TECH GURU, TECH-SCIENCE NEWS

"I celebrate myself, and sing myself,
and what I assume you shall assume,
for every atom belonging to me as good belongs to you."

Monday, July 23, 2012

পদত্যাগ করেছেন মন্ত্রী আবুল হোসেন



পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে শেষ পর্যন্ত সরে যেতে হচ্ছে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ও বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে। মন্ত্রী সরাসরি না বললেও পদত্যাগ করেছেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
পদত্যাগ করেছেন কি না—প্রথম আলো ডটকমের এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল হোসেন বলেন, ‘পদ্মা সেতু বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ অবস্থায় আমি সরকারি দায়িত্ব পালন করতে চাই না। আমার শুভাকাঙ্ক্ষী এবং আমি যাঁদের শ্রদ্ধা করি তাঁরা বিভিন্ন সময় আমাকে বলেছেন, তদন্ত চলাকালে আমার মন্ত্রী পদে থাকা উচিত না। আমি সিদ্ধান্তটা নিয়েছি। কার্যকর ব্যবস্থাও নিয়ে ফেলেছি। আমি দায়িত্বে থাকব না।’ তিনি বলেন, ‘তবে তদন্তে প্রমাণিত হবে আমি নির্দোষ। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। দুদক, কানাডার পুলিশ ও বিশ্বব্যাংক—যে যতই তদন্ত করুক না কেন, আমাদের দুর্নীতিতে জড়াতে পারবে না। আমি অন্যায়কে প্রশ্রয় দিইনি। স্বচ্ছতা, আন্তরিকতা ও দ্রুততার সঙ্গে পদ্মা সেতুর কাজ করেছি।’ 
তদন্তের স্বার্থে দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন কি না—এমন প্রশ্নের কোনো সরাসরি জবাব দেননি সৈয়দ আবুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি জাতির উদ্দেশে একটি চিঠি লিখেছিলাম। সেখানে ইঙ্গিত দেওয়া আছে। সেটি প্রধানমন্ত্রী, বিশ্বব্যাংক ও জাতি—সবাই দেখেছে।’
তাহলে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী থাকছেন, নাকি মন্ত্রিসভা থেকে সরে যাচ্ছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি মন্ত্রী থাকব কি না, সবকিছুই আল্লাহর ইচ্ছে। আর দপ্তরবিহীন মন্ত্রী হওয়ার বিষয়ে আল্লাহ প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা দিয়েছেন। তিনিই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’ 
এদিকে আজ সৈয়দ আবুল হোসেন আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেননি। কী কারণে তিনি যোগ দেননি, তা এখনো জানা যায়নি। 
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের ওপর বিশ্বব্যাংকের চাপ ছিল এবং এখনো আছে। গতকাল রোববার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত পদ্মা সেতুর ঋণ পেতে শেষ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকের চারটি প্রস্তাবই মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কারণ, পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থ সংগ্রহের জন্য সরকার এখনো বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ১২০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। 
অর্থমন্ত্রী গতকাল আরও বলেছেন, ‘গোল্ডস্টেইনের (বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর) দেওয়া চার প্রস্তাবের মধ্যে চতুর্থটি মেনে নেওয়া একটু অসুবিধা ছিল। আমরা চেষ্টা করছি, এটাও কীভাবে সমাধান করা যায়।’ অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তা-ই যদি হয়ে যায়, তাহলে শিগগিরই আমরা শুরু করতে পারি।’ চতুর্থ শর্তটি ছিল তদন্ত চলাকালে সরকারি দায়িত্ব পালন থেকে সরকারি ব্যক্তি অর্থাত্ আমলা ও রাজনৈতিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের ছুটি দেওয়া।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু নিয়ে যে সময় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, সে সময় সৈয়দ আবুল হোসেন যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন। পরে তাঁকে সরিয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পদ্মা সেতুর জন্য কি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টাকা তোলা হচ্ছে?


পদ্মা সেতুর জন্য কি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টাকা তোলা হচ্ছে?


পদ্মা সেতুর টাকা জোগানো নিয়ে সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। একেবারে ছোটো শিশুরা পর্যন্ত বাদ নেই। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ুয়া একটি ছোটো বাচ্চা বলেছে- তাদের স্কুলে নাকি পদ্মা সেতুর নামে টাকা তোলা হচ্ছে। প্রত্যেককে বাড়ি থেকে একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা নিয়ে যেতে বলেছে। শুধু ঐ শিশুটির বিদ্যালয়টিই নয়, এরকম একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাকি টাকা তোলা হচ্ছে। সবাই একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন তো ব্যাপারটা কি??

গ্রামীণ ফোনের সিম থেকে নাকি টাকা কেটে নেওয়া শুরু হয়েছে ২১ জুলাই রাত থেকেই। গতকাল ৪ জনের কাছ থেকে শুনেছি.. তাদের সবার মোবাইলেই নাকি একবার কলের পর অতিরিক্ত ৩ টাকা করে কেটে রাখা হয়েছে।
সত্য মিথ্যা যাচাই করি নাই। তবে বিভিন্ন আতঙ্ক যে ছড়িয়েছে সেটা স্পষ্ট। ছোটো ছোটো শিশু ও সাধারণ ব্যবহারকারীদের প্রতারণা করা হচ্ছে মনে হচ্ছে। সবার কাছে অনুরোধ বিষয়টি খোঁজ নিন। এবং নিজে সচেতন হয়ে অন্যকে সঠিক তথ্যটি জানান।

বাস্তবে এল মাইনরিটি রিপোর্টের সেই সফটওয়্যার!

বাস্তবে এল মাইনরিটি রিপোর্টের সেই সফটওয়্যার!

পরিচালক ও নির্মাতা স্টিভেন স্পিলবার্গের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীনির্ভর ‘মাইনরিটি রিপোর্ট’ নামের চলচ্চিত্রে দেখানো সফটওয়্যারটি এবারে বাস্তবের মুখ দেখছে।
চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্রের ভূমিকায় টম ক্রুজ বিশাল একটি স্ক্রিনে হাতের অঙ্গভঙ্গি করে যেভাবে দ্রুত ভিডিও চালিয়েছিলেন এ সফটওয়্যারটি সেভাবেই কাজ করবে। সফটওয়্যারটির নির্মাতা ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষক জন আন্ডারকফলার। সফটওয়্যারটি বাজারে আনবে লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অবলং ইন্ডাস্ট্রিজ। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ইসায়েন্সনিউজ।
অবলংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কুউইন ক্র্যামার জানিয়েছেন, সফটওয়্যারটি বিশাল তথ্যভান্ডার থেকে দ্রুত তথ্য অনুসন্ধান করতে পারে। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা বড় ধরনের কোনো ডিসপ্লে ব্যবহার করে যেখানে ভিডিও কনফারেন্স করা হয় সব ধরনের তথ্যই জোগাড় করতে পারে এ সফটওয়্যারটি। ভবিষ্যতে একাধিক স্ক্রিন ব্যবহারকারী, একাধিক ডিভাইস ব্যবহারকারীর জন্য এ সফটওয়্যারটির গুরুত্ব বেড়ে যাবে।

