিয়ে চর্চা হবে। The data market is booming with an ever increasing valuation. In the virtual data ocean, Big Data and small data are complementary strategies at one level and choices of scale/scope at a different level. While Big Data holds distant promises, leveraging “small data” can provide great benefits to small-to-medium business (SMB) as well as large corporations. Simply stated, the cost-performance barrier leaves many lucrative markets inadequately served by Big Data approaches. Carefully chosen data solutions and models should be more accurate, objective, and ultimately lead to improved ROI especially for more near-term time horizons and/or companies with limitations in scale/scope. This research provides the reader with an understanding of data management issues, challenges and opportunities relative to Big Data and small data approaches. The report includes analysis of small data practices and emerging small data business models and scenarios. This report evaluates strategies, considerations, and planning for a so-called “small data” strategy. It also compares and contrasts Big Data vs. small data strategies in terms of company capabilities and focus. The report also evaluates the future of Big Data including emerging business models and practices. Target Audience: SMB of all types Big Data companies Social network companies Telecom service providers Data services and analytics companies Cloud and telecom infrastructure providers Table of Contents: 1.0 EXECUTIVE SUMMARY 5 2.0 DATA TREND ANALYSIS 7 2.1 DATA SEARCH 7 2.2 DATA QUALITY 8 2.3 TIMED DATA DELIVERY 9 2.4 DATA STORAGE CAPACITY 10 2.5 DEFINING BIG & SMALL DATA INCLUDING SOURCING 12 2.6 BIG DATA VS. SMALL DATA DIFFERENTIATION 13 2.6.1 DATA MINING 13 2.6.2 DATA PURPOSE 13 2.6.3 KEY DECISIONS 13 2.7 DECISION PARAMETERS FOR BIG VS. SMALL DATA 14 2.8 USABILITY OF SMALL VS. BIG DATA IN MARKETING 15 3.0 BIG DATA MARKET ADVANCEMENT AND FORECAST 2014 - 2020 17 3.1 BIG DATA MARKET TREND 17 3.1.1 TRENDS IN THE ADVANCE OF BIG DATA 17 3.1.2 BIG DATA ANALYTICS 18 3.1.3 BIG DATA MARKET FORECAST 18 3.1.4 CASE STUDIES & STRATEGIC RECOMMENDATION FOR START-UP BUSINESSES 19 3.2 BIG DATA VALUE CHAIN 22 3.2.1 CREATING TRANSPARENCY 22 3.2.2 ENABLING EXPERIMENTATION 22 3.2.3 SEGMENTING POPULATIONS TO CUSTOMIZE ACTIONS 23 3.2.4 REPLACING/SUPPORTING HUMAN DECISION MAKING WITH AUTOMATION 23 3.2.5 INNOVATING NEW BUSINESS MODELS, PRODUCTS, AND SERVICES 23 3.3 BIG DATA IMPLEMENTATION RECOMMENDATIONS 23 3.3.1 FOR VENDOR COMPANY 23 3.3.2 INDUSTRY VERTICAL 24 3.3.3 CONSIDERATION FOR INDUSTRY STRUCTURE 24 3.4 BIG DATA TECHNIQUES 24 3.4.1 A/B TESTING 25 3.4.2 ASSOCIATION RULE LEARNING 25 3.4.3 CLASSIFICATION 25 3.4.4 CLUSTER ANALYSIS 25 3.4.5 CROWD SOURCING 26 3.4.6 DATA FUSION AND DATA INTEGRATION 26 3.4.7 DATA MINING 26 3.4.8 OTHER TECHNIQUES 26 3.5 BIG DATA TECHNOLOGY 27 3.6 BIG DATA INDUSTRY INSIGHTS & ANALYSIS 27 3.6.1 US HEALTHCARE 28 3.6.2 EUROPE PUBLIC SECTOR ADMINISTRATION 28 3.6.3 GLOBAL PERSONAL LOCATION DATA 28 3.6.4 US RETAIL INDUSTRY 28 3.6.5 GLOBAL MANUFACTURING INDUSTRY 28 3.6.6 ANALYSIS 28 3.7 CASE STUDIES 29 3.8 EMERGING BUSINESS MODELS 30 3.8.1 AGGREGATING AND SYNTHESIZING PATIENT CLINICAL RECORDS/CLAIMS 30 3.8.2 ONLINE PLATFORMS AND COMMUNITIES 30 3.8.3 PUBLIC HEALTH 31 3.8.4 RETAIL INDUSTRY 31 3.8.5 PLACEMENT AND DESIGN OPTIMIZATION 32 3.8.6 PRICE COMPARISON SERVICES 33 3.8.7 WEB-BASED MARKETS 33 3.8.8 PERSONAL LOCATION DATA 33 3.8.9 SMART ROUTING 34 3.8.10 AUTOMOTIVE TELEMATICS 34 3.8.11 MOBILE LOCATION-BASED SERVICES 35 3.8.12 SHOPALERTS 35 3.8.13 CIVIC POWERED MODEL 35 4.0 SMALL DATA 37 4.1 DIFFERENCE VS. RELATIONSHIP WITH BIG DATA 37 4.2 SMALL DATA TECHNOLOGIES 38 4.3 HOW TO ANALYZE SMALL DATA? 38 4.4 HOW BANKS ARE LEVERAGING DATA 39 4.5 SMALL DATA MODELING IN THE CLOUD 39 4.6 SMALL DATA PROBLEMS IN MASS MARKET 40 5.0 SMALL DATA DRIVEN EMERGING BUSINESS MODELS 41 5.1 SOCIAL NETWORK 41 5.1.1 CASE STUDY: RENREN 41 5.2 LITTLE DATA CONTROLLING 42 5.3 KEY CONSIDERATION FOR DELIVERING SMALL DATA STRATEGY 43 5.4 SMALL DATA FRAMEWORK 44 5.5 SMALL DATA PRINCIPLES 45 5.6 SMALL DATA WITH BIG IMPACT 45 5.7 CASE STUDIES 45 5.7.1 THE REAL DELI 45 5.7.2 GOOGLE 46 5.7.3 ADOBE 46 5.7.4 FOURSQUARE 47 5.7.5 TWITTER 47 5.7.6 ATTIVIO 47 5.7.7 OTHER COMPANIES 47 5.8 RECOMMENDATION 47 5.8.1 FOR E-COMMERCE COMPANY 47 5.8.2 FOR MULTI-STORE CHAINS 48 5.9 GUIDELINES FOR SMALL DATA BEST PRACTICES 48 6.0 CONCLUSIONS 49 List of Figures Figure 1: Data Search Trends in Google 2009 – 2013 7 Figure 2: Global Data Search, Generation, and Delivery Trends 9 Figure 3: Global digital vs. Analog Data Storage Capacity 1986 – 2021 11 Figure 4: Big Data Market Value 2011 - 2020 19 Figure 5: Big Data Value Chain 22 Figure 6: Small Data Implementation Framework 45 List of Tables Table 1: Decision Points for using Big Data 14 Table 2: How Small Data is Different 37

Tuesday, December 17, 2013

দেবযানির বস্ত্রহরণ আর আমাদের উত্তাপ

কেন হল সুন্দরী দেবযানির বস্ত্রহরণ? কী এমন ছিল সুন্দরী দেবযানির কাছে যে তাঁকে নগ্ন করে পরীক্ষা করতে হল? গৃহপরিচারিকাকে বেতন কম দেওয়ার কারণে যে মামলা তার বিরুদ্ধে তার চেয়ে হাস্যকর আর কী হতে পারে? সুন্দরী দেবযানি সঙ্গে করে তো কোনো পিস্তল বা অস্ত্র রাখেননি। তবে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের যে অবনতি তা এই দেবযানি মামলাতেই পরিস্কার। বাংলাদেশের রাজনীতির উত্তাপ যে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রকে তাতাচ্ছে তা আর না বললেও চলছে। আমেরিকা কর্তৃক সুন্দরী দেবযানির বস্ত্রহরণ বাংলাদেশ প্রশ্নে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের এক বাস্তব রূপ। নিউইয়র্কের ভারতীয় কনস্যুলেটর ডেপুটি কনসাল জেনারেল দেবযানির বাবা উত্তম খোবরাগাড়ে দাবি করেছেন যে তাঁর মেয়েকে কূটনৈতিক সম্পর্কের ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হয়েছে। দেবযানিকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য উত্তম খোবরাগাড়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।উত্তম খোবরাগাড়ে বলেছেন, সরকার তাঁর মেয়েকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে। দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তাঁর মেয়েকে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। নিউইয়র্কে নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানি খোবরাগাড়েকে (৩৯) গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একজন গৃহকর্মীকে ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে যেসব তথ্য দিয়েছেন, তাতে মিথ্যাচার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ জানিয়েছে, দেবযানি ওই গৃহকর্মীকে যে মজুরি দিচ্ছেন, তা যুক্তরাষ্ট্রের আইনানুযায়ী সর্বনিম্ন মজুরির চেয়ে কম। দেশটিতে সর্বনিম্ন মজুরি চার ডলার প্রতি ঘণ্টা। যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ দেবযানিকে কারাগারে বিবস্ত্র করে তল্লাশি করেছে, মাদকাসক্তদের সঙ্গে একই কক্ষে আটক করে রেখেছে এবং তাঁর ডিএনএ নমুনাও সংগ্রহ করেছে। দেবযানির ঘটনায় পুরো ভারত এখন তোলপাড়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ দৌড়ে বেড়াচ্ছেন। ভারতের সরকারি-বিরোধী সবাই একজোট। যুক্তরাষ্ট্রকে উচিৎ শিক্ষা দিতে হবে। দেবযানিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার সিন্ধে ও নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশানাল ডেলিগেশনের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেছেন। প্রশ্ন উঠছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের এই সম্পর্কের অবনতি কী নিয়ে? বাংলাদেশ। ইদানিং জাতিসংঘ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ সব মানবাধিকার কর্মীরা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ে যেন কাঁদতে বসেছেন। পাকিস্তান তো পারলে বাংলাদেশ আক্রমণ করেই বসে। ফাঁসি ঠেকাতে কতো তোড়জোড় দেখলাম। কিন্তু ভারত কোনো চাপ দেয়নি বলেই কী ভারতের দেবযানিকে দিয়ে শিক্ষা দিতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। দেবযানি বলছেন অন্যকথা। মার্কিন নীতির প্রতিবাদ করায় তার এই দুর্দশা। ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়ের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে দিল্লি-ওয়াশিংটন বিরোধ চরমে পৌঁছেছে।ভারতের প্রতিবাদ সত্ত্বেও মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে ভিয়েনা কনভেনশনে যা বলা আছে তার আওতায় দেবযানী পড়েন না। ভিয়েনা কনভেনশনে বলা হয়েছে, কোনও বিদেশিকে আটক বা গ্রেফতার করলে একটুও দেরি না করে তা তার দূতাবাস বা কনস্যুলেটকে জানাতে হবে। আটক বা গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির অনুরোধ অনুযায়ী, পুলিশ ফ্যাক্সের মাধ্যমে দূতাবাসকে জানিয়ে দিতে পারে। সম্ভব হলে গ্রেফতারের কারণ, সময় উল্লেখ করতে পারে পুলিশ। ভারতের ডেপুটি কনসাল জেনারেল দেবযানী খোবরাগাড়ের গ্রেফতারের সময় আন্তর্জাতিক প্রোটোকল মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেছে দিল্লি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, আইন ভাঙার জন্যই দেবযানীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদিকে নয়াদিল্লি দাবি করছে, অপমান না করেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যেত। দেবযানির ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়াগুলো সোচ্চার। কেউ বলছেন-আমাদের ভাইয়ের যুদ্ধে মাথা গলাতে আসা দুই চোগলখোর মোড়লের লড়াই নেহাৎ মন্দ নয়। কেউ বলছেন ভারত এবার উচিৎ শিক্ষা দেবে। কেউ বলে ভারতের শিক্ষা হয়েছে। ভিযোগ গুলো মিথ্যা কিনা আগে সেটা ভারত প্রমাণ করুন। চোরের মার বড় গলা! ভারত সেটারই প্রমাণ দিচ্ছে।মানবাধিকার নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ফেলানিরা যখন কাঁটাতারে ঝোলে তখন কোথায়থাকে মানবাধিকার বোধ।নাকি শুধু দেবযানীর বস্ত্রহরণে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়? তবে আর যাই হোক দেবযানির বস্ত্রহরণের ঘটনা ইঙ্গিত দিচ্ছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এতোটাই তিক্ত যে, পারলে যে কেউ যে কারও কাপড় খুলে নেবে। আর এই বিরোধটা যে বাংলাদেশের তৈরি কাপড় নিয়ে তার সম্ভাবনা কি একেবারে কম? http://goo.gl/SqQ0V0

