TECH GURU, TECH-SCIENCE NEWS

"I celebrate myself, and sing myself,
and what I assume you shall assume,
for every atom belonging to me as good belongs to you."

Friday, November 23, 2012

১৩ মেগাপিক্সেলের নমনীয় স্মার্টফোন হবে ‘গ্যালাক্সি এস ৪’!



  • স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৪স্মার্টফোনটি  হতে পারে এ ধরনের নমনীয় ওএলইডি প্রযুক্তির
    স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৪স্মার্টফোনটি হতে পারে এ ধরনের নমনীয় ওএলইডি প্রযুক্তির
  • স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৪স্মার্টফোনটি  হতে পারে এ ধরনের নমনীয় ওএলইডি প্রযুক্তির
    স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৪স্মার্টফোনটি হতে পারে এ ধরনের নমনীয় ওএলইডি প্রযুক্তির
1 2 3 4 5
স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি সিরিজের এস ৪ স্মার্টফোনে কাচের ডিসপ্লের পরিবর্তে নমনীয় প্লাস্টিকের তৈরি ডিসপ্লে ব্যবহূত হতে পারে। ফলে সহজেই ভাঁজ করা যাবে এ স্মার্টফোনটি। ২০১৩ সালের প্রথম প্রান্তিকেই এ ধরনের নমনীয় প্রযুক্তির ডিসপ্লেযুক্ত ‘গ্যালাক্সি এস ৪’ স্মার্টফোনটি বাজারে আনছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান স্যামসাং। এ স্মার্টফোনে থাকতে পারে ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা, উন্নত প্রসেসর ও নতুন প্রযুক্তি। এক খবরে ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ জানিয়েছে, হালকা-পাতলা ও নমনীয় স্মার্টফোন তৈরির পরিকল্পনায় অনেক দূর এগিয়েছে স্যামসাং।
স্যামসাংয়ের তৈরি নমনীয় প্রযুক্তির ডিসপ্লের সঙ্গে যুক্ত হবে অর্গানিক এলইডি বা ওএলইডি প্রযুক্তি। উল্লেখ্য, বর্তমানে ওএলইডি প্রযুক্তি টেলিভিশন ও স্মার্টফোনে ব্যবহার করছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, অত্যন্ত পাতলা ওএলইডি ডিসপ্লে বিভিন্ন উপাদানের সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব। এর মধ্যে একটি হচ্ছে নমনীয় প্লাস্টিক। নমনীয় প্লাস্টিক ব্যবহার করলে স্মার্টফোন হবে টেকসই এবং ভাঁজ করা যাবে।
আইএইচএস ইলেকট্রনিকসের পরিচালক ভিনিতা ঝাখনওয়াল এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের আগে নমনীয় স্মার্টফোন বাজারে এনে পণ্যের তালিকায় নতুনত্ব যোগ করতে চাইছে স্মার্টফোন বাজারের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানটি। বাজারে এখন একই রকম ফিচার ও কাঠামোর প্রচুর স্মার্টফোন রয়েছে। নমনীয় আমোলেড প্রযুক্তির স্মার্টফোন বাজারে এনে নতুনত্ব যুক্ত করছে স্যামসাং।
স্যামসাং ছাড়াও নকিয়া, এসার, এলজি নমনীয় প্রযুক্তির স্মার্টফোন তৈরির আগ্রহ দেখিয়েছে।


১৩ মেগাপিক্সেলের নমনীয় স্মার্টফোন হবে ‘গ্যালাক্সি এস ৪’! - প্রথম আলো

বিশ্বের সেরা স্মার্টফোন আনবেন সাবেক নকিয়া-কর্মীরা!



২০১৩ সালের মাঝামাঝি ‘বিশ্বের সেরা স্মার্টফোন’ বাজারে আনবেন বলে দাবি করেছেন নকিয়ার সাবেক একদল কর্মী। এক খবরে এনডিটিভি জানিয়েছে, নকিয়ার সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা নিজেদের প্রতিষ্ঠান ‘জোলা’র ব্যানারে নকিয়ার নতুন অপারেটিং সিস্টেম ‘সেইলফিশ’-নির্ভর স্মার্টফোন বাজারে আনার পরিকল্পনা করেছেন। ২১ নভেম্বর জোলার পক্ষ থেকে ‘সেইলফিশ’ অপারেটিং সিস্টেম তৈরির ঘোষণা এসেছে।
২০১০-১১ সালের দিকে নকিয়া-ইনটেলের মিগো সফটওয়্যার আর সিমবিয়ান অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোন তৈরি করত ফিনল্যান্ডের মোবাইল নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান নকিয়া। বর্তমানে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম-নির্ভর স্মার্টফোন তৈরির কারণে সিমবিয়ান ও মিগো সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে দিয়েছিল নকিয়া। এ সময় নকিয়ার কয়েকজন কর্মকর্তা নকিয়া ছেড়ে দেন এবং জোলা প্রতিষ্ঠা করেন। 
জানা গেছে, নকিয়ার মিগো সফটওয়্যার ও এন৯ স্মার্টফোন তৈরির পেছনে যে দলটি কাজ করছিল, সে দলটিরই সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা মিলে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘জোলা’।
‘জোলা’ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা নতুন নকশায় প্রথমে সেইলফিশ-নির্ভর একটি স্মার্টফোন বাজারে ছাড়বে।
এদিকে স্মার্টফোনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বাজারে ‘জোলা’র এই নতুন স্মার্টফোনটিকে অ্যাপল, স্যামসাং, নকিয়া, অ্যান্ড্রয়েড-নির্ভর বিভিন্ন স্মার্টফোনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে বলেই জানিয়েছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা। তবে জোলার প্রতিষ্ঠাতা আনটি সারনিও জানিয়েছেন, বিশ্বের সেরা ফোনটি হবে হাই এন্ড বা বেশি দামের স্মার্টফোন। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রথমে ছাড়া হবে এ স্মার্টফোনটি। পরবর্তীতে সেইলফিশ-নির্ভর মিড রেঞ্জের স্মার্টফোন বাজারে আনবে জোলা।