Sunday, July 22, 2012

‘রমজান’ মাসে গুগলের আয়োজন



প্রথমবারের মত মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজানকে সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নিয়ে এল গুগল। রোজার মাসে মক্কা থেকে সরাসরি নামাজ সম্প্রচার করতে একাধিক ইউটিউব চ্যানেল ও গুগল প্লাসে হ্যাংআউট সুবিধা চালু করেছে গুগল। রোজার মাসে সারাবিশ্বের মুসলমানদের কথা মাথায় রেখেই মক্কা থেকে নামাজ সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা চালু করেছে গুগল কর্তৃপক্ষ। রমজান মাসের পুরোটা সময় ধরে এই সরাসরি সম্প্রচার ব্যবস্থা চালু থাকবে। চ্যানেলটির লিংক হচ্ছে http://www.youtube.com/user/MakkahLive/featured লিংকটিতে ক্লিক করলে সরাসরি মক্কা থেকে সম্প্রচার দেখা যাবে। http://www.youtube.com/ramadan লিংকটিতে ক্লিক করে আরবী ভাষার ধর্ম বিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখা যাবে। গুগল ব্লগে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, এই চ্যানেলটি একদিনে ৫০ টিরও বেশি টেলিভিশন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজানে আরবের বিভিন্ন টেলিভিশন অনুষ্ঠান দেখার দর্শক বেড়ে যায়। গুগলের নতুন এই চ্যানেল দুটি রোজার মাসে অনেক দর্শক দেখবে বলেই গুগল কর্তৃপক্ষ আশাবাদী। এদিকে, রোজার মাসে ইফতার তৈরির বিখ্যাত শেফ, চিকিত্সকসহ বিখ্যাত ব্যক্তিদের সঙ্গে ৩০ টিরও বেশি গুগল প্লাস হ্যাংআউটের আয়োজন করেছে গুগল।

Monday, July 16, 2012

সূর্যের পরিণতি হবে নীহারিকায়


সূর্যের পরিণতি হবে নীহারিকায়

সৌরজগতের প্রাণ সূর্য যেদিন নিভে যাবে সেদিন একটা নেবুলা বা নীহারিকায় পরিণত হবে বলেই নাসার গবেষকরা জানিয়েছেন। সম্প্রতি মুমূর্ষ একটি নক্ষত্রের একটি ছবি তুলেছেন নাসার গবেষকরা। গবেষকদের দাবী, সূর্যও ঠিক এ ছবিটির মতোই নীহারিকার রূপ নেবে।

গবেষকদের তোলা ছবিতে দেখা গেছে, মুমূর্ষ নক্ষত্রটির বহিঃআবরণে  বিশাল গ্যাসের মেঘ ছড়িয়ে পড়েছে আর কেন্দ্র টিমটিম করে জ্বলছে। গবেষকদের দাবী, ৫ শো’ কোটি বছর পর যখন সূর্যের জ্বালানি কমে যাবে তখন সূর্যের পরিণতিও হবে একই রকম।

গবেষক বিল স্নাইডারের তোলা ছবিতে যে নীহারিকাটি ধরা পড়েছে তার নাম ডাম্বেল নেবুলা বা এম ২৭। এটি পৃথিবী থেকে ১ হাজার ৩৬০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এ নেবুলাটি বাইনোকুলার বা টেলিস্কোপ ব্যবহার করেও দেখা সম্ভব।

নাসা’র গবেষকরা জানিয়েছেন, এম ২৭ হচ্ছে আকাশে দৃশ্যমান উজ্জ্বল একটি নীহারিকা। ফক্স নক্ষত্রপুঞ্জ অঞ্চলে এটি দেখা যায়। ঐ নক্ষত্র থেকে আলো পৌঁছাতে ১ হাজার ৩৬০ বছর লাগে।

টয়লেট দেবতাকে তুষ্ট করতে..


টয়লেট দেবতাকে তুষ্ট করতে...

টয়লেট দেবতা বলে একজন দেবতা আছেন বলেই জাপানিরা বিশ্বাস করে। আর সে দেবতাকে তুষ্ট করতে পারে এমনই একটি কমোড তৈরি করেছে জাপানি ইনটেরিয়র-ফিক্সারস নির্মাতা লিক্সিল। খবর ইয়াহু অনলাইন-এর।

লিক্সিল তাদের আইন্যাক্স ব্র্যান্ডের কমোড তৈরিতে ৭২ হাজার সারোভস্কি ক্রিস্টাল ব্যবহার করেছে। ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দামের এ ক্রিস্টাল ব্যবহার করে তৈরি কমোডের নাম ‘দ্য সাটিস লু’।

টোকিও’র শোরুমে দামী এ কমোডটি ডিসপ্লে করছে প্রতিষ্ঠানটি।

লিক্সিল-এর সিইও সিনতারো কাই জানিয়েছেন, ‘২০১১ সালটি সুনামি এবং ভূমিকম্প জাপানিদের জন্য অনেক কষ্টকর ছিলো। তাই ক্রিসমাসের আগে সবার মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা হিসেবেই এ টয়লেট তৈরি করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, জাপানের তৈরি টয়লেট সর্বাধুনিক প্রযুক্তির জন্য বিখ্যাত। কারণ জাপানের তৈরি টয়লেটে সাধারণত স্বয়ংক্রিয় লিড খোলার ব্যবস্থা, মানানসই স্প্রে এবং রিমোট কন্ট্রোল ব্যবস্থা থাকে। আর সাটিস মডেলের টয়লেটে প্রতি ফ্ল্যাশে ১ গ্যালন পানি স্প্রে হয়। এ ছাড়াও বেশ কিছু মডেলের টয়লেটে রয়েছে এমপি থ্রি, কথা বলার মতো প্রযুক্তিও।

প্রচলিত জাপানি বিশ্বাস অনুসারে একজন ‘টয়লেট গড’ রয়েছেন। এই শিন্টো গডের আবাস কমোডে। বাথরুম পরিষ্কার রাখলে তিনি খুশি হন এবং তিনি সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেন। নতুন আইন্যাক্স ক্রিস্টাল কমোড দেখে তিনি হয়তো খুশি হবেন বলেই লিক্সিল-এর ধারণা।

বৃহস্পতি'র গ্যানিমিড জয়ের ছক কষছেন নভোচারীরা


বৃহস্পতি'র গ্যানিমিড জয়ের ছক কষছেন নভোচারীরা

রাশিয়ার ফেডারেল স্পেস এজেন্সি রসকসমস এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)-এর গবেষকরা মহাকাশ গবেষণার পরবর্তী লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন বৃহস্পতি গ্রহকে। বৃহস্পতির অন্যতম চাঁদ গ্যানিমিড জয়ের পরিকল্পনা করছেন তারা। খবর ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস-এর।