Thursday, November 7, 2013

পেশা যখন যৌনতা: বিয়ে করলে সর্বনাশ, বিয়ে করা মানে গাধি হয়ে যাওয়া

পেশা যখন যৌনতা,‘বিয়ে করলে সর্বনাশ। বিয়ে করা মানে গাধি হয়ে যাওয়া।’পথের পাশে বেড়ে ওঠা মানুষের জীবন পথের মতোই বিচিত্র—কখনো বন্ধুর, কখনো মসৃণ। এসব মানুষের পরিচয়, জাতি, বর্ণ বা পেশার হদিসও ঠিক থাকে না। জীবন তাদের স্বপ্নহীন নয়, তবু হাতের কাছে পাওয়া পচা ফলটিই যেন বড় পাওয়া। এমন মানুষের যদি লোকলজ্জার বালাই না থাকে, যৌনতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে বাধা না থাকে, তবে হয়তো তাঁদের বেদিয়াই বলা চলে। ‘ইন্ডিয়া টুডে’র এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি বলা হয়েছে, এই বেদিয়াদের বাস ভারতের রাজস্থান রাজ্যের ভারতপুর জেলার মালাহা গ্রামে। তারা বাংলার বেদে সম্প্রদায়ের মতো নৌকায় নৌকায় ঘোরে না। সমতলে পথের পাশে বসত গাড়ে। যদি কোনো বেদিয়া নারী পথচারীকে ডেকে বলেন, ‘বসবেন নাকি?’, তবে এর অর্থ দাঁড়ায় ভিন্ন কিছু। আসলে এই বেদিয়া নারীদের একটি বড় অংশ জীবনে যৌনতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়। অবশ্য অনেক বেদিয়া নারী কিশোর বয়সে বিয়ে থা করে গ্রাম ছেড়ে দূরে গিয়ে বাস করেন, সংসার সাজান। এমন এক বেদিয়া নারী মঞ্জু ঠাকুর। বয়স ত্রিশের কোঠায়। তিনি জানান, তাঁদের সম্প্রদায়ের লোকদের বাস রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের মাঝামাঝি এলাকায়। তাঁদের সমাজে যৌনকর্মী হওয়ায় বাধা নেই। কেউ হতে চাইলে, সমাজ তাঁকে বাধা দেয় না। আসলে সমাজ যখন কারও দায় নিতে পারবে না, তখন তো তার জীবনযাপনে বাধা দিতে পারে না! মঞ্জু বলেন, ‘মাত্র ১০-১২ বছর বয়সে আমার বাবা আমাকে ধলপুরে এক ধনী ব্যবসায়ীর বাড়িতে যৌনকর্মী হিসেবে পাঠান।’ স্মৃতি হাতড়ে মঞ্জু বলেন, কুমারীত্ব হারানোর বদলে তিনি পেয়েছিলেন ১০ হাজার রুপি। তিনি বলতে থাকেন, ‘সে ২০ বছর আগের কথা। সে সময় একটা মেয়ের যা পাওয়া সম্ভব, তার সর্বোচ্চটা পেয়েছিলাম। এখনো জয়পুরের ধনী খদ্দেররা (যে পুরুষেরা যৌনকর্মীদের কাছে যান) আমার খোঁজে এখানে আসেন।’ কাস্টমারদের দৃষ্টি আকষর্ণে বেদিয়া নারীদের কড়া সাজ দরকার হয়। ছবি: ইন্ডিয়া টুডেএখন মালাহা গ্রামের শ খানেকের মতো নারী যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করেন। পেশার অংশ হিসেবে তাঁদের অদ্ভুত সাজগোজ করতে হয়। মুখে পুরু করে মেকআপ, ঠোঁটে উজ্জ্বল বর্ণের লিপস্টিক, আঁটোসাঁটো পোশাক পরে ধনী খদ্দেরদের জন্য প্রতিদিন অপেক্ষা করতে হয়। অনেকেই মনে করেন, বেদিয়াদের জোর করে এ পেশায় ঢোকানো হয়। অথচ এ কথা সত্য নয়। বিজেন্দর (৩৭) নামের এক পুরুষ বেদিয়া এসব অভিযোগের বিরোধিতা করেন। তাঁর ছয় বোন ও দুই খালা যৌন পেশার সঙ্গে জড়িত। বিজেন্দর বলেন, ‘তারা বিয়ে করবে, না কি যৌনতাকে পেশা হিসেবে নেবে, সে মতামত আগে নেওয়া হয়েছে।’যদিও মঞ্জু বলেন, ‘ধান্দা (ব্যবসা) ভালোই চলছে’ তবু তাঁকে অনেক বড় পরিবার চালানোর দায় বইতে হয়। বোন নিশা (২৫), রেশমা (২৪), খালা চাঁদনি, পাঁচ ভাই ও তাঁদের স্ত্রী-পুত্রসহ বিরাট এক পরিবার মঞ্জুর। তাঁর পঞ্চাশোর্ধ্ব মা সরোজ বলেন, ‘আমি ওদের বিয়ে দেওয়ার অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওরা বিয়ে-সংসার করতেই চাইল না।’ নিশা বলেন, ‘বিয়ে করলে সর্বনাশ। বিয়ে করা মানে গাধি হয়ে যাওয়া।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ের অর্থ হলো পুরুষদের জন্য রান্নাবান্না, কাপড় কাচা, বাসন ধোয়া, বাচ্চা পালা আর স্বামীর বোন-ঝিদের সেবা করা।’ মঞ্জু জানান, তাঁদের পেশায় খুব বেশি দক্ষতার প্রয়োজন নেই। খদ্দেররা এলে পথের পাশে একটা চাদর টানিয়ে আড়াল তৈরি করে ১০ মিনিটের জন্য শুয়ে পড়লেই হলো। যদি খদ্দেররা বেশি অত্যাচার করে, তবে চিত্কার করে ডাকলেই কাজ শেষ। পাড়ার পুরুষেরা এসে ওই খদ্দেরকে গণধোলাই দিয়ে দেবে।
বেদিয়া নারীরা কাস্টমারদের নিয়ে চাদর ঢাকা স্থানে সময় কাটায়। ছবি: ইন্ডিয়া টুডেঅবশ্য বেদিয়াদের কম অত্যাচারের শিকার হতে হয় না। সরকার ও ক্ষমতাসীনেরা তাদের জমিজমা-সম্পত্তি দখল করে নেয়। ওদের উচ্ছেদের জন্য বস্তিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তবে কিছু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী চেষ্টা করছেন বেদিয়াদের সহায়তা করতে। বেদিয়াদের ছেলেমেয়েরা যাতে লেখাপড়া শিখতে পারে, সে জন্য স্কুল তৈরি করা হয়েছে। ৩৫ বছর বয়সী যৌনকর্মী রিয়া বলেন, ‘আমার মেয়ের জীবন আমার মতো হবে না।’ তিনি নিয়মিতভাবে তাঁর ১১ বছর বয়সী মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যান। ‘আমাকে আমার ব্যবসা করতেই হবে, তবে আমি চাই আমার মেয়ে ভবিষ্যতে নিজে নিজের পেশা বেছে নিক।’ বেদিয়াদের কল্যাণে কাজ করছেন ভারতপুরের জেলা প্রশাসক নিরাজ কুমার পবন (৩৪)। স্কুল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ তাঁরই। তিনি বলেন, ‘১৮ বছরের কম বয়সী নারীরা এ পেশায় যান না।’ তিনি জানান, একসময় মঞ্জু যে বয়সে যে কাজের জন্য ১০ হাজার রুপি পেয়েছিলেন, এখন সে কাজের জন্য দেড় বা দুই লাখ রুপি দেওয়া হয়। পবন জানান, বেদিয়াদের জীবন দুঃসহ। বাড়িতে বিদ্যুত্ নেই, পানির সরবরাহ নেই। তাই ছেলে-পুলেদের লেখাপড়া করাতে চাইলে গ্রামের স্কুলের হোস্টেলে রাখতে হয়। ধনীরা বেদিয়াদের ভোটার হতে দেয় না, রেশনের কার্ড বরাদ্দ করে না। রবি কুমার (২৯) নামের এক দোকানদার জানান, ‘উঁচু জাতের লোকেরা আমাদের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে বৈষম্য করে অথচ আমাদের মেয়েদের সঙ্গে শোবার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকে। ওরা এজন্য ঠিকমতো টাকা-পয়সাও দিতে চায় না।’

Tuesday, October 22, 2013

মোবাইল ফোনের যত বদভ্যাস!


মুঠোফোন যেমন আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলেছে তেমনি এর অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে মানুষের মধ্যে নানান বদভ্যাসও গড়ে উঠছে। অনেকের কাছে জীবনের স্বাভাবিক সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে গেছে মুঠোফোন। নানা কাজে প্রতিদিন অসংখ্যবার চোখ রাখতে হয় মুঠোফোনের পর্দায় বা পরীক্ষা করে দেখতে হয় কেউ কল করেছে কি না। মানুষের সঙ্গে বারবার যন্ত্রের এই ক্ষণিকের সাক্ষাৎকে গবেষকেরা বলেন, ‘মাইক্রো-ইন্টারঅ্যাকশন’। অভ্যাসবশত গড়ে ওঠা মাইক্রো-ইন্টারঅ্যাকশন মানুষের জীবনে যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে। মুঠোফোন-সৃষ্ট বদভ্যাসের মধ্যে একটি হচ্ছে টয়লেটে বসে মোবাইলে বার্তা পাঠানো, কথা বলার মতো ঘটনা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের চালানো এক জরিপে দেখা গেছে প্রতি চারজনের অন্তত তিনজন টয়লেটে গিয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। মুঠোফোনের কারণে গড়ে ওঠা অভ্যাসের আরেকটি হচ্ছে সকালে ঘুম থেকে উঠেই মোবাইল খুঁজে বেড়ানো। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যেখানেই মোবাইল ফোন রাখা হোক না কেনো সকালে ঘুম থেকে উঠে সবার আগে মোবাইল ফোনটি নেড়েচেড়ে দেখার অভ্যাস গড়ে তোলেন অনেকেই। শুধু ঘুম থেকে জেগে মোবাইল হাতড়ানোই নয়, ঘুমাতে যাওয়ার আগে সর্বশেষ যে কাজটি অনেকেই করছেন তা হচ্ছে মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করা। মোবাইলের পেছনে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা এখন অনেকের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। অ্যাপ্লিকেশন কেনা থেকে শুরু করে স্মার্টফোনটিকে ফ্যাশন পণ্য হিসেবে ব্যবহার করতে অনেকেই এর পেছনে অঢেল অর্থ খরচ করছেন এখন। মুঠোফোন হাতে থাকায় যেখানে সেখানে সবকিছুরই ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন ব্যবহারকারী। আর অযথা এই ছবি তোলার অভ্যাস পরিণত হচ্ছে বদভ্যাসে। মুঠোফোনে গেম খেলা বা অতিরিক্ত সময় ভিডিও দেখার মতো অভ্যাসও তৈরি হচ্ছে। মুঠোফোনের চার্জার দেখলেই অনেক ব্যবহারকারীকে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যায় যা তাঁর অভ্যাসের কারণে হতে পারে। মুঠোফোন ব্যবহারের ফলে দেখা যায় অনেকের কানে সব সময় হেডফোন দেওয়া রয়েছে। কান থেকে হেডফোন না খোলার কারণে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ কথা শুনতে পান না ব্যবহারকারী। কানে সব সময় হেডফোন দিয়ে রাখাটাও বদভ্যাসের পর্যায়েই পড়ে। অনেকেই আবার মুঠোফোনে চ্যাটিং আর বার্তা পাঠানোর কাজে সর্বক্ষণ ব্যস্ত থাকেন আর এই সব সময় ব্যস্ত থাকার বিষয়টি বদভ্যাস বলে বিবেচিত হয়। অনেকেই খাওয়ার সময় তার মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। খাবার সামনে রেখে মুঠোফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে সময় কাটানোটা তখন বদভ্যাসের পর্যায়ে পড়ে। কারও জন্য যখন অপেক্ষা করতে হয় তখন সময় কাটানো কাটানোর উদ্দেশ্যে অনেকেই উদ্দেশ্যহীন ভাবে অ্যাপ্লিকেশন চালাতে শুরু করেন বা গেম খেলতে শুরু করেন। অনেকেই পাশে বসে থাকা কোনো ব্যক্তির সঙ্গে আলাপচারিতায় যান না। এতে সামাজিকতা নষ্ট হয়। অতিরিক্ত মুঠোফোনের ব্যবহারে মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি হতে পারে বলে গবেষকেরা সতর্ক করেছেন। স্বাভাবিক সুন্দর জীবন-যাপনে মুঠোফোনের যন্ত্রণা থেকে দূরে থাকতে সাতটি উপায় মানুষের জন্য কাজে লাগতে পারে। ১. বার্তা নয়, প্রয়োজনে কথা বলতে পারেন ২. মাঝে মাঝে মুঠোফোন ব্যবহার থেকে নিজেকে বিরতি দিতে পারেন ৩. একসঙ্গে একাধিক কাজ এড়িয়ে চলুন এবং নির্দিষ্ট কাজে মনোযোগ দিন ৪. খাবার সময় মুঠোফোনের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন ৫. ছবি তোলার আগে নিজে উপভোগ করুন ৬. ছবি আপলোড করার আগে যাচাই করুন ৭. রাতে প্রয়োজনবোধে মুঠোফোন বন্ধ করে ঘুমাতে যেতে পারেন। আরও পড়ুন: মুঠোফোননির্ভর জীবন থেকে মুক্তি যে ৭ পথে

হীরার আংটি, মেয়েদের মতো কেনো?