বিশ্বের সেরা স্মার্টফোন আনবেন সাবেক নকিয়া-কর্মীরা! - প্রথম আলো

আবেগের তথ্য


মানুষ সহজেই আবেগ লুকিয়ে রাখতে পারে। কিন্তু লুকানো আবেগকে প্রযুক্তির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা বা জানা সম্ভব। অটিস্টিক শিশুদের আবেগ অনেক ক্ষেত্রেই বোঝা সম্ভব হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা জানিয়েছেন, কিউ সেনসর নামের একটি যন্ত্র ব্যবহার করে সহজেই তাদের আবেগ বোঝা যাবে এবং চিকিত্সকেরা সে তথ্য অনুযায়ী চিকিত্সা করতে পারবেন। যারা কথা বলতে পারে না বা আবেগ প্রকাশে অক্ষম, তাদের ক্ষেত্রেও এ সেনসর কাজে লাগবে। এক খবরে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষক অ্যাডাম শ কিউ সেনসর পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, এ যন্ত্রটি তারবিহীন পদ্ধতিতে শরীরের বিদ্যুত্প্রবাহের মাত্রা পরিমাপ করে আবেগসংশ্লিষ্ট তথ্য জানাতে পারে। বিরক্তি, চাপ, উত্তেজনার মতো বিষয়গুলো জানতে গবেষণা, চিকিত্সায় এ সেন্সর ব্যবহার করা যাবে।



‘কিউ সেনসর’ জানাবে আবেগের তথ্য - প্রথম আলো

চকলেট ও নোবেল তত্ত্ব!




