TECH GURU, TECH-SCIENCE NEWS

"I celebrate myself, and sing myself,
and what I assume you shall assume,
for every atom belonging to me as good belongs to you."

Tuesday, October 22, 2013

মোবাইল ফোনের যত বদভ্যাস!


মুঠোফোন যেমন আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলেছে তেমনি এর অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে মানুষের মধ্যে নানান বদভ্যাসও গড়ে উঠছে। অনেকের কাছে জীবনের স্বাভাবিক সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে গেছে মুঠোফোন। নানা কাজে প্রতিদিন অসংখ্যবার চোখ রাখতে হয় মুঠোফোনের পর্দায় বা পরীক্ষা করে দেখতে হয় কেউ কল করেছে কি না। মানুষের সঙ্গে বারবার যন্ত্রের এই ক্ষণিকের সাক্ষাৎকে গবেষকেরা বলেন, ‘মাইক্রো-ইন্টারঅ্যাকশন’। অভ্যাসবশত গড়ে ওঠা মাইক্রো-ইন্টারঅ্যাকশন মানুষের জীবনে যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে। মুঠোফোন-সৃষ্ট বদভ্যাসের মধ্যে একটি হচ্ছে টয়লেটে বসে মোবাইলে বার্তা পাঠানো, কথা বলার মতো ঘটনা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের চালানো এক জরিপে দেখা গেছে প্রতি চারজনের অন্তত তিনজন টয়লেটে গিয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। মুঠোফোনের কারণে গড়ে ওঠা অভ্যাসের আরেকটি হচ্ছে সকালে ঘুম থেকে উঠেই মোবাইল খুঁজে বেড়ানো। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যেখানেই মোবাইল ফোন রাখা হোক না কেনো সকালে ঘুম থেকে উঠে সবার আগে মোবাইল ফোনটি নেড়েচেড়ে দেখার অভ্যাস গড়ে তোলেন অনেকেই। শুধু ঘুম থেকে জেগে মোবাইল হাতড়ানোই নয়, ঘুমাতে যাওয়ার আগে সর্বশেষ যে কাজটি অনেকেই করছেন তা হচ্ছে মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করা। মোবাইলের পেছনে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা এখন অনেকের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। অ্যাপ্লিকেশন কেনা থেকে শুরু করে স্মার্টফোনটিকে ফ্যাশন পণ্য হিসেবে ব্যবহার করতে অনেকেই এর পেছনে অঢেল অর্থ খরচ করছেন এখন। মুঠোফোন হাতে থাকায় যেখানে সেখানে সবকিছুরই ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন ব্যবহারকারী। আর অযথা এই ছবি তোলার অভ্যাস পরিণত হচ্ছে বদভ্যাসে। মুঠোফোনে গেম খেলা বা অতিরিক্ত সময় ভিডিও দেখার মতো অভ্যাসও তৈরি হচ্ছে। মুঠোফোনের চার্জার দেখলেই অনেক ব্যবহারকারীকে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যায় যা তাঁর অভ্যাসের কারণে হতে পারে। মুঠোফোন ব্যবহারের ফলে দেখা যায় অনেকের কানে সব সময় হেডফোন দেওয়া রয়েছে। কান থেকে হেডফোন না খোলার কারণে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ কথা শুনতে পান না ব্যবহারকারী। কানে সব সময় হেডফোন দিয়ে রাখাটাও বদভ্যাসের পর্যায়েই পড়ে। অনেকেই আবার মুঠোফোনে চ্যাটিং আর বার্তা পাঠানোর কাজে সর্বক্ষণ ব্যস্ত থাকেন আর এই সব সময় ব্যস্ত থাকার বিষয়টি বদভ্যাস বলে বিবেচিত হয়। অনেকেই খাওয়ার সময় তার মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। খাবার সামনে রেখে মুঠোফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে সময় কাটানোটা তখন বদভ্যাসের পর্যায়ে পড়ে। কারও জন্য যখন অপেক্ষা করতে হয় তখন সময় কাটানো কাটানোর উদ্দেশ্যে অনেকেই উদ্দেশ্যহীন ভাবে অ্যাপ্লিকেশন চালাতে শুরু করেন বা গেম খেলতে শুরু করেন। অনেকেই পাশে বসে থাকা কোনো ব্যক্তির সঙ্গে আলাপচারিতায় যান না। এতে সামাজিকতা নষ্ট হয়। অতিরিক্ত মুঠোফোনের ব্যবহারে মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি হতে পারে বলে গবেষকেরা সতর্ক করেছেন। স্বাভাবিক সুন্দর জীবন-যাপনে মুঠোফোনের যন্ত্রণা থেকে দূরে থাকতে সাতটি উপায় মানুষের জন্য কাজে লাগতে পারে। ১. বার্তা নয়, প্রয়োজনে কথা বলতে পারেন ২. মাঝে মাঝে মুঠোফোন ব্যবহার থেকে নিজেকে বিরতি দিতে পারেন ৩. একসঙ্গে একাধিক কাজ এড়িয়ে চলুন এবং নির্দিষ্ট কাজে মনোযোগ দিন ৪. খাবার সময় মুঠোফোনের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন ৫. ছবি তোলার আগে নিজে উপভোগ করুন ৬. ছবি আপলোড করার আগে যাচাই করুন ৭. রাতে প্রয়োজনবোধে মুঠোফোন বন্ধ করে ঘুমাতে যেতে পারেন। আরও পড়ুন: মুঠোফোননির্ভর জীবন থেকে মুক্তি যে ৭ পথে