রসকসমস এবং ইএসএ-এর গবেষকরা সম্প্রতি মস্কোতে আয়োজিত এক সভায় চাঁদ বিষয়ে গবেষণা এবং বৃহস্পতি গ্রহে মহাকাশ মিশনের পরবর্তী পরিকল্পনা করা হয়েছে।

পরিকল্পনা অনুসারে চন্দ্রাভিযান পরিচালনা করা হবে ২০১৬-২০২০ সালের মধ্যে আর ২০২০ সালের পরে শুরু হবে বৃহস্পতি মিশন। তবে, প্রথমে বৃহস্পতির চাঁদ গ্যানিমিড জয় করার পরিকল্পনা করছেন গবেষকরা।

এ প্রকল্পের কারিগরি বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে, গবেষকরা আশা করছেন রাশিয়া এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন একযোগে তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবে।

নভোচারী সুনীতা গোবৈদ্য হতে চেয়েছিলেন! - প্রথম আলো

নভোচারী সুনীতা গোবৈদ্য হতে চেয়েছিলেন! - প্রথম আলো

স্যামসাং বাংলাদেশে নিয়ে এল ‘গ্যালাক্সি এস ৩’ (ভিডিও)


স্যামসাং বাংলাদেশে নিয়ে এল ‘গ্যালাক্সি এস ৩’ (ভিডিও)

মিন্টু হোসেন | 

চুন সু মুন
চুন সু মুন
দেশে আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো স্মার্টফোন স্যামসাং ‘গ্যালাক্সি এস ৩’। স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ অফিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চুন সু মুন ‘গ্যালাক্সি এস ৩’ স্মার্টফোনটি বাংলাদেশের বাজারে আনার ঘোষণা দেন। 
১৫ জুন থেকে পাওয়া যাবে স্যামসাং ‘গ্যালাক্সি এস ৩’। স্মার্টফোন ও ইলেকট্রনিকস পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং তাদের গ্যালাক্সি সিরিজের নতুন পণ্য হিসেবে এই স্মার্টফোনটি বাজারে এনেছে। সি.এস. মুন প্রথম আলো ডটকমকে জানান, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ স্মার্টফোন গ্যালাক্সি এস ৩। স্মার্ট অপারেটিং সিস্টেম ও অত্যাধুনিক ফিচারযুক্ত স্মার্টফোন নিঃসন্দেহে সারাবিশ্বের মত বাংলাদেশেও জনপ্রিয় হবে।’ 
৪ দশমিক ৮ ইঞ্চি সুপার অ্যামোলড ডিসপ্লেযুক্ত এই স্মার্টফোনে রয়েছে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ সংস্করণ ৪.০.৪। 
স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ১ দশমিক ৪ গিগাহার্টজের কোয়াড কোর এক্সিনস ৪২১২ প্রসেসর, ১ গিগাবাইট র্যাম, উন্নত ব্যাটারি, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ও থ্রিজি সুবিধা।
১৩৩ গ্রাম ওজন ও ৮ দশমিক ৬ মিলিমিটার পুরুত্বের স্মার্টফোনটিতে ফিচার হিসেবে রয়েছে ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি, পেছনের দিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ৮ মেগাপিক্সেল ও সামনের দিকে ১.৯ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ‘এস ভয়েস’ নামে ভয়েস কন্ট্রোল প্রযুক্তি। 
দেশে এই স্মার্টফোনটির দাম পড়বে সাড়ে ৬৭ হাজার টাকা। 
স্মার্টফোনটির দাম এতে বেশি কেনো জানতে চাইলে মুন বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ের কারণে দামটা বেশি।
দাম বেশি হলেও অন্যান্য স্মার্টফোনের তুলনায় এ স্মার্টফোনটি সব দিক থেকে এগিয়ে এবং ভবিষ্যতে উইন্ডোজ মোবাইল ফোন বা আইফোনের নতুন সংস্করণের সঙ্গেও গ্যালাক্সি এস ৩ প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম বলে বিশেষ এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছের মুন।

দেশের বাজারে ‘গ্যালাক্সি এস ৩’(ভিডিও)


দেশের বাজারে ‘গ্যালাক্সি এস ৩’(ভিডিও)

বাংলাদেশে ১৫ জুন থেকে পাওয়া যাবে স্যামসাং ‘গ্যালাক্সি এস ৩’। স্মার্টফোন ও ইলেকট্রনিকস পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং তাদের গ্যালাক্সি সিরিজের নতুন পণ্য হিসেবে এই স্মার্টফোনটি বাজারে আনছে। স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স এ তথ্য জানিয়েছে। 
৪ দশমিক ৮ ইঞ্চি সুপার অ্যামোলড ডিসপ্লেযুক্ত এই স্মার্টফোনে রয়েছে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ সংস্করণ ৪.০.৪। 
স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ১ দশমিক ৪ গিগাহার্টজের কোয়াড কোর এক্সিনস ৪২১২ প্রসেসর, ১ গিগাবাইট র্যাম, উন্নত ব্যাটারি, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ও থ্রিজি সুবিধা।
১৩৩ গ্রাম ওজন ও ৮ দশমিক ৬ মিলিমিটার পুরুত্বের স্মার্টফোনটিতে ফিচার হিসেবে রয়েছে ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি, পেছনের দিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ৮ মেগাপিক্সেল ও সামনের দিকে ১.৯ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ‘এস ভয়েস’ নামে ভয়েস কন্ট্রোল প্রযুক্তি। 
দেশে এই স্মার্টফোনটির দাম পড়বে সাড়ে ৬৭ হাজার টাকা। 


দেশের বাজারে স্যামসাং ‘স্মার্ট ক্যামেরা’ (ভিডিও)


দেশের বাজারে স্যামসাং ‘স্মার্ট ক্যামেরা’ (ভিডিও) 