যত বেশি চকলেট, তত বেশি নোবেল! বেশি করে চকলেট খেলে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার কপাল খুলে যায়! মুখরোচক চকলেটের আদুরে নাম তাই ‘কালো সোনা’ বলেন এর ভক্তরা। এক খবরে বিবিসি অনলাইন জানিয়েছে, চকলেট ও নোবেল পুরস্কারবিষয়ক প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর পাঠকেরা তাঁদের মন্তব্যে এ বিষয়ে তাঁদের নানা তত্ত্ব যুক্ত করেছেন।
‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’ সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব দেশের মানুষ তাঁদের দৈনন্দিন খাদ্যের তালিকায় চকলেট রাখেন, সে সব দেশ থেকেই বছরান্তে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার হার সবচে বেশি। এ তালিকার শীর্ষে আছে সুইজারল্যান্ড। এরপর রয়েছে সুইডেন ও ডেনমার্ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অবশ্য এ তালিকার ওপরের দিকে।
নিউইয়র্কের সেন্ট লিউকস রুজভেল্ট হাসপাতালের উচ্চ রক্তচাপ বিশেষজ্ঞ ফ্রানজ মেসারলি এই গবেষণার জনক। জাতিতে সুইস নাগরিক এ বিশেষজ্ঞ হঠাত্ করেই তাঁর এক অবসর মুহূর্তে চকলেটের সঙ্গে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার সম্পর্ক খুঁজে পান বলে দাবি করেন। তাঁর তথ্যমতে, দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে চকলেট থাকে এমন ২৩টি দেশের মানুষের মধ্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার হার সবচে বেশি।
মেসারলি তাঁর গবেষণার তথ্যগুলো সঠিক বলে দাবি করলেও তাঁর এ গবেষণায় যুক্তির প্রভাব খুব কম বলে স্বীকার করেছেন। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেরাসলি তাঁর গবেষণায় যুক্তির প্রভাব কম দেখলেও পাঠকেরা যথেষ্ট যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন তাঁদের মন্তব্যে। তাঁদের মধ্যে বাছাই করা মন্তব্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ম্যানচেস্টারের বাসিন্দা মাইকেল জনসনের। জনসন তাঁর মন্তব্যে লিখেছেন, ‘আমি যখন নিজেকে সময় দিই বা চিন্তামুক্ত থাকি, তখন সৃষ্টিশীল ধারণা আমার মাথায় আসে। চকলেট প্রয়োজনীয় কোনো খাবার নয়, এটা বরং আনন্দ অবকাশের বিলাসী খাবার। মানুষের হাতে যখন অবসর থাকে, তাঁর খাওয়া-পরা বা দৈনন্দিন জীবনের চাহিদার বিষয়গুলো যখন প্রভাব ফেলে না, সেই সময়টাতে সে সৃষ্টিশীল হয়ে উঠতে পারে বলেই আমার মনে হয়।’
কার্ডিফের লিজা প্রেস জানিয়েছেন, চকলেট খাওয়ার কারণেই তাঁর বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। যুক্তরাজ্যের বান্টু কানো জানিয়েছেন, চকলেটে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা যোগাযোগ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। সোমালিয়ার বাসিন্দারা হারে নামের এক ধরনের চকলেট খায়, যা তাদের বুদ্ধিমান করে তোলে। সেখানকার উপজাতি সর্দার যুদ্ধে যাওয়ার আগে চকলেট খান।
এথেন্সের অ্যাপোসতোলোস প্যাপোটিস জানিয়েছেন, ক্ষুধা পেলে গ্রিসের মানুষ চকলেট খায়, যা বুদ্ধিমত্তার লক্ষণ। এতে খাবার তৈরির ও বাসন ধোয়ার সময় বাঁচে। পৃথিবী একমাত্র গ্রহ, যেখানে চকলেট আর বুদ্ধিমান প্রাণীর যৌথ অস্তিত্ব রয়েছে।
জর্ডানের আইয়ুব আইয়ুব জানিয়েছেন, চকলেট পুষ্টিগুণে ভরা ও উদ্দীপন ক্ষমতাসম্পন্ন। অল্প বয়স থেকে চকলেট খেলে মস্তিষ্কের গঠন ভালো হয়। ক্ষুরধার মস্তিষ্ক গড়ে ওঠে। 
যুক্তরাজ্যের জর্জ চিলটন জানিয়েছেন, ‘শীতপ্রধান অঞ্চলের মানুষ বেশি পরিমাণ চকলেট খায়। তারা উষ্ণ অঞ্চলের মানুষের চেয়ে কাজ করে বেশি। ৩৫ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রায় বাইরে বেশিক্ষণ কাজ করতে কে চাইবে? আমি বর্তমানে স্পেনে বাস করছি। এখানকার খুব বেশি মানুষ নোবেল পুরস্কার জেতেননি, কারণ এখানে সবাই সমুদ্রতটে সময় কাটাতে ব্যস্ত, এখানে চকলেট খাওয়ার লোক কম।’
মেক্সিকোর আন্দ্রে ভ্যালদেস জানিয়েছেন, মায়া সভ্যতার লোকজন বেশি চকলেট পান করত। তাদের চকলেটপ্রীতির কারণেই তাঁরা বিভিন্ন বিষয় উদ্ভাবন করতে সমর্থ হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের জোহানা জানিয়েছেন, চকলেট খেলে তাঁর বুদ্ধি খুলে যায় এবং ভালো লাগে বলে তিনি চকলেটের ভক্ত। অস্ট্রেলিয়ার মার্তা জানিয়েছেন, ‘চকলেটের সঙ্গে নোবেলের সম্পর্কের কথা জানি না।’ তবে যেকোনো অজুহাতে তিনি চকলেট চান।
সুইজারল্যান্ডের ব্রায়ান ম্যাকিন জানিয়েছেন. চকলেটে খেলে নোবেল পাওয়া যায় এ তত্ত্বে তিনি বিশ্বাসী। কারণ সুইজারল্যান্ডে সবচে ভালো মানের চকলেট তৈরি হয়।
চকলেট তৈরিতে ব্যবহূত কোকোয় বিদ্যমান ফ্ল্যাভোনয়েড নামের এক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে মোরালেস দেখেন, চকলেট খাওয়ার দিক দিয়ে শীর্ষে থাকা ২৩টি দেশ থেকে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার হার সবচেয়ে বেশি।
এই তথ্য তিনি পান কাঠমান্ডুর একটি হোটেলে বসে, অবসর সময়ে। তিনি বলেন, ‘তথ্যগুলো পেয়ে খুব অবাক হয়েছিলাম। আমি অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, সবচে বেশি চকলেট খায় এমন দেশগুলোয় নোবেল বিজয়ী সবচে বেশি।’
অনেকে মেসারলির এই গবেষণাকে অযৌক্তিক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁরা বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনেক গবেষণা হয়, যেখানে তথ্যের সত্যতা থাকলেও যুক্তির প্রয়োগ খুব কম। মেসারলির গবেষণার মাধ্যমে পাওয়া তথ্য তেমনই একটি ব্যাপার। মেসারলি নিজেও অবশ্য এই গবেষণার অযৌক্তিক দিকটি অস্বীকার করেননি।
২০০১ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন এরিখ কর্নেল। তিনি বলেন, নোবেল পুরস্কার সাধারণত অসাধারণ কোনো গবেষণা ও কাজের ওপর দেওয়া হয়ে থাকে। একটি দেশের মানুষের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে চকলেট থাকার বিষয়টি সে দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতাকে নির্দেশ করে। একই সঙ্গে যে ধরনের উঁচুমানের গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়, সেই গবেষণাগুলোও ওই দেশটির শক্ত অর্থনৈতিক ভিত্তির কারণেই হয়ে থাকে।
কর্নেল অবশ্য তাঁর নোবেল সাফল্যের পেছনে চকলেটের অবদান অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, ‘যদি ডার্ক বা কালো চকলেটের কথা বলেন, তাহলে অবশ্যই এর একটা প্রভাব আছে।’
অন্যান্য গবেষক অবশ্য মেসারলির চকলেটবিষয়ক তথ্য তেমন একটা আমল দেননি। বলেছেন, এতে ফাঁকফোকর রয়েই গেছে।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অব অটোয়ার পারিবারিক ওষুধ বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক ইয়োনি ফ্রিডফ মেসারলির এ গবেষণাটি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘আমি এখনো পর্যন্ত চকলেটের মধ্যে এমন কিছু পাইনি, যার কারণে এটিকে আমি আমার দৈনন্দিন খাদ্যের তালিকায় রাখতে পারি।’ 

