
মার্কিন লেখক এডগার অ্যালান পো বলেছিলেন, এল ডোরাডো যেতে চাও, তবে চাঁদের পাহাড় পেরিয়ে, ছায়ার উপত্যকা ছাড়িয়ে, হেঁটে যাও, শুধু হেঁটে যাও...
এল ডোরাডো হলো সেই মিথ নগরী, যা সোনা দিয়ে তৈরি বলে মনে করত স্প্যানিশ দখলকারীরা। এই নগরীটি কখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখনো থেমে নেই এর খোঁজ। তবে ব্রিটিশ মিউজিয়ামের প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ আমেরিকার বিস্তীর্ণ রেইনফরেস্ট আর পার্বত্য অঞ্চল জুড়ে এ স্বর্ণ নগরীর খোঁজ অনেক রোমাঞ্চ প্রত্যাশীর কাছে নিরাশা হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ, এল ডোরাডো কোনো নগরী নয়, বরং এক স্বর্ণ মানব।
ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা সব খানেই প্রচলিত রয়েছে এল ডোরাডো নামের এ মিথ নগরীর কথা। দক্ষিণ আমেরিকার মিথ অনুযায়ী. এ অঞ্চলে একজন ধনী রাজা ছিলেন যিনি প্রতিদিন সকালে পা থেকে মাথা পর্যন্ত নিজেকে সোনার মুড়তেন এবং সন্ধ্যায় পবিত্র নদীতে গোসল করে ধুয়ে ফেলতেন।
গবেষকেরা প্রাচীন নথি ও তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছেন যে, এল ডোরাডো ছিলেন এ অঞ্চলের কোনো এক প্রাচীন জনপদের নেতা। ৮০০ খ্রিস্টাব্দ থেকেই বিভিন্ন নথিতে এল ডোরাডোর কথা বিভিন্নভাবে ছড়াতে শুরু করে। ষোড়শ শতকে সবচেয়ে বিস্তার লাভ করে এ মিথ। ষোড়শ শতকে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হুয়ান রড্রিগজ ফ্রেইলের ‘দ্য কনকোয়েস্ট অ্যান্ড ডিসকভারি অব দ্য নিউ কিংডম অব গ্রানাডা’।
ষোড়শ শতকে দেশ বিদেশের বাঘা বাঘা সব অভিযাত্রী দক্ষিণ আমেরিকায় এল ডোরাডোর সন্ধান শুরু করেন। তাঁদের ধারণা, এমনই এক শহর আছে যেখানে নাকি হাত ফেরালেই সোনা পাওয়া যাবে। রাশি রাশি সোনা। আর এর মূলে ছিল মুইসকা ঐতিহ্য।
মুইসকা ঐতিহ্য অনুযায়ী, যে দিন নতুন রাজার নির্বাচন হয়, সে দিন তাঁকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত সোনায় মোড়ানো হয় আর তাকে পবিত্র জলে স্নান করে ধুয়ে ফেলতে হয় গায়ে মাখানো সোনার গুঁড়া। মুইসকা ঐতিহ্যের কথা ছড়িয়ে পড়তেই সোনার খোঁজ খোঁজ রব পড়ে যায়। প্রতিটি অভিযাত্রায় হাজারো অভিযাত্রী বিফল হয়ে ফিরে আসেন। আন্দেজ পর্বত থেকে শুরু করে প্রায় গোটা মহাদেশ চষে ফেলে নানা জাতির নানা অভিযাত্রিক, তবুও খোঁজ মেলেনি এল ডোরাডো স্বর্ণ নগরীর।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, আসলে এল ডোরাডো বলে কিছু ছিলই তো না কখনও। সব আসলে সোনার চমক, যা চোখের আগেও মনকে ধাঁধিয়ে দিয়েছিল।
এল ডোরাডো হলো সেই মিথ নগরী, যা সোনা দিয়ে তৈরি বলে মনে করত স্প্যানিশ দখলকারীরা। এই নগরীটি কখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখনো থেমে নেই এর খোঁজ। তবে ব্রিটিশ মিউজিয়ামের প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ আমেরিকার বিস্তীর্ণ রেইনফরেস্ট আর পার্বত্য অঞ্চল জুড়ে এ স্বর্ণ নগরীর খোঁজ অনেক রোমাঞ্চ প্রত্যাশীর কাছে নিরাশা হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ, এল ডোরাডো কোনো নগরী নয়, বরং এক স্বর্ণ মানব।
ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা সব খানেই প্রচলিত রয়েছে এল ডোরাডো নামের এ মিথ নগরীর কথা। দক্ষিণ আমেরিকার মিথ অনুযায়ী. এ অঞ্চলে একজন ধনী রাজা ছিলেন যিনি প্রতিদিন সকালে পা থেকে মাথা পর্যন্ত নিজেকে সোনার মুড়তেন এবং সন্ধ্যায় পবিত্র নদীতে গোসল করে ধুয়ে ফেলতেন।
গবেষকেরা প্রাচীন নথি ও তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছেন যে, এল ডোরাডো ছিলেন এ অঞ্চলের কোনো এক প্রাচীন জনপদের নেতা। ৮০০ খ্রিস্টাব্দ থেকেই বিভিন্ন নথিতে এল ডোরাডোর কথা বিভিন্নভাবে ছড়াতে শুরু করে। ষোড়শ শতকে সবচেয়ে বিস্তার লাভ করে এ মিথ। ষোড়শ শতকে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হুয়ান রড্রিগজ ফ্রেইলের ‘দ্য কনকোয়েস্ট অ্যান্ড ডিসকভারি অব দ্য নিউ কিংডম অব গ্রানাডা’।
ষোড়শ শতকে দেশ বিদেশের বাঘা বাঘা সব অভিযাত্রী দক্ষিণ আমেরিকায় এল ডোরাডোর সন্ধান শুরু করেন। তাঁদের ধারণা, এমনই এক শহর আছে যেখানে নাকি হাত ফেরালেই সোনা পাওয়া যাবে। রাশি রাশি সোনা। আর এর মূলে ছিল মুইসকা ঐতিহ্য।
মুইসকা ঐতিহ্য অনুযায়ী, যে দিন নতুন রাজার নির্বাচন হয়, সে দিন তাঁকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত সোনায় মোড়ানো হয় আর তাকে পবিত্র জলে স্নান করে ধুয়ে ফেলতে হয় গায়ে মাখানো সোনার গুঁড়া। মুইসকা ঐতিহ্যের কথা ছড়িয়ে পড়তেই সোনার খোঁজ খোঁজ রব পড়ে যায়। প্রতিটি অভিযাত্রায় হাজারো অভিযাত্রী বিফল হয়ে ফিরে আসেন। আন্দেজ পর্বত থেকে শুরু করে প্রায় গোটা মহাদেশ চষে ফেলে নানা জাতির নানা অভিযাত্রিক, তবুও খোঁজ মেলেনি এল ডোরাডো স্বর্ণ নগরীর।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, আসলে এল ডোরাডো বলে কিছু ছিলই তো না কখনও। সব আসলে সোনার চমক, যা চোখের আগেও মনকে ধাঁধিয়ে দিয়েছিল।
এল ডোরাডোর স্বর্ণ মরীচিকা! - প্রথম আলো
No comments:
Post a Comment