মিন্টু হোসেন |

  •                                                                                                                                  


বাংলাদেশের বাজারে বিল্ট-ইন ওয়াই-ফাই সুবিধার ‘স্মার্ট ক্যামেরা’ নিয়ে এল স্যামসাং। ১৬ জুলাই ঢাকার রূপসী বাংলা হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘স্যামসাং ইলেকট্রনিক বাংলাদেশ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক চুন সু মুন বাংলাদেশের বাজারে এই ক্যামেরা বাজারে আনার ঘোষণা দেন। এ অনুষ্ঠানে ডব্লিউবি১৫০এফ, এসটি২০০এফ এবং ডিভি৩০০এফ স্মার্ট ক্যামেরার তিনটি মডেল বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ অফিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সি এস মুন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে স্যামসাং পণ্যের পরিবেশক স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম।
সি এস মুন জানিয়েছেন, ‘স্যামসাং স্মার্ট ক্যামেরা মানুষকে স্মার্ট করে। এই ক্যামেরা ব্যবহার-বান্ধব। দৈনন্দিন তথ্য বিনিময়ের একটা মাধ্যম হতে পারে স্যামসাং স্মার্ট ক্যামেরা। স্যামসাং স্মার্ট টিভি, ব্লুর প্লেয়ার, কম্পিউটার, স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের পাশাপাশি স্মার্ট ক্যামেরাও বাংলাদেশের মানুষের কাছে স্থান করে নেবে বলে আমরা আশা করছি। তাই ক্যামেরার বাজারে স্যামসাং আরও বিনিয়োগ বাড়াবে।’
স্যামসাং ইলেকট্রনিক বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ অফিসের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক ব্যবস্থাপক মোহম্মদ এনামুল হক জানিয়েছেন, ‘স্যামসাং স্মার্ট ক্যামেরায় নতুন প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটেছে। ছবি তোলা ও অনলাইনে শেয়ার করার জন্য স্যামসাংয়ের এ ক্যামেরা উপযুক্ত।’ তিনি আরও বলেন, যারা ভ্রমণবিলাসী, তাদের জন্য উপযুক্ত ক্যামেরা মডেল হচ্ছে—১৮এক্স অপটিকাল জুমের হালকা ও মজবুত ১৪.২মেগাপিক্সেলের ডব্লিউবি১৫০এফ। এই ক্যামেরায় রয়েছে ওয়াইড অ্যাংগেল লেন্স। বিশ্বের অন্যতম পাতলা ক্যামেরা এসটি২০০এফ মডেলটিতে রয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেল সেন্সর এবং ১০ এক্স অপটিকাল ৩.৫ মিলিমিটার জুম লেন্স। স্যামসাং ডিভি৩০০এফ ক্যামেরাটি স্যামসাংয়ের জনপ্রিয় ডুয়াল ভিউ ক্যামেরার আদলে তৈরি করা হয়েছে । পোর্ট্রেট ছবি তোলার সুবিধার্থে ক্যামেরাটির সামনে রয়েছে ১.৫ ইঞ্চি এলসিডি ডিসপ্লে।
স্মার্ট ক্যামেরাসহ স্যামসাংয়ের সব মডেলের ক্যামেরা শুধু স্মার্ট টেকনোলজিসের অনুমোদিত ডিলার প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাওয়া যাবে। নতুন উদ্বোধন হওয়া এ মডেলগুলোর মধ্যে ডিভি৩০০এফ মডেলের দাম ১৯ হাজার ৫০০ টাকা, এসটি২০০এফ মডেলের দাম ১৮ হাজার ৫০০ টাকা এবং ডব্লিউবি১৫০এফের দাম ২৩ হাজার টাকা।



ইমেইল হ্যাক হয়েছে কি না পরীক্ষা করুন


ইমেইল হ্যাক হয়েছে কি না পরীক্ষা করুন


সম্প্রতি ইয়াহুর সার্ভার হ্যাক করে ৪৫ হাজারের বেশি পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা। এসব হ্যাক করা পাসওয়ার্ডের তথ্য ফাঁস করেছে অনলাইনে।
ইয়াহুতে ব্যবহূত পাসওয়ার্ড অনলাইনের অন্য কোনো অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা হলে সে অ্যাকাউন্টের তথ্যও হাতিয়ে নিচ্ছে হ্যাকাররা। কিছুদিন আগে একইভাবে লিঙ্কডইনের অ্যাকাউন্টও হ্যাক করে তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে তারা।
তথ্যের নিরাপত্তা রক্ষায় কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা দ্রুত পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। ইয়াহু, জিমেইল, লিঙ্কডইন, এমএসএন হটমেইল, কমক্যাস্ট ও এওএল অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেছে কি না, তা পরীক্ষা করে নেওয়ার জন্য সিকিউরি ম্যালওয়্যার ল্যাব একটি সেবা চালু করেছে।
http://labs.sucuri.net/?yahooleak লিঙ্কে ব্রাউজ করে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা যাবে

মাউসের মধ্যে মাকড়সা!


মাউসের মধ্যে মাকড়সা!

ভয় পাইয়ে দিতে পারে কম্পিউটারের মাউস! ইউএসবি প্রযুক্তির একটি মাউস আগন্তুক কাউকে চমকেও দিতে পারে। কারণ, মাউসের মধ্যে মৃত একটি মাকড়সা থাকলে ভয় পাওয়ারই কথা!
যুক্তরাষ্ট্রের স্মিথসোনিয়ান মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ মৃত মাকড়সাযুক্ত কম্পিউটার মাউস বাজারজাত করছে। ২৮ ডলার দামের এই মাউসে স্বচ্ছ প্লাস্টিকের মধ্যে বসানো রয়েছে মৃত মাকড়সা। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ডেইলি মেইল। কম্পিউটার চালানোর সময় এই মাউসটির এলইডি বাতি জ্বলে ওঠে এবং রং পরিবর্তন করতে পারে। ফলে রাতের বেলা ভেতরের মাকড়সাটি ছায়া ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। মাকড়সা ছাড়াও স্বচ্ছ প্লাস্টিকের ভেতর অন্যান্য পোকামাকড়ও জুড়ে মাউস তৈরি করছে স্মিথসোনিয়ানG