রবীন্দ্রনাথ তাঁর নৌকাডুবিতে এক চরিত্রের মুখ দিয়ে বলিয়েছিলেন, পুরুষ মানুষ হীরার আঙটি, কোনো ব্যাকা-ত্যাড়া নাই। কোনো কিছুতেই যেন পুরুষের দাম কমেনা । কিন্তু বিজ্ঞানীদের চোষে পুরুষ নয়, হীরার আঙটি নারীরাই। কারণ, নারীরাই সবচেয়ে কষ্টসহিষ্ণু। হীরার আঙটির প্রচলন যুগ যুগ ধরেই রয়েছে।বিয়ে জীবনের গুরুত্বপু্র্ণ এবং স্মরণীয় মুহুর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম৷ তাই বিয়েতে চাই সবার পছন্দের সেরা জিনিসগুলো৷ নিজের ও জীবনসঙ্গীর জন্যও চাই পছন্দনীয় কেনাকাটা৷ বিয়ের অন্যতম কাজ হচ্ছে বাগদান৷ আর বর্তমান সময়ে বাগদানে স্বর্ণেরও চেয়ে হীরার আংটির চাহিদা অনেক বেশী৷ কারণ এ সময়টাকে স্মৃতিময় করে রাখে বাগদান আংটি৷ তা যত দামই হোক না কেন, এখানে দামের চেয়েও বেশি গুরুত্বের সাথে দেখা হয় আংটিটা তার অনামিকায় কতটা মানিয়েছে৷ বাগদান আংটি সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়৷ একটি স্থায়ী সম্পর্কের জন্য এটি একে অপরের প্রতি বিশ্বাস ও আনুগত্য নির্দেশ করে৷ বাগদানের আংটি পরার ইউরোপীয় এ আচার বর্তমানে সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রচলিত৷ কিছু কিছু সংস্কৃতির বৈবাহিক আচারে আংটি প্রদান একটি নির্দিষ্ট ধারার উপহার সামগ্রী হিসেবে গণ্য৷ এ ধারাটি শুরু হয় বাগদানের আংটি প্রদানের মাধ্যমে৷ বাগদানের আংটি প্রদানের রেওয়াজ প্রাচীন রোমেও প্রচলিত ছিল৷ ধারণা করা হয়, রীতির প্রচলনকাল এর থেকেও পুরোনো৷ বর্তমানে অন্যান্য বেশকিছু আচার তৈরি হয়েছে, যা মূলত গহনা ব্যবসায়ীদের সৃষ্টি৷ এর মধ্যে আছে বাগদানের পূর্বেই উপহার হিসেবে বিভিন্ন রকম আংটির ব্যবহার৷ এর মধ্যে আছে সত্যিকারের সম্পর্ক শুরু হওয়া উপলক্ষে আংটির ব্যবহার, চিরকাল সম্পর্ক টিকিয়ে রাখাকে স্মরণ করে আংটি আদান প্রদান ইত্যাদি৷ এমন কী কিছু ক্ষেত্রে প্রথম সন্তান জন্মের পর তা স্মরণ করেও আংটি প্রদানের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে৷ এছাড়াও আছে সম্পর্কের অতীত, বর্তমান, ও ভবিষ্যতের স্মরণে প্রদেয় আংটি, যা সাধারণত গোল করে কাটা হীরা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়৷ ১৭৯৬ সালে জোসেফিনকে দেয়া ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের বাগদান আংটিটি সমপ্রতি নিলামে ৯ লাখ ৪৯ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে৷ জোসেফিনের ২৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্যারিসে আংটিটি নিলামে তোলে অসেনাট৷ ২০১০ সালে প্রিন্স উইলিয়াম তার স্ত্রী কেট মিডেলটনকে বাগদানের সময় প্রায় আট ক্যারেট হীরার আংটি দিয়েছিলেন৷ খোলাবাজারে এ ধরনের আংটির দাম হতে পারে আড়াই লাখ ডলার পর্যন্ত৷ উইলিয়াম এ আংটিটি তার মা প্রিন্সেস ডায়ানার কাছ থেকে পেয়েছেন বলে এর দামের ক্ষেত্রে অনুমানই একমাত্র ভরসা৷ তবে ব্রিটিশ আধুনিক নারীরা প্রত্যাশা করেন সম্ভাব্য জীবনসঙ্গী যেন নিজের সর্বোচ্চ সামর্থ দিয়ে বাগদান আংটি কেনেন৷ এটা হতে পারে তার এক মাসের আয়ের পুরো অর্থ৷ তবে মজার ব্যাপার হলো, বেশিরভাগ পুরুষরা চান বাগদান আংটি কেনায় আরো বেশি অর্থ ব্যয় করতে৷ হীরার আঙটি নিয়ে একটি কুসংস্কার রয়েছে আর তা হচ্ছে বিয়েতে হীরার আঙটি অশুভ। কারন সবার হীরা সহ্র হয়না। একটিমাত্র বিয়ের জন্যে প্রচুর অর্থ ব্যয়ে একাধিক অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি পোশাক ও অলঙ্কার কেনাকাটা করতে গিয়ে হয় টাকার শ্রাদ্ধ। ঋণ করে হলেও বিয়ের এই ফুটানি করতে গিয়ে অনেক পরিবার দুর্দশায় নিপতিত হয়। বিয়েতে দেয়া হীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে পারিবারিক অশান্তি বয়ে আনে। কারণ হিসেবে ধরা হয়, হীরা বেশিরভাগ মানুষের জন্যেই অশুভ। হীরা কিংবা সোনার সেরকম কোন ব্যবহারিক উপযোগিতা কেউ কখনোই খুঁজে পায়নি। অথচ তারপরেও হীরা বা সোনার গয়নার জন্য সুযোগ পেলেই হামলে পড়ে মেয়েরা। আর ছেলেরাও ভালবাসার প্রমাণ হিসেবে ১০৮ টি নীলপদ্মের মতো হাজির করতে চায় নারীর কাছে অমূল্য হীরা। কিন্তু কেন? ডারউইনের সেক্সুয়াল সিলেকশন তথা যৌনতার নির্বাচনের মধ্যেই এর উত্তর পাওয়া যেতে পারে। যৌনতার নির্বাচনের বহুল প্রচলিত ময়ূরের পেখমের উদাহরণটি এখানে বলা চলে। আমরা জানি, ময়ূরের দীর্ঘ পেখম টিকে আছে মূলতঃ নারী ময়ূর বা ময়ূরীর পছন্দ তথা যৌনতার নির্বাচনকে প্রাধান্য দিয়ে। কি ভাবে? ১৯৭৫ সালে ইসরাইলী জীববিজ্ঞানী আমোতজ জাহাভি জানান যে, ময়ূরীর এই দীর্ঘ পেখম ময়ূরের কাছে প্রতিভাত হয় এক ধরণের ‘ফিটনেস ইণ্ডিকেটর’ বা সুস্বাস্থ্যের মাপকাঠি হিসেবে। জাহাবির মতে, সততার সাথে সুস্বাস্থ্যের বিজ্ঞাপন দিতে গেলে এমন একটা কিছুর মাধ্যমে সেটা প্রকাশ করতে হবে যাতে খরচের প্রাচুর্যটা এমনকি সাদা চোখেও ধরা পড়ে। সোজা ভাষায় সেই বিজ্ঞপিত অঙ্গটিকে নিঃসন্দেহে হতে হবে ‘কস্টলি অর্নামেন্ট’, ব্যয়বহুল, অপব্যায়ী কিংবা জবরজং ধরণের জটিল কিছু।ময়ূরের পেখম কেবল ময়ূরীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সস্তা প্রচারণা নয়। ময়ূরের পেখম দীর্ঘ, ভারী আর ভয়ানক বিপদসঙ্কুল। দীর্ঘ পেখম এত অনায়াসে তৈরি করা যায় না, আর এমনকি এই বেয়াক্কেলে পেখমের কারণে তার শিকারীদের চোখে পড়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায় অনেক। বেচারা ময়ূরকে কেবল নিজের দেহটিকেই বয়ে বেড়াতে হয় না, টেনে হিচড়ে নিয়ে বেড়াতে হয় তার পশ্চাৎদেশের সাথে জুড়ে থাকা এই অবিশ্বাস্য বড় ধরণের বাড়তি একটা পেখমের ঝাঁপি । একে বলা হয় হ্যান্ডিক্যাপ প্রিন্সিপাল। এজন্য ময়ূরকে হতে হয় স্বাস্থ্যবান এবং নিরোগ। কখনো সখনো কোন স্বাস্থ্যহীন ময়ূরের দীর্ঘ পেখম গজাতে পারে বটে, কিন্তু সেটা বয়ে নিয়ে বেড়িয়ে খাবার খোঁজা, কিংবা শিকারীরা তাড়া করলে দ্রুত দৌঁড়িয়ে পালিয়ে যাওয়া সেই স্বাস্থ্যহীন ময়ূরের পক্ষে দুঃসাধ্যই হবে। কেবল মাত্র প্রচণ্ড শক্তিশালী কিংবা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ময়ূরের পক্ষেই এই সমস্ত প্রতিবন্ধকতা ডিঙ্গিয়ে এ ধরণের পেখমের বিলাসিতা ধারণ করা সম্ভব হয় । শিক্ষা, বুদ্ধিবৃত্তি, জ্ঞান, সাহস, দৈহিক শক্তি, সঙ্গিত প্রতিভা, বাকচাতুর্য, সুদর্শন চেহারা, কৃষ্টি, নৃত্যপটুতা, প্রগতিশিলতা, অধিকার সচেতনতা, উদ্ভাবনী শক্তি, দৈহিক সৌন্দর্য, সততা, নৈতিকতা, দয়াপরবশতা, রসিকতা, হাস্যরসপ্রিয়তাসহ অনেক কিছু নিয়ামক হলেও কোনটিই বিয়ের সময় হীরার আংটির মতো গুরুত্বপূর্ণ ‘ভালবাসার উপঢৌকন’ হিসেবে উঠে আসে না। জাহাভির হ্যাণ্ডিক্যাপ প্রিন্সিপাল অনুযায়ী, বিয়ের প্রস্তাবের উপহার এমন হতে হবে যার কোন ব্যবহারিক উপযোগিতা নেই , কিন্তু বিপরীত লিঙ্গের চোখে তা হতে হবে অমূল্য। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলে ‘কোর্টশিপ গিফট’ বা ‘নাপশাল গিফট’। বাড়ি-গাড়ি, আ্ইফোন বা যাকিছুরই ব্যবহারিক কিছু না কিছু উপযোগিতা আছে সেগুলো কখনোই ‘কোর্টশিপ গিফট’ হয়ে উঠার যোগ্য নয়। কোর্টশিপ গিফট গতে পারে কেবল হীরা কিংবা স্বর্ণালঙ্কারের মত বস্তু যা নারীর মানসপটে সেটি অমূল্য এক ‘ফিটনেস মার্কার’। পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন পদার্থ হীরা একইসঙ্গে সবচেয়ে বেশি চাপ সহ্য করার ক্ষমতা রাখে। সে হিসেবে সম্ভবত কোনো প্রিয়জন নন, অলংকার কিংবা আভরণ হিসেবে নারীর সবচে কষ্টসহিষ্ণু সঙ্গী এই হীরাই। পৃথিবীর কেন্দ্রে মোট চাপের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৩ মিলিয়ন অ্যাটমোস্ফিয়ার। সেখানে ১ মিলিয়ন অ্যাটমোস্ফিয়ার চাপেরও বেশি সহ্য করতে পারে হীরা। আর মানুষের শরীরের ক্ষেত্রে ক্রমাগ্রত চাপ সহ্য করার ক্ষমতা ২৭ অ্যাটমোস্ফিয়ারের। এক্ষেত্রে অবশ্য মানসিক চাপ সহ্য করার বিষয়টি বাদই থেকে গেছে! লরেন্স লিভারমোর ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি (এলএলএনএল) এর একদল গবেষক ১০০ ক্যারাটের একটি ছোট্ট হীরার ওপর লেজার রশ্মি ব্যবহার করে এই পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। এতে দেখা যায় ২ ন্যানোসেকেন্ডেরও কম সময়ে হীরা ২০০ জুলেরও বেশি শক্তি তৈরি করতে পারে। লেজার রশ্মি দিয়ে পরীক্ষার সময় বিজ্ঞানীরা দেখেন হীরা একটি শকওয়েভ তৈরি করে। সেই শকওয়েভ থেকেই হীরা ১ মিলিয়ন থেকে ১০ মিলিয়ন অ্যাটমোস্ফিয়ার পর্যন্ত চাপ সহ্য করতে পারে বলেই বিজ্ঞানীরা হিসেব বের করেছেন। পৃথিবীর ৮৭ থেকে ১২০ মাইল অভ্যন্তরে অত্যন্ত উচ্চ চাপে প্রাকৃতিক হীরা তৈরি হয়। আর এই হীরা গঠনে সময় লাগে ১০০ কোটি থেকে সাড়ে ৩শ’ কোটি বছর পর্যন্ত। যেখানে পৃথিবীর বয়স ধরা হয় সাড়ে ৪শ’ কোটি বছর। (তথ্যসূত্র: ব্লগ, অনলাইন সংবাদমাধ্যম)

Thursday, October 10, 2013

মাছরাঙা

বালুচরে নদীটির জল ঝরে খেলে যায় সূর্যের ঝিলিক, মাছরাঙা ঝিক্‌মিক্‌ ক’রে উড়ে যায়; মৃত্যু আর করুণার দু’টো তলোয়ার আড়াআড়ি গ’ড়ে ভেঙে নিতে চায় এই সব সাঁকো ঘর বাড়ি; নিজেদের নিশিত আকাশ ঘিরে থাকে। এ-রকম হয়েছে অনেক দিন-রৌদ্রে বাতাসে, যারা সব দেখেছিলো- যারা ভালোবেসেছিলো এই সব- তারা সময়ের সুবিধার নিলেমে বিকিয়ে গেছে আজ। তারা নেই।

Wednesday, October 9, 2013

এইচটিসির স্বর্ণ ফোন!

