TECH GURU, TECH-SCIENCE NEWS

"I celebrate myself, and sing myself,
and what I assume you shall assume,
for every atom belonging to me as good belongs to you."

Tuesday, January 15, 2013

সম্পর্ক টিকল না ফেসবুক দম্পতির



একই নামের সূত্র ধরে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকে তাঁদের পরিচয়, পরিচয় পর্বের পর প্রণয়—এরপর বিয়ে। কিন্তু বিয়ের মাত্র তিন বছরের মাথায় ভেঙে গেছে কেলি দম্পতির সেই সম্পর্ক, ভেঙেছে সংসারও। খবর ‘হাফিংটন পোস্ট’-এর।
২০০৮ সালে ‘কেলি’ ক্যাটরিনা তাঁর নামের সঙ্গে মিল রয়েছে এমন কাউকে খুঁজছিলেন ফেসবুকে। খুঁজতে খুঁজতে এক সময় পেয়েও যান তাঁর নামের সঙ্গে মিল রয়েছে কেলি কার্ল নামের এমন একজনকে। এরপর প্রণয় এবং ২০০৯ সালে ফেসবুকের পরিচয় থেকে তাঁরা বাঁধলেন ঘর, কিন্তু বিয়ের তিন বছরের মধ্যেই তাঁরা বুঝতে পেরেছেন যে শুধু নামের মিলই ঘর টেকানোর জন্য যথেষ্ট নয়।
কেলি কার্ল এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গিনী ফ্লোরিডার মেয়ে আর তিনি নিজে টেক্সাসের বাসিন্দা। দুজনের নামের মিল থাকলেও তাঁদের পৃথিবীটা আর ভাবনা-চিন্তা একেবারেই আলাদা। তাই আদালতের মাধ্যমে আলাদা হয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে কেলি ক্যাটরিনার (২০) ভাষ্য, ‘২০০৮ সালের এক রাতে নিজের নামের সঙ্গে মিল রয়েছে এমন কাউকে খুঁজতে ফেসবুকে সার্চ দিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন কেলি কার্ল নামের একজনকে, যার বয়স তখন ২৪। তাঁর নামের সঙ্গে মিল রয়েছে দেখেই তিনি কার্লকে ই-মেইল করেন। ই-মেইল থেকে এরপর ফোন কল, তারপর দেখা-সাক্ষাত্, বাগদান ও বিয়ে। সেসময় তাঁদের এ পরিচয় ও বিয়ে নিয়ে ‘পিপলস ম্যাগাজিন’ প্রতিবেদনও ছেপেছিল।
কিন্তু মনের মিল না হলে ফেসবুকের সম্পর্ক, ভালো লাগা, নামের মিল যে সংসার টেকানোর জন্য যথেষ্ট নয়, কেলি দম্পতির ঘটনা তারই একটা উদাহরণ।




সম্পর্ক টিকল না ফেসবুক দম্পতির! (ভিডিও) - প্রথম আলো

Monday, January 14, 2013

এল ডোরাডোর স্বর্ণ মরীচিকা!



মার্কিন লেখক এডগার অ্যালান পো বলেছিলেন, এল ডোরাডো যেতে চাও, তবে চাঁদের পাহাড় পেরিয়ে, ছায়ার উপত্যকা ছাড়িয়ে, হেঁটে যাও, শুধু হেঁটে যাও...
এল ডোরাডো হলো সেই মিথ নগরী, যা সোনা দিয়ে তৈরি বলে মনে করত স্প্যানিশ দখলকারীরা। এই নগরীটি কখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখনো থেমে নেই এর খোঁজ। তবে ব্রিটিশ মিউজিয়ামের প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ আমেরিকার বিস্তীর্ণ রেইনফরেস্ট আর পার্বত্য অঞ্চল জুড়ে এ স্বর্ণ নগরীর খোঁজ অনেক রোমাঞ্চ প্রত্যাশীর কাছে নিরাশা হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ, এল ডোরাডো কোনো নগরী নয়, বরং এক স্বর্ণ মানব।
ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা সব খানেই প্রচলিত রয়েছে এল ডোরাডো নামের এ মিথ নগরীর কথা। দক্ষিণ আমেরিকার মিথ অনুযায়ী. এ অঞ্চলে একজন ধনী রাজা ছিলেন যিনি প্রতিদিন সকালে পা থেকে মাথা পর্যন্ত নিজেকে সোনার মুড়তেন এবং সন্ধ্যায় পবিত্র নদীতে গোসল করে ধুয়ে ফেলতেন। 
গবেষকেরা প্রাচীন নথি ও তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছেন যে, এল ডোরাডো ছিলেন এ অঞ্চলের কোনো এক প্রাচীন জনপদের নেতা। ৮০০ খ্রিস্টাব্দ থেকেই বিভিন্ন নথিতে এল ডোরাডোর কথা বিভিন্নভাবে ছড়াতে শুরু করে। ষোড়শ শতকে সবচেয়ে বিস্তার লাভ করে এ মিথ। ষোড়শ শতকে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হুয়ান রড্রিগজ ফ্রেইলের ‘দ্য কনকোয়েস্ট অ্যান্ড ডিসকভারি অব দ্য নিউ কিংডম অব গ্রানাডা’।
ষোড়শ শতকে দেশ বিদেশের বাঘা বাঘা সব অভিযাত্রী দক্ষিণ আমেরিকায় এল ডোরাডোর সন্ধান শুরু করেন। তাঁদের ধারণা, এমনই এক শহর আছে যেখানে নাকি হাত ফেরালেই সোনা পাওয়া যাবে। রাশি রাশি সোনা। আর এর মূলে ছিল মুইসকা ঐতিহ্য। 
মুইসকা ঐতিহ্য অনুযায়ী, যে দিন নতুন রাজার নির্বাচন হয়, সে দিন তাঁকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত সোনায় মোড়ানো হয় আর তাকে পবিত্র জলে স্নান করে ধুয়ে ফেলতে হয় গায়ে মাখানো সোনার গুঁড়া। মুইসকা ঐতিহ্যের কথা ছড়িয়ে পড়তেই সোনার খোঁজ খোঁজ রব পড়ে যায়। প্রতিটি অভিযাত্রায় হাজারো অভিযাত্রী বিফল হয়ে ফিরে আসেন। আন্দেজ পর্বত থেকে শুরু করে প্রায় গোটা মহাদেশ চষে ফেলে নানা জাতির নানা অভিযাত্রিক, তবুও খোঁজ মেলেনি এল ডোরাডো স্বর্ণ নগরীর।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, আসলে এল ডোরাডো বলে কিছু ছিলই তো না কখনও। সব আসলে সোনার চমক, যা চোখের আগেও মনকে ধাঁধিয়ে দিয়েছিল।