হীরার আংটি, মেয়েদের মতো কেনো?

রবীন্দ্রনাথ তাঁর নৌকাডুবিতে এক চরিত্রের মুখ দিয়ে বলিয়েছিলেন, পুরুষ মানুষ হীরার আঙটি, কোনো ব্যাকা-ত্যাড়া নাই। কোনো কিছুতেই যেন পুরুষের দাম কমেনা । কিন্তু বিজ্ঞানীদের চোষে পুরুষ নয়, হীরার আঙটি নারীরাই। কারণ, নারীরাই সবচেয়ে কষ্টসহিষ্ণু। হীরার আঙটির প্রচলন যুগ যুগ ধরেই রয়েছে।বিয়ে জীবনের গুরুত্বপু্র্ণ এবং স্মরণীয় মুহুর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম৷ তাই বিয়েতে চাই সবার পছন্দের সেরা জিনিসগুলো৷ নিজের ও জীবনসঙ্গীর জন্যও চাই পছন্দনীয় কেনাকাটা৷ বিয়ের অন্যতম কাজ হচ্ছে বাগদান৷ আর বর্তমান সময়ে বাগদানে স্বর্ণেরও চেয়ে হীরার আংটির চাহিদা অনেক বেশী৷ কারণ এ সময়টাকে স্মৃতিময় করে রাখে বাগদান আংটি৷ তা যত দামই হোক না কেন, এখানে দামের চেয়েও বেশি গুরুত্বের সাথে দেখা হয় আংটিটা তার অনামিকায় কতটা মানিয়েছে৷ বাগদান আংটি সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়৷ একটি স্থায়ী সম্পর্কের জন্য এটি একে অপরের প্রতি বিশ্বাস ও আনুগত্য নির্দেশ করে৷ বাগদানের আংটি পরার ইউরোপীয় এ আচার বর্তমানে সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রচলিত৷ কিছু কিছু সংস্কৃতির বৈবাহিক আচারে আংটি প্রদান একটি নির্দিষ্ট ধারার উপহার সামগ্রী হিসেবে গণ্য৷ এ ধারাটি শুরু হয় বাগদানের আংটি প্রদানের মাধ্যমে৷ বাগদানের আংটি প্রদানের রেওয়াজ প্রাচীন রোমেও প্রচলিত ছিল৷ ধারণা করা হয়, রীতির প্রচলনকাল এর থেকেও পুরোনো৷ বর্তমানে অন্যান্য বেশকিছু আচার তৈরি হয়েছে, যা মূলত গহনা ব্যবসায়ীদের সৃষ্টি৷ এর মধ্যে আছে বাগদানের পূর্বেই উপহার হিসেবে বিভিন্ন রকম আংটির ব্যবহার৷ এর মধ্যে আছে সত্যিকারের সম্পর্ক শুরু হওয়া উপলক্ষে আংটির ব্যবহার, চিরকাল সম্পর্ক টিকিয়ে রাখাকে স্মরণ করে আংটি আদান প্রদান ইত্যাদি৷ এমন কী কিছু ক্ষেত্রে প্রথম সন্তান জন্মের পর তা স্মরণ করেও আংটি প্রদানের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে৷ এছাড়াও আছে সম্পর্কের অতীত, বর্তমান, ও ভবিষ্যতের স্মরণে প্রদেয় আংটি, যা সাধারণত গোল করে কাটা হীরা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়৷ ১৭৯৬ সালে জোসেফিনকে দেয়া ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের বাগদান আংটিটি সমপ্রতি নিলামে ৯ লাখ ৪৯ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে৷ জোসেফিনের ২৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্যারিসে আংটিটি নিলামে তোলে অসেনাট৷ ২০১০ সালে প্রিন্স উইলিয়াম তার স্ত্রী কেট মিডেলটনকে বাগদানের সময় প্রায় আট ক্যারেট হীরার আংটি দিয়েছিলেন৷ খোলাবাজারে এ ধরনের আংটির দাম হতে পারে আড়াই লাখ ডলার পর্যন্ত৷ উইলিয়াম এ আংটিটি তার মা প্রিন্সেস ডায়ানার কাছ থেকে পেয়েছেন বলে এর দামের ক্ষেত্রে অনুমানই