TECH GURU, TECH-SCIENCE NEWS

"I celebrate myself, and sing myself,
and what I assume you shall assume,
for every atom belonging to me as good belongs to you."

Tuesday, December 17, 2013

দেবযানির বস্ত্রহরণ আর আমাদের উত্তাপ

কেন হল সুন্দরী দেবযানির বস্ত্রহরণ? কী এমন ছিল সুন্দরী দেবযানির কাছে যে তাঁকে নগ্ন করে পরীক্ষা করতে হল? গৃহপরিচারিকাকে বেতন কম দেওয়ার কারণে যে মামলা তার বিরুদ্ধে তার চেয়ে হাস্যকর আর কী হতে পারে? সুন্দরী দেবযানি সঙ্গে করে তো কোনো পিস্তল বা অস্ত্র রাখেননি। তবে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের যে অবনতি তা এই দেবযানি মামলাতেই পরিস্কার। বাংলাদেশের রাজনীতির উত্তাপ যে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রকে তাতাচ্ছে তা আর না বললেও চলছে। আমেরিকা কর্তৃক সুন্দরী দেবযানির বস্ত্রহরণ বাংলাদেশ প্রশ্নে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের এক বাস্তব রূপ। নিউইয়র্কের ভারতীয় কনস্যুলেটর ডেপুটি কনসাল জেনারেল দেবযানির বাবা উত্তম খোবরাগাড়ে দাবি করেছেন যে তাঁর মেয়েকে কূটনৈতিক সম্পর্কের ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হয়েছে। দেবযানিকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য উত্তম খোবরাগাড়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।উত্তম খোবরাগাড়ে বলেছেন, সরকার তাঁর মেয়েকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে। দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তাঁর মেয়েকে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। নিউইয়র্কে নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানি খোবরাগাড়েকে (৩৯) গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একজন গৃহকর্মীকে ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে যেসব তথ্য দিয়েছেন, তাতে মিথ্যাচার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ জানিয়েছে, দেবযানি ওই গৃহকর্মীকে যে মজুরি দিচ্ছেন, তা যুক্তরাষ্ট্রের আইনানুযায়ী সর্বনিম্ন মজুরির চেয়ে কম। দেশটিতে সর্বনিম্ন মজুরি চার ডলার প্রতি ঘণ্টা। যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ দেবযানিকে কারাগারে বিবস্ত্র করে তল্লাশি করেছে, মাদকাসক্তদের সঙ্গে একই কক্ষে আটক করে রেখেছে এবং তাঁর ডিএনএ নমুনাও সংগ্রহ করেছে। দেবযানির ঘটনায় পুরো ভারত এখন তোলপাড়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ দৌড়ে বেড়াচ্ছেন। ভারতের সরকারি-বিরোধী সবাই একজোট। যুক্তরাষ্ট্রকে উচিৎ শিক্ষা দিতে হবে। দেবযানিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার সিন্ধে ও নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশানাল ডেলিগেশনের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেছেন। প্রশ্ন উঠছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের এই সম্পর্কের অবনতি কী নিয়ে? বাংলাদেশ। ইদানিং জাতিসংঘ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ সব মানবাধিকার কর্মীরা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ে যেন কাঁদতে বসেছেন। পাকিস্তান তো পারলে বাংলাদেশ আক্রমণ করেই বসে। ফাঁসি ঠেকাতে কতো তোড়জোড় দেখলাম। কিন্তু ভারত কোনো চাপ দেয়নি বলেই কী ভারতের দেবযানিকে দিয়ে শিক্ষা দিতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। দেবযানি বলছেন অন্যকথা। মার্কিন নীতির প্রতিবাদ করায় তার এই দুর্দশা। ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়ের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে দিল্লি-ওয়াশিংটন বিরোধ চরমে পৌঁছেছে।ভারতের প্রতিবাদ সত্ত্বেও মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে ভিয়েনা কনভেনশনে যা বলা আছে তার আওতায় দেবযানী পড়েন না। ভিয়েনা কনভেনশনে বলা হয়েছে, কোনও বিদেশিকে আটক বা গ্রেফতার করলে একটুও দেরি না করে তা তার দূতাবাস বা কনস্যুলেটকে জানাতে হবে। আটক বা গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির অনুরোধ অনুযায়ী, পুলিশ ফ্যাক্সের মাধ্যমে দূতাবাসকে জানিয়ে দিতে পারে। সম্ভব হলে গ্রেফতারের কারণ, সময় উল্লেখ করতে পারে পুলিশ। ভারতের ডেপুটি কনসাল জেনারেল দেবযানী খোবরাগাড়ের গ্রেফতারের সময় আন্তর্জাতিক প্রোটোকল মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেছে দিল্লি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, আইন ভাঙার জন্যই দেবযানীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদিকে নয়াদিল্লি দাবি করছে, অপমান না করেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যেত। দেবযানির ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়াগুলো সোচ্চার। কেউ বলছেন-আমাদের ভাইয়ের যুদ্ধে মাথা গলাতে আসা দুই চোগলখোর মোড়লের লড়াই নেহাৎ মন্দ নয়। কেউ বলছেন ভারত এবার উচিৎ শিক্ষা দেবে। কেউ বলে ভারতের শিক্ষা হয়েছে। ভিযোগ গুলো মিথ্যা কিনা আগে সেটা ভারত প্রমাণ করুন। চোরের মার বড় গলা! ভারত সেটারই প্রমাণ দিচ্ছে।মানবাধিকার নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ফেলানিরা যখন কাঁটাতারে ঝোলে তখন কোথায়থাকে মানবাধিকার বোধ।নাকি শুধু দেবযানীর বস্ত্রহরণে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়? তবে আর যাই হোক দেবযানির বস্ত্রহরণের ঘটনা ইঙ্গিত দিচ্ছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এতোটাই তিক্ত যে, পারলে যে কেউ যে কারও কাপড় খুলে নেবে। আর এই বিরোধটা যে বাংলাদেশের তৈরি কাপড় নিয়ে তার সম্ভাবনা কি একেবারে কম? http://goo.gl/SqQ0V0

No comments:

Post a Comment