অ্যাপল ও স্যামসাং যখন সোনালি রঙের ফোন বাজারে আনতে ব্যস্ত, তখনি তাইওয়ানের স্মার্টফোন নির্মাতা এইচটিসি ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের ফোন বাজারে আনার কথা জানাল। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলের এক খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তিবিষয়ক ম্যাগাজিন টি৩-এর বর্ষসেরা স্মার্টফোনের খেতাব পাওয়া এইচটিসি ওয়ান স্মার্টফোনটির একটি সংস্করণ সোনার তৈরি হবে। এ সংস্করণে মাত্র পাঁচটি স্মার্টফোন বাজারে আনবে এইচটিসি। প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এইচটিসি ওয়ানের মোট পাঁচটি স্মার্টফোনের কাঠামো তৈরিতে ১৮ ক্যারেট সোনার প্রলেপ ব্যবহার করা হবে। এ স্মার্টফোনগুলোর দাম হবে চার হাজার ৪১৬ মার্কিন ডলার।

Sunday, October 6, 2013

প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের বিচিত্র যত শখ!

শখ করে মানুষ কতো কিছু করে। কেউ ঘুড়ি ওড়ান কিংবা পায়রা, কেউবা ছোটেন রোমাঞ্চের পেছনে। প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদেরও রয়েছে আজব সব শখ। বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা যে কেবল প্রযুক্তি নিয়েই ব্যস্ত থাকেন তা নয়, তাঁদেরও রয়েছে বিচিত্র সব শখ। এমনই একজন বিচিত্র শখের মানুষ ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি অ্যালিসন। তাঁর শখ হচ্ছে বড় বড় নৌকা বা ইয়ট সংগ্রহ করা। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে একটি দ্বীপও কিনেছেন তিনি। তাঁর সংগ্রহে রয়েছে বেশ কয়েকটি বড় বড় ইয়ট। ১৮০ ফুট দৈর্ঘ্যের ‘সায়োনারা’ নামের একটি রেসিং ইয়ট নিয়ে তাঁকে অনেক সময় প্রতিযোগিতায় নামতেও দেখা গেছে। আমাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোসের শখ প্রাচীন ঘড়িতে। তিনি একটি প্রাচীন ঘড়ি পুনর্নিমাণ করছেন। ২০০ ফুট উচ্চতার এ ঘড়িতে সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টার পাশাপাশি দিন, মাস, বছর ও সহস্রাব্দের হিসেবও থাকবে। ঘড়িটি তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় চার কোটি ২০ লাখ ডলার। প্রযুক্তি উদ্যোক্তা জেফ বেজোস তাঁর এ শখের ঘড়িটিকে ১০ হাজার বছরেরও বেশি সময় টিকিয়ে রাখার পরিকল্পনা করেছেন। ঘড়িটির নামও হবে তাই ‘দ্য ১০,০০০ ইয়ার ক্লক’। পশ্চিম টেক্সাসের পাহাড়ি অঞ্চলে ঘড়িটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন বেজোস। মারিসা মেয়ার শখ ব্যালে নাচএওএল ডটকমের প্রধান নির্বাহী টিম আর্মস্ট্রংয়ের শখ ফুটবল খেলা। ইউনাইটেড ফুটবল লিগের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। শিশুদের নিয়ে গড়া একটি ফুটবল টিমে শখের প্রশিক্ষক হিসেবেও দেখা যায় এই উদ্যোক্তাকে। গোড্যাডি নামের ডোমেইন নিবন্ধন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী বব পারসান্সের একটি দুর্ধর্ষ শখ হাতি শিকার করা। তাঁর এ শখ নিয়ে অনেক সময়ই নানা খবর হতে হয় তাঁকে। সিসকো সিস্টেমের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্যান্ডি লার্নারের শখ ঘোড়দৌড়ের। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় ৮০০ একরের ফার্ম হাউজ তৈরি করেছেন তিনি। সাইকেল চালান টিম কুক অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ওজনিয়াকের গাড়ির প্রতি বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে। গাড়ির খুঁটি-নাটি খুঁত বের করা তার শখ। এ ছাড়াও তিনি নতুন নতুন স্মার্টফোন সংগ্রহ করতে ভালোবাসেন। নতুন কোনো স্মার্টফোন বাজারে এলে সর্বপ্রথম ক্রেতা হিসেবে নিজেকে দেখতে চান তিনি। অনেক ক্ষেত্রে স্মার্টফোন সংগ্রহের জন্য সবার আগে ক্রেতার সারিতে দাঁড়াতে দেখা গেছে তাঁকে। তাঁর এ শখটির কথা স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো জানতে পেরেছে বলে আগেভাগেই প্রথম স্মার্টফোনটি হাতে পান তিনি। ‘জকডক’ নামের স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি সাইটের প্রতিষ্ঠাতা নিক গানজুর শখ হচ্ছে পার্কে বসে গিটার বাজানো। ক্লাউড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান ‘বক্স’-এর প্রধান নির্বাহী অ্যারন লেভির শখ হচ্ছে জাদু দেখানো। ‘লট১৮’ নামের সাইটটির উদ্যোক্তা ফিলিপ জেমসের শখ হচ্ছে পর্বতারোহণ ও বাইকিং। গেমিং কোম্পানি আরকাডিয়ামের প্রধান নির্বাহী কেনি রোজেনব্ল্যাটের শখ বাগান করা। তিনি একটি বিশাল সবজি বাগান করেছেন। ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ শখের বশেই ফেসবুক তৈরি করেছিলেন। এখন তাঁর শখ সম্পর্কে ফেসবুকের পাতায় লিখে রেখেছেন মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিয়ে কাজ করা। যদিও জাকারবার্গ এখন নিরামিষভোজী আগে তিনি নিজের শিকার করা পশুর মাংস খেতেন । তিনি শখ করে মাঝে-মধ্যে কোট-টাই পরেন। গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের শখ হচ্ছে কাইট বোর্ডিং করা। আকাশে ঘুড়ি উড়িয়ে দিয়ে সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমুদ্রে ছুটে বেড়াতে ভালোবাসেন তিনি। অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক স্বাস্থ্যসচেতন একজন ব্যক্তি। তিনি নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করেন এবং সাইকেল চালাতে ভালোবাসেন। ‘হাইকিং’ তাঁর শখ। ইয়াহুর প্রধান নির্বাহী মারিসা মেয়ারের শখ ব্যালে নাচের। ধ্রুপদী ব্যালে নাচে পারদর্শী তিনি। এ ছাড়াও হাতঘড়ি ও ব্যাগ সংগ্রহেও তাঁর আগ্রহ রয়েছে।

Monday, September 30, 2013

মোবাইল ফোন যেসব ক্ষতি করছে!

নতুন মুঠোফোন কিনতে যাচ্ছেন? মুঠোফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করলে কী ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে সে বিষয়গুলো আপনার অবশ্যই জেনে নেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত সময় ধরে মুঠোফোন ব্যবহার করার ফলে ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্যের ওপর নানা প্রভাব পড়ে। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতি নিয়ে গবেষণাও হচ্ছে। একাধিক গবেষণার ফলের বরাতে হাফিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুঠোফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যায় পড়ছেন ব্যবহারকারীরা। হারানোর ভয় মুঠোফোন সব সময় ঠিক জায়গায় আছে কিনা তা নিয়ে মন সব সময় সতর্ক থাকে। মোবাইল হারানো ভয় থেকে মনের মধ্যে জন্ম নেয় এক সমস্যা। গবেষকেরা মুঠোফোন ও সঙ্গে যোগাযোগ হারানোর এই ভয়জনিত অসুখের নাম দিয়েছেন ‘নোমোফোবিয়া’; যার পুরো নাম ‘নো মোবাইল-ফোন ফোবিয়া’। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ৫৩ শতাংশ এবং ২৯ শতাংশ ভারতীয় তরুণরা এ রোগের শিকার। ৫ বছর আগেও যে রোগের অস্তিত্ব কল্পিত ছিল না, আধুনিকতার সে রোগ নিয়ে দেশে-বিদেশে চিন্তিত মনোবিজ্ঞানী-মহল। অতিরিক্ত মুঠোফোন নির্ভরতা কমিয়ে ফেলতে পরামর্শ দেন গবেষকেরা। ঘুমের মধ্যে বার্তা পাঠানো মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অতিরিক্ত সময় বার্তা পাঠানো, চ্যাটিং করার ফলে ঘুমের মধ্যেও এর প্রভাব পড়তে পারে। হতে পারে ‘স্লিপ টেক্সটিং’ সমস্যা। এ সমস্যা হলে রাতে ঘুমের মধ্যে কাকে কী বার্তা পাঠানো হয় তা আর পরে মনে থাকে না। বার্তা পাঠানোর বিষয়টি মাথায় থাকে বলে ঘুমের মধ্যেও হাতের কাছে থাকা মুঠোফোন থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত নম্বরে বার্তা চলে যায়। মনোবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দুশ্চিন্তা, কাজের চাপ আর মুঠোফোন নিয়ে অনেকের দিন কাটে। এমন অবস্থায় স্লিপ টেক্সটিং ঘটতে পারে। রাতে বিছানার পাশে মুঠোফোন না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা। কমতে পারে চোখের জ্যোতি যুক্তরাজ্যের চক্ষু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, মুঠোফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে দৃষ্টি বৈকল্য সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে মায়োপিয়া বা ক্ষীণ দৃষ্টির সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা সাধারণত চোখ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার দূরত্ব রেখে তা ব্যবহার করেন। তবে, অনেকের ক্ষেত্রে এ দূরত্ব মাত্র ১৮ সেন্টিমিটার। সংবাদপত্র, বই বা কোনো কিছু পড়ার ক্ষেত্রে সাধারণত চোখ থেকে গড়ে ৪০ সেন্টিমিটার দূরত্ব থাকে। চোখের খুব কাছে রেখে অতিরিক্ত সময় ধরে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে জিনগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। ক্ষীণদৃষ্টি সৃষ্টির জন্য যা ভূমিকা রাখতে সক্ষম। গবেষকেরা একে ‘এপিজেনেটিকস’ সংক্রান্ত বিষয় বলেন। গবেষকেরা দীর্ঘক্ষণ ধরে স্মার্টফোনে চোখ না রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন। দৈনিক কিছু সময় মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন তাঁরা। স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বয়স বিবেচনার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা। কানে কম শোনা মুঠোফোন ব্যবহারের ফলে কানের সমস্যা তৈরির বিষয়টি অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে। হেডফোন ব্যবহার করে উচ্চশব্দে গান শুনলে অন্তকর্ণের কোষগুলোর ওপর প্রভাব পড়ে এবং মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক আচরণ করে। একসময় বধির হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। শরীরের অস্থি-সন্ধিগুলোর ক্ষতি অতিরিক্ত সময় ধরে মেসেজ বা বার্তা টাইপ করা হলে আঙুলের জয়েন্টগুলোতে ব্যথা হতে পারে এবং অবস্থা বেশি খারাপ হলে আর্থরাইটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়াও অনেকে অনেকেই কাজের সময় মুঠোফোন ব্যবহার করতে গিয়ে কাঁধ ও কানের মাঝে ফোন রেখে কথা বলেন। অনেকেই অতিরিক্ত ঝুঁকে বসে দীর্ঘ সময় ধরে বার্তা পাঠাতে থাকেন। বসার ভঙ্গির কারণেও শরীরে নানা অসুবিধা দেখা দিতে পারে। চিকিত্সকের পরামর্শ হচ্ছে অতিরিক্ত সময় ধরে মুঠোফোনে বার্তা লিখবেন না, এতে করে শরীরের জয়েন্ট বা সন্ধির সমস্যা থেকে সুস্থ থাকতে পারবেন। কমে যেতে পারে শুক্রাণু গবেষকেরা জানান, মুঠোফোন থেকে হাই ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন নির্গত হয়। এই ক্ষতিকর তরঙ্গের সঙ্গে মস্তিষ্কে ক্যানসারের যোগসূত্র থাকতে পারে। এ ছাড়া শরীরের অন্য কোষকলা এই ক্ষতিকর তরঙ্গের প্রভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে পুরুষের প্রজননতন্ত্রেরও। গবেষকেদের দাবি, মুঠোফোন থেকে নির্গত ক্ষতিকর তরঙ্গ শুক্রাণুর ওপর প্রভাব ফেলে এবং শুক্রাণুর ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে। যখন তখন রিং টোন! এ সমস্যা মূলত উদ্বিগ্নতা বা বিষণ্নতা থেকে ঘটতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হলে ব্যবহারকারী ফোনের রিং না বাজলে কিংবা ভাইব্রেশন না হলেও হঠাত্্ করেই তা শুনতে পান বা অনুভব করেন। অতিরিক্ত মুঠোফোন ব্যবহারের কারণে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের সমস্যা ভুগতে শুরু করলে তা টেরও পান না অনেক ব্যবহারকারী। ঘুম নেই! স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ, ডেস্কটপের অতিরিক্ত ব্যবহার ও অতিরিক্ত টেলিভিশন দেখার ফলে সবচে বেশি দেখা দেয় ঘুমের সমস্যা বা নিদ্রাহীনতা। যারা ঘুমাতে যাওয়ার আগে এ ধরনের প্রযুক্তি-পণ্য অতিমাত্রায় ব্যবহার করেন তাদের শরীরে মেলাটোনিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে; যার কারণ প্রযুক্তিপণ্য থেকে নির্গত উজ্জ্বল আলো। এক পর্যায়ে ঘুমের মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয় এবং স্লিপ ডিজঅর্ডারের ঝুঁকি তৈরি হয়। টয়লেট সিটের চেয়েও নোংরা মার্কিন গবেষকেরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, টয়লেট সিটের তুলনায় ১০ গুণ বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে মুঠোফোনে। মুঠোফোন নিয়মিত পরিষ্কার না করায় এটি জীবাণুর অভয়ারণ্য হয়ে ওঠে। গবেষকেরা বলেন, মুঠোফোনে ব্যাকটেরিয়াগুলো ব্যবহারকারীর জন্য খুব বেশি ক্ষতিকারক না হলেও এটি থেকে সংক্রমণ বা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। নিয়মিত মুঠোফোন পরিষ্কার করলে এ সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।