চকলেট ও নোবেল তত্ত্ব! - প্রথম আলো

অদৃশ্য দ্বীপ!(ভিডিও)



  • এখানেই থাকার কথা স্যান্ডি আইল্যান্ডের
    এখানেই থাকার কথা স্যান্ডি আইল্যান্ডের
  • গুগল ম্যাপে দেখানো স্যান্ডি দ্বীপের অবস্থান
    গুগল ম্যাপে দেখানো স্যান্ডি দ্বীপের অবস্থান
  • এরকম হতে পারে স্যান্ডি দ্বীপ
    এরকম হতে পারে স্যান্ডি দ্বীপ
1 2 3
গল্প আর উপন্যাসে অদৃশ্য দ্বীপের কথা শোনা যায়। কখনো বিশাল এক দ্বীপ আবার কখনো গভীর সমুদ্র! বাস্তবে কি থাকতে পারে এমন অদৃশ্য দ্বীপ? বিশ্ব মানচিত্র, গুগল ম্যাপ এমনকি নাবিকদের ব্যবহূত মানচিত্রেও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে ‘স্যান্ডি আইল্যান্ড’ নামের একটি লম্বাটে দ্বীপের খোঁজ পাওয়া যায়। আদৌ এ দ্বীপটির কোনো অস্তিত্ব আছে? সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা এ দ্বীপটির খোঁজে বের হয়ে একরাশ হতাশা নিয়ে ফিরেছেন। গুগল ম্যাপে অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রেঞ্চ শাসিত নিউ ক্যালেডোনিয়ার সমুদ্রসীমায় এ দ্বীপটির অবস্থান নির্দেশ করা হলেও গবেষকেরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে স্যান্ডি দ্বীপের কোনো অস্তিত্বই নেই। মানচিত্রে যেখানে এ দ্বীপটির অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে কোরাল সাগরের নীল জলরাশি খেলা করছে।
বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা সম্প্রতি স্যান্ডি দ্বীপের খোঁজে বেরিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন, যেখানে স্যান্ডি দ্বীপটি থাকার কথা, সেখানটায় সাড়ে চার হাজার ফুটের বেশি গভীর পানি।
গবেষক মারিয়া সেটন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গুগল আর্থ, বিশ্ব মানচিত্রসহ অন্যান্য মানচিত্রে এ দ্বীপটির অবস্থান দেখে সেখানে গিয়েছিলাম আমরা, অথচ সেখানে গিয়ে দেখি দ্বীপটি অদৃশ্য!’
তিনি বলেন, ‘নাবিকদের ব্যবহূত মানচিত্রে ওই এলাকায় সমুদ্রের গভীরতা চার হাজার ৬২০ ফুট দেখানো হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন ছিল এত গভীর সমুদ্রে কী করে লম্বা একটা দ্বীপ থাকতে পারে। এ রহস্য জানার জন্যই সেখানে যাওয়া।’
মারিয়া সেটন আরও বলেন, এ দ্বীপটি কীভাবে মানচিত্রে স্থান পেল, আমাদের কাছে সে তথ্য জানা নেই। তাই অদৃশ্য এ দ্বীপটির বিষয়ে আরও গবেষণা চালানো হবে।’
অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, স্যান্ডি দ্বীপটির যদি অস্তিত্ব থাকে, তবে তা নিউ ক্যালেডোনিয়ার সমুদ্রসীমার মধ্যে থাকতে পারে। তবে ফ্রান্সের সরকারি মানচিত্রে তার উল্লেখ নেই।
স্যান্ডি দ্বীপ কোথায় হারাল? অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বৈজ্ঞানিক মানচিত্র ও গুগল আর্থে এ দ্বীপটির অস্তিত্ব ভুল করে দেখানো হতে পারে। যার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে বছরের পর বছর।
এদিকে গুগল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গুগল ম্যাপ তৈরির সময় বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে কথা বলে ও পরামর্শ নিয়ে তবেই এ ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। তবে পৃথিবীতে অনেক কিছুই দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই অনেক কিছু আড়াল হয়ে যেতে পারে।
বিবিসি জানিয়েছে, অদৃশ্য স্যান্ডি দ্বীপের খোঁজে এখন অনেক রোমাঞ্চপ্রত্যাশী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।




অদৃশ্য দ্বীপ!(ভিডিও) - প্রথম আলো

Sunday, November 11, 2012

একই পাত্রে ফুলের চাষ আর বারবিকিউ!