এল ডোরাডোর স্বর্ণ মরীচিকা! - প্রথম আলো

Wednesday, January 9, 2013

টেলিটক থ্রিজির গ্রাহক ১ লাখ



দেশে তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক লাখ পেরিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ‘স্মার্টফোন এক্সপো ২০১৩’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন টেলিটকের বিপণন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মুজিবুর রহমান।
মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, ১৪ অক্টোবর দেশে প্রথমবারের মতো থ্রিজি সেবা চালু করে টেলিটক। শুরুতে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও পরে দ্রুত বাড়তে থাকে টেলিটকের সিমের চাহিদা। সম্প্রতি নতুন ইন্টারনেট মডেম বাজারে এনেছে টেলিটক। এ মডেম বিক্রিতেও প্রচুর সাড়া মিলেছে। টেলিটকের থ্রিজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করে আরও গ্রাহক বাড়ানোর কাজ চলছে বলেও জানান তিনি। একই সঙ্গে টেলিটকের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী ও বিটিএস বাড়ানোর কাজ চলছে। 
মুজিবুর রহমান আরও জানান, গ্রাহকসংখ্যা ও টেলিটক থ্রিজি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে টেলিটক। থ্রিজি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং তরুণদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করতে এবারের স্মার্টফোন এক্সপোতে অংশ নিচ্ছে টেলিটক। ১১ জানুয়ারি থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ‘এক্সপো মেকার’ আয়োজিত স্মার্টফোন এক্সপোতে বিভিন্ন অফার নিয়ে হাজির হবে টেলিটক।’
মুজিবুর রহমান বলেন, টেলিটকের থ্রিজিকে পরীক্ষামূলক বলা হলেও এটি পরীক্ষামূলক নয়। টেলিটকের থ্রিজি ব্যবসায়িক দিক থেকেই দেখা হচ্ছে। টেলিটকের গ্রাহক সেবার মান বাড়ানো ও টেলিটক গ্রাহক সেবার পরিধি আরও বাড়ানো হচ্ছে। শিগগিরই বিভাগীয় শহরগুলোতে থ্রিজি চালুর ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
শিগগিরই বেসরকারি অপারেটরদের থ্রিজি নেটওয়ার্ক স্থাপনের অনুমতি দেবে সরকার। এ পরিস্থিতিতে টেলিটক অন্যান্য অপারেটরের সঙ্গে ভালোভাবেই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে বলে জানিয়েছেন টেলিটকের মহাব্যবস্থাপক।


টেলিটক থ্রিজির গ্রাহক ১ লাখ - প্রথম আলো

কাগজের মতো ট্যাবলেট কম্পিউটার (ভিডিও



কাগজের মতো পাতলা স্ক্রিনযুক্ত একটি ট্যাবলেট তৈরি করেছেন প্রযুক্তিবিদেরা। গবেষকেদের দাবি, ‘পেপার ট্যাব’ নামের ট্যাবলেটটি নমনীয় হওয়ায় এটি ভাঁজ করা যাবে এবং পড়ে গেলেও কোনো ক্ষতি হবে না। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই ল্যাপটপের বিকল্প হিসেবে নমনীয় এ ট্যাবলেট মানুষের হাতের নাগালে চলে আসবে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া।
প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্লাস্টিক লজিক, চিপনির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইনটেল ও কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা মিলে কাগজের মতো পাতলা এ ট্যাবলেট কম্পিউটার তৈরি করেছেন। 
ট্যাবলেটে ব্যবহূত হয়েছে প্লাস্টিক লজিকের তৈরি ১০.৭ ইঞ্চি মাপের উচ্চ রেজুলেশনের নমনীয় ডিসপ্লে, ইনটেলের কোর আই ৫ প্রসেসর। 
গবেষকেরা জানিয়েছেন, কম্পিউটার স্ক্রিনের পাশাপাশি এ ট্যাবলেট ই-বুক হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। একটি ডিসপ্লে ব্যবহারের পরিবর্তে বইয়ের পাতার মতো একাধিক স্ক্রিন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে এই ট্যাবে এবং প্রতিটি স্ক্রিনে আলাদা আলাদা অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা যাবে।
৮ জানুয়ারি থেকে লাসভেগাসে শুরু হওয়া সিইএস মেলায় এ ‘পেপার ট্যাব’ প্রদর্শিত হচ্ছে।



কাগজের মতো ট্যাবলেট কম্পিউটার (ভিডিও) - প্রথম আলো

সাশ্রয়ী দামের আইফোন আনবে অ্যাপল!