একমাত্র ভরসা৷ তবে ব্রিটিশ আধুনিক নারীরা প্রত্যাশা করেন সম্ভাব্য জীবনসঙ্গী যেন নিজের সর্বোচ্চ সামর্থ দিয়ে বাগদান আংটি কেনেন৷ এটা হতে পারে তার এক মাসের আয়ের পুরো অর্থ৷ তবে মজার ব্যাপার হলো, বেশিরভাগ পুরুষরা চান বাগদান আংটি কেনায় আরো বেশি অর্থ ব্যয় করতে৷ হীরার আঙটি নিয়ে একটি কুসংস্কার রয়েছে আর তা হচ্ছে বিয়েতে হীরার আঙটি অশুভ। কারন সবার হীরা সহ্র হয়না। একটিমাত্র বিয়ের জন্যে প্রচুর অর্থ ব্যয়ে একাধিক অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি পোশাক ও অলঙ্কার কেনাকাটা করতে গিয়ে হয় টাকার শ্রাদ্ধ। ঋণ করে হলেও বিয়ের এই ফুটানি করতে গিয়ে অনেক পরিবার দুর্দশায় নিপতিত হয়। বিয়েতে দেয়া হীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে পারিবারিক অশান্তি বয়ে আনে। কারণ হিসেবে ধরা হয়, হীরা বেশিরভাগ মানুষের জন্যেই অশুভ। হীরা কিংবা সোনার সেরকম কোন ব্যবহারিক উপযোগিতা কেউ কখনোই খুঁজে পায়নি। অথচ তারপরেও হীরা বা সোনার গয়নার জন্য সুযোগ পেলেই হামলে পড়ে মেয়েরা। আর ছেলেরাও ভালবাসার প্রমাণ হিসেবে ১০৮ টি নীলপদ্মের মতো হাজির করতে চায় নারীর কাছে অমূল্য হীরা। কিন্তু কেন? ডারউইনের সেক্সুয়াল সিলেকশন তথা যৌনতার নির্বাচনের মধ্যেই এর উত্তর পাওয়া যেতে পারে। যৌনতার নির্বাচনের বহুল প্রচলিত ময়ূরের পেখমের উদাহরণটি এখানে বলা চলে। আমরা জানি, ময়ূরের দীর্ঘ পেখম টিকে আছে মূলতঃ নারী ময়ূর বা ময়ূরীর পছন্দ তথা যৌনতার নির্বাচনকে প্রাধান্য দিয়ে। কি ভাবে? ১৯৭৫ সালে ইসরাইলী জীববিজ্ঞানী আমোতজ জাহাভি জানান যে, ময়ূরীর এই দীর্ঘ পেখম ময়ূরের কাছে প্রতিভাত হয় এক ধরণের ‘ফিটনেস ইণ্ডিকেটর’ বা সুস্বাস্থ্যের মাপকাঠি হিসেবে। জাহাবির মতে, সততার সাথে সুস্বাস্থ্যের বিজ্ঞাপন দিতে গেলে এমন একটা কিছুর মাধ্যমে সেটা প্রকাশ করতে হবে যাতে খরচের প্রাচুর্যটা এমনকি সাদা চোখেও ধরা পড়ে। সোজা ভাষায় সেই বিজ্ঞপিত অঙ্গটিকে নিঃসন্দেহে হতে হবে ‘কস্টলি অর্নামেন্ট’, ব্যয়বহুল, অপব্যায়ী কিংবা জবরজং ধরণের জটিল কিছু।ময়ূরের পেখম কেবল ময়ূরীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সস্তা প্রচারণা নয়। ময়ূরের পেখম দীর্ঘ, ভারী আর ভয়ানক বিপদসঙ্কুল। দীর্ঘ পেখম এত অনায়াসে তৈরি করা যায় না, আর এমনকি এই বেয়াক্কেলে পেখমের কারণে তার শিকারীদের চোখে পড়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায় অনেক। বেচারা ময়ূরকে কেবল নিজের দেহটিকেই বয়ে বেড়াতে হয় না, টেনে হিচড়ে নিয়ে বেড়াতে হয় তার পশ্চাৎদেশের সাথে জুড়ে থাকা এই অবিশ্বাস্য বড় ধরণের বাড়তি একটা পেখমের ঝাঁপি । একে বলা হয় হ্যান্ডিক্যাপ প্রিন্সিপাল। এজন্য ময়ূরকে হতে হয় স্বাস্থ্যবান এবং নিরোগ। কখনো সখনো কোন স্বাস্থ্যহীন ময়ূরের দীর্ঘ পেখম গজাতে পারে বটে, কিন্তু সেটা বয়ে নিয়ে বেড়িয়ে খাবার