1 2
টবে রোপিত ফুল আর সেই একই পাত্রে বারবিকিউ বা গ্রিল করে খাবার রান্না! বিষয়টি কল্পনা করা খানিকটা দুঃসাধ্যই বটে, কিন্তু সম্প্রতি উদ্ভাবিত `হট-পট বিবিকিউ' নামের একটি মাটির পাত্রে ঠিক তাই করা যাবে। অর্থাত্ যেমন ছোটোখাটো ফুলের চারা বা গুল্ম রোপণ করা যাবে ঠিক তেমনি সে পাত্রটিতেই গ্রিল করে রান্না করাও যাবে।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল জানিয়েছে, মাটির তৈরি পটটিকে বলা হচ্ছে টেরাকোটা পট। এ পাত্রে দুটি স্তর রয়েছে। পাত্রের উপরের অংশটি চারা রোপণের জন্য টব হিসেবে ব্যবহার করা যাবে আর পাত্রটির নীচের অংশে রান্না করা যাবে। পাত্রটির ভেতরে রয়েছে ইস্পাতের তৈরি অংশ এবং তাপ উত্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। হট পট বিবিকিউ নামের এ টেরাকোটা পাত্রটি তৈরি করেছে লন্ডনভিত্তিক ব্ল্যাকবাম নামের একটি দুইজনের নকশাকারী দলের প্রতিষ্ঠান।



একই পাত্রে ফুলের চাষ আর বারবিকিউ! - প্রথম আলো

বাড়ছে ল্যাপটপের কারণে শুক্রাণুর সমস্যা...............



যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পশায়ারের ৩০ বছর বয়সী বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি স্কট রিড ও তাঁর স্ত্রী লরা সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতার মুখে পড়েছিলেন। চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে গেলে তিনি জানান, শুক্রাণুর সমস্যা হওয়ায় সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে এ জটিলতা তৈরি হয়েছে। আর এর মূলে রয়েছে ল্যাপটপ! রিড সব সময় তাঁর কোলের ওপর রেখে ল্যাপটপ ব্যবহার করতেন। খবর প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার।
পরবর্তী সময়ে চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী স্কট রিড কোলের পরিবর্তে টেবিলের ওপর রেখে ল্যাপটপ ব্যবহার করা শুরু করলে দেখা যায়, কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর শুক্রাণুসংক্রান্ত জটিলতা কেটে গেছে। 
স্কটের স্ত্রী লরা বলেন, ‘এ ধরনের কিছু ঘটতে পারে তা আগে ভাবিনি বা শুনিনি। চিকিত্সকের কথা শুনে আমরা আশ্চর্য হয়েছিলাম।’ 
লরা আরও বলেন, ‘স্কট সাধারণত সন্ধ্যায় টেলিভিশন দেখার সময় দুই-তিন ঘণ্টা ল্যাপটপে ফেসবুক ব্যবহার বা অন্যান্য সাধারণ কাজ করত। ল্যাপটপ ব্যবহারে যে শুক্রাণুসংক্রান্ত সমস্যা তৈরি হয়, সে সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণাই ছিল না। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে সন্তান নেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হলে চিকিত্সকের কাছে গিয়েছিলাম। চিকিত্সক স্কটের শুক্রাণু পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। পরে স্কটের শুক্রাণু পরীক্ষা করে চিকিত্সক জানান, ল্যাপটপ থেকে নির্গত তাপের কারণে অধিকাংশ শুক্রাণুর লেজ জড়িয়ে গেছে।’
কুইন আলেকজান্দ্রা হাসপাতালের বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড্রোলজিস্ট সু কেনওর্থি ল্যাপটপ থেকে নির্গত তাপের কারণে শুক্রাণুর ক্ষতি হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন।



সমস্যার মূলে ল্যাপটপ! - প্রথম আলো

Wednesday, November 7, 2012

‘ওবামার জয়ে সুস্থ রাজনীতি বিকশিত হবে’



জর্জ সরোস
জর্জ সরোস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী বারাক ওবামা পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় সুস্থ রাজনীতির বিকাশ ঘটবে বলেই মনে করছেন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও মার্কিন অর্থনীতিবিদ জর্জ সরোস। গতকাল মঙ্গলবার জর্জ সরোস তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।
সরোস জানিয়েছেন, ‘ওবামার জয়ে আমি খুশি। মার্কিন ভোটাররা উগ্রপন্থী অবস্থানকে প্রত্যাখ্যান করে রাজনীতির সহনশীলতার পথকে উন্মুক্ত করেছে। তিনি বলেন- ওবামার জয়ে সুস্থ রাজনীতি বিকশিত হবে।
জর্জ সরোস আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘রিপাবলিকান দল আগামী বছরগুলোতে এবং তথাকথিত রাজস্ব নীতি থেকে সরে আসবে এবং মিলেমিশে কাজ করবে।’
সরোস মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট হবেন বারাক ওবামা। 
উল্লেখ্য, হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত জর্জ সরোস মার্কিন ধনকুবের হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়াও তাঁর পরিচিতি রয়েছে দার্শনিক, বিনিয়োগকারী হিসেবে। সরোস ফান্ড ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বুশের কঠোর সমালোচক ছিলেন বর্তমানে ৮২ বছর বয়সী জর্জ সরোস।