Thursday, September 26, 2013

সুখী ছিল আজ সুখী নেই..... একটি করুণ প্রেমের গল্প

‘আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। সবার কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ। আমাদের দেহগুলো দয়া করে কাটতে দেবেন না। পাশাপাশিই আমাদের কবর দেবেন। আর সবাই আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। আমরা একজন আরেকজনকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। তাই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলাম। বেঁচে থাকতে তো কেউ আমাদের এই সম্পর্ক মেনে নেবে না। বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়ে তাদের মনেও কষ্ট দিতে পারব না। তাই এই পথ বেঁচে নিতে বাধ্য হলাম দুজন। ইতি: রমজান + সুখী।’ পাঠক, এটি একটি সুইসাইড নোট। দুই তরুণ-তরুণীর আত্মহননের আগে এই চিরকুট লিখে গেছেন। চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়ার চৌধুরীহাটে ১৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর আগে অভিভাবকেরা তাঁদের সম্পর্ক মেনে না নিলেও পাশাপাশি হয়েছে শেষ আশ্রয়। বাড়ির পাশের পুকুরপাড়ে শুয়ে আছে এই জুটি। এখনো তাজা কবর। কবরে গুঁজে দেওয়া খেজুর গাছের ডাল দুটিও সতেজ। রমজান আলী (২০) ও সুখী আকতার (১৬)। চৌধুরীহাটের বারইপাড়া গ্রামে সামনাসামনি দুজনের বাড়ি। দূরত্ব বড়জোর ৫০ গজ। সম্পর্কে বেয়াই-বেয়াইনও (তালতো ভাই-তালতো বোন)। রমজান নোয়াপাড়া কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সুখী নোয়াপাড়া মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। পাশাপাশি থাকার সুবাদে কাছাকাছি আসে একে অপরের। একসময় দুটি তরুণ মন স্বপ্ন দেখে ঘর বাঁধার। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুই পরিবারের দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্বও আরেকটি প্রেমের সম্পর্ক ঘিরে। তিন বছর আগে রমজানের বড় ভাই আজগর আর সুখীর বড় বোন লাকী ভালোবেসে বিয়ে করেছেন। এ সম্পর্ক এখনো মেনে নেয়নি দুই পরিবার। এই বিষয়টি বারবার ঘুরপাক খেতে থাকে দুজনের মাথায়। কী করবেন তাঁরা। পরিবার, না সম্পর্ক—এই টানাপোড়েনে মুষড়ে পড়েন রমজান ও সুখী। শেষ পর্যন্ত জীবনকে ছুটি দিয়ে দিলেন এই দুই তরুণ-তরুণী। মরণেও দুজন দুজনকে ছাড়া ভাবতে পারেননি কোনো কিছু। সেখানেও সহমরণ। সুখীদের বাড়ির পেছনের পুকুরপাড়ে একটি জামগাছের ডালে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন দুজন একসঙ্গে। একে অপরকে কোমরে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁদের মরদেহ। নিশ্চিত হওয়া গেছে, সুইসাইড নোটটি সুখীর হাতের লেখা। গত মঙ্গলবার চৌধুরীহাটে সুখীদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ঘরের দাওয়ায় বসে আছেন মা জোবেদা খাতুন। মুখে কথা নেই। শুধু এদিক-ওদিক তাকাচ্ছেন। মেয়ের জন্য এখনো বিলাপ করে চলেছেন বাবা মোহাম্মদ ইদ্রিস। বাড়ির ভেতরে সুখীর কক্ষে পড়ার টেবিলে থরে থরে সাজানো পাঠ্যবই রসায়ন, বাংলা...। খাতাও পড়ে আছে টেবিলের ওপর। শুধু সুখী নেই। তিন ভাই তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট সুখী। ভাইদের বড় আদরের ছিল সে। বোনের মৃত্যুসংবাদ শুনে ওমানের মাসকাটে থাকা দুই ভাই ছুটে এসেছেন এক নজর শেষ দেখা দেখতে। ভাইদের জন্য মরদেহের গাড়িতে লাশ রেখে দেওয়া হয় দুদিন। তাঁরা আসার পর দাফন করা হয়। বাবা ইদ্রিস বলেন, ‘আমরা ঘুণাক্ষরেও টের পাইনি ও (সুখী) এ কাজ করবে। শান্তশিষ্ট, পড়ালেখায়ও ছিল ভালো। ছেলেটিও (রমজান) ছিল শান্ত। আমাদের মাথায় ছিল না তারা দুজন এমন করবে।’ মাসকাট থেকে আসা সুখীর ভাই মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘আমাদের ইচ্ছা ছিল তাঁকে ডাক্তারি পড়াব। এখন সব শেষ।’ রমজানের বাড়িতেও শোকের মাতম। ছয় ভাই একবোনের সবার ছোট রমজান। তিনি চলে গেলেন সবার আগে। বাবা সালেহ আহমেদ থাকেন সৌদি আরবে। ছেলের মৃত্যুসংবাদ শুনে তিনিও মুষড়ে পড়েছেন। এ ঘটনা মানতে পারছেন না সুখীর বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও। কথা বলার সময় শ্রেণী শিক্ষক ফণী ধর দাশের গলা ধরে আসছিল। বললেন, ‘সে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত প্রথম অথবা দ্বিতীয় হয়ে এসেছে। কিন্তু নবম শ্রেণীর শেষ দিকে এসে সে প্রায়ই বিষণ্ন থাকত। যার প্রভাব পড়ে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলে। রোল নম্বর হয় ১১। আমি নানাভাবে তার কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেছি কি হয়েছে। কিন্তু কিছু বলেনি।’ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘এ ঘটনার পর আমরা প্রতিটি শ্রেণীতে কাউন্সেলিং করেছি। শিক্ষার্থীদের বলেছি, এ ধরনের ঘটনা হলে পারিবারে বলতে না পারলেও যেন শিক্ষককে জানায়। আর অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে।’ রমজানের বন্ধুরা জানান, তিনি প্রায় সময় তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে হতাশ থাকত। বলত, ‘দেখিস, একদিন সব ছেড়ে চলে যাব।’ এ যাওয়া যে শেষ যাওয়া হবে, তা বোঝেননি বন্ধুরাও। মোহিত কামাল, মনোরোগ চিকিত্সকআত্মহত্যা কোনো সমাধান নয় মোহিত কামাল, মনোরোগ চিকিৎসক তরুণ-তরুণীদের এ ঘটনা নিয়ে আমরা কথা বলেছিলাম মনোরোগ চিকিৎসক মোহিত কামালের সঙ্গে। তিনি তিনটি ভাগে ভাগ করে এ ঘটনাটি বিশ্লেষণ করেছেন। প্রথমত: তরুণ প্রজন্ম ও মানসিকভাবে বিষণ্ন নারী-পুরুষদের বলতে চাই, আত্মহত্যা কোনো সমস্যার সমাধান নয়। আত্মহত্যা মানে নিজেকে খুন করা। ধর্মীয় অনুশাসন ও সামাজিক বিধিনিষেধ না মেনে আইন লঙ্ঘন করা। রমজান ও সুখী সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছেন। কারণ, তাঁরা সমস্যা দেখে নিজেদের খুন করেছেন। তাঁরা খুনি। দ্বিতীয়ত: অভিভাবকেরা তাঁদের অবেগটা বুঝতে পারেননি। এটি তাঁদের বড় ব্যর্থতা। রমজান ও সুখীর আবেগের মধ্যে কোনো শঠতা ছিল না। তাঁদের ভালোবাসার টানটা ছিল তীব্র। তরুণ বয়সের প্রথম প্রেম এ রকম হয়। সবকিছু ছাপিয়ে সম্পর্কটা তাঁদের কাছে অনেক বড় হয়ে দাঁড়ায়। একে অপরকে না পেলে জীবন শেষ হয়ে যাবে, এমন ধারণা হয়। কিন্তু অভিভাবকেরা তাঁদের আবেগ না বুঝে পুরোনো বিরোধ জিইয়ে রেখেছেন। যার ফলে চলে গেল দুটি প্রাণ। তৃতীয়ত: অভিভাবকদের বলতে চাই, তরুণ-তরুণীদের এ ধরনের সম্পর্ক দেখলে সতর্ক পদক্ষেপ নিতে হবে। তাদের আবেগকে মূল্য দিয়ে সুযোগ দিতে হবে বিষয়টি শেয়ার করার। সময় নিয়ে তাদের বোঝাতে হবে। বাড়াতে হবে মমত্বের হাত। তাহলে বাস্তবতা বুঝে তারা নিজেরাই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। কিন্তু তা না করে আমাদের সমাজে প্রথমেই তাদের ওপর নেমে আসে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। তা কখনোই সমস্যার সমাধান নয়। বাধা পড়লেই তারা পালিয়ে যায়, আত্মহত্যা করে কিংবা জড়িয়ে যায় মাদকের জালে। সংকট উত্তরণে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে তাদের মনোরোগের চিকিৎসা দেওয়া উচিত।

ভালবাসি বন, ভালবাসি সবুজ প্রকৃতিকে ভালো না বাসার কৌশল

টাইম-এর চোখে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকৃতিকে ভালো না বাসার কৌশল রয়েল বেঙ্গল টাইগার। সুন্দরবনের সবচেয়ে ভয়াল সুন্দর প্রাণী। বাংলাদেশকে যাঁরা জানেন, সবাই বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের এই নিরাপত্তাপ্রহরীকে চেনেন। যে সুন্দরবনকে এত দিন রয়েল বেঙ্গল টাইগার পাহারা দিয়ে আসছে, সেই মানুষখেকোদের এখন নিশ্চিহ্ন হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে যাচ্ছে। সুন্দরবনের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ে পরিবেশবাদীরা। সংশয়ের কারণ, সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে রামপাল এলাকায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হতে যাচ্ছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার যৌথ উদ্যোগে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে এবং দ্রুত বর্ধনশীল বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। আর তাতে সহযোগিতা করছে ভারত। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হলে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে সরকার। কিন্তু এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে একটি বিরোধীপক্ষ। এ পক্ষের দাবি, সুন্দরবনের এত কাছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হলে তা পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। এতে সুন্দরবনের সংলগ্ন পানির ডলফিন থেকে শুরু করে রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ বন্য প্রাণীর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বন্যাঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশকে সুন্দরবন সব সময় রক্ষা করেছে। সুন্দরবনের ক্ষতি হলে জলবায়ু ভয়ংকর ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে সুন্দরবন রক্ষা কমিটির সদস্য কল্লোল মোস্তফা জানিয়েছেন, ‘কারও পক্ষে এ ধরনের প্রকল্পে মত দিতে রাজি হওয়ার কথা নয়।’ রামপালের বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতার সঙ্গে ১৯৭৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে নির্মিত একটি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উদাহরণ টেনে আনছেন সমালোচকেরা। তাঁদের যুক্তি হচ্ছে, টেক্সাসের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সময় কর্তৃপক্ষ পরিবেশের ক্ষতি হবে না বলেছিল। কিন্তু ২০১০ সালে এসে গবেষকেরা জানান, ওই বিদুৎকেন্দ্র থেকে প্রতি বছর নির্গত ৩০ হাজার টন সালফার ডাই-অক্সাইড কৃষিক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি উঠছে। টেক্সাসের ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে তুলনা করলে রামপালের প্রস্তাবিত কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রতি বছর ৫২ হাজার টন সালফার ডাই-অক্সাইড নির্গত হবে। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে বাংলাদেশের পরিবেশ অধিদপ্তর। এ তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে পরিবেশগত কোনো ক্ষতি হবে না বলে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও সমালোচকেরা বলছেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে এবং এ প্রকল্পটি নিয়ে মানুষের মনে নানা সন্দেহ রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এ প্রকল্পে লাভ হবে কার? বাংলাদেশে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ভারতের অতিমাত্রার আগ্রহ নিয়েও মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। ভারতের গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশে দুটি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে যেখানে আইনি বাধা ও প্রতিরোধের মুখে আটকে গেছে, সেখানে বাংলাদেশে সুন্দরবনের কাছে এ প্রকল্প নিয়ে ভারতের কাজ করতে যাওয়ার বিষয়টি সন্দেহ তৈরি করছে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ মোশাহিদা সুলতানা ঋতু বলেন, ‘এটা চক্রান্ত। নিজের দেশে বন্ধ করে দিয়ে অন্য দেশের আইন ভাঙছে তারা।’ রামপালের প্রকল্প পরিচালক আজিজুর রহমান অবশ্য আইন ভাঙার বিষয়টি নাকচ করেছেন। আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, ‘তেল ও গ্যাসনির্ভর বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরিতে অনেক খরচ। তাই ভবিষ্যতের বিদ্যুৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণ ছাড়া বিকল্প নেই। এখানে ভারত তাদের নিয়মনীতি অনুযায়ী চলবে আর আমরা আমাদের। একদল বিশেষজ্ঞ এ প্রকল্পটি পর্যবেক্ষণ করে সুচিন্তিত মতামত দিয়েছেন। তার ভিত্তিতেই এ প্রকল্প চালু হচ্ছে। গবেষণায় কী পাওয়া গেছে এবং ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে কী শর্ত রয়েছে, তা যে কেউ ইচ্ছা করলেই দেখে নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশের নীতিমালা অনুযায়ী দূষণ ঠেকানোর সব ব্যবস্থা নেব।’ পরিবেশ বিপর্যয় রোধের সব ধরনের নিশ্চয়তা থাকলেও সংশয় থেকেই যাচ্ছে। গবেষকেরা বলছেন, গত এক দশকে মানুষসৃষ্ট নানা কারণে ৫০ হাজার হেক্টর সুন্দরবন নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়াও শিপইয়ার্ড নির্মাণসহ নানা কারণে সুন্দরবন ও দক্ষিণাঞ্চলের জনগণকে নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছে। সুন্দরবন রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে লংমার্চ শুরু করেছে সুন্দরবন রক্ষা কমিটি। লংমার্চ সমর্থনকারী আবদুল্লাহ আবু দিয়ান নামের একজন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে পরিবেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। সারা দেশের মধ্যে সুন্দরবনটাই বাকি রয়ে গেছে যেটা সত্যিকারের বন বলে মনে হয়। এটাও যদি কোনো রকমে ধ্বংস হয়ে যায়, তবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আর পরিবেশের গুরুত্ব বুঝবে না। কারণ, আমরা যা কেবল স্পর্শ করতে পারি, অনুভব করতে পারি এবং যা ভালোবাসি তারই গুরুত্ব দিই।’

সে এক আজব কথা সমুদ্রের মাঝে কৃষ্ণগহ্বর!