সাশ্রয়ী দামের আইফোনের একটি সংস্করণ বাজারে আনতে পারে অ্যাপল। চলতি বছরেই এ আইফোনের দেখা মিলতে পারে। নতুন সংস্করণের এ আইফোন বাজারে আনতে কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাজারে অ্যাপলের পণ্য ঘিরে সব সময় উন্মাদনা থাকে। প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অ্যাপলের নতুন পণ্য ঘিরে খবর প্রকাশিত হতে দেখা যায়। সম্প্রতি আইফোনের নতুন একটি সংস্করণ আসছে বলেও খবর রটেছে। সাশ্রয়ী মডেলটি ‘আইফোন মিনি’ হতে পারে বলেও অনেক প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে। 
এক খবরে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সাশ্রয়ী সংস্করণের আইফোন বর্তমানে বাজারে থাকা আইফোনের মতো হতে পারে। তবে নতুন সংস্করণে ব্যবহূত হবে সাশ্রয়ী উপাদান। ধাতব কাঠামোর পরিবর্তে ব্যবহূত হবে প্লাস্টিকের কাঠামো।
সাশ্রয়ী দামের স্মার্টফোন তৈরির বিষয়ে অ্যাপলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। 
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিক্সের গবেষকেরা জানিয়েছেন, বাজারে সাশ্রয়ী দামের স্মার্টফোনের চাহিদা রয়েছে। সাশ্রয়ী দামের স্মার্টফোনের বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে অ্যাপলের প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। স্যামসাংয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলতি বছরের শেষ প্রান্তিক অর্থাত্ অক্টোবর মাস থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সাশ্রয়ী সংস্করণের আইফোন বা ‘আইফোন মিনি’ বাজারে আনতে পারে অ্যাপল। দক্ষিণ এশিয়ার বাজারের কথা ভেবেই এ স্মার্টফোন বাজারে আনতে যাচ্ছে অ্যাপল।
স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিক্সের গবেষক নেইল মাউসটন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, চলতি বছরে স্মার্টফোন বাজার ২৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়া, উত্তর আমেরিকা, চীনে স্মার্টফোন বিক্রি হবে সবচেয়ে বেশি।


সাশ্রয়ী দামের আইফোন আনবে অ্যাপল! - প্রথম আলো

এক টেরাবাইট পেন ড্রাইভ!



এক টেরাবাইট তথ্য ধারণক্ষমতার পেন ড্রাইভ বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে কিংস্টন। গত সোমবার এ ইউএসবি ড্রাইভের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্ল্যাশ ড্রাইভ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট পিসিম্যাগ।
কিংস্টন জানিয়েছে, পেন ড্রাইভ আকৃতির ছোটো এ ডিভাইসটির নাম কিংসটন ডেটা ট্রাভেলার হাইপার এক্স প্রিডেটর ৩.০, এটি দ্রুতগতিতে তথ্য স্থানান্তরে সক্ষম।
যদিও কিংস্টন পেনড্রাইভটির দাম এখনও প্রকাশ করেনি তবে ধারণা করা হচ্ছে, এর দাম প্রায় দুই হাজার ডলার হতে পারে।



এক টেরাবাইট পেন ড্রাইভ! - প্রথম আলো

মঙ্গলের জন্য অভিবাসী খুঁজছে মার্স ওয়ান! (ভিডিও)


মঙ্গলগ্রহে স্থায়ী বসতি গড়ার দায়িত্ব নিতে পারবেন, এমন লোক খুঁজছে মার্স ওয়ান। বিশ্বের সব দেশের মানুষের জন্য মঙ্গলগ্রহের অভিযাত্রী হিসেবে আবেদনের সুযোগ রেখেছে নেদারল্যান্ডের বেসরকারি মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠানটি। ১৮ বছর বয়সের বেশি যে-কেউ মঙ্গলের অভিযাত্রী হিসেবে আবেদন করতে পারবেন। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে স্পেস ডটকম।
অবশ্য মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার এ প্রকল্পে নিয়োগ পেলে ৮ বছর প্রশিক্ষণ শেষে তবেই সেখানে যাওয়ার সুযোগ মিলবে। মঙ্গলে গিয়ে গড়ে তুলতে হবে বসতি। এ চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা হচ্ছে, পৃথিবীর মায়া কাটানো আর নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার মানসিকতা। পাশাপাশি সহযাত্রীদের প্রতি সহানুভূতি, মমত্ববোধ থাকতে হবে।
মার্স ওয়ানের ঘোষণা অনুযায়ী, মঙ্গল অভিযাত্রী দলটির যাত্রা হবে একমুখী। অর্থাত্ যাঁরা যাবেন, তাঁরা আর কোনোদিনই পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারবেন না। বাকি জীবনটা সেখানে কাটানোর অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য যা যা করা দরকার, তা-ই করতে হবে তাঁদের। আর তাঁদের সাহায্য করার জন্য দুই বছর পরপর নতুন করে আরেকটি দল সেখানে পৌঁছাবে। এভাবেই মঙ্গলে গড়ে তোলা হবে স্থায়ী মানব বসতি।
২০২৩ সাল নাগাদ মঙ্গলগ্রহে বসতি স্থাপনের জন্য অভিযাত্রী পাঠানোর পরিকল্পনা করেছেন মার্স ওয়ানের গবেষকেরা।
প্রথমবার চারজন অভিযাত্রী মঙ্গলগ্রহে যাবেন। এরপর প্রতি দুই বছর পরপর নতুন অভিযাত্রীরা তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হবেন।
বিষয়টি যেন ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসের হোসেন মিয়ার ময়না দ্বীপে বসতি স্থাপনের মতোই, যেখানে অল্প অল্প মানুষ থেকে বড় কিছুর পরিকল্পনা করেন হোসেন মিয়া। আবার কিছুটা যেন ‘রবিনসন ক্রুসো’ উপন্যাসের কাহিনির মতোও। রবিনসন ক্রুসো নির্জন দ্বীপে জীবনের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছিলেন।
মার্স ওয়ান নিয়ে কাজ করছেন ডাচ উদ্যোক্তা ও গবেষক ব্যাস ল্যান্ডসড্রপ। তাঁর পরিকল্পনা অনুসারে, মঙ্গল গ্রহের মিশন সফল করতে ২০১৬ সাল নাগাদ যোগাযোগের জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাবে মার্স ওয়ান। ২০১৮ সালে রোবট পাঠিয়ে বসতি স্থাপনের জন্য উপযুক্ত জায়গা নির্ধারণ করা হবে। ২০২০ সালে মঙ্গলে নভোচারীদের টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে। প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর মধ্যে থাকবে সৌর প্যানেল স্থাপন এবং মঙ্গলের পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে পানি ও অক্সিজেন তৈরির বিষয়টি। ২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর চারজন নভোচারী মঙ্গলের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। প্রায় ১০ মাস পাড়ি দেওয়ার পর তাঁরা মঙ্গলে পৌঁছাবেন। এরপর তাঁদের শুরু হবে রবিনসন ক্রুসোর মতো জীবন।
মঙ্গলগ্রহে যাওয়ার এ অভিনব সুযোগ লাভের জন্য আবেদনপত্র, যোগ্যতা ও অভিযাত্রী নির্বাচনপ্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে লিংক http://mars-one.com/en/