‘ওবামার জয়ে সুস্থ রাজনীতি বিকশিত হবে’ - প্রথম আলো

Friday, November 2, 2012

পাখিদের চেয়েও প্রাচীন উড়ুক্কু মাছ



1 2 3 4
মাছ উড়তেও পারে! সাগরের পানি থেকে লাফ দিয়ে পাখির মতই দ্রুতগতিতে কিছুদূর উড়ে যায় উড়ুক্কু মাছ। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় সাগরে উড়ুক্কু মাছেরা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে দীর্ঘদিন ধরে। পাখি ও ডাইনোসরদের আগে থেকেই এ মাছের অস্তিত্ব ছিল, এখনো রয়েছে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, ২৪ কোটি বছর আগে থেকেই সমুদ্রে রয়েছে উড়ুক্কু মাছেরা। চীনের জীবাশ্ম বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, আকাশে পাখিদের ওড়ার ৮ কোটি বছর আগে থেকেই উড়ুক্কু মাছেদের রাজত্ব ছিল। 
বিশ্বের সবচে প্রাচীন উড়ুক্কু মাছটি ২৪ কোটি বছর আগে সমুদ্র থেকে লাফিয়ে উঠেছিল শিকার হওয়া থেকে বাঁচার জন্য। সম্প্রতি চীনের জাদুঘরে সংরক্ষিত একটি উড়ুক্কু মাছের জীবাশ্ম গবেষণা করে এ তথ্য পেয়েছেন গবেষকেরা। এ প্রসঙ্গে এক খবরে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, আগে গবেষকদের ধারণা ছিল, উড়ুক্কু মাছের প্রজাতি বড়জোর সাড়ে ছয় কোটি বছরের পুরোনো হতে পারে। কারণ, এ সময়ের আগের কোনো উড়ুক্কু মাছের জীবাশ্ম তাঁদের কাছে ছিল না। সম্প্রতি চীনের জাদুঘরে থাকা উড়ুক্কু মাছের ফসিল বা জীবাশ্ম গবেষণায় তাঁরা দেখেছেন, ২৩ কোটি থেকে ২৪ কোটি বছর আগের মধ্য ট্রায়াসিক যুগে ‘পোটানিক্সাস কিংজিনসাস’ নামের উড়ুক্কু মাছের প্রজাতির অস্তিত্ব ছিল যা, জুরাসিক যুগের ডাইনোসরদের থেকেও ৫ কোটি বছর আগেকার।
‘প্রসিডিংস অব দ্য রয়্যাল সোসাইটি বি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত নিবন্ধে গবেষকরা জানিয়েছেন, সবচে প্রাচীন উড়ুক্কু মাছের জীবাশ্ম হিসেবে এর আগে ইউরোপে খোঁজ পাওয়া জীবাশ্মের তুলনায় ‘পোটানিক্সাস কিংজিনসাস’ প্রজাতির উড়ুক্কু মাছের জীবাশ্ম ২ কোটি ৭০ লাখ বছরের পুরোনো।
গবেষক ও নিবন্ধের লেখক গুয়ান-হুই জু উড়ুক্কু মাছের প্রাচীন প্রজাতি সম্পর্কে জানিয়েছেন, মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে ওড়ার দিক থেকে সবচেয়ে প্রাচীন প্রাণীর প্রমাণ হচ্ছে ‘পোটানিক্সাস কিংজিনসাস’। ‘পোটানিক্সাস কিংজিনসাস’ অর্থ হচ্ছে ‘কিংজিংয়ের পাখাওয়ালা মাছ’। ২০০৯ সালে চীনের কিংজিং শহর থেকে এ প্রজাতির মাছের জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন গবেষকেরা।
অদ্ভুত-দর্শন, বোঁচা নাকের এ প্রাণীটি সম্পর্কে গবেষকদের ধারণা, শিকারী প্রাণীদের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষার জন্যই উড়তে শুরু করে উড়ুক্কু মাছ। উড়ুক্কু মাছের গতি ঘণ্টায় ৭০ কিমি বা ৪৫ মাইলেরও বেশি হতে পারে। পানি স্পর্শ না করে বাতাসে এরা প্রায় এক মিনিট পর্যন্ত উড়তে পারে। এখনকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় সাগরের উপকূলে যেসব উড়ুক্কু মাছ দেখতে পাওয়া যায় সেগুলো ডলফিন, স্কুইড ও বড় মাছের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ৬ মিটারের বেশি উপর দিয়ে ৪০০ মিটার পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে। ৬ ইঞ্চি মাপের এই উড়ুক্কু মাছটির মোট চারটি পাখা ছিল। এ পাখার মধ্যে দুটি পাখা ছিল বড়। মাছের লেজও ছিল তুলনামূলকভাবে অনেক বড় যা পানি থেকে ওপরে উঠতে ব্যবহূত হত। এ মাছটির আদি নিবাস ছিল ভারত মহাসাগরে।

(লাইভসায়েন্স)

পাখিদের চেয়েও প্রাচীন উড়ুক্কু মাছ - প্রথম আলো

গরিব বলেই গিনিপিগ?