খোঁজা, কিংবা শিকারীরা তাড়া করলে দ্রুত দৌঁড়িয়ে পালিয়ে যাওয়া সেই স্বাস্থ্যহীন ময়ূরের পক্ষে দুঃসাধ্যই হবে। কেবল মাত্র প্রচণ্ড শক্তিশালী কিংবা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ময়ূরের পক্ষেই এই সমস্ত প্রতিবন্ধকতা ডিঙ্গিয়ে এ ধরণের পেখমের বিলাসিতা ধারণ করা সম্ভব হয় । শিক্ষা, বুদ্ধিবৃত্তি, জ্ঞান, সাহস, দৈহিক শক্তি, সঙ্গিত প্রতিভা, বাকচাতুর্য, সুদর্শন চেহারা, কৃষ্টি, নৃত্যপটুতা, প্রগতিশিলতা, অধিকার সচেতনতা, উদ্ভাবনী শক্তি, দৈহিক সৌন্দর্য, সততা, নৈতিকতা, দয়াপরবশতা, রসিকতা, হাস্যরসপ্রিয়তাসহ অনেক কিছু নিয়ামক হলেও কোনটিই বিয়ের সময় হীরার আংটির মতো গুরুত্বপূর্ণ ‘ভালবাসার উপঢৌকন’ হিসেবে উঠে আসে না। জাহাভির হ্যাণ্ডিক্যাপ প্রিন্সিপাল অনুযায়ী, বিয়ের প্রস্তাবের উপহার এমন হতে হবে যার কোন ব্যবহারিক উপযোগিতা নেই , কিন্তু বিপরীত লিঙ্গের চোখে তা হতে হবে অমূল্য। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলে ‘কোর্টশিপ গিফট’ বা ‘নাপশাল গিফট’। বাড়ি-গাড়ি, আ্ইফোন বা যাকিছুরই ব্যবহারিক কিছু না কিছু উপযোগিতা আছে সেগুলো কখনোই ‘কোর্টশিপ গিফট’ হয়ে উঠার যোগ্য নয়। কোর্টশিপ গিফট গতে পারে কেবল হীরা কিংবা স্বর্ণালঙ্কারের মত বস্তু যা নারীর মানসপটে সেটি অমূল্য এক ‘ফিটনেস মার্কার’। পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন পদার্থ হীরা একইসঙ্গে সবচেয়ে বেশি চাপ সহ্য করার ক্ষমতা রাখে। সে হিসেবে সম্ভবত কোনো প্রিয়জন নন, অলংকার কিংবা আভরণ হিসেবে নারীর সবচে কষ্টসহিষ্ণু সঙ্গী এই হীরাই। পৃথিবীর কেন্দ্রে মোট চাপের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৩ মিলিয়ন অ্যাটমোস্ফিয়ার। সেখানে ১ মিলিয়ন অ্যাটমোস্ফিয়ার চাপেরও বেশি সহ্য করতে পারে হীরা। আর মানুষের শরীরের ক্ষেত্রে ক্রমাগ্রত চাপ সহ্য করার ক্ষমতা ২৭ অ্যাটমোস্ফিয়ারের। এক্ষেত্রে অবশ্য মানসিক চাপ সহ্য করার বিষয়টি বাদই থেকে গেছে! লরেন্স লিভারমোর ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি (এলএলএনএল) এর একদল গবেষক ১০০ ক্যারাটের একটি ছোট্ট হীরার ওপর লেজার রশ্মি ব্যবহার করে এই পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। এতে দেখা যায় ২ ন্যানোসেকেন্ডেরও কম সময়ে হীরা ২০০ জুলেরও বেশি শক্তি তৈরি করতে পারে। লেজার রশ্মি দিয়ে পরীক্ষার সময় বিজ্ঞানীরা দেখেন হীরা একটি শকওয়েভ তৈরি করে। সেই শকওয়েভ থেকেই হীরা ১ মিলিয়ন থেকে ১০ মিলিয়ন অ্যাটমোস্ফিয়ার পর্যন্ত চাপ সহ্য করতে পারে বলেই বিজ্ঞানীরা হিসেব বের করেছেন। পৃথিবীর ৮৭ থেকে ১২০ মাইল অভ্যন্তরে অত্যন্ত উচ্চ চাপে প্রাকৃতিক হীরা তৈরি হয়। আর এই হীরা গঠনে সময় লাগে ১০০ কোটি থেকে সাড়ে ৩শ’ কোটি বছর পর্যন্ত। যেখানে পৃথিবীর বয়স ধরা হয় সাড়ে ৪শ’ কোটি বছর। (তথ্যসূত্র: ব্লগ, অনলাইন সংবাদমাধ্যম)