মঙ্গলের জন্য অভিবাসী খুঁজছে মার্স ওয়ান! (ভিডিও) - প্রথম আলো

২৪ ঘণ্টা এবং একটি প্রেমের গল্প



রাত ১২টা
টুং টুং শব্দে ঘুম ভেঙে গেল। মাত্র চোখটা লেগেছিল। ভীষণ রাগ হচ্ছে। এসএমএস এসেছে রুনুর, ‘দোস্ত, আই অ্যাম ইন লাভ।’
সকাল সাতটা
ফেসবুক হয়ে গেছে তিন বেলার খাবারের মতো। সকাল, দুপুর, রাত অনলাইন হতেই হবে। যথারীতি অনলাইন হলাম। আরে! আমার কলিগ রুনু লিখেছে, ‘ইন এ রিলেশনশিপ উইথ রায়হান।’ মনে পড়ল রাতের এসএমএসের কথা। এই রায়হানটা আবার কে? দেখি, অফিসে যাই, রুনু আসুক।
সকাল নয়টা
মাত্র অফিসে ঢুকেছি, রুনু যেন উড়ে এল, ‘এই আমার এসএমএস পেয়েছিস? রায়হানকে দেখেছিস? সুন্দর না? আজ আমরা একসঙ্গে লাঞ্চ করব, তুই কিন্তু কোনো বাহানা করবি না।’ আমার ডেস্ক পর্যন্ত চলে এসেছে রুনু। আজ ওকে লাগছে অস্থির প্রজাপতির মতো, উড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে।
দুপুর ১২টা
কাজের খুব চাপ গেছে সারাটা সকাল। ফেসবুকে ঢুঁ মারার কোনো সুযোগ হয়নি। ঢুকেই রায়হানের ছবি দেখলাম। রুনু শেয়ার করেছে। বাহ্! রায়হান তো দেখতে খুব সুদর্শন। রুনুর পাশে খুব মানাবে।
দুপুর একটা
অতিথি শুধু আমি, রুনু আর রায়হান পাশাপাশি বসেছে। আমি ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো তাদের খুনসুটি উপভোগ করছি। ‘শোন, ও কি বলে জানিস, হানিমুন করতে নাকি প্যারিস যাবে। দেখ, এত টাকা খরচ করার কোনো দরকার আছে?’ ‘আরে! আমার বউয়ের জন্যই তো আমার সব। আপনি বলেন, আমি কি ভুল বললাম।’ রায়হানের কৃত্রিম অভিযোগ। ‘কিন্তু টুনির জন্য কিছু জমাতে হবে না?’ ‘টুনি!’ রুনুর কথার রেশ ধরে আমার বিস্ময়। ‘ও, তোকে তো বলা হয়নি, রায়হান ঠিক করেছে আমাদের প্রথম বেবির নাম টুনি রাখবে।’ রুনুর গাল লজ্জায় লাল হয়ে গেছে। লাঞ্চ শেষ, আমাকে এবার বিদায় নিতে হবে। দুজনের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করে আমি চললাম অফিসের দিকে। রায়হান আর রুনু প্রজাপতি হয়ে উড়ে গেল বিকেলটা উপভোগ করতে।
বিকেল চারটা
উফ্! এত কাজ! দুপুরে যে কি খেয়েছি, মনে করতে পারছি না। রুনু কি মজাই না করছে। তাদের ওয়ালে কমেন্ট পড়েই যাচ্ছে। শুভেচ্ছা, কেউ কেউ আবার বিয়ের দাওয়াত চাইছে। একটু হিংসা হচ্ছে। কীভাবে এত ভালো একটা বর পেয়ে গেল! হ্যাঁ! রায়হানকে তো ও বর বলেই ডাকে। আমার তো ফেসবুক আছে, কিন্তু রায়হানের মতো কোনো ফ্রেন্ড নেই।
রাত আটটা
মাত্র বাসায় পৌঁছালাম। বিধ্বস্ত। এর মধ্যে রুনুকে অনেকবার ফোন দিয়েছি, ধরেনি। এখন কি আর ওর আমার ফোন দেখার সময় আছে? প্রচণ্ড খিধে পেয়েছে। খাবার দিতে বলে ফ্রেশ হতে গেলাম।
রাত ১১টা ৩০ মিনিট
রুনু ফোন দিয়েছে। ‘কী ব্যাপার! সারাটা দিন লাপাত্তা, আজিই হানিমুন সেরে ফেললি নাকি? আমি তো...’
মুখের কথা শেষ করতে পারলাম না, রুনু কেড়ে নিয়ে বলল, ‘খবরদার, ওই ছোটলোকটার কথা বলবি না। ওর সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে দুই দিনে আমাকে পাবনা গিয়ে ভর্তি হতে হবে, ছিঃ! জানিস, আমার আগেও কত মেয়ের সাথে..., থ্যাংকস গড, আমি আগেই জানতে পেরেছি, এসব ছেলে...’
রুনুর রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস সিঙ্গেল হয়ে গেছে। দেয়ালঘড়িতে ১২টার ঘণ্টা বাজছে।