নতুন ওষুধ সেবনের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মারা যান নারায়ন সুরভিয়ার মা তিজুজা বাই
নতুন ওষুধ সেবনের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মারা যান নারায়ন সুরভিয়ার মা তিজুজা বাইভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে গোপনে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা নতুন ওষুধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। সে পরীক্ষায় গিনিপিগের মতো ব্যবহূত হচ্ছে দেশটির নিম্ন বর্ণের হতদরিদ্র মানুষ। বিবিসির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়ার দাবি করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ঘটনা। নিতু সোদি তাঁর শাশুড়ি চন্দ্রকলা বাইকে নিয়ে ইন্দোরের মহারাজা যশবন্তরাও হাসপাতালে যান। শাশুড়ির বুকে ব্যথা হওয়ার কারণে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। 
নিতু বলেন, ‘আমরা নিম্নবর্ণের মানুষ। দলিত সম্প্রদায়ের। আমাদের অস্পৃশ্য মনে করা হয়। হাসপাতালে চিকিত্সকের দেখা পেতে তাই আমাদের দীর্ঘ সময় লাইনের পেছনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু সেদিন আশ্চর্য হয়ে দেখলাম, চিকিত্সক আমাদের অনেক দামি ওষুধ দিলেন। হাসপাতালে গেলে মাত্র পাঁচ রুপিতে একটি রসিদ দেওয়া হয়েছিল। চিকিত্সকেরা বলেন, তাঁরা আমাদের এক লাখ ২৫ হাজার রুপি দামের ওষুধ দেবেন।’
নিতু বলেন, ‘রোগের চিকিত্সার ব্যয় বহন করার মত সামর্থ্য নেই আমাদের। কিন্তু চিকিত্সকেরা পাঁচ রুপির রসিদ নিয়ে বলেছিল, বেশি দামের ওষুধের বাকি অর্থ সরকারি বিশেষ তহবিল থেকে জোগানো হবে।’ 
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিতু বুঝতেই পারেননি যে তাঁর শাশুড়ির ওপর ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়োজেনের ‘টোনাপোফিলিন’ ওষুধের পরীক্ষা চালাচ্ছেন চিকিত্সকেরা। তিনি জানান, এ ওষুধ দেওয়ার আগে চিকিত্সকরা তাঁদের আগে থেকে কোনো কিছু পড়তে বা কোনো কাগজে সই করতেও বলেননি। 
নিতু জানান, এ ওষুধ সেবনের পর তাঁর শাশুড়ির হূদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়। তিনি কিছুদিন এ ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দেন। এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মারা যান তিনি।
বহুজাতিক ওষুধ নির্মাতা অনেক প্রতিষ্ঠান ভারতের নিম্নবর্ণের গরিবদের গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে। চন্দ্রকলা বাইয়ের বেলায়ই যে কেবল এমনটি ঘটেছে, তা নয়। একই ঘটনা ঘটেছে নারায়ণ সুরভাইয়ার ক্ষেত্রে। তাঁর মায়ের চিকিত্সার সময় নতুন ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কোনোরূপ অনুমতি নেননি চিকিত্সকেরা। পায়ের সমস্যার জন্য চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়ার পর তাঁকে দামি ওষুধ দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়। ওষুধের খরচ দাতব্য খাত থেকে আসবে বলে নিশ্চিত করা হয়। ওষুধ সেবনের পর সুরভাইয়ার মায়ের স্বাস্থ্যহানি ঘটে এবং তিনি পঙ্গু হয়ে যান। 
সুরভাইয়া বলেন, নতুন ওষুধ সেবনের পর মায়ের শরীর খারাপ হতে শুরু করলে আমি চিকিত্সককে ঘটনাটা জানিয়েছিলাম। চিকিত্সকদের পরামর্শ ছিল ওষুধ চালিয়ে যাওয়ার। চিকিত্সক সুরভাইয়াকে জানিয়েছিলেন, ওষুধ সেবনে সাময়িকভাবে শরীর অচল হয়ে যেতে পারে, পরে ঠিক হয়ে যাবে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুরভাইয়ার মা মারা যান। 
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বহুজাতিক ওষুধ নির্মাতা অনেক প্রতিষ্ঠান ভারতের নিম্নবর্ণের গরিব মানুষকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে। গত সাত বছরে তিন হাজার ৩০০ রোগীর মধ্যে ৭৩টি ওষুধের পরীক্ষা চালানো হয়েছে ইন্দোরের মহারাজা যশবন্তরাও হাসপাতালে। এর মধ্যে পরীক্ষায় ব্যবহুত মানুষের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা পরীক্ষামূলকভাবে ওষুধ সেবন করতে গিয়ে অনেকেই মারা গেছে। কিন্তু মারা যাওয়ার পর তাঁদের পরিবারকে কোনোরকম সাহায্য করা হয়নি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের মধ্য প্রদেশের ভোপালের কারবাইড প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের পর গ্যাস দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রায় ২৫ হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটেছিল। এ দুর্ঘটনাকবলিত মানুষের ভরসাস্থল ছিল ভোপাল মেমোরিয়াল হাসপাতাল। এ হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল ড্রাগ ট্রায়াল সম্পর্কে রোগীরা খুব কমই জানতে পারেন। সেখানে চিকিত্সা নিতে যাওয়া অনেকেই বিভিন্ন জটিলতার শিকার হয়েছেন এবং মারাও গেছেন। এসব ওষুধ হাসপাতালের বাইরে পাওয়া যায় না। 