Thursday, October 10, 2013

মাছরাঙা

বালুচরে নদীটির জল ঝরে খেলে যায় সূর্যের ঝিলিক, মাছরাঙা ঝিক্‌মিক্‌ ক’রে উড়ে যায়; মৃত্যু আর করুণার দু’টো তলোয়ার আড়াআড়ি গ’ড়ে ভেঙে নিতে চায় এই সব সাঁকো ঘর বাড়ি; নিজেদের নিশিত আকাশ ঘিরে থাকে। এ-রকম হয়েছে অনেক দিন-রৌদ্রে বাতাসে, যারা সব দেখেছিলো- যারা ভালোবেসেছিলো এই সব- তারা সময়ের সুবিধার নিলেমে বিকিয়ে গেছে আজ। তারা নেই।

Wednesday, October 9, 2013

এইচটিসির স্বর্ণ ফোন!

অ্যাপল ও স্যামসাং যখন সোনালি রঙের ফোন বাজারে আনতে ব্যস্ত, তখনি তাইওয়ানের স্মার্টফোন নির্মাতা এইচটিসি ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের ফোন বাজারে আনার কথা জানাল। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলের এক খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তিবিষয়ক ম্যাগাজিন টি৩-এর বর্ষসেরা স্মার্টফোনের খেতাব পাওয়া এইচটিসি ওয়ান স্মার্টফোনটির একটি সংস্করণ সোনার তৈরি হবে। এ সংস্করণে মাত্র পাঁচটি স্মার্টফোন বাজারে আনবে এইচটিসি। প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এইচটিসি ওয়ানের মোট পাঁচটি স্মার্টফোনের কাঠামো তৈরিতে ১৮ ক্যারেট সোনার প্রলেপ ব্যবহার করা হবে। এ স্মার্টফোনগুলোর দাম হবে চার হাজার ৪১৬ মার্কিন ডলার।

Sunday, October 6, 2013

প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের বিচিত্র যত শখ!