২৪ ঘণ্টা এবং একটি প্রেমের গল্প - প্রথম আলো

Sunday, January 6, 2013

টাটার কর্ণধার সাইরাস মিস্ত্রির জানা-অজানা



টাটা সান্সের সাবেক চেয়ারম্যান রতন টাটার (বাঁয়ে) সঙ্গে কথা বলছেন চেয়ারম্যান সাইরাস পাল্লোনজি (ডা��
টাটা সান্সের সাবেক চেয়ারম্যান রতন টাটার (বাঁয়ে) সঙ্গে কথা বলছেন চেয়ারম্যান সাইরাস পাল্লোনজি (ডানে)। ছবি. রয়টার্স
বিশ্বের অন্যতম ও ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক শিল্প গোষ্ঠী টাটার চেয়ারম্যান সাইরাস পাল্লোনজি মিস্ত্রি। গত ২৮ ডিসেম্বর ৪৮ বছর বয়সী সাইরাস মিস্ত্রি এ দায়িত্ব হাতে নেন। 
টাটা সান্সের সাবেক চেয়ারম্যান রতন টাটার উত্তরাধিকারী হিসেবে যখন সাইরাস মিস্ত্রির নাম ঘোষণা করা হয়, তখন ভারতসহ বিশ্বের বেশির ভাগ সংবাদপত্র, সাময়িকী বা টিভি চ্যানেল সাইরাসের নিয়োগকে ‘অপ্রত্যাশিত’ ও ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মূলত সাইরাসের স্বল্প পরিচিতিই এর কারণ। 
সাইরাস মিস্ত্রি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর রতন টাটা বলেছিলেন, সাইরাসের যোগ্যতা ও ধীশক্তিতে তিনি মুগ্ধ। তাঁর বিচক্ষণতা ও বিনয়ের প্রশংসাও করেন তিনি।
ভারতের বাণিজ্যবিষয়ক রক্ষণশীল সংবাদপত্র ‘মিন্ট’ বলেছিল, ‘মিস্ত্রির নিয়োগের বিষয়ে যেসব বিষয় কাজ করছে, এর অন্যতম হলো টাটা গ্রুপে তাঁর সংক্ষিপ্ত কর্মজীবন (সাইরাস ২০০৬ সালে টাটা সান্সের অন্যতম পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান)। আরেকটি বিষয় হলো, প্রতিষ্ঠানটির বাইরে তিনি প্রায় অপরিচিত।’
‘মিস্ট্রি এন্ডস, মিস্ত্রি বিগিনস’ শিরোনামে ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’ যে সংবাদটি প্রচার করেছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘টাটা সান্সের বাছাই কমিটি যখন নির্মাণ ব্যবসায়ী, নিভৃতচারী ও স্বল্প পরিচিত সাইরাস মিস্ত্রিকে নির্বাচিত করল, তখন তা খুব বিস্ময়কর ব্যাপার হয়ে দাঁড়াল। কমিটি সাইরাসের ভগ্নিপতি ও রতন টাটার ভাই নিয়োল টাটার বদলে বেছে নিয়েছে সাইরাসকে।’ 
কার্যত টাটায় যোগ দেওয়ার আগে সাইরাস পরিচিত ছিলেন ভারতের নির্মাণ ব্যবসায়। পেশাগত জীবনে টাটা ছাড়া আর কোনো বড় গ্রুপের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না। 
২০১১ সালের নভেম্বর মাসে টাটা গ্রুপের একটি প্রভাবশালী কমিটি সাইরাসকে রতন টাটার উত্তরাধিকার হিসেবে বাছাই করে। ওয়্যারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়্যারউইক ম্যানুফ্যাকচারিং গ্রুপ নামের গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের কর্ণধার এবং প্রভাবশালী ব্রিটিশ ব্যবসায়ী লর্ড সুশান্ত কুমার ভট্টাচার্য, আইনজীবী শিরিন ভারুচা ও টাটা সান্সের ভাইস চেয়ারম্যান এন এ সুনাওয়ালার ওই কমিটি ১৮ মাস ধরে টাটার পরিচালকদের কর্মজীবন ও অর্জন ঘেঁটে এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে একটি তালিকা তৈরি করে। এতে শীর্ষস্থান জয় করেন সাইরাস মিস্ত্রি। পরে কমিটি সাইরাস মিস্ত্রিকে টাটা সনসের ভাবী চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করে। পরের এক বছর তিনি রতন টাটার সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 
সম্প্রতি সাইরাস ক্রিসমাস উপলক্ষে টাটা গ্রুপের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গকে এক ই-মেইল পাঠান। চিঠিতে তিনি সব শ্রমিক, কর্মকর্তা ও পরিচালকদের শুভেচ্ছা জানান। সাবেক চেয়ারম্যান রতন টাটার ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি। তিনি লিখেছেন, ‘রতন টাটার উজ্জ্বল নেতৃত্বে এ প্রতিষ্ঠানটি ভারতের একটি বিশাল প্রতিষ্ঠান থেকে সারা বিশ্বে পদচারণা শুরু করেছে। নবসৃষ্টি, মান এবং যৌথতার শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি হয়েছে।’
সাইরাস বলেন, ‘চেয়ারম্যানের দায়িত্ব হস্তান্তরের পর অনেক কিছু পরিবর্তিত হলেও টাটা গ্রুপের মূল সত্তা অপরিবর্তিত থাকবে।’ ব্যবসায় সর্বোচ্চ নৈতিকতা প্রদর্শনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা হবে বলেও তিনি জানান।
সারা দুনিয়ায় টাটার পদচারণা শুরু হলেও ভারতের প্রতি প্রতিষ্ঠানটির অঙ্গীকার অপরিবর্তিত থাকবে। 
কর্মীদের উদ্দেশে সাইরাস বলেন, ‘আমরা এমন একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সময়ে বাস করছি যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ক্রমে বাড়ছে। এ সময় সফল হতে হলে আমাদের চিন্তা ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে হবে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, যেসব বড় প্রতিষ্ঠান সাফল্যের মুকুট মাথায় দিয়ে অলস সময় কাটায়, তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার স্রোতে সে ভেসে যায়।’ 