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে নতুন ওষুধ সেবনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত সাত বছরে দেশটিতে দুই হাজারেরও বেশি পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়োজেন থেকে শুরু করে গ্ল্যাক্সো স্মিথের নাম। ২০০৮ সালে ওষুধ পরীক্ষার কারণে ২৮৮ জন মারা যান। ২০১১ সালে মৃতের সংখ্যা ৪৩৮ জনে পৌঁছায়। 
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সময় ওষুধ সেবনেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে—এমন কোনো তথ্য প্রমাণ নেই। কারণ, এসব গরিব রোগীদের মারা যাওয়ার পর কারও ময়নাতদন্ত হয়নি। হাসপাতালের চিকিত্সকেরা নানাভাবে দরিদ্র রোগীদের ওষুধ সেবনের প্রলোভন দেখায়। তাদের সাধ্যের বাইরে থাকা ওষুধ সেবনের জন্য পরামর্শ দেয় এবং বিনামূল্যে তা জোগাড় করার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা জানায়।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সময় রোগীর সঙ্গে বিধিসম্মতভাবে চুক্তি সই করতে হয়। এ বিপজ্জনক পরীক্ষার রোগীকে ব্যবহার করার ব্যাপারে সম্মতি নেওয়া তো দূরের কথা পুরো বিষয়টি অতি গোপন রাখা হয়। বিষয়টি গোপনে সারতে অবৈধভাবে অর্থ ব্যয় করে বহুজাতিক ওষুধ ব্যবসায়ীরা। 
আন্তর্জাতিক স্তরেও ভারতের মতো দেশে যেখানে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও গবেষণা পদ্ধতির উপর সরকারী নিয়ন্ত্রণ যথেষ্ট কম, যেখানে মানুষকে নির্বিচারে সহজেই পরীক্ষার মাধ্যম করে তোলা যায়, সেখানে ট্রায়াল কতটা সঠিক হচ্ছে সম্প্রতি সেই প্রশ্ন জোরালো হয়ে উঠছে। পরীক্ষা পদ্ধতির স্বচ্ছতা, গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও তৈরি হচ্ছে নানা বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছে, যে হারে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বাড়ছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই ব্যাপারে নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা বাড়ছে না। নিরুপায় হয়ে যারা নিজেদের শরীরে এই পরীক্ষা চালাতে দিচ্ছে তারা জানেই না ব্যাপারটা কী? অধিকাংশই নিরক্ষর, লিখিত সম্মতিদানের প্রশ্ন ওঠে না।
হতদরিদ্র মানুষদের মধ্যে পরীক্ষা নিরীক্ষার এ বিষয়টি চোখে পড়েছিল চিকিত্সক আরনান্দ রাইয়ের। এ বিষয়ে মুখ খোলার জন্য হাসপাতাল থেকে তাঁর চাকরি চলে যায়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে দরিদ্র মানুষের ওপর ওষুধ পরীক্ষার বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছেন।
গবেষক আরনান্দের ভাষ্য, পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সব শ্রেণীর মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার নিয়ম থাকলেও কেবল দরিদ্র, অশিক্ষিত রোগীদের বেছে নেওয়া হয় যারা মোটেও ক্লিনিক্যাল ড্রাগ ট্রায়াল বিষয়টি জানেন না। 
মহারাজা যশবন্তরাও হাসপাতালের এথিকস কমিটির প্রধান ড. কেডি ভার্গভ স্বীকার করেছেন যে, হাসপাতালটিতে ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার বিষয়টি বেড়ে গেছে। হঠাত্ করেই এতে অনেক বেশি পরিমাণ অর্থ সংক্রান্ত বিষয় জড়িয়ে গেছে এবং তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
ইন্দোরের আইনজীবী সাটনাম সিং বেইনসের মতে, ভারতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রতারণা করা হচ্ছে, অবৈধ অর্থ ব্যয় হচ্ছে, তথ্য গোপন করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে সঠিক তদন্ত করা হচ্ছে না। অনেক ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য আন্তর্জাতিকভাবে নির্ভরযোগ্যতার বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।



গরিব বলেই গিনিপিগ? - প্রথম আলো