মহাবিশ্বের অজানা রহস্য


মহাবিশ্বের অজানা রহস্য

মিন্টু হোসেন | তারিখ: ০৫-০৭-২০১২
1 2 3
আমাদের এই মহাবিশ্ব কি একটাই? নাকি অনেক বিশ্বের ভিড়ে আমাদের এ বিশ্ব নিতান্তই ক্ষুদ্র এক গণ্ডি? সহজ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ৪০০ বছর ধরে বিরামহীন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকেরা। ১৬ শতকের জ্যোতির্বিদ জোহান কেপলার থেকে শুরু করে এ যুগের স্টিফেন হকিং পর্যন্ত মহাবিশ্বের রহস্য উদ্ধারে বিভিন্ন তত্ত্ব নিয়ে কাজ করেছেন। তবে কসমোলজি বা বিশ্ব সৃষ্টির রহস্য উদঘাটনে গবেষকদের সাম্প্রতিক গবেষণার ফল বলছে, এই মহাবিশ্বে কোটি কোটি বিশ্বের সঙ্গী আমাদের এই বিশ্ব। অর্থাত্ কোটি কোটি বিশ্ব নিয়ে তৈরি এই অনন্ত বিশ্ব বা মাল্টিভার্স।
আইনস্টাইন বলেছিলেন, বিশ্ব সৃষ্টির সময় স্রষ্টার হাতে আর কোনো বিশ্বের তুলনা ছিল কি না, এ নিয়ে তাঁর যথেষ্ট কৌতূহল জাগে। অর্থাত্ এই বিশ্ব একটাই কি না—তাঁর কাছে প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছিল এটা। আইনস্টাইনের জিজ্ঞাসা ছিল বিস্তীর্ণ ছায়াপথ, অসংখ্য নক্ষত্র ও গ্রহের আবাসস্থল অনন্য বিশ্ব সৃষ্টির ক্ষেত্রে পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম কি বাঁধাধরা? নাকি আমাদের এই বিশ্ব ছাড়াও অন্য কোথাও একই নিয়মে তৈরি হয়েছে আরও বিশ্ব?
আইনস্টাইনের প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বর্তমান সময়ের গবেষকদের মনে জন্ম নিয়েছে নতুন প্রশ্নের। প্রতি বছর গাড়ির ক্ষেত্রে যেমন নতুন নতুন মডেল নতুন সুবিধা নিয়ে বাজারে আসে, সেই গাড়ির বিভিন্ন প্রযুক্তি যেমন মানুষের জন্য ব্যবহার উপযোগী করা হয়, তেমনি এই বিশ্বের ক্ষেত্রেও কি নিয়মতান্ত্রিক পরিবর্তন ঘটে? গবেষকদের ভাষ্য, শক্তিশালী টেলিস্কোপ ও লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারের মতো কণা বিশ্লেষণ করার যন্ত্রের মাধ্যমে আমরা এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর পাব।
বিশ্বের সৃষ্টিরহস্য নিয়ে আইনস্টাইনের পর থেকে আরও গভীর পর্যালোচনা ও গবেষণা করেছেন গবেষকেরা। আইনস্টাইন কেবল পদার্থবিদ্যার সূত্রের মধ্যেই বাঁধতে চেয়েছিলেন এই বিশ্বরহস্যকে। কিন্তু এখন কেবল আর অনুমান বা তত্ত্বনির্ভর নয়, পরীক্ষালব্ধ প্রমাণ হাজির করতে কাজ করছেন গবেষকেরা। প্রথম দিকের গবেষকেরা কেবল আমাদের বিশ্বের মধ্যে কী রয়েছে, সে গবেষণা করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে গবেষকেদের লক্ষ্য, আমাদের এই বিশ্বের বাইরে অন্যান্য বিশ্বের সন্ধান করা। মাল্টিভার্স বা অনন্ত বিশ্বের ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে বিগ ব্যাং তত্ত্ব, ইনফ্ল্যাশনারি কসমোলজি বা স্ফীতিতত্ত্ব ও স্ট্রিং থিওরি। এই তিনটি তত্ত্ব নিয়ে কাজ করছেন—এমন গবেষকদের ভাষ্য, আমরা অনন্য বিশ্বে নয়, আমরা অনন্ত ও কোলাহলপূর্ণ বিশ্বে বাস করছি। আমাদের বিশ্বের বাইরে যেসব বিশ্ব রয়েছে, সেই বিশ্ব আমাদের বিশ্বের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা হতে পারে। এ বিশ্বগুলো তৈরি হতে পারে অন্য কোনো কণায়। সেখানে রাজত্ব করতে পারে অন্য কোনো শক্তি। এ অনন্ত মহাবিশ্বে হয়তো কোলাহলপূর্ণ মহাজাগতিক আলাদা আলাদা বিষয় ছড়িয়ে রয়েছে।
অনন্ত মহাবিশ্ব বা একাধিক বিশ্বের এই তত্ত্ব নিয়ে সব গবেষকেরা একমত নন। অনেকে এই ধারণাকে এখনো অনুমাননির্ভর ও বিজ্ঞানের ব্যাখ্যাতীত ও বাস্তবতা-বিবর্জিত বিষয় বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা কোন পক্ষে যাব, কী বিশ্বাস করব? অনন্ত মহাবিশ্ব, নাকি একক মহাবিশ্ব? এ সংশয়ের বাধা ও সন্দেহ দূর করতে আমাদের বিগ ব্যাং তত্ত্বের মধ্যে ঢুঁ মারতে হবে।
১৯১৫ সালে ‘জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটি’ বা আপেক্ষিকতার তত্ত্ব প্রকাশ করেন আইনস্টাইন। মাধ্যাকর্ষণ বল নিয়ে ১০ বছরের গবেষণা শেষে আইনস্টাইন আপেক্ষিকতার তত্ত্ব প্রকাশ করেন। বিজ্ঞানের অসাধারণ গাণিতিক এক সমীকরণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মহাবিশ্ব সৃষ্টি ও পরিণতির একটি ব্যাখ্যা পাওয়া গেল। আইনস্টাইনের জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটি কাজে লাগিয়ে ‘স্পেস-টাইম’ বা স্থান-কালের ধারণার যে বিবর্তন ঘটে গেল—তার হাত ধরেই মহাবিশ্বের সৃষ্টি ও ভবিষ্যত্ পরিণতির একটা যৌক্তিক ধারণা পাওয়া গেল।
এর পর গবেষকেরা জানালেন, প্রতিনিয়ত সম্প্রসারণ ঘটছে এই মহাবিশ্বের। অর্থাৎ প্রতিটি গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ পরস্পর থেকে প্রতিনিয়ত দূরে সরে যাচ্ছে। মার্কিন জ্যোতির্বিদ এডউইন হাবল ১৯২৯ সালে তা নিশ্চিত করেন। গবেষকেরা ভাবা শুরু করলেন, মহাবিশ্ব যদি সম্প্রসারিত হতে থাকে, এই সম্প্রসারণ শুরুর আগে নিশ্চয় মহাবিশ্বের উপাদানগুলো একসঙ্গে প্রচণ্ড ঘনত্ব নিয়ে ক্ষুদ্র অবস্থায় ছিল। সুদূর কোনো অতীতে এই ক্ষুদ্র বস্তুটিই বিস্ফোরিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং ক্রমাগত প্রসারিত হতে থাকে। গবেষকেরা এই ঘটনাটিরই নাম দিলেন ‘বিগ ব্যাং’। এ তত্ত্বটি অনেকের সমর্থনও পেল। তবে তাঁরা বিগ ব্যাং তত্ত্বের মধ্যেও দুর্বলতা খুঁজে পেলেন। তাঁদের প্রশ্ন, বিগ ব্যাংয়ের ফলে সবকিছুই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়লে এই অঘটনের পেছনে কোন শক্তি আর কেনই বা ঘটল বিগ ব্যাং? এই শক্তির প্রমাণযোগ্য কোনো ব্যাখ্যা গবেষকেরা দাঁড় করাতে পারেননি।
গত শতকের আশির দশকে পদার্থবিজ্ঞানী অ্যালেন গোথ বিগ ব্যাং থিওরির বর্ধিত সংস্করণ উপস্থাপন করলেন; যাকে বলা হয় ইনফ্ল্যাশনারি কসমোলজি বা স্ফীতিতত্ত্ব। তাঁর তত্ত্বে উঠে এল মহাজাগতিক এক জ্বালানির তথ্য, যা এই বিগ ব্যাং ঘটাতে পারে। আর এই জ্বালানির ফলে মহাজাগতিক বিস্ফোরণে বেলুনের মতো স্ফীত হতে শুরু করে মহাবিশ্ব। বিগ ব্যাং তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আশির দশকে ইনফ্ল্যাশন বা স্ফীতিতত্ত্ব নিয়ে পদার্থবিজ্ঞানের প্রান্তিক গণিতগুলো সমাধান করতে গিয়েই এই অদ্ভুত ব্যাপারটি ক্রমেই বেরিয়ে আসছিল। এ সময়কার গবেষক আলেকজান্ডার ভিলেঙ্কিন এবং আদ্রে লিন্ডে খুব অবাক হয়ে লক্ষ্য করলেন মহাজাগতিক স্ফীতি একবার শুরু হলে আর থামে না। এ ব্যাপারটিকেই বিজ্ঞানীরা বর্তমানে ‘চিরন্তন স্ফীতি’ নাম দিয়েছেন। অনন্ত মহাবিশ্বের ধারণা মূলত এই চিরন্তন স্ফীতিতত্ত্বেরই স্বাভাবিক একটি গাণিতিক পরিণতি। আমাদের মহাবিশ্ব যদি কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মধ্য দিয়ে স্থান-কালের শূন্যতার ভেতর দিয়ে আবির্ভূত হয়ে থাকে, তবে এই পুরো প্রক্রিয়াটি কিন্তু একাধিকবার ঘটতে পারে। সৃষ্টির উষালগ্নে স্ফীতির মাধ্যমে সম্প্রসারিত বুদবুদ থেকে আমাদের মহাবিশ্বের মতোই অসংখ্য মহাবিশ্ব তৈরি হয়েছে, যেগুলো একটা অপরটা থেকে পৃথক।