বেড়ে ওঠা
পাল্লোনজি সাপুরজি মিস্ত্রি ও পাটসি পেরিন দুবাস দম্পতির কনিষ্ঠ সন্তান সাইরাস মিস্ত্রি। ১৯৬৮ সালের ৪ জুলাই মুম্বাইয়ের বিখ্যাত পার্সি পরিবারে তাঁর জন্ম। জরাথ্রুস্ট ধর্মানুসারী সাইরাসের মা পাটসি ছিলেন একজন আইরিশ। তাই সাইরাস নিজেকে আইরিশ হিসেবেই পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। 
পাল্লোনজি-পাটসি দম্পতির অন্য সন্তানেরা হলেন বড় ছেলে সাপুর মিস্ত্রি এবং দুই কন্যা লায়লা ও আলো। 
সাইরাস পড়াশোনা করেছেন মুম্বাইয়ের ক্যাথেড্রাল অ্যান্ড জন কোনান স্কুল থেকে। এরপর মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদ থেকে স্নাতক পাস করেন তিনি। পরে লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজে থেকে পুরকৌশলে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর পাস করেন লন্ডন স্কুল অব বিজনেস থেকে। 
বাবা ও বড় ভাইয়ের সঙ্গে সাইরাস মুম্বাইয়ের সমুদ্র তীরে মালাবার হিলের একটি বাসায় বাস করেন। সাইরাস বিয়ে করেছেন প্রখ্যাত আইনজীবী ইকবাল চাকলার কন্যা রোহিকা চাকলাকে। 
সাপুরজি পাল্লোনজি অ্যান্ড কোম্পানির বর্তমান চেয়ারম্যান এবং সাইরাসের বড় ভাই সাপুর মিস্ত্রি বিয়ে করেছেন আইনজীবী রুশি সেত্নার মেয়ে বেহরোজ সেত্নাকে।
টাটা পরিবারের সঙ্গেও সাইরাসের মিস্ত্রি পরিবারের সম্পর্ক আছে। সাইরাসের বোন আলোর বিয়ে হয়েছে রতন টাটার সত্ভাই নোয়েল টাটার সঙ্গে। 
আরেক বোন আলোর বিয়ে হয়েছে রুস্তম জাহাঙ্গীরের সঙ্গে। 

সাইরাসের কর্মজীবন
প্রায় ২০ বছরের কর্মজীবনে সাইরাস নির্মাণপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বিনোদন, বিদ্যুত্ ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন।
সাইরাস ১৯৯১ সালে তাঁদের পারিবারিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সাপুরজি পাল্লোনজি অ্যান্ড কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। ভারতের সবচেয়ে ধনী পরিবারগুলোর তালিকায় মিস্ত্রির পরিবারের অবস্থান সপ্তম। তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৭৬০ কোটি ডলার (৬০ হাজার ৬২১ কোটি টাকা)। তিন বছর পর, সাইরাস ওই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে নিয়োগ পান। তাঁর সময়ে ওই গ্রুপের নির্মাণ ব্যবসা দুই কোটি ডলার থেকে বেড়ে ১৫০ কোটি ডলারে গিয়ে দাঁড়ায়। 
ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশে বিস্তৃত সাপুরজি পাল্লোনজি অ্যান্ড কোম্পানিতে বর্তমানে প্রায় ২৩ হাজার মানুষ কর্মরত আছেন। 
টাটা সান্স ছাড়াও সাইরাস টাটা অ্যালেক্সি ও টাটা পাওয়ারের দায়িত্বে আছেন। তিনি ডি কিউ ইন্টারটেইনমেন্ট পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। 
এর আগে সাইরাস ফোর্বস গোকাক লিমিটেডের বহিস্থ নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি কনভারজেন্স মিডিয়া লিমিটেড ও ইউটিভি টুনস ইন্ডিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
এখন সাইরাস মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের একজন ট্রাস্টি এবং ইম্পিরিয়াল কলেজ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং ইনস্টিটিউট অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্সের ফেলো হিসেবে কাজ করছেন। 