ক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের ঘূর্ণি-স্রোতসম্প্রতি সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক দাবি করেছেন তাঁরা পৃথিবীতে ব্ল্যাকহোলের বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি রহস্যময় জায়গার সন্ধান পেয়েছেন। দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে তাঁদের খুঁজে পাওয়া এ রহস্যময় স্থানটি মহাশূন্যের ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণ গহ্বরের মতোই। ব্ল্যাকহোল দেখা অসম্ভব, তবুও জ্যোতির্বিদরা বিশ্বাস করেন যে এ মহাবিশ্বে ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরের অস্তিত্ব রয়েছে। ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর মহাবিশ্বের অস্তিত্ব ও প্রকৃতি বিষয়ক একটি বহুল প্রচলিত ধারণা। কৃষ্ণগহ্বর মহাবিশ্বের এমন একটি বস্তু যা এত ঘন সন্নিবিষ্ট বা অতি ক্ষুদ্র আয়তনে এর ভর এত বেশি যে মহাকর্ষীয় শক্তি কোন কিছুকেই তার ভিতর থেকে বের হতে দেয় না, এমনকি আলো ও তড়িত্-চুম্বকীয় বিকিরণও ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর থেকে বের হতে পারে না। ব্ল্যাকহোলে পতিত কোনো বস্তুর বিকিরণ পর্যবেক্ষণ করে এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেন গবেষকরা। গবেষকেরা হিসাব করে দেখেছেন, ব্ল্যাকহোলের ক্ষেত্রে আলোর যে অবস্থা হয়, দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের রহস্যময় এ অঞ্চলটিতে পানির ক্ষেত্রেও ঠিক একই অবস্থা হয়। গবেষকেরা জানিয়েছেন, মহাসাগরের মাঝে বিশাল এক ঘূর্ণি-স্রোত তার চারপাশের সব কিছুকে এমন বৃত্তাকারভাবে ঘোরাতে থাকে যে, কোনো কিছুই এ ঘূর্ণি-বৃত্ত থেকে বের হতে পারে না। গবেষকেরা বলছেন, এ ধরনের ঘূর্ণি-স্রোত উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে সমুদ্রের বরফ গলে যাওয়ার ঘটনা ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে এ ধরনের ঘূর্ণি-স্রোতের প্রভাব নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করছেন মার্কিন গবেষকেরা, যা ভবিষ্যতে সমুদ্রের অজানা রহস্যের সমাধানের পাশাপাশি পরিবেশ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজেও লাগবে।

Wednesday, September 25, 2013

গুগলে পরকীয়া ও রাজনীতির খেলা

গুগলের দর্শন নিখুঁত হলেও তাতে অসম্পূর্ণতাও রয়েছেগুগলের রঙিন লোগোটি দেখে হয়তো অনেকেই ভাবতে বসেন প্রতিষ্ঠানটির রঙিন আর সুশৃঙ্খল কর্মপরিবেশের কথা। হয়তো মনের পর্দায় ভেসে ওঠে গুগলের কর্মীদের ইচ্ছামতো কাজ করতে পারার চিত্র। বাইরে থেকে দেখলে গুগলকে একদল প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষের প্রতিষ্ঠান মনে হতে পারে। অনেকে হয়তো ভেবে বসতে পারেন, গুগলের নেতৃত্ব এমন প্রযুক্তি আদর্শে লালিত যারা স্বয়ংক্রিয় গাড়ি, প্রযুক্তি চশমা বা নানা প্রযুক্তিপণ্য নিয়েই ভাবছেন সারাক্ষণ। আসলে, গুগলের দর্শন নিখুঁত হলেও তাতে অসম্পূর্ণতাও রয়েছে। প্রযুক্তি ও ব্যবসাবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘বিজনেস ইনসাইডার’-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইরে থেকে গুগলকে যতটা রঙিন বলে মনে হয়, আসলে এর আড়ালের গল্পটা আরও বেশি রঙিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় গুগলের মাউনটেন ভিউ ক্যাম্পাসের চার দেয়ালের আড়ালে গুগল এক রাজনীতি আর যৌনতার আখড়া। গুগলে যৌনতা গুগলে দীর্ঘদিন চাকরি করেছেন এবং গুগলের মূল ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন এমন একজন কর্মীর বক্তব্য হচ্ছে, গুগলের আড়ালের গল্প যেন মার্কিন টিভি শো ‘গেম অব থর্নস’-এর মতো। যেখানে রয়েছে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে কর্তৃত্বের যুদ্ধ, উত্তরাধিকার নিয়ে সুচতুর পরিকল্পনা, যৌনতা আর রাজনীতি। গুগলের কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রকাশ্য কোনো সংঘাত নেই সত্যি, তবে যৌনতা আর রাজনীতি? গুগল সূত্র জানায়, অবশ্যই রাজনীতির কূটচাল আর যৌনতার মতো বিষয়গুলো গুগলের সঙ্গে রয়েছে। গুগলের আড়ালের গল্প যাঁরা বলেছেন এবং লিখেছেন, তাঁরা সবাই বিষয়টিকে তুলে এনেছেন। গুগল যখন যাত্রা শুরু করেছিল সে সময়কার ঘটনা নিয়ে লেখক ডগলাস অ্যাডওয়ার্ডস তাঁর লেখা ‘আই অ্যাম ফিলিং লাকি: দ্য কনফেশন অব গুগল এমপ্লয়ি নাম্বার ৫৯’ নামের বইয়ে তুলে ধরেছেন গুগলের আড়ালের বেশ কয়েকটি ঘটনা। এ বইতে গুগলের সাবেক মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান হিদার করিনসের ভাষ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, গুগলের চারপাশের বাতাসে হরমোন উড়ছে এবং অনেকেই তাঁর ঘরের দরজা পর্যন্ত বন্ধ করতে ভুলে গেছেন। গুগলের প্রকৌশলীদের অনেককেই এমন অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থায় ধরা হয়েছে, যাতে তাঁদের চাকরি থাকার কথা নয়। কিন্তু গুগল কর্তৃপক্ষ কাউকে চাকরিচ্যুত করেনি। এর পর থেকে ধীর ধীরে গুগলের কর্মীদের মধ্যে রোমান্টিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এ সম্পর্কগুলোকে আবার ঠিক অস্বাভাবিক সম্পর্কের পর্যায়ে ফেলা যাবে না। স্বাভাবিক ও গতানুগতিক এ সম্পর্কের কারণে এর আগে কখনো কোনো কেলেঙ্কারি ছড়ায়নি। গুগলের কর্মীদের মধ্যে যদি সম্পর্ক গড়ে ওঠে তবে তাঁরা ডেটিংয়ে যান, পরে বিয়ে করে নেন বা সম্পর্ক ভেঙে ফেলেন। এ ধরনের সম্পর্কের বিষয়গুলো কবে ঘটল, কারও তেমন চোখে পড়ে না। তবে ব্যতিক্রম যে নেই, তা কিন্তু নয়। সম্প্রতি প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘অল থিংস ডিজিটাল’ একটি খবর প্রকাশ করে যেখানে গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিনের ব্যক্তিগত জীবনের একটি ঘটনা স্ক্যান্ডাল আকারে ছড়িয়ে পড়ে। গুগলের এক জুনিয়র সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠায় সের্গেই ব্রিনের সংসার ভেঙে যাওয়ার খবর প্রকাশ করে ‘অল থিংস ডিজিটাল’। সের্গেই ব্রিন যাঁর সঙ্গে প্রেম করেছেন, ওই কর্মী কিছুদিন আগে হুগো বাররা নামের গুগলের আরেক কর্মীর সঙ্গে প্রেম করছিলেন। এ ঘটনার পর হুগো বাররা গুগল ছেড়ে চীনের শাওমি নামের একটি প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন। ব্রিনের এ ঘটনার মতো গুগলে নিশ্চয়ই আরও ঘটনা রয়েছে। গুগলের কর্মকর্তাদের মধ্যে পরকীয়ার ঘটনা অনেক রয়েছে। সহকর্মী ও অধস্তনদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর বিষয়টি নতুন ঘটনা নয়। গুগলের এক যুগলের কথা শোনা যায় যাঁরা স্বামী-স্ত্রী হলেও গোপনে দুজনই আরও দুজনকে বিয়ে করেছেন এবং তাঁদের সন্তানও রয়েছে। এ ছাড়াও গুগলের চেয়ারম্যান এরিক স্মিডের স্ত্রীকে ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’ একবার তাঁর স্বামীর পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমি স্বতন্ত্র জীবনযাপন করি।’ গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতার রোমান্টিক সম্পর্কগুগল এমন একটি জায়গা যেখানে সবকিছুর ক্ষেত্রেই প্রচ্ছন্ন অনুমতি পান এখানকার কর্মকর্তারা। গুগলে কাজের সময় সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে এক কর্মী বলেন, গুগল থেকে অনেক বিষয়ে ছাড় পাওয়া যায়। প্রযুক্তি ও ব্যবসায় দক্ষ কর্মীদের নিয়ে গড়া গুগলের মতো একটি কর্মপরিবেশে মানুষ পরস্পরের প্রতি আকর্ষিত হবে, এটাই স্বাভাবিক। যাঁরা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়বেন, তাঁদের সঙ্গে যুদ্ধ করে আটকে রাখা যাবে না। ওই কর্মী দাবি করেন, শুধু গুগলে নয়, ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানের পেছনের গল্পও একই। গুগলে রাজনীতি এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার নাপা ভ্যালির কারনেরস ইন নামের হোটেলে দুদিনের এক অবকাশ বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন গুগলের বিভিন্ন দেশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা। এ সময় এখানে উপস্থিত ছিলেন গুগলের বিজ্ঞাপন বিভাগের কর্মকর্তা সুসান ওজকিসকি, অ্যান্ড্রয়েড বিভাগের প্রধান অ্যান্ডি রুবিন, ইউটিউবের সিইও সালার কামাঙ্গার, গুগল ক্রোমের প্রধান সুন্দর পিসাই, গুগল প্লাসের কর্মকর্তা ভিক গানডোটরা। এ সময় গুগলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছিলেন তাঁদের নির্দিষ্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও। এ বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা অবশ্য গোপন ছিল। এ বৈঠকে গুগলের কোনো লোগো ব্যবহার করা হয়নি। এ দুদিন একসঙ্গে থাকার ফলে গুগলের সব বিভাগের প্রধানদের মধ্যে পরস্পরকে জানার পরিবেশ তৈরি হয়। গুগলের সব বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে যোগ দেন গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ। ল্যারি পেজ এ সময় গুগলের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘গুগলের লক্ষ্য অনেক দূর, কিন্তু গুগল কখনো এর নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে পারবে না, যদি এই বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তাদের মধ্যে পরস্পরের সঙ্গে ঝগড়া-লড়াই বন্ধ না হয়।’ ল্যারি পেজ আরও বলেন, ‘এখন থেকে গুগল কোনো মারামারি বা পরস্পরের সঙ্গে সংঘাত সহ্য করবে না।’ পেজ এ সময় আরও বলেন, গুগল যখন শুরু হয়েছিল তখনকার দিনগুলোতে গুগলের নেতৃত্বের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সহ্য করেছি কিন্তু সে সময় গুগলের সমস্যাগুলো ছিল অল্প। সে সময় গুগলের বাজার দখল করতে যেকোনো কিছু করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। বর্তমানে বিভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে গুগল শীর্ষস্থানে চলে আসায় এর সমস্যাগুলো এখন বেশি। গুগল এখন যে অবস্থায় রয়েছে এর চেয়েও আরও ১০ গুণ বড় হতে হবে গুগলকে। নতুন বাজার তৈরি করতে হবে এবং সব সমস্যা সমাধান করতে হবে। গুগলের বিদ্যমান সমস্যা দূর করতে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার জন্য তাগাদা দেন গুগলের প্রধান নির্বাহী। শেষে ল্যারি পেজ বলেন, গুগলে রাজনীতি আর লড়াই চলতে থাকলে পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ল্যারি পেজের কথার মধ্যেই গুগলের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার গুগলে দীর্ঘদিন ধরে তো পরস্পরের সঙ্গে লড়াই করেই আসছি।’ আরেক কর্মকর্তা ওই সময় বলেন, ‘রাজা সহ্য করছে বলেই রাজপুত্ররা যুদ্ধ করছে।’ কথা অবশ্য ঠিক, গুগলের রাজা দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিষ্ঠানটিতে রাজনীতির খেলা সহ্য করছেন। বিতর্কের নাম গুগল গুগলে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে গেলে তা অবশ্যই চরম বিতর্ক করে তবেই নেওয়া হয়। নব্বইয়ের দশকে গুগলের শুরুর দিনগুলো থেকেই এ বিষয়টি চলে আসছে। গুগল নিয়ে লেখা বইতে ডগলাস অ্যাডওয়ার্ড লিখেছেন, ব্রিন ও পেজ দুজন কোনো সিদ্ধান্তের ঐকমত্যে পৌঁছাতে গালিগালাজ, তর্কবিতর্ক কোনো কিছুই বাদ রাখতেন না। নতুন কর্মীদের সামনেও দুজন প্রকাশ্যে তর্কেবিতর্কে জড়িয়ে পড়তেন। নতুন কর্মীদের তর্কবিতর্ক শুনতেন। শেষে বিতর্কে যে জয়ী হয়, তার কথা শোনা হতো। এ সময় গুগলে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো বা নিয়ন্ত্রণ ছিল না। গুগলে তর্কবিতর্ক করে কাজ বাগিয়ে নেওয়া এবং হেরে যাওয়া কর্মীদের মধ্যে বিভেদ সব সময় ছিল। তর্কবাগীশরা সব সময় গুগলের প্রধানের কাছ থেকে ভালো পদ পেয়েছেন। এখনো গুগলে এ ধারা রয়েছে। এ ধরনের বিতর্কে গুগলের অনেক ভালো সিদ্ধান্ত বেরিয়ে এসেছে বলে মনে করা হয়। ধারণা করা হয়, গুগলে শেষ দিকে পণ্য ব্যবস্থাপক মারিসা মেয়ার ও ইউটিউবের সিইও সালার কামাঙ্গারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা শত্রুতার পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। বর্তমানে গুগলের চাকরি ছেড়ে ইয়াহুর প্রধান নির্বাহীর পদে যোগ দিয়েছেন মারিসা মেয়ার এবং ইয়াহুকে ঢেলে সাজিয়েছেন তিনি। গুগলের একটি সূত্র জানিয়েছে, মারিসা মেয়ার খুব ভালো তার্কিক। নির্দিষ্ট তথ্য খুব দ্রুত স্মরণ রাখতে পারেন তিনি এবং কম সময়ে অনেক দরকারি কথা বলতে পারেন। এদিকে, মারিসার সঙ্গে কথার প্রতিযোগিতায় কোনোভাবেই পেরে উঠতেন না কামাঙ্গার। তবে নতুন আইডিয়া দিয়ে তিনি সব সময় ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিনকে নিজের পক্ষে রাখতে পেরেছিলেন। মেয়ারের দক্ষতা থাকলেও ল্যারি পেজের সঙ্গে কামাঙ্গারের ঘনিষ্ঠতা সব সময় তাঁকে জেতাতে সাহায্য করেছে। গুগলের রাজনীতিবিদ হিসেবে এখন গুগল প্লাসের ভিক গানডোটরা, সুন্দর পিশাই, অ্যান্ডি রুবিনের কথা সবার জানা। ভিক গানডোটরা তাঁর রাজনীতির গুণে গুগল প্লাস প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন, আর সুন্দর পিশাই কাজ করছেন গুগলের অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে। তবে গুগলে যে কারও জায়গা স্থায়ী নয়, ল্যারি পেজকে তুষ্ট করে টিকে থাকতে হয়, তা বুঝতে পেরেছেন মারিসা মেয়ার ও অ্যান্ডি রুবিনের মতো অনেকেই। তবে গুগল সূত্র জানিয়েছে, অ্যাপল নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে সহজে পৌঁছানো যায়, তবে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে সহজে তা হয় না। প্রশ্ন হচ্ছে, এ রাজনীতি ল্যারি কেন টিকিয়ে রেখেছেন? সময়ই বলে দেবে গুগলে এ রাজনীতির খেলার ভবিষ্যত্ কী। http://www.prothom-alo.com/technology/article/50377/%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%87_%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE_%E0%A6%93_%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0_%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE

Friday, September 6, 2013

মানুষের ত্রাস হয়ে সাইব্রিডরা আসছে!

মানুষ আর কুকুরের জিন মেশানো হলে এরকম প্রাণী হতে পারে। ভাবুন তো, আপনার দুটো পাখা বা একটি বানরের মতো লেজ আছে! কেমন লাগে? ভবিষ্যতে মানুষ ও পশুর পাশাপাশি তৃতীয় আরেকটি গোত্রের প্রাণীর সম্ভাবনা অমূলক নয়। কেমন হবে তারা? বুদ্ধিমান নাকি গাধা টাইপের তা ঠিক করে দেওয়ার ক্ষমতা বিজ্ঞানীদের হাতে। নতুন প্রজাতির প্রাণী নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে যাচ্ছেন। এটা মানুষের জন্য ভালো হবে নাকি মন্দ? ভীতিকর নাকি আশাপ্রদ, এ নিয়ে সম্ভাবনা ও সংশয় থেকে যাচ্ছে। মানুষের ডিএনএর সঙ্গে পশুর ডিএনএ মিশিয়ে নতুন ভ্রূণ তৈরির বিষয়টিতে নানা নৈতিক বাধা রয়েছে বিজ্ঞানীদের। কিন্তু করপোরেট বিশ্বে নিজ স্বার্থ হাসিলে গোপন গবেষণা থেমে আছে কি? যেমন এখন প্রকাশ্যেই জাপানের গবেষকেরা প্রাণীদেহে মানুষের অঙ্গ তৈরির বিষয়টি নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছেন। জাপানের গবেষকেরা মানুষ ও প্রাণীর জিন ব্যবহার করে নতুন একধরনের ভ্রূণ তৈরি করতে চান। তাঁরা বলছেন যে, মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরিতে কাজে লাগানোর জন্য গবেষণা করতে চান তাঁরা। এটাকে বলে ‘সিমেরিক এমব্রায়ো’ নিয়ে গবেষণা। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ‘সিমেরিক এমব্রায়ো’ তৈরির এমন একটি প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছেন, যাতে প্রাণীর ভ্রূণের সঙ্গে মানুষের স্টেম সেল স্থাপন করা হয়। এতে করে প্রাণীর শরীরে ‘মানুষ ও পশুর হাইব্রিড’ তৈরি হবে, যা থেকে মানুষের চিকিত্সায় ব্যবহূত অঙ্গ পাওয়া যাবে। গবেষকদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, মানুষ ও প্রাণীর মিশ্রিত ভ্রূণ গর্ভাশয়ে স্থাপনের পর স্বাভাবিক জন্মগ্রহণ করে হাইব্রিড প্রাণী। এরপর সেই হাইব্রিড প্রাণীদেহে উত্পাদিত অঙ্গটি সংগ্রহ করবেন গবেষকেরা এবং মানুষের শরীরে তা প্রতিস্থাপন করবেন। এখন পর্যন্ত ‘সিমেরিক এমব্রায়ো’ তৈরির বিষয়টি বৈধ; তবে কোনো প্রাণীর গর্ভে তা স্থাপন করার বিষয়টি বৈধ নয়। জাপানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অনুমোদন দেওয়ার কথা ভাবছে। জাপানের গবেষকেরা বলছেন, তাঁরা অনুমোদন পেলে এক বছরের মধ্যেই প্রাণীদেহে মানুষের অঙ্গ তৈরির বিষয়ে সাফল্য পাবেন। এসপ্লাইস মুভির দৃশ্য বিজ্ঞানের সাহায্যে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পেরেছেন গবেষকেরা। বিজ্ঞানের কাল্পনিক যে কাহিনি চিত্র আমরা হরহামেশাই দেখে আসছি, তা সত্যি হতে চলেছে। গবেষকেরা নতুন করে ‘মানুষ ও পশুর হাইব্রিড’ তৈরির বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান করতে কাজ চলছে। আজ থেকে দুই বছর আগে ২০১১ সালে যুক্তরাজ্যের অ্যাকাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্সেস একটি সাড়াজাগানো প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল; যাতে বলা হয়েছিল, দেশটির গবেষকেরা মানুষের বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রাণী পরীক্ষাগারে জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন। সিমেরিক এমব্রায়ো তৈরির গবেষণার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যেই আইন মানা হয়েছিল। গবেষকেরা এ সময় পশুর ডিম্বাণুর সঙ্গে মানুষের শুক্রাণু মিলিয়ে তৈরি করেন ‘সাইব্রিড’। এই সাইব্রিড যদি কখনও পরীক্ষাগার ছেড়ে উন্মুক্ত পৃথিবীতে এসে পড়ে তবে তাঁরা হবে অদ্ভুত এক প্রাণী। ইঁদুরের ও শূকরের দেহে তৈরি হচ্ছে মানব দেহের বিভিন্ন অংগ মানুষ ও পশুর ভ্রূণ তৈরির বিষয়টি সব সময় বিতর্ক তৈরি করেছে, নৈতিকতার প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা নৈতিকতার প্রশ্নে গবেষণার কাজ এগিয়ে নিতে পারেননি। এ রকম দুটি গবেষণার ক্ষেত্র হচ্ছে মানুষের শুক্রাণু বা ডিম্বাণুধারী কোনো হাইব্রিড ও মানুষের মস্তিষ্ক বা বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হাইব্রিড। এখন পর্যন্ত কোনো ভ্রূণকে ফিটাস পর্যায়ে রূপান্তর করা যাবে না। ভ্রূণ তৈরির ১৪ দিন পরেই তা ধ্বংস করে ফেলতে হয়। কল্পনা আর বাস্তবের মধ্যে অনেক ফারাক। আমাদের কল্পনাকে হার মানাতে পারে এমন কিছু নিয়েও হয়তো কোনো গোপন গবেষণাগারে চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। মানুষের ডিএনএর সঙ্গে অন্য কোনো প্রাণীর ডিএনএ মিশিয়ে নতুন কোনো প্রাণী তৈরির প্রচেষ্টা। নিশ্চয় বায়োটেকনোলজির সাহায্যে মানুষের বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রাণী তৈরির বিষয়টি গা ছমছমে এক বিষয়। ভয় বা আশঙ্কা কোনো ‘ফ্রাংকেনস্টাইনের’ (দানবের নাম)। একদিন আমাদের সঙ্গে কারা সহবস্থান করবে তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে ভয়। কোনো এক বিজ্ঞানী বলেছিলেন, এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের নিয়ে ভয় নেই, আমাদের মধ্যেই এলিয়েন আছে তাকে নিয়েই ভয়। ডলি যেভাবে তৈরি হয়েছে সেভাবেই উন্নত গবেষণায় ভেড়ামানব অসম্ভব নয় কর্পোরেট কোনো প্রতিষ্ঠানের গোপন অন্ধকার কুঠুরি থেকে একদিন হয়তো সূর্যের আলোয় বেরিয়ে পড়বে উড়ুক্কু মানুষ, চারপেয়ে মানুষ, কুকুরের মত দেহ কিন্তু প্রজননক্ষমতা মানুষের মতো। ভয়ের নাকি সম্ভাবনার? বিশ্বাস করুন, আর নাই করুন, ওরা আসছেই! ড্রোন বা চালকবিহীন বিমান নয়, এরপর মানবজাতিকে পঙ্গু করতে আসছে নতুন ত্রাস! হাইব্রিড ও সাইব্রিড! মানুষ আর বানর তৈরির পথে নতুন সাইব্রিড মাছের সঙ্গে ঘোড়ার জিন নতুন প্রজাতির প্রাণী নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে যাচ্ছেন। এটা মানুষের জন্য ভালো হবে নাকি মন্দ? ভীতিকর নাকি আশাপ্রদ, এ নিয়ে সম্ভাবনা ও সংশয় থেকে যাচ্ছে। মানুষের ডিএনএর সঙ্গে পশুর ডিএনএ মিশিয়ে নতুন ভ্রূণ তৈরির বিষয়টিতে নানা নৈতিক বাধা রয়েছে বিজ্ঞানীদের। কিন্তু করপোরেট বিশ্বে নিজ স্বার্থ হাসিলে গোপন গবেষণা থেমে আছে কি? মানুষের বাচ্চা হবে মুরগির মতো!

Saturday, July 27, 2013

PM SHEIKH HASINA COOKING MOROG-POLAW!

Sheikh Hasina is a mother after all. She is Prime minister, She is Awamelegue leader, she is most powerful woman , overall she is a mother. According to Sajeb Wazed Joy’s Facebook post, prime minister prepared the meal herself for her son’s birthday.A Facebook post in Sajeeb Wazed Joy’s official fan page shows her mother, Prime Minister Sheikh Hasina, is cooking ‘Chicken Polao’ for her son’s birthday bash Photo- Courtesy Prime Minister Sheikh Hasina on Saturday herself cooked “chicken polao” for her son, Sajeeb Ahmed Wazed Joy, on his birthday. A picture of Sheikh Hasina uploaded on Joy’s Facebook page shows the prime minister cooking in the kitchen. She is seen holding a wooden spoon stirring chicken in a pot. She also wore an apron over her white saree. “A special treat for everyone. The Prime Minister cooking chicken pulao for me! Her pulao is really the best I have ever tasted,” the caption by Joy reads. Joy’s 42nd birthday was celebrated in a low-key with family members– mother Sheikh Hasina, wife Kristine Overmyre, daughter Sophia and sister Saima Hossain Putul and her four children at the prime minister’s official residence Ganabhaban. In a message on his facebook fan page, Joy said he refrained from publicly celebrating his birthday as “one of our Members of Parliament Mr Golam Shabur died in a tragic car accident. Our deepest condolence and sympathy to his family. May his soul rest in peace.” Hasina’s eldest child was born in 1971 in Dhaka during the Liberation War. Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman named him after the nation won victory. The PM’s son also thanked everyone for wishing him birthday and said, “It is really wonderful to be able to celebrate my birthday surrounded by friends and family in Bangladesh. Kristine and Sophia are here, along with my sister and her clan – she has four kids. The only ones missing are my aunt and her kids.”