মহাবিশ্ব সম্প্রসারণের আবিষ্কার বৈপ্লবিক হলেও সম্প্রসারণের একটি বিষয়ে সব গবেষকেরা একমত। পৃথিবীর মহাকর্ষ বল যেমন কোনো বলকে ওপরের দিকে যেতে বাধা দেয়, তেমনি প্রতিটি গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের মধ্যে বিদ্যমান আকর্ষণ বলও মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। ১৯৯০ সালে জ্যোতির্বিদদের দুটি দল সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে এ ধীরগতির তথ্য বের করেন। বিভিন্ন ছায়াপথ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে গবেষকেরা মহাবিশ্ব সম্প্রসারণের একটি নির্দিষ্ট গতি বের করেন। এই বিশ্লেষণ শেষ হলে তাঁরা লক্ষ করলেন ৭০০ কোটি বছর আগে থেকে এই মহাবিশ্বের মধ্যে সম্প্রসারণের গতি বেড়ে গেছে। অর্থাত্ মহাবিশ্ব এখন কেবল সম্প্রসারিত হচ্ছে। শূন্যে কোনো বল যদি নিক্ষেপ করা হয়, প্রথমে যেমন এর গতি কম থাকে, এরপর হঠাত্ করেই যদি রকেটের গতি পায়—এমন অবস্থা এ মহাবিশ্বের। এখানে প্রশ্ন উঠছে, মহাবিশ্বকে কোন শক্তি এভাবে একে অপরের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং মহাজাগতিক সম্প্রসারণের গতি আরও দ্রুততর করছে? এই প্রশ্নটির উত্তর পেতে আবারও ফিরতে হচ্ছে আইনস্টাইনের জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটির কাছেই। একটি অদৃশ্য শক্তি, যাকে আমরা ‘ডার্ক এনার্জি’ বলছি, এটাই বিশ্বের সম্প্রসারণের কারণ। গবেষকেরা বর্তমান সময়ে ডার্ক এনার্জি নিয়ে বিস্তর গবেষণা করছেন। তবে এখনো গবেষণার উপসংহারে পৌঁছে ডার্ক এনার্জির বিস্তারিত জানাতে পারেননি তাঁরা।
অনন্ত এই মহাবিশ্বের ধারণা ষোড়শ শতকের পুরোনো। বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ জোহান কেপলার পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যকার দূরত্ব নিয়ে যে গবেষণা শুরু করেছিলেন। ৯৩ মিলিয়ন মাইলের নির্দিষ্ট এই দূরত্বের মধ্যে কী রহস্য রয়েছে, এই গবেষণা নিয়ে কেপলার গলদঘর্ম হলেও আমরা এখন জানি, এই দূরত্বের মধ্যে কী রয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, প্রাণের ধারণের উপযোগী পরিবেশ হিসেবে এই দূরত্ব প্রয়োজন। এখানেই নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও শক্তির উত্স রয়েছে, যা প্রাণ ধারণের জন্য উপযুক্ত। এই দূরত্বতত্ত্বটিই গবেষকদের কাছে ডার্ক এনার্জিকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। আমাদের সেরা মহাজাগতিক তত্ত্বটির নাম স্ফীতিতত্ত্ব অন্যান্য বিশ্বের ক্ষেত্রে দূরত্বের কথা বলে। যেখানে বিভিন্ন দূরত্বে বিভিন্ন গ্রহ তাদের নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এখানে এ রকম অনেক বিশ্ব রয়েছে এবং বিভিন্ন পরিমাণ ডার্ক এনার্জিও রয়েছে। পদার্থবিদ্যায় ডার্ক এনার্জির নির্দিষ্ট গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে বলা আর নির্দিষ্ট গ্রহের মধ্যকার দূরত্বের কারণ ব্যাখ্যা করতে বলার মতোই ভুল পথে যাওয়া। তার চেয়ে সঠিক প্রশ্নটি হতে পারে, আরও অনেক সম্ভাব্য কারণ থাকতেও মানুষ কেন নির্দিষ্ট পরিমাণ ডার্ক এনার্জি-বিশিষ্ট বিশ্বে নিজেদের আবিষ্কার করল?
গবেষকদের কাছে এই প্রশ্নটির উত্তর তৈরি রয়েছে। তাঁরা বলেন, বিশাল ডার্ক এনার্জিযুক্ত বিশ্বে মহাজাগতিক বস্তু যখন গুচ্ছ আকারে গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ তৈরির জন্য একজোট হয়, তখন ডার্ক এনার্জির প্রবল শক্তি এগুলো ছিটকে ফেলে এবং গ্যালাক্সি তৈরিতে বাধা দেয়। যে বিশ্বের ডার্ক এনার্জি যতটা কম, সেখানে বস্তুগুলোকে ধাক্কা দেওয়ার বা ছিটকে ফেলার পরিবর্তে আকর্ষণ করে ও গঠনে বাধা দেয়। তাই বিশ্ব গঠনে সঠিক পরিমাণ ডার্ক এনার্জির অস্তিত্বের প্রয়োজন পড়ে।
তবে মানুষ এমন একটি বিশ্বে নিজেকে খুঁজে পেয়েছে, যেখানে প্রাণ ধারণের উপযোগী পরিবেশ গড়ে উঠেছে। ডার্ক এনার্জি রহস্যের সমাধান করতে মাল্টিভার্স বা অনন্ত এই মহাবিশ্বের প্রশ্নের একটা সমাধান হতে পারে। ডার্ক এনার্জি তত্ত্বের সফলতা আবার নির্ভর করছে মাল্টিভার্সের মধ্যে বিভিন্ন পরিমাণে ডার্ক এনার্জি থাকার বিষয়টির ওপর। আর এ কারণেই গবেষণার তৃতীয় প্রান্তিকে এসে দেখা মেলে স্ট্রিং তত্ত্বের। বর্তমানকালের পদার্থবিজ্ঞান দুটো মৌলিক স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত। একটি হলো আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা এবং অন্যটি হলো কণাবাদী বলবিদ্যা। আপেক্ষিকতা একটা অসাধারণ সূত্র। এটি দিয়ে গ্রহ, নক্ষত্র, নীহারিকা, মহাবিশ্বের সম্প্রসারণশীলতা, স্থান-কালের মতো ব্যাপারগুলো চমত্কার ব্যাখ্যা করা যায়। একইভাবে আণুবীক্ষণিক কণাগুলোর ক্ষেত্রে কণাবাদী বলবিদ্যা খুব কার্যকর। তারা উভয়ই সঠিক বলে প্রমাণিত।