সাইরাস যেভাবে টাটায়
সাইরাসের দাদা ১৯৩০-এর দশকে টাটা সান্সের কিছু শেয়ার কিনেছিলেন। ২০১১ সালের নভেম্বরে এই শেয়ারের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ দশমিক পাঁচ শতাংশ। দাদা মারা যাওয়ার পর সাইরাসের বাবা পাল্লোনজি মিস্ত্রি এই শেয়ারের মালিক হন। এককভাবে তিনিই হন টাটা গ্রুপের সবচেয়ে বড় অংশীদার। 
টাটার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই পরিচালিত হয় ট্রাস্টের মাধ্যমে। এত বড় শেয়ারের মালিক হিসেবে পাল্লোনজি মিস্ত্রি টাটার বিভিন্ন ট্রাস্টের এবং টাটা সান্সের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হন। ২০০৫ সালে পাল্লোনজি মিস্ত্রি টাটা সান্সের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকের পদ থেকে অবসর নিলে সাইরাস মিস্ত্রি ওই পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি টাটা সান্সের অন্যতম পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। 

মজার তথ্য
টাটা সান্সের ষষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সাইরাস মিস্ত্রি। নামের সঙ্গে টাটা নেই, অথচ টাটা সান্সের চেয়ারম্যান হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে সাইরাস দ্বিতীয়।
তাঁর আগে দায়িত্ব পালনকারী পাঁচজনের মধ্যে চারজনের নামের সঙ্গে টাটা উপাধি ছিল। কেবল ১৯৩০-এর দশকে টাটার চেয়ারম্যান নওরোজি সাকলাত্ভালার নামের সঙ্গে এ উপাধি ছিল না। 
নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করেন সাইরাস। তিনি গলফ খেলতে ভালোবাসেন।