Lumia 1030, Nokia 6 inch Phablet

Finnish Mobile Maker Nokia’s next effort will be a 6 inch windows Smartphone or Phablet after 41 MP Pureview sporting Lumia 1020 and 4.7 inch Lumia 625. Recently Nokia’s Phablet image leaked in Online. Chinese Microblogging site Weibo has leaked purported Lumia Branded Phablet with bigger screen and high resolution Display. It is said that, Nokia is running hard like a racing horse to compete with iPhone and android based Samsung phones. In its launching spree, Nokia is rolling out as many as seven handsets in a span of just four months. Nokia’s PhabNokia 6 inch Phabletlet will bet on Samsung Galaxy Note III, Sony Xperia Z Ultra and Huawei Ascend Mate. These Phones are bigger and creates a new category of Smartphone which is above 5inch and near 6.5 inch. The leaked photo shows just the front panel with the Nokia logo on top and the standard three-key layout of Windows Phone smartphones at the bottom. The display has space for a front-facing camera and very thin bezels on the side. It is reported that Nokia phablet will be made on China based factories. Microsoft is due to release its GDR3 update for Windows Phone mobile operating system. This update will bring several new features to the platform, including support for quad-core processors and 1080 pixel resolution displays. It will also introduce another row of home screen Live Tiles, which will help phablets make full use of the big screen. Nokia could place the Phablet as Lumia 1030 Model. It will be come to market later this year of the first quarter of the 2014 along with a flexible Nokia phone. The price range for the Nokia tab could be around $700 t0 $800. The phablet will support 13 MP rear camera and 5Mp front camera along with latest sensors from Nokia

http://www.techandteen.com/

Tuesday, July 16, 2013

Allama Sofi's Tetul talk or Tamarind story (Video)

Allama Shafi Amir Hefazate Islam speech.Allama Sofi is now Hot,,Sofi is running Hot with his Tetul speech. TamarindTetul Achar is an easy recipe for a finger licking pickle. It is sweet, sour and spicy. It is delicious by itself, especially on a lonely rainy afternoon :) However, it is also served with samosar, shingaras or with rice and curry. Literally, it means “tamarind”, the imli or Tamarindus Indica, a very sour dark fruit with black seeds. Describing recent activities of youths involved in Shahabagh movement and mass killing by the government as an attack on Islam by the atheists and their masters, country’s highly respected Islami thinker Allama Shah Ahmed Safi on Saturday made a clarion call to all Muslim to be united for protecting Islam. Chairman of Bangladesh Kaomi Madrasha Education Board, Amir of Hefajate Islam, and director general of Darul Ulum Hathajari, Allama Safi made this call in a written speech at Ulema Mashayek conference held at Jameya Ahaliya Darul Ulum Hathajari in Chittagong. He said the Indo-US imperialist forces and their local agents, some bloggers who are so-called Muslims believe in atheism inspired by Taslima Nasrina and leftist political leaders, have launched fresh attack on Islam by spreading venom against some fundamental beliefs of Islam and carrying out false propaganda against Alem society. These atheist cliques are hurting believers by publishing anti-Islamic articles attacking Almighty Allah, Prophet Hazrat Muhammad (sm) and Islamic lifestyle on their blogs and other social media websites. He said these youths are promoting all activities contrary to Islamic values and life-style such as nudism, free-sex etc. which will ultimately lead the country towards destruction. They are labeling hijab and burka, a dress for women approved by Islam, as dress of ‘prostitutes of hotels’ and portraying respected alems and Islami personalities as terrorist, militant and other bad elements of the society. He said they are doing all these with full backing from the government. Accusing the prime Minister Sheikh Hasina-led grand alliance government of patronizing these atheists, Allama Safi said the government is taking no steps against conspirators against Islam but killing Muslims who are building resistance against them. He alleged that the government was hatching conspiracy to uproot Islam from the soil of this country at the advice of the atheist leaders of left political parties. But he warned that any design against Islam would not only be foiled but the conspirators would be uprooted as well from this country if the conspiracy against Islam continued. He was critical of a section of some newspapers and electronic media for backing these atheists in the name of upholding and reviving the spirit of 1971 liberation war. He said it is a matter of surprise to see that a slain atheist blogger (Rajib) has been declared “Shaheed” in a country where more than 90 per cent people are Muslims. The internationally renowned and respected Islamic thinker Allama Safi has demanded of the government to immediately stop all activities against Islam, Almighty Allah and prophet Muhammad (sm) and called upon all Muslims to be united to resist enemy of Islam immediately. Women compared as tamarind tetul – Allama Ahmed Shafi said..visit this link http://www.techandteen.com/ https://www.youtube.com/watch?v=Vqi-0aWBO_w

Friday, July 12, 2013

Rotten Apple or Revive?

AppleWill apple regenerate or fallen? A big Apple Question on Apples fortune. Apple: Game over or room to grow? Watching Apple stumble is a little like witnessing a just-over-the-hill prizefighter wobbling on his feet or a once-eloquent orator stammering for the right word. But there’s no question: Apple has lost a step since the death of Steve Jobs. That this observation is as inevitable as the effects of gravity doesn’t make it any less shocking or lamentable. How has Apple fallen? Let us count the ways. It has been three years since the release of the iPad, the company’s last breakthrough product. The latest version of its mobile software reminds design critics more of the edgier features of Google’s Android or Microsoft’s Windows Phone than anything associated with Apple’s penchant for leapfrogging-the-competition boldness. Apple’s management is defensive, its people are less committed, and its competitors are resurgent. Apple’s ferocious profit growth has stalled, and investors have lost faith in its ability to restart that engine. Apple’s stock price is deflated, sure, but that’s merely a symptom, not the disease.

Wednesday, July 10, 2013

parbon.com is a beatiful blog of bangladesh. We like the blog very much covers All parbon News Parbon.com is beautigul site. Visit parbon.com

Tuesday, July 2, 2013

Yasmin Mita Noor allegedly committed suicide

Television actress Sabina Yasmin Mita Noor allegedly committed suicide. Police recovered the body of the 42-year-old in the morning after her husband Shahanur Rahman Majumder informed them over the phone around 6:40am. Samples from different parts of her body had been collected for viscera tests, he said, adding that the cause of her death would be known for sure after the tests.Morgue sources said the injury marks on her body might be two to three days old but those could not be directly linked to her death. Shahanur and Mita got married 24 years ago. Mita Noor is a very well known face in the TV media from the 90s. She has acted in a large number of TV plays and serials. As a successful TV actress, though she had possessed a good position in drama for 22 years. By performing in a weekly play of Bangladesh television titled ‘Sagor Sencha Sadh’ in 1989, Mita Noor came into view as an actress. But she earned huge popularity by performing in TV. By performing in a weekly play of Bangladesh television titled ‘Sagor Sencha Sadh’ in 1989, Mita Noor came into view as an actress. But she earned huge popularity by performing in a TVC of Olympic battery in 1992,which was directed by Afzal Hossain.

Monday, June 24, 2013

Purnima Get off Cinema For family

Bangladeshi top sexy heroine Purnima supposed to quit from cinema.She was discovered by director Zakir Hossain; he first cast her in the movie “E Jibon Tomar Amar”.

Tuesday, June 11, 2013

Hindu-Muslim Love issue Kill Zia Khan?You destroyed my life, says Jiah Khan’s suicide note

Full text of Jiah Khan’s ‘suicide’ note Jiah Khan’s suicide note – which was found a few days after she took her life at her apartment in Juhu – has been revealed.According to DNA, Jiah’s mother Rabiya found the six-page letter in her wallet box when she was searching for poems written by the late actress to be read out at her prayer meet held on Sunday. The letter – which does not mention anybody’s name – reads as follows: “I don’t know how to say this to you but I might as well now as I have nothing to lose. I’ve already lost everything. If you’re reading this I might have already left or about to leave. I am broken inside. You may not have known this but you affected me deeply to a point where I lost myself in loving you. Yet you tortured me every day. These days I see no light I wake up not wanting to wake up. There was a time I saw my life with you, a future with you. But you shattered my dreams. I feel dead inside. I’ve never given so much of myself to someone or cared so much. You returned my love with cheating and lies. It didn’t matter how many gifts I gave you or how beautiful I looked for you. I was scared of getting pregnant but I gave myself completely the pain you have caused me everyday has destroyed every bit of me, destroyed my soul. I can’t eat or sleep or think or function. I am running away from everything. The career is not even worth it anymore. When I first met you I was driven, ambitious and disciplined. Then I fell for you, a love I thought would bring out the best in me. I don’t know why destiny brought us together. After all the pain, the rape, the abuse, the torture I have seen previously I didn’t deserve this. I didn’t see any love or commitment from you. I just became increasingly scared that you would hurt me mentally or physically. Your life was about partying and women. Mine was you and my work. If I stay here I will crave you and miss you. So I am kissing my 10-year career and dreams goodbye. I never told you but I received a message about you. About you cheating on me. I chose to ignore it, decided to trust you. You embarrassed me. I never went out, I never went with anyone else. I am a loyal person. I never met anyone with Karthik I just wanted you to feel how you make me feel constantly. No other woman will give you as much as I did or love you as much as I did. I can write that in my blood. Things were looking up for me here, but is it worth it when you constantly feel the pain of heartbreak when the person you love wants to abuse you or threatens o hit you or cheats on you telling other girls they are beautiful or throws you out of their house when you have no where to go and you’ve come to them out of love or when they lie to your face or they make you chase after them in their car. Or disrespects their family. You never even met my sister. I bought your sister presents. You tore my soul. I have no reason to breathe anymore. All I wanted was love. I did everything for you. I was working for us. But you were never my partner. My future is destroyed my happiness snatched away from me. I always wished the best for you, was ready to invest what little money I had in your betterment. You never appreciated my love, Kicked me in the face. I have no confidence or self esteem left, whatever talent whatever ambition you took it all away. You destroyed my life. It hurt me so much that I waited for you for ten days and you didn’t bother buying me something. The Goa trip was my birthday present but even after you cheated I still spent on you. I aborted our baby when it hurt me deeply. You destroyed my Christmas and my birthday dinner when I came back. When I tried my hardest to make your birthday special. You chose to be away from me on Valentines Day. You promised me once we made it to one year we would get engaged. All you want in life is partying, your women and your selfish motives. All I wanted was you and my happiness you took both away from me. I spent money on you selflessly you would throw in my face. When I would cry for you. I have nothing left in this world to live for after this. I wish you had loved me like I loved you.

Friday, June 7, 2013

IPL and BPL Match Fixing: SHILPA Shetty

Special Cell may call Shilpa Shetty and other team owners on IPL spot-fixing Case. Recently Rajasthan Royals co-owner Raj Kundra surrenders passport to Delhi Police. Kundra has been told not to leave the country. This comes a day after he was questioned for almost 12 hours.Information on Kundra came to light during the interrogation of his friend Umesh Goenka, a businessman who reportedly used to ask RR players about strategy, team composition, pitch situation and even things like the possible winner of a match. Delhi Police recorded Goenka's statement under Section 164 CrPC in front of a magistrate. This bars him from retracting his statement. He reportedly gave important details on the involvement of others and more evidence on three arrested cricketers-S Sreesanth, Ankeet Chavan and Ajit Chandila. Goenka was first questioned on Tuesday. Kundra is Goenka's partner in his steel ingots manufacturing business called Ashwini Steel Private Limited in Ahmedabad. Goenka was reportedly present at most RR matches and interacted with the players and the team management. Sources said RR player Sidharth Trivedi named Goenka as one of those who interacted with the players and asked them about strategy. It was after this that Kundra was called for questioning. Kundra was quizzed mainly on three aspects. He was asked about the capacity in which Goenka interacted with the management on team strategy and asked players other questions. Kundra was also asked about the "open parties his team players attended" with the bookies at the team hotel. Delhi Police also asked Kundra about his team's partnership and investment pattern since he only owns 11.7% in the team. The major stakes are held by people based abroad-Manoj Badale,Lachlan Murdoch and Suresh Chellaram.

Tuesday, June 4, 2013

Mohammad Ashraful to stay off

Bangladesh Cricket Board (BCB) has asked Mohammad Ashraful to stay off all forms of the game until ICC's Anti Corruption and Security Unit (ACSU) submits its report on the raging spot-fixing controversy in the Bangladesh Premiere League (BPL). BCB chief Nazmul Hasan told a press briefing Tuesday at Dhaka's Sher-e-Bangla Stadium that the BCB is expected to receive the full report of the ACSU investigation soon. “ACSU’s investigation will end soon. They will submit the full report to BCB in seven days,” Nazmul Hasan said. “I’ll ask you the press to be patient and wait for some more days. Those who were involved in spot-fixing will have to be given exemplary punishment. Otherwise you all know where will Bangladesh’s cricket end up.” Nazmul Hassan scotched speculaation on how many players might be involved in the spot-fixing, saying 'it was not a matter to be discussed right now." If accusations are proved against anyone, he will not be spared, Hasan said, insisting the ACSU and the BCB will jointly publish the report. The ACSU officials arrived in Dhaka on Saturday evening. This is their fourth visit to investigate the spot-fixing allegations in the last two-and-half months. The investigators questioned several Bangladesh cricketers during their last visit, but have not interrogated anyone else this time. But Dhaka Gladiators owner Selim Chowdhury’s son and also team’s Managing Director Shihab Chowdhury was questioned on Sunday.