শখ করে মানুষ কতো কিছু করে। কেউ ঘুড়ি ওড়ান কিংবা পায়রা, কেউবা ছোটেন রোমাঞ্চের পেছনে। প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদেরও রয়েছে আজব সব শখ। বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা যে কেবল প্রযুক্তি নিয়েই ব্যস্ত থাকেন তা নয়, তাঁদেরও রয়েছে বিচিত্র সব শখ। এমনই একজন বিচিত্র শখের মানুষ ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি অ্যালিসন। তাঁর শখ হচ্ছে বড় বড় নৌকা বা ইয়ট সংগ্রহ করা। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে একটি দ্বীপও কিনেছেন তিনি। তাঁর সংগ্রহে রয়েছে বেশ কয়েকটি বড় বড় ইয়ট। ১৮০ ফুট দৈর্ঘ্যের ‘সায়োনারা’ নামের একটি রেসিং ইয়ট নিয়ে তাঁকে অনেক সময় প্রতিযোগিতায় নামতেও দেখা গেছে। আমাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোসের শখ প্রাচীন ঘড়িতে। তিনি একটি প্রাচীন ঘড়ি পুনর্নিমাণ করছেন। ২০০ ফুট উচ্চতার এ ঘড়িতে সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টার পাশাপাশি দিন, মাস, বছর ও সহস্রাব্দের হিসেবও থাকবে। ঘড়িটি তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় চার কোটি ২০ লাখ ডলার। প্রযুক্তি উদ্যোক্তা জেফ বেজোস তাঁর এ শখের ঘড়িটিকে ১০ হাজার বছরেরও বেশি সময় টিকিয়ে রাখার পরিকল্পনা করেছেন। ঘড়িটির নামও হবে তাই ‘দ্য ১০,০০০ ইয়ার ক্লক’। পশ্চিম টেক্সাসের পাহাড়ি অঞ্চলে ঘড়িটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন বেজোস। মারিসা মেয়ার শখ ব্যালে নাচএওএল ডটকমের প্রধান নির্বাহী টিম আর্মস্ট্রংয়ের শখ ফুটবল খেলা। ইউনাইটেড ফুটবল লিগের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। শিশুদের নিয়ে গড়া একটি ফুটবল টিমে শখের প্রশিক্ষক হিসেবেও দেখা যায় এই উদ্যোক্তাকে। গোড্যাডি নামের ডোমেইন নিবন্ধন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী বব পারসান্সের একটি দুর্ধর্ষ শখ হাতি শিকার করা। তাঁর এ শখ নিয়ে অনেক সময়ই নানা খবর হতে হয় তাঁকে। সিসকো সিস্টেমের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্যান্ডি লার্নারের শখ ঘোড়দৌড়ের। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় ৮০০ একরের ফার্ম হাউজ তৈরি করেছেন তিনি। সাইকেল চালান টিম কুক অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ওজনিয়াকের গাড়ির প্রতি বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে। গাড়ির খুঁটি-নাটি খুঁত বের করা তার শখ। এ ছাড়াও তিনি নতুন নতুন স্মার্টফোন সংগ্রহ করতে ভালোবাসেন। নতুন কোনো স্মার্টফোন বাজারে এলে সর্বপ্রথম ক্রেতা হিসেবে নিজেকে দেখতে চান তিনি। অনেক ক্ষেত্রে স্মার্টফোন সংগ্রহের জন্য সবার আগে ক্রেতার সারিতে দাঁড়াতে দেখা গেছে তাঁকে। তাঁর এ শখটির কথা স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো জানতে পেরেছে বলে আগেভাগেই প্রথম স্মার্টফোনটি হাতে পান তিনি। ‘জকডক’ নামের স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি সাইটের প্রতিষ্ঠাতা নিক গানজুর শখ হচ্ছে পার্কে বসে গিটার বাজানো। ক্লাউড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান ‘বক্স’-এর প্রধান নির্বাহী অ্যারন লেভির শখ হচ্ছে জাদু দেখানো। ‘লট১৮’ নামের সাইটটির উদ্যোক্তা ফিলিপ জেমসের শখ হচ্ছে পর্বতারোহণ ও বাইকিং। গেমিং কোম্পানি আরকাডিয়ামের প্রধান নির্বাহী কেনি রোজেনব্ল্যাটের শখ বাগান করা। তিনি একটি বিশাল সবজি বাগান করেছেন। ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ শখের বশেই ফেসবুক তৈরি করেছিলেন। এখন তাঁর শখ সম্পর্কে ফেসবুকের পাতায় লিখে রেখেছেন মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিয়ে কাজ করা। যদিও জাকারবার্গ এখন নিরামিষভোজী আগে তিনি নিজের শিকার করা পশুর মাংস খেতেন । তিনি শখ করে মাঝে-মধ্যে কোট-টাই পরেন। গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের শখ হচ্ছে কাইট বোর্ডিং করা। আকাশে ঘুড়ি উড়িয়ে দিয়ে সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমুদ্রে ছুটে বেড়াতে ভালোবাসেন তিনি। অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক স্বাস্থ্যসচেতন একজন ব্যক্তি। তিনি নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করেন এবং সাইকেল চালাতে ভালোবাসেন। ‘হাইকিং’ তাঁর শখ। ইয়াহুর প্রধান নির্বাহী মারিসা মেয়ারের শখ ব্যালে নাচের। ধ্রুপদী ব্যালে নাচে পারদর্শী তিনি। এ ছাড়াও হাতঘড়ি ও ব্যাগ সংগ্রহেও তাঁর আগ্রহ রয়েছে।