টাটার কর্ণধার সাইরাস মিস্ত্রির জানা-অজানা - প্রথম আলো

সরকারের জনপ্রিয়তা কমেছে




সরকারি দল আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা ২০১২ সালে আরও কিছুটা কমেছে। ২০১১ সালের ৩৮ শতাংশ থেকে ২০১২ সালে তারা নেমেছে ৩৫ শতাংশে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির জনপ্রিয়তা বেড়েছে সামান্যই। ২০১১ সালের চেয়ে ১ শতাংশ বেড়ে ২০১২ সালে তারা পেয়েছে ৪৪ শতাংশ মানুষের সমর্থন।
সরকারের শরিক দল জাতীয় পার্টির (এরশাদ) জনপ্রিয়তা ২০০৯ সাল থেকে প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। ২০১১ সালে তারা পেয়েছিল ৮ শতাংশ মানুষের সমর্থন; এবার পেয়েছে ১২ শতাংশের। জামায়াতে ইসলামীর প্রতি মানুষের সমর্থন গত এক বছরে ১ শতাংশ কমে ৩ শতাংশ হয়েছে। প্রথম আলোর উদ্যোগে পরিচালিত এক জনমত জরিপে এ মতামত উঠে এসেছে।
২০১২ সালের নভেম্বর মাসে জনমত জরিপটি পরিচালনা করেছে দেশের খ্যাতিসম্পন্ন পেশাদার জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ওআরজি-কোয়েস্ট রিসার্চ লিমিটেড। বাংলাদেশের জনবিন্যাস অনুযায়ী মানুষের অবস্থান, বয়স এবং নারী-পুরুষ ও গ্রাম-নগরবাসী অনুপাতে উত্তরদাতা বেছে নেওয়া হয়। দৈবচয়নের ভিত্তিতে সারা দেশ থেকে নির্বাচিত এ উত্তরদাতার সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার। মহাজোট সরকারের প্রথম বছর পূর্তির সময় থেকে গত চার বছরে বার্ষিক ভিত্তিতে নিয়মিত এ জরিপ পরিচালনা করা হচ্ছে।
তবে এ জরিপে রাজনৈতিক দলগুলোর জনপ্রিয়তায় শহর ও গ্রাম এবং নারী-পুরুষভেদে পার্থক্য লক্ষ করা গেছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জনপ্রিয়তা শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি। পক্ষান্তরে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সমর্থকেরা গ্রামের চেয়ে শহরে বেশি। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি (এরশাদ) পুরুষদের কাছে বেশি জনপ্রিয়; বিএনপি নারীদের কাছে। বয়স্ক ও তরুণদের মধ্যে বিএনপি সমর্থন বেশি লক্ষ করা গেছে।
আঞ্চলিক দিক থেকে আওয়ামী লীগ ঢাকা বিভাগে বেশি জনপ্রিয়। কিন্তু চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে তাদের জনপ্রিয়তা জাতীয় গড়ের চেয়ে কম। 
অন্যদিকে বিএনপি রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেটে বেশি জনপ্রিয়। ঢাকা বিভাগে বিএনপির জনপ্রিয়তা অপেক্ষাকৃত কম। জরিপে দেখা গেছে, জাতীয় পার্টির অবস্থান রংপুরে শক্তিশালী ও বরিশালে দুর্বল।
শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া: প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের আস্থা এ জরিপে ২০১১ সালের তুলনায় সামান্য বেড়ে ৬৫ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে খালেদা জিয়ার ভূমিকার প্রতি মানুষের আস্থা আগের বছরের তুলনায় ৯ শতাংশ কমে ৬৪ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।
সরকারের মূল্যায়ন: জরিপে দেখা গেছে, সাধারণভাবে মানুষ সরকারের প্রতি অখুশি। বরাবরের মতো এ বছরও শিক্ষা খাত তার সাফল্যের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রেখে সর্বাধিক মানুষের (৯৩ শতাংশ) সন্তুষ্টি অর্জন করেছে। যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতও এবার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভালো (৫৮ শতাংশ) করেছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোগে মানুষের সন্তুষ্টির হার ২০১১ সালের চেয়ে ৮ শতাংশ বেড়ে ২৯ শতাংশ হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে অসন্তোষের হার এখনো বেশি (৭০ শতাংশ)।
এর বাইরে অন্য গুরুত্বপূর্ণ খাতের ওপর সরকারের উদ্যোগে মানুষ খুশি নয়। এর ফল হিসেবে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা গত চার বছরে ক্রমাগত কমেছে। তবে ২০১১ সালের তুলনায় এবার তাদের জনপ্রিয়তা হ্রাসের হার কিছুটা কম (৩ শতাংশ)।
সরকারের প্রতি গ্রামের তুলনায় শহরের মানুষের অসন্তুষ্টির পরিমাণ বেশি দেখা গেছে। কৃষি ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে সরকারের কর্মকাণ্ডের প্রতি গ্রামের মানুষের সমর্থন শহরের তুলনায় বেশি ছিল। কৃষি খাত নিয়ে গ্রামের মানুষ সরকারের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। ধান ও পাটের মতো প্রধান ফসলের ন্যায্যমূল্য না পাওয়াকে এই নেতিবাচক মনোভাবের কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে।
সরকারি দল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর ওপর মানুষ অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। মানুষ মনে করছে, আওয়ামী লীগ তার দলীয় কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
মন্ত্রীদের হালহকিকত: সরকারের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর কাজের মূল্যায়নে জরিপে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। মন্ত্রীদের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ধারাবাহিকভাবে মেঘলা আকাশে জ্বলজ্বলে তারকার মতো অবস্থান করে নিয়েছেন। ৯৫ শতাংশ মানুষ শিক্ষামন্ত্রীর কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নতুন দায়িত্ব পেয়ে অল্প সময়ের মধ্যে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই তালিকায় দ্রুত দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। তাঁকে সফল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন ৬০ শতাংশ মানুষ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনিকে ৪০ শতাংশ মানুষ সফল এবং ৩৩ শতাংশ মানুষ ব্যর্থ বলে চিহ্নিত করেছেন। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে ৩৯ শতাংশ মানুষ তাঁকে সফল এবং ৫৫ শতাংশ অসফল বলে চিহ্নিত করেছেন। 
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে ৩১ শতাংশ মানুষ সফল বলে মনে করেছেন। তবে ৫৫ শতাংশ মানুষ অর্থমন্ত্রীকে এবং ৩৪ শতাংশ মানুষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অসফল বলে মত দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাফল্য-ব্যর্থতার বিষয়ে ১৭ শতাংশ মানুষ নিশ্চিত নয়। ১৮ শতাংশ মানুষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি।
নির্বাচন: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে অনিশ্চয়তা ও হতাশার আভাস পাওয়া গেছে এই জরিপে। ৭৬ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না। ৫৯ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে দুই দলের মধ্যে সমঝোতার সম্ভাবনা নেই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনীর সহায়তা দরকার হবে বলে মনে করেছেন ৮৯ শতাংশ মানুষ। বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে কি না, এ প্রশ্নে ৪৯ শতাংশ নেতিবাচক ও ৪৫ শতাংশ মানুষ ইতিবাচক মত দিয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি: দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে কি না, এ ব্যাপারে ইতিবাচক ও নেতিবাচক মত দিয়েছেন যথাক্রমে ৩৯ ও ৩৮ শতাংশ মানুষ। দেশের ৮৪ শতাংশ মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরোধিতা করেছেন। ৭০ শতাংশ মানুষ মনে করেন, দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমেছে। ইলিয়াস আলীসহ অনেকের গুম ও অপহরণের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সম্পর্ক নেই বলে মনে করছেন ৫৪ শতাংশ এবং আছে বলে মনে করেন ৩১ শতাংশ মানুষ।
বিচার, দুর্নীতি ও অন্যান্য: বিচার বিভাগের অবনতি হয়েছে বলে ৪০ শতাংশ মানুষ মত দিয়েছেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকে মানুষের এমন মনোভাব বাড়ছে। গত চার বছরে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপকে ইতিবাচক মনে করেন না দেশের অধিকাংশ মানুষ। ৪৯ শতাংশ মানুষ বলেছেন, দুর্নীতি আগের চেয়ে বেড়েছে। ২০০৯ সালের জরিপে এমন মত দিয়েছিলেন ৩৪ শতাংশ মানুষ। বর্তমান সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না বলে মনে করছেন ৫৬ শতাংশ উত্তরদাতা। 
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে সরকারের ওপর মানুষের আস্থা কমেছে। ২০০৯ সালে ৮৬ শতাংশ উত্তরদাতা আশা করেছিলেন, সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচারে যথার্থ পদক্ষেপ নিতে পারবে। ২০১২ সালে এসে এ বিষয়ে মানুষের আস্থা কমে ৪৪ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। 
গ্রামীণ ব্যাংক ও মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সরকারের আচরণে ৬০ শতাংশ মানুষ অসন্তোষ প্রকাশ করেছে; পক্ষান্তরে সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ২৫ শতাংশ মানুষ। গণমাধ্যমের প্রতি সরকারের আচরণে মানুষের অনাস্থা ক্রমাগত হারে বেড়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সরকারের আচরণ সমর্থন করেননি ৫৩ শতাংশ মানুষ। মাত্র ২৫ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তাঁরা সরকারের আচরণ সমর্থন করেন। 
আওয়ামী লীগের শাসনামলে ভারতের সঙ্গে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক থেকে বাংলাদেশ লাভবান হয়েছে বলে মনে করেন না অধিকাংশ উত্তরদাতা। ৪৯ শতাংশ উত্তরদাতা এমন মত জানিয়েছেন। ৩৮ শতাংশ মানুষ বলেছেন, বাংলাদেশ এ সম্পর্ক থেকে লাভবান হয়েছে।



সরকারের জনপ্রিয়তা কমেছে - প্রথম আলো