স্ট্রিং তত্ত্ব হচ্ছে, আইনস্টাইনের ইউনিফায়েড থিওরি বা একীভূত করার তত্ত্ব, যেখানে তিনি সব বস্তু ও বলকে একটি গাণিতিক সূত্রের মাধ্যমে এক করার চেষ্টা করেছেন। পদার্থের গঠনকাঠামো ব্যাখ্যা করার কষ্টসাধ্য এই বিষয়টিকে চমত্কার ও সরলভাবে উপস্থাপন করা যায় স্ট্রিং তত্ত্ব দ্বারা। অতিপারমাণবিক কণা দিয়ে সব ধরনের পদার্থ, সর্বোপরি মহাবিশ্বের সৃষ্টিকে আসলে তুলনা করা যায় বেহালার তার বা ড্রামের মেমব্রেনের মাধ্যমে সুর সৃষ্টির সঙ্গে। পদার্থবিজ্ঞানীরা ইলেকট্রনকে গণ্য করেন অতিক্ষুদ্র একটি মৌলিক কণা হিসেবে। স্ট্রিং তত্ত্ব মতে, ইলেকট্রনের ভেতরটা যদি অত্যাধুনিক অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখা সম্ভব হতো, তাহলে আমরা কোনো কণা দেখতাম না, আমরা দেখতাম কম্পিত এক তার। অর্থাত্ বর্তমানে পাওয়া মৌলিক কণাগুলো আসলে মৌলিক নয়, এরাও বিভাজ্য। এটাকে আমাদের কণা বলে মনে হয়, কারণ আমাদের যন্ত্রগুলো এত সূক্ষ্ম পরিমাপ উপযোগী নয়। এই অতিক্ষুদ্র তারগুলোই আসলে ভিন্ন ভিন্ন কম্পাঙ্কে স্পন্দিত ও অনুরণিত হয়। আমরা যদি একটি অতিপারমাণবিক কণার সূক্ষ্ম তারের কম্পনের হার পরিবর্তন করে দিই, তাহলে ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের আরেকটি অতিপারমাণবিক কণা সৃষ্টি হবে। ধরা যাক কোয়ার্ক। এখন সেটি যদি আবার পরিবর্তন করি, তাহলে হয়তো পাওয়া যাবে নিউট্রিনো। সংগীতে আমরা যেমন ভায়োলিন বা গিটারের তার কাঁপিয়ে ভিন্ন ভিন্ন নোট সৃষ্টি করি, অতিপারমাণবিক কণাগুলোও সে রকম ভিন্ন ভিন্ন নোট। সুতরাং অসংখ্য অতিপারমাণবিক কণাকে শুধু একটি বস্তু দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা সম্ভব, সেটা হলো স্ট্রিং বা তার!
স্ট্রিং তত্ত্ব ডাইমেনশনের বা মাত্রার ধারণাও পরিবর্তন আনে। এতে আপেক্ষিকতা আর কণার বলবিদ্যার একটা পুরোনো বিরোধ মীমাংসার দিকে এগিয়ে যায়। গবেষকেরা ধারণা করছিলেন, স্ট্রিং তত্ত্ব গাণিতিক কাঠামো হয়তো সবকিছু একই সংজ্ঞার আওতায় আনতে পারবে। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও এই তত্ত্বের গাণিতিক সূত্র নিয়ে নানা বিশ্লেষণ করে নানা ফল পেলেন গবেষকেরা। সবাই আলাদাসংখ্যক মহাবিশ্বের সন্ধান পেলেন। আর এই মহাবিশ্বের সংখ্যা এতটাই বেশি হতে পারে যে ১০-এর পর ৫০০ টিরও বেশি শূন্য হলে যে সংখ্যা দাঁড়ায়, তার সমান। স্ট্রিং তত্ত্বের মাধ্যমে অনন্য বা একক মহাবিশ্ব খুঁজতে ব্যর্থ হয়ে তাঁরা মাল্টিভার্স বা অনন্ত মহাবিশ্বের গুরুত্ব নিয়ে ভাবতে বসেন। মাল্টিভার্সের এই বিষয়টি অনেকটাই জুতার দোকানের মতো, যেখানে সব ধরনের পায়ের মাপের জুতা পাওয়া যায়। আর এ অনন্ত মহাবিশ্বে আমাদের বিশ্ব নির্দিষ্ট পরিমাণ ডার্ক এনার্জির অস্তিত্বের জন্য উপযুক্ত স্থানে রয়েছে। এখানে অবশ্য স্ফীতিতত্ত্বের সঙ্গে বিরোধ ঘটে যায়। স্ফীতিতত্ত্বে বলা হয়, বিগ ব্যাংয়ের ফলে অসংখ্য বিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে একই রকম বৈশিষ্ট্যযুক্ত বিশ্ব রয়েছে। অর্থাত্ জুতার দোকানে কেবল একই আকারের জুতাই পাওয়া যাবে। যে মাপের জুতা খোঁজ করা হবে, সে ধরনের জুতার অস্তিত্ব নাও থাকতে পারে।
এর পর গবেষকেরা স্ফীতিতত্ত্ব ও স্ট্রিং তত্ত্ব একসঙ্গে করে সমাধানে চেষ্টা চালিয়েছেন। তাঁরা দেখেছেন, অনন্ত এই মহাবিশ্বের সংখ্যা অসংখ্য। স্ফীতিতত্ত্ব ও স্ট্রিং তত্ত্বের সমন্বয়ে অসংখ্য মহাবিশ্বের মধ্যে একটি পর একটি বিগ ব্যাংয়ের ফলে আমাদের মতো বিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে। আর বিশেষ বিশ্ব তৈরিতে যে বৈশিষ্ট্য লাগে বা প্রাণ ধারণের উপযোগী পরিবেশযুক্ত বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে আমাদের বিশ্বের সৃষ্টি তারই একটি ঘটনামাত্র।
বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো দাবির জন্য পরীক্ষালব্ধ প্রমাণ হাজির করতে হয়। মাল্টিভার্সের ক্ষেত্রে সেই যথেষ্ট প্রমাণ কি জোগাড় করা গেছে? আমাদের বিশ্বেরই যখন অনেক কিছু এখনো পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়নি, সেখানে অন্যান্য বিশ্ব পর্যবেক্ষণের বিষয়ে ইতিবাচক কোনো উত্তর নেই। তাহলে অনন্ত এই মহাবিশ্বের দাবি কি কেবল অনুমাননির্ভর, যা বিজ্ঞানের আওতায় পড়ে না? গবেষকেরা এখনই অবশ্য হাল ছাড়ছেন না বা ব্যাখ্যাতীত বলে উড়িয়েও দিচ্ছেন না। গবেষকেরা টেনে আনছেন ব্ল্যাকহোলের (কৃষ্ণবিবর) উদাহরণ। আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্ব ব্যবহার করে ব্ল্যাকহোলের মধ্যে কী ঘটছে, সে ব্যাখ্যা যদি বিজ্ঞানের মধ্যে পড়ে, তবে মাল্টিভার্সও কেন নয়? কৃষ্ণবিবর বা ব্ল্যাকহোল বিষয়ে তো কেউ পর্যবেক্ষণ বা পরীক্ষা লব্ধ প্রমাণ হাজির করেননি।
এখন পর্যন্ত ব্ল্যাকহোলের কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কারণ এ থেকে আলো বিচ্ছুরিত হতে পারে না কিন্তু এর উপস্থিতির প্রমাণ আমরা পরোক্ষভাবে পাই। ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্বের প্রমাণ কোনো স্থানের নক্ষত্রের গতি এবং দিক দেখে পাওয়া যায়। এই তত্ত্বটিরও কোনো পর্যবেক্ষণ করা হয়নি। অর্থাত্ কেবল অনুমাননির্ভর। এভাবে মাল্টিভার্স নিয়ে যদি অনুমান ও আত্মবিশ্বাস থাকে, তবে এ তত্ত্বও সত্য হতে পারে।
অনুমাননির্ভর হলেও এখন পর্যন্ত ডার্ক এনার্জির বিস্তার ও মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশনের তারতম্য নিয়ে স্ফীতিতত্ত্বের ব্যাখা সঠিক মনে করেন গবেষকেরা। শক্তিশালী দুরবিন ও কণা নিয়ে পরীক্ষা করার যন্ত্রেও স্ট্রিং তত্ত্ব পর্যবেক্ষণের সুযোগ ও প্রযুক্তি না থাকায় এখনো তত্ত্বেই রয়ে গেছে। এ দুটি তত্ত্বের পরীক্ষালব্ধ প্রমাণ না থাকলেও গবেষকেরা বলছেন, মাল্টিভার্সের আরেকটি প্রত্যক্ষ প্রমাণ হতে পারে আমাদের মহাবিশ্বের সঙ্গে প্রতিবেশী মহাবিশ্বের সংঘর্ষ। এই দুইয়ের সংঘর্ষে যে তাপ উত্পন্ন হয়, সে তাপের তারতম্য এখন বোঝা না গেলেও ভবিষ্যতে হয়তো শক্তিশালী টেলিস্কোপে তা শনাক্ত করা যাবে। অনেক গবেষকই মাল্টিভার্স খোঁজ পাওয়ার ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনাকে সমর্থন দিয়েছেন।
নিউটন যখন আপেল গাছের নিচে বসে ছিলেন, তখন তিনি মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সূত্র আবিষ্কার করতে বসেননি। মাথায় আপেল পড়ার পর তাঁর মনে প্রশ্ন জেগেছিল, আপেল নিচে পড়ল কেন? উপরেও তো যেতে পারত? নিউটন আপেল নিচের দিকে পড়ার বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেন এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তির তারতম্য সহজেই সবার বোধগম্য হলো। কিন্তু আপেলগুলো আরও আগেই মহাশূন্যে রওনা হয়ে গেছে কি না, সে রহস্যের কিনারা হয়নি। এই রহস্য উদ্ধারে আরও নিবিড়ভাবে ভাবছেন গবেষকেরা। বিষয়টি নিয়ে অদূর ভবিষ্যতে আরও অনেক গবেষণা চলবে। কারণ আমাদের প্রতিবেশী কোনো বিশ্বের অস্তিত্ব থাকার বিষয়টি আরও কৌতূহল জাগিয়ে রাখবে।

(নিউজউইক, বিবিসি অবলম্বনে মিন্টু হোসেন)


বাংলাদেশের বাজারকে গুরুত্ব দিচ্ছে অপেরা: সুনীল কামাত - প্রথম আলো

বাংলাদেশের বাজারকে গুরুত্ব দিচ্ছে অপেরা: সুনীল কামাত - প্রথম আলো

Friday, July 6, 2012

মহাবিশ্বের অজানা রহস্য - প্রথম আলো

মহাবিশ্বের অজানা রহস্য - প্রথম আলো

এই অসুস্থতার রহস্য কী? - প্রথম আলো

এই অসুস্থতার রহস্য কী? - প্রথম আলো

৯ জুলাই ইন্টারনেট বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে আড়াই লাখ কম্পিউটার - প্রথম আলো

৯ জুলাই ইন্টারনেট বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে আড়াই লাখ কম্পিউটার - প্রথম আলো

উপেক্ষিত বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু - প্রথম আলো

উপেক্ষিত বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু - প্রথম আলো

‘ঈশ্বর কণা’র জন্মবৃত্তান্ত (ভিডিও) - প্রথম আলো

‘ঈশ্বর কণা’র জন্মবৃত্তান্ত (ভিডিও) - প্রথম আলো

উপেক্ষিত বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু - প্রথম আলো

উপেক্ষিত বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু - প্রথম আলো

‘ঈশ্বর কণা’র জন্মবৃত্তান্ত (ভিডিও) - প্রথম আলো

‘ঈশ্বর কণা’র জন্মবৃত্তান্ত (ভিডিও) - প